মোংলায় ৭৩টি সুন্ধি কচ্ছপ জব্দ, আটক ব্যক্তির মাত্র দুই হাজার টাকা জরিমানা

10

বিলুপ্ত প্রায় মিঠা পানির প্রজাতির কচ্ছপ বিক্রি করতে এসে বিক্রেতা কোস্ট গার্ডের হাতে আটক: কচ্ছপগুলো অবমুক্ত করা হবে খানজাহান আলী দিঘিতে

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি ||

মোংলায় ৭৩টি সুন্ধি কচ্ছপ জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড। সময় কচ্ছপসহ আটক ব্যক্তিকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মাত্র নগদ হাজার টাকা অর্থ দন্ড দেয়া হয়েছে। বিলুপ্ত প্রায় মিঠা পানির প্রজাতির সুন্ধি কচ্ছপ মঙ্গলবার বাগেরহাটের হযরত খান জাহান আলীর (র:) দিঘিতে ছাড়া হবে বলে জানিয়েছেন খুলনা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা বিভাগের মৎস্য বিশেষজ্ঞ মো: মফিজুর রহমান চৌধুরী।

কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন’র (মোংলা) স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লে: এম মামুনুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মোংলার দিগরাজ শিল্প এলাকা সংলগ্ন আপাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ছালার বস্তায় থাকা ৭৩টি সুন্ধি কচ্ছপসহ এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তি হলেন গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার নারকেলবাড়ী গ্রামের মঙ্গল চন্দ্র রায়ের ছেলে মনোজ রায় (৩০)জব্দকৃত ৭৩টি কচ্ছপের ওজন প্রায় ৭৮ কেজি। কচ্ছপগুলো ২৫ হাজার টাকায় কিনে এনে মোংলার দিগরাজে বিক্রির জন্য এসেছিলেন মনোজ রায় বলে জানান কোস্ট গার্ড। পরবর্তীতে জব্দ করা কচ্ছপ খুলনা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা বিভাগের মৎস্য বিশেষজ্ঞ মো: মফিজুর রহমান চৌধুরীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে সোমবার রাতেই কচ্ছপসহ আটক মনোজ রায়কে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মাত্র হাজার টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার।

খুলনা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা বিভাগের মৎস্য বিশেষজ্ঞ মো: মফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, কচ্ছপগুলো মঙ্গলবার বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা করে তার অনুমতি নিয়ে খানজাহান আলী দিঘিতে ছাড়া হবে। কারণ এগুলো মিষ্টি পানির কচ্ছপ। মিষ্টি পানির এলাকায় না ছাড়লে এগুলো বাঁচবে না। লবণ পানির হলে আমরা করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র কিংবা সুন্দরবনে অবমুক্ত করতে পারতাম।

পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আজাদ কবির বলেন, মিঠা পানির প্রজাতির সুন্ধি কচ্ছপও এখন প্রায় বিলুপ্তের পথে। বিশেষ করে মিষ্টি পানি এলাকায় এগুলো হয়ে থাকে। এগুলো এখন বরিশাল ফরিদপুর এলাকার মিষ্টি পানির বিলগুলোতে পাওয়া যায়। বাগেরহাটের রামপালেও মাঝে মধ্যে দেখা যায়। এগুলো মুলত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন খেয়ে থাকে। এলাকা বিশেষ ৪শ ৫শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়ে থাকে। যদিও এটি ক্রয়-বিক্রয় দন্ডনীয় অপরাধ।