রূপসায় ২য় পর্যায়ে ঘর পাচ্ছে মুজিববর্ষে ২শত ১৫টি ভূমিহীন পরিবার

0

রূপসা প্রতিনিধি

“আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহ প্রদান প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য বিনামূল্যে ঘর এবং জমি উপহার দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।

মুজিববর্ষের ঘর পাচ্ছেন খুলনার রূপসায় ২য় পর্যায়ে ২১৫টি ভূমিহীন পরিবার। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকারি খাস জমির ওপর এসব ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী ২০ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দরিদ্র ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে এসব ঘর হস্তান্তর উদ্বোধন করবেন। যে কারনে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে গৃহ নির্মাণ কাজ।

উপজেলার যে সকল এলাকায় গৃহনির্মাণ কাজ চলছে তা পরিদর্শন করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া তাছনিম। এ সময় তিনি নিজেই নির্মাণ কাজ তদারকি করাসহ গণমাধ্যম কর্মীদের গৃহনির্মাণ প্রকল্পের কার্যক্রম সংক্রান্ত অবহিত করেন। একই সাথে তিনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার জন্য নির্মাণ শ্রমিক সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনা দেন।

এ সব আশ্রয়ণ কেন্দ্রে বসবাসরত উপকারভোগীদের সুন্দর জীবনযাপনের কথা বিবেচনা করে উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা পরিষদ যৌথভাবে বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং ইতিমধ্যে বেশ কিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া তাছনিম জানান, “আঠারোবেকী ও ভৈরব নদীর তীরে” আশ্রয়ণ কেন্দ্রে বসবাসারত উপকারভোগীরা অনেক আনন্দ পাবে। বিকাল হলে তারা পরিবার নিয়ে মুক্ত আকাশে ঘুরে বেড়াতে পারবে। তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। তাদের নিরাপত্তাও রয়েছে। নদীর তীরে মিনি ইকোপার্ক স্থাপনের কাজ চলছে।

সূত্রে আরো জানায়, এই প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রতিটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল, যা পুর্বেই অসহায় মানুষের মাঝে বিতারন করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় পর্যায়ে ঘরগুলের ব্যায় ধরা হয়েছে প্রতিটি ঘরের জন্য ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এ ঘর গুলোর ডিজাইনও একটু অন্য রকম দৃষ্টিনন্দন ও মনমুগ্ধকর ভাবেই গড়ে তোলা হয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মান করা ঘর। ৪৩৫ বর্গফুটের প্রতিটি ঘরে রয়েছে দুটি বেড রুম, টয়লেট, রান্নাঘর ও একটি বারান্দা। ঘর ও এর আশপাশের জমি মিলিয়ে দুই শতক জমি দেওয়া হবে এ সকল ভূমি ও গৃহহীন প্রতিটি পরিবারকে। সেমিপাকা টিনশেডের এ ঘরে একটি পরিবার স্বাচ্ছন্দে বসবাস করতে পারবে বলেও জানায় স্থানীয়রা।

রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, আমরা সরকারের খাস জমিতে ভূমি ও গৃহহীন হতদরিদ্রদের জন্য ২১৫টি ঘর নির্মাণ করেছি। প্রতিটি ঘরের ব্যায় ধরা হয়েছে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা। কাজের মান যেন ঠিক থাকে সেজন্য সার্বক্ষণিক তদারকি করছে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তিনি আরো বলেন, ঘর দেওয়ার জন্য উপকারভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রেও আমরা সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করেছি। যারা প্রকৃত ভূমিহীন তারাই এই সুবিধার আওতায় আসবে। খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূশের্দী সাথে নিয়ে খুব শিগগিরই এসকল আশ্রয়হীনদের মধ্যেই নতুন ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করা হবে বলে জানান উপজেলা প্রশাসনের এ কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, ২য় পর্যায়ে অত্র উপজেলার ২১৫টি দরিদ্র ও ভূমিহীন পরিবারের জন্য রঙিন ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এ সব ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী’র উদ্বোধনীর আগেই প্রকল্পের সকল কাজ সম্পন্ন হবে সাবক্ষনিক ভাবে কাজের তদারকি করছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন, সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া তাছনিম।