সাতক্ষীরায় দ্বিতীয় সপ্তাহের লকডাউনের প্রথম দিনে রুগীর সংখ্যা বৃদ্ধি: মৃত্যু ১

2
Spread the love

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরায় দ্বিতীয় সপ্তাহের লকডাউনের ১ম দিনে করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা কমেছে। তবে, হাসপাতাল গুলোতে করোনা আক্রান্ত উপসর্গ নিয়ে ভর্তির সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে হিসশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক নার্সদের। এদিকে, করোনা আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরো এক জনের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার রাতে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত ওই ব্যক্তির নাম আব্দুর রহিম (৭৫)তিনি কালিগঞ্জ উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের মৃত হাজের আলীর ছেলে। এনিয়ে জেলায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৫১ জন।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ কুদরত-ই-খোদা জানান, মেডিকেলে ১৪৯ জন করোনা আক্রান্ত উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ৪১ জন করোনা আক্রান্ত বাকী ১০৮ জন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। তিনি আরো জানান, বর্তমানে সেখানে রুগীর চাপ বাড়ায় ৮৭ টি বেড থেকে ১৩৫ টি বেডে উন্নীত করা হয়। এতেও সংকুলান না হওয়ায় আজ আরো ১৫টি বেড বাড়ানো হয়েছে। তার উপর জনবল সংকটে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে তিনি জানান।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফয়সাল জানান, সদর হাসপাতালে ৪২ জন করোনা আক্রান্ত উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ২৬ জন পজিটিভ বাকী ১৬ জন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন।

সর্বশেষ ফলাফলে গত ২৪ ঘন্টায় ১৮৮ জনের শরীরে নমুনা পরীক্ষা শেষে ৬৮ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় হার ৩৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। এনিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছেন হাজার ৩২৪ জন। আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরো অন্ততঃ ২৪৪ জন।

এমন পরিস্থিতিতে করোনার লাগাম টানতে প্রশাসনকে কিছুটা কঠোর হতে দেখা গেছে। মোড়ে মোড়ে চলছে তল্লাশী। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশি চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে, হাট বাজার গুলোতে ভিড় লক্ষনীয়। তারা যেন কিছুতেই স্বাস্থ্য বিধি মানতে চাচ্ছেননা। এছাড়া লকডাউনের মধ্যে দোকানপাট খোলা রাখা, স্বাস্থ্যবিধি না মানাসহ বিভিন্ন অপরাধে জেলার বিভিন্ন স্থানে চলছে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান। এদিকে, ভোমরা স্থলবন্দরেও সীমিত পরিসরে চলছে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। তবে ভারতীয় চালক হেলপাররা যাতে খোলামেলা ঘুরে বেড়াতে না পারেন সে জন্য পুলিশ বিজিবির নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।