খুলনায় জরুরীভাবে গণটিকা কার্যক্রম চালু ও টিকাকেন্দ্র বৃদ্ধির দাবি মঞ্জু’র

1
Spread the love

>> পুনরায় দুঃস্থ ও সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করবে বিএনপি

খবর বিজ্ঞপ্তি।।

কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু আবারো খুলনায় গণটিকা কার্যক্রম চালু ও টিকাকেন্দ্র বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে বলেছেন, করোনা নিয়ন্ত্রনে সরকারের সঠিক পরিকল্পনার অভাব ছিলো আর সে অভাবের খেশারত আজ দেশের জনগন দিচ্ছে। করোনায় এক বছরে দেশের প্রায় ১৫ শতাংশ মানুষের জীবনমান নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে, সংখ্যায় তা প্রায় ২ কোটি ৪৫ লাখ। আর আগে থেকে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছেন আরও কয়েক কোটি মানুষ। বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী- সেই সংখ্যাও সাড়ে ৩ কোটির কম নয়।

রবিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে খুলনা মহানগর বিএনপির চলমান লকডাউনে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণী সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার প্রথমে লক ডাউন, তারপরে কঠোর লকডাউন, পরে শিথিল লকডাউন ঈদের ১ দিন পর থেকে আরো কঠোর লকডাউন, শিল্প কলকারখানা বন্ধ ঘোষণা থেকে মনে হয়, সরকারি সিদ্ধান্ত গুলো সবই স্বপ্ন থেকে পাওয়া। এইসব অপরিকল্পিত পদক্ষেপের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দেশের দিনে আনে দিনে খায়, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত মানুষ, হকার, ছোট ব্যবসায়ী, রিকশা-ভ্যান শ্রমিক ও পরিবহন শ্রমিকেরা। বিএনপির বার বার এসব মানুষের জন্য এককালীন ১৫ হাজার টাকা অনুদান প্রদানের আহবান জানিয়েছিলো কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় করোনা বেড, অক্সিজেন, আইসিইউ বেড বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে সাবেক সাংসদ মঞ্জু বলেন, আক্রান্ত রোগী ও স্বজনদের আহজারিতে বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। গাছের তলায়, অ্যাম্বুলেন্সে অথবা ভ্যানের ওপর রোগীর চিকিৎসার দৃশ্য কি মধ্য আয়ের বাংলাদেশ বা উন্নয়নের মডেল বাংলাদেশের ছবি দেখায়। সভায় মঙ্গলবার থেকে নগরীর নিরন্ন মানুষের মাঝে রান্না খাবার ও দুস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এছাড়া স্বাস্থ্যে সচেতন করতে মাস্ক বিতরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভা থেকে করোনাকালিন যে সকল স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন নিজ নিজ জায়গা থেকে সাধারণ মানুষের কল্যানে কাজ করছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। একই সাথে স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনগুলোর কাজে বাধাদান, প্রতিহিংসা বা দলীয় করন না করার আহবান জানানো হয়। সভা থেকে নি¤œআয়ের মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত ৩২ কোটি টাকা প্রদানে তালিকা তৈরী ও বরাদ্ধের দায়িত্ব¡ সেনাবাহিনীর কাছে দেয়ার আহবান জানানো হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, সেকেন্দার জাফরুল্লাহ খান সাচ্চু, কমান্ডার আবু জাফর, এড. ফজলে হালিম লিটন,রেহানা ঈসা আসাদুজ্জামান মুরাদ, মেহেদী হাসান দিপু, হাসানুর রশিদ মিরাজ, মিজানুর রহমান মিলটন, সিরাজুল ইসলাম লিটন প্রমূখ।

ন্যাপ নেতা এড. ফজলুর রহমান এর ইন্তেকালে মহানগর বিএনপির শোক

বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) খুলনা জেলা শাখার সভাপতি, খুলনা কর আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন খুলনা মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ মো. ফজলুর রহমান একজন সাদা মনের মানুষ ছিলেন অবিহিত করে বলেছেন নীতি ও আদর্শের প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসে অনড় ফজলুর রহমান একজন নিরাহংকার অতি প্রিয় মানুষ হিসেবে সকলের কাছেই গ্রহণযোগ্য ব্যাক্তি ছিলেন। খুলনা মহানগর বিএনপি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা করেছেন।

বিবৃতিদাতা নেতৃবৃন্দরা হলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউল¬াহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, এড. ফজলে হালিম লিটন, এড. বজলুর রহমান, এড. এস আর ফারুক, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মো. মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু ও ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ।