ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পরবর্তী কয়রায় অর্ধ শাতাধিক গ্রামে খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে
শাহজাহান সিরাজ, কয়রা
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস শেষ হলেও তার রেখে যাওয়া স্মৃতি বহন করে চলেছে ক্ষতিগ্রস্থ কয়রার মানুষ এবং দেখা দিয়েছে খাবার পানির সংকট। ইয়াসের তান্ডবে কপোতাক্ষ শাকবাড়ীয়া ও কয়রা নদীর লবণ পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় মাছ মরে পানি এখন দূগন্ধে পরিণত হয়েছে। গ্রামের রাস্তাঘাটে আশেপাশে মরা মাছ, হাস মুরগী, ব্যাঙ, সাপ ও অন্যান্য কীটপতঙ্গ মরে পানি ভিন্ন রুপ ধারণ করায় গোসলেরও চরম সংকট দেখা দিয়েছে। তবে খাবার পানির বেশি সংকট দেখা দেওয়ায় অনেক গ্রামে ২ থেকে ৩ কিলোমিটার দূর থেকে ভেলায়, নৌকায় অথবা ড্রাম ভাসিয়ে পানি আনতে দেখা যাচ্ছে। এভাবে ড্রাম ভাসিয়ে পানি সংগ্রহ করতে দিনের অর্ধেক সময় চলে যাচ্ছে। এদিকে ইয়াস পরবর্তী গত ৪ দিনে কয়রায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় প্রায় অর্ধ শতাধিক গ্রাম একন পানির নিচে। তবে সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মোঃ আকতারুজ্জামান বাবুর আর্থিক সহযোগিতায় শনি ও রবিবার মঠবাড়ী ও দশালিয়া বেঁড়িবাঁধ স্থানীয়ভাবে সেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে জোয়ারের পানি বন্ধ করা হয়েছে। তিনি উক্ত বাঁধ দুটিতে বাঁশ, টিন, রশি, সহ সকল সরঞ্জাম দ্রুত সরবরাহ করায় পানি আকটানো সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে খাবার পানির সংকটের বিষয়ে সংসদ সদস্য জানান, ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় দ্রুত পানির ব্যবস্থা করা সহ আগামী বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য তিনি ট্যাংকির ব্যবস্থা করবেন। খবর নিয়ে জানা গেছে, উত্তর ও দক্ষিণ মঠবাড়ী, মহারাজপুর, ৪নং কয়রা, দশালিয়া, আটরা, গোবিন্দপুর, হোগলা, বায়লারহানিয়া, কলাপোতা, ফকিরপোতা, মাদাবাড়ীয়া, কালনা, মেঘারআইট, শিমলারআইট, জয়পুর, লোকা, গোবিন্দপুর, গাতির ঘেরি, হরিহরপুর, পদ্দপুকুর, বিনাপানি গ্রামে এই মহুর্তে খাবার সহ রান্নার পানির চরম সংকট চলছে। সূত্র জানায়, এর মধ্যে অনেক গ্রামে মিষ্ঠি পানির টিউবওয়েল তলিয়ে যাওয়ায় এই মহুর্তে সে এলাকার মানুষও পানির সংকটে পড়েছে। এ বিষয় স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল, পূর্ব মঠবাড়ী গ্রামের প্রিতিশ মন্ডল জানান, সেখানকার বেশিরভাগ নলকুপের পানি পানযোগ্য নয়। খাবার পানির উৎস পুকুর ডুবে যাওয়ায় সেখানে পানি নেওয়া সম্ভা হচ্ছে না। তারা বলেন, শুধু মানুষের খাবার পানির সংকট নয় গরু, ছাগল এবং হাস মুরগীর পানিও অতি কষ্টে সংগ্রহ করছে এলাকাবাসী।
খানজাহান আলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০ তম মৃত্যু বার্ষিকি পালিত
ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধি
মহান স্বাধীনতার ঘোষক বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৪০ তম শাহাদাৎ বার্ষিকি উপলক্ষে খানজাহান আলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এবং খুলনা ৩ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল এর সার্বিক সহযোগীতায় ৩০ মে দুপুর ১টায় ফুলবাড়ীগেট বিএনপি কার্যালয়ে এক দোয়া ও দুস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। নবগঠিত খানজাহান আলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব মাঃ বিল্লাল হোসেনের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন খানজাহান আলী থানা সভাপতি মীর কায়সেদ আলী। প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোঃ ইকরামুল হক হেলাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপি’র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মুর্শিদ কামাল, খানজাহান আলী থানা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ এনামুল হাসান ডায়মন্ড। বক্তৃতা করেন এমাম হোসেন, রোবায়েত হোসেন বাবু, মুন্সি আব্দুর রব, কাজী মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী নূর ইসলাম বাচ্চু, হাদিউজ্জামান, আশরাফ ঢালী, মোল্যা সোহরাব হোসেন, মোল্যা সোহাগ হোসেন, কাজী শহিদুল ইসলাম ,এমদাদ হোসেন, মুন্সি আজম, শাহিন মোল্যা, মোঃ জসিম, মিনা মুরাদ, মোঃ হুমায়ুন কবির, মোঃ মিজানুর রহমান, মুন্তাসির আল মামুন, ইউসুফ মোল্যা, আলহাজ্ব শেখ আল আমিন, মোল্যা সোলায়মান, মোঃ গোলাম কিবরিয়া, শাহাদাত হোসেন সাজু, মাসুম খান, সামিম আহম্মেদ, রফিকুল ইসলাম, নাজমুল হাসান, পলাশ, মেহেদী হাসান মামুন, শহিদুল ইসলাম, এমদাদ মোড়ল, মোশাররফ মোল্যা, কোরবান, টগর, লিটন, সুমন, তুহিন, জনি, হেমায়েত, ইসমাইল, জালাল, ছাত্রদল নেতা মোঃ মাসুম বিল্লাহ, তৌহিদুল ইসলাম, মোঃ ইলিয়াস সরদার, হাবিবুর রহমান বিপ্লব প্রমুখ।
অপরদিকে, আটরা গিলাতলা ইউনিয়নে ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে এক দোয়া অনুষ্ঠান বাদ আছর গিলাতলা দক্ষিণপাড়া বায়তুন নূর জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মোক্তার বিশ্বাস। সাধারণ সম্পাদক শেখ আনোয়ার হোসেন, মোঃ শাহজামাল, মোঃ কায়সেদ আলী, মোল্যা লোকমান হোসেন, খলিলুর রহমান, আব্দুল হক মোড়ল, মোঃ নাসির উদ্দিন প্রমুখ।অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন হযডরত মাওলানা আবুল রাসার।
বাগেরহাটে জিয়াউর রহমানের ৪০ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। রবিবার সকালে জেলা স্বেচ্ছা সেবক দলের আয়োজনে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত, কালো পতাকা উত্তোলন,দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম শান্তর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন সাবেক বাগেরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালাম, জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, সাবেক সহ- সভাপতি এ্যাড আব্দুল হাই, এ্যাড আছাদুজ্জামান, শেখ অজিয়র রহমান,সাবেক যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সাহেদ আলী রবি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাদিউজ্জামান হিরো,সাবেক যুবদলের সভাপতি মেহেবুবুল হক কিশোর, যুব দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম নাজমুল হুদা, যুব নেতা এ্যাড সাজ্জাত হোসাইন, মহিলা দল নেতা তাসলিমা আক্তার,সেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক নূরে আলম তানু ভ’ইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম জুয়েল, কৃষক দলের আহবায়ক আছাদুদ্দৌলা জুয়েল, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর ইসলাম জুয়েল, মৎস্যজীবি দলের সভাপতি এ্যাড শহিদুল ইসলাম, কৃষক দলের সদস্য সচিব ফকির তোহিদুল ইসলাম, জেলা জাসাসের সভাপতি সাংবাদিক কামরুজ্জামান, জেলা ছাত্র দলের সভাপতি ইমরান খান সবুজ, সাধারন সম্পাদক আলী দীপ,প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন মওলানা শহিদুল ইসলাম।
আলোচনা সভায় সারা দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় গুম,খুন, হত্যা ও আটক দলীয় নেতাদের মুক্তির দাবি জানানো হয়। পরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থো কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া মাহফিল শেষে বাগের শহরের পুরাতন বাজার মোড়, বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মোড়, সম্মিলনি স্কুল মোড়সহ এতিম খানায় খাবার বিতরন করা হয়।
অপরদিকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ আইনজীবি ফোরাম বাগেরহাট জেলা শাখার আয়োজনে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার সকালে জেলা আইনজীবি ফোরাম কার্যালয়ে বাংলাদেশ আইনজীবি ফোরামের বাগেরহাট জেলা শাখার সভাপতি এ্যাড আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, সংগঠনের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান হাওলাদার,সাধারন সম্পাদক শেখ মোশারফ হোসেন মন্টু,চাকলাদার আকরাম হোসেন,মোল্লা ফজলুর রহমান ,বাগেরহাট বারের সাধারন সম্পাদক আলতাফ হোসেন, মেহেরুন্নেছা,কুহেলী পারভিন, এস এম জিন্না প্রমুখ।
বাগেরহাটে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের ২১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
বাগেরহাট অফিস
বাগেরহাটে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের ২১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। রবিবার (৩০ মে) বিকেলে বাগেরহাটে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের বাগেরহাট জেলা শাখার আয়োজনে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে এটি অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগ বাগের জেলা শাখার সভাপতি এ্যাড. দেবদাস রানা সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. ইলিয়াছ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. মোঃ মিজানুর রহমান রাজা, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদ এরশাদুল হক,জাহিদুল ইসলাম, সবুজ চন্দ্র রায়, সালাউদ্দিন আহমেদ সজল, রাসেদুজ্জামানসহ নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের ২১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে কেক কাটা হয়।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে নৌবাহিনীর ত্রাণ বিতরণ
খবর বিজ্ঞপ্তি
রবিবার দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াসের’ প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছাসে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। এরই অংশ হিসেবে কমান্ডার খুলনা নেভাল এরিয়া রিয়ার এডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী, এনডিইউ, এএফডবিউসি, পিএসসি এর তত্ত্বাবধানে পটুয়াখালি জেলার কলাপাড়া উপজেলাস্থ বানৌজা শের-ই-বাংলা ঘাঁটির পার্শ্ববর্তী এলাকার লালুয়া ইউনিয়নের গোলবুনিয়া, বানাতিপাড়া, চারিপাতা, পশুরবুনিয়া, মাঝের হাওলা, দশকানি ও চিংগুরিয়া এলাকায় দুঃস্থ ও অসহায় দুই হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়। অন্যদিকে, বানৌজা মংলা কর্তৃক বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ এলাকায় ১৩শ অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। বর্ণিত ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, আটা, তৈল, চিনি, লবণ, আলু, বিস্কুট, মোমবাতি ও গ্যাসলাইট। এই ত্রাণ সহায়তা দুঃস্থ ও অসহায় মানুষগুলোর মনে আশার সঞ্চার করে।
খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু’র শোক প্রকাশ
খবর বিজ্ঞপ্তি
কয়রা উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি, আমাদী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কয়রা উপজেলার সভাপতি মোঃ জহুরুল ইসলাম সরদার এবং পাইকগাছা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের প্রচার সম্পাদক, কপিলমুনি বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রথীন্দ্র নাথ দত্তের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোক সন্তপ্ত উভয় পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু।
ওয়েভ ফাউন্ডেশন কর্তৃক ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের মার্কেট লিংকেজ ডেভেলপমেন্ট কর্মশালা
খবর বিজ্ঞপ্তি
”জলবায়ুর প্রভাবে খুলনা মহানগরে স্থানান্তরিত অভিবাসী ও দরিদ্র পরিবারসমূহের অভিযোজিত জীবন-জীবিকার উন্নয়নে ছাগল পালন প্রকল্প”-এর আওতাধীন ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের টেকসই বাজারজাতকরণের জন্য দিনব্যাপী মার্কেট লিংকেজ ডেভেলপমেন্ট কর্মশালা রোববার (৩০ মে) নগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ এনজিও ফোরাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। দাতা সংস্থা জি আই জেড –এর আর্থিক সহায়তায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের রায়েরমহলস্থ ১৪ নং ওয়ার্ড এলাকায় ৭৯ টি পরিবারে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
কর্মশালায় জানানো হয়, ২০১৯ সালের জানুয়ারী মাসে প্রকল্পটির আওতায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের রায়েরমহল এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্থ ৫৯ টি পরিবারকে ২ করে মা ছাগল ও ছাগল পালনের জন্য মাচাসহ ছাগলের ঘর প্রদান করা হয়েছিল। এ পর্যন্ত মোট ছাগল উৎপাদন হয়েছে ৪০৯টি। এর মধ্যে ৬২ টি ছাগল ৩ লাখ ৫০ হাজার ৫০০টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। এছাড়াও এলাকার মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য সদস্যরা নতুন ৩০টি পরিবারে ১টি করে ছাগলের বাচ্চা উপহার দিয়েছেন। ফলে উক্ত পরিবার সমূহের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি নারীর সিন্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমতাবস্থায় সদস্যরা মনে করছেন তারা ছাগল বিক্রি করে উপযুক্ত দাম পাচ্ছেন না। তাই সদস্য এবং ব্যাপারী ও মাংশ ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে এই মার্কেট লিংকেজ ডেভেলপমেন্ট কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন কেসিসি’র সংরক্ষিত আসনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ্যাড. মেমোরী সুফিয়া রহমান শুনু ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভেটেরিনারী সার্জন ডাঃ পেরু গোপাল বিশ্বাস। কর্মশালায় প্রকল্পের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, কার্যাবলী সম্পর্কে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকতা সোহেলী সুলতানা।
শাহীন বিল্লাহকে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে তালায় মানববন্ধন
ইলিয়াস হোসেন, তালা
সাতক্ষীরা উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে আন্দোলন করায় আমরা বন্ধু ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সদস্য শাহীন বিল্লাহকে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে তালায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩০ মে (রোববার) সকালে খুলনা-পাইকগাছা সড়কের তালা ডাকবাংলোর সামনে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আমরা বন্ধু ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক এস এম নাহিদের হাসানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু। আরও বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান, তালা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সাদি, রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিএম জুলফিকার রায়হান, উত্তরণ কর্মকর্তা জাহিন শামস্ সাক্ষর, আমরা বন্ধু তালা উপজেলা টিমের সরদার সাব্বির আহম্মেদ, তালা ব্লাড ব্যাংকের এডমিন আব্দুল্লাহ আল মামুন সৈকত, গ্রীণ ম্যানের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সজীব, আমরা বন্ধু তালা উপজেলা শাখার সদস্য সেখ রাশীদুজ্জামান রাজা, ওয়াসিফ আহমেদ জিসান, আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের প্রান্ত, অর্ঘ্য ঘোষ, এসএম তানভীর হোসেন,রাফসান আহমেদ, সরদার সাকিব প্রমুখ।
৫ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপী ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা মহানগরীতে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২১ সফল করার লক্ষ্যে এক অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভা রবিবার সকালে শের ই বাংলা রোডস্থ নগর স্বাস্থ্য ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্যরক্ষা ব্যবস্থা স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় পুষ্টি সেবা কার্যক্রমের আওতায় জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় কেসিসি’র স্বাস্থ্য বিভাগ এ সভার আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের গুরুত্ব অপরিসীম। সুতরাং করোনা মহামারীর বিষয়টি বিবেচনাপূর্বক সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মহানগরী এলাকায় জাতীয় এ ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। ক্যাম্পেইনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি শিশুদের সুরক্ষায় সরকারের পাশাপাশি অভিভাবক ও শিক্ষকদের যতœশীল হওয়ার আহবান জানান।
উল্লেখ্য, আগামী ৫ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপী ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালিত হবে। এ ক্যাম্পেইনের আওতায় খুলনা মহানগরী এলাকার ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ১২ হাজার ৬’শ জন শিশুকে নীল রঙের ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৯৭ হাজার ১’শ ৫৩জন শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সভায় মহানগরী এলাকাকে চারটি জোনে ভাগ করে ১শ ৯০টি ইপিআই কেন্দ্র স্থাপন এবং কেন্দ্র সমূহে ৬২জন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে ১ হাজার ৪’শ ২০ জন স্বেচ্ছাসেবী নিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) পলাশ কান্তি বালা এবং স্বাগত বক্তৃতা করেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ। অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর-খুলনার সহকারি পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোঃ মনজুরুল মুরশিদ, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. এস এম কামাল হোসেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক পেয়ারা বেগম, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের মেডিকেল অফিসার (সার্ভিল্যান্স এন্ড ইমুনাইজেশন) ডা. সৈয়দ আহসান রিজভি, সদর থানা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মোঃ নুরুল ইসলাম, কেসিসি’র স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার হালদার, সহকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শরীফ শাম্মিউল ইসলাম প্রমুখ সভায় মতামত ব্যক্ত করেন।
দুপুরে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে কেসিসি’র কঞ্জারভেন্সি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে এক সভায় মিলত হন। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রধান প্রধান ড্রেনসমূহ পরিস্কার এবং ডেঙ্গু ও চিকুনগুণিয়া প্রতিরোধে মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সিটি মেয়র বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি থাকায় খুলনা মহানগরীতে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে। নগরীর প্রায় প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে উন্নয়ন কাজ চলছে উল্লেখ করে তিনি বড় বড় ড্রেনসমূহে পনি নিস্কাশনের প্রতিবন্ধকতা অপসারণের নির্দেশ দেন। এছাড়া মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক থাকারও নির্দেশ দেন। এ ক্ষেত্রে কারো দয়িত্বে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
কেসিসি’র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল আজিজ, কঞ্জারভেন্সি অফিসার প্রকৌশলী মোঃ আনিসুর রহমান, সহকারী কঞ্জারভেন্সি অফিসার নুরুন্নাহার এ্যানি, মো: আব্দুর রকিব, এস এম আব্দুল ওয়াদুদ, মোল্লা মারুফ রশীদ, শেখ হাফিজুর রহমান, মোঃ জিয়াউর রহমানসহ ওয়ার্ডের পরিদর্শকগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
মোংলায় শুরু হয়েছে ৮ দিনের কঠোর করোনা বিধি নিষেধ, পৌরসভা, বন্দর ও ইপিজেডের ভিন্ন ভিন্ন চিত্র
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
করোনা সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় মোংলায় রবিবার থেকে শুরু হয়েছে কঠোর বিধি নিষেধ। স্থানীয় প্রশাসনের জারিকৃত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে আগামী ৬ জুন পর্যন্ত। কঠোর এ বিধি নিষেধের প্রথম দিন রবিবার সকাল থেকে পৌর শহরের চারপাশে এবং অভ্যন্তরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ৮টি নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন। পৌর শহরের চৌধুরীর মোড়, শাহাদাতের মোড়, কলেজ মোড়, কুমারখালী ও কাইনমারীসহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকেরা ইউনিয়ন থেকে আসা অপ্রয়োজনীয় কেউকে শহরপ প্রবেশ করতে দিচ্ছেনা। বিধি নিষেধের এ কয়দিনে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের লোকজনকে পৌর শহরে প্রবেশে মানা করা হয়েছে। শহরের মধ্যেও চলাচলও সীমিত করা হয়েছে। মুদি, কাঁচা, মাছ, মাংস ও ওষুধের প্রয়োজন ছাড়া কেউকে চলাচল করতে দেয়া হচ্ছেনা। পৌরসভার সকল দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছে। সকাল ৬টা বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অর্থাৎ মুদি, কাঁচা, মাছ, মাংস ও ওষুধের দোকান। এই সময়ে হোটেল ও ঘোষ ডেয়ারী খোলা থাকবে শুধু পার্সেল বিক্রির জন্যে। বিধি নিষেধের প্রথম দিনে সকালে পৌর শহরের প্রধান বাজারে (মুদি, কাঁচা, মাছ, মাংসের) গিয়ে দেখা গেছে অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক নেই। এদিকে মাস্ক বিহীন চলাচলকারী কয়েকজনকে জরিমানা করেছে মোবাইল কোর্ট। বিধি নিষেধ বাস্তবায়নে দিনভর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় টহল দিতে দেখা গেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমলেশ মজুমদার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার রাজবংশী ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরীকে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমলেশ মজুমদার বলেন, বিধি নিষেধ বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতার প্রয়োজন। তবে বিধি নিষেধের প্রথম দিনে শহরের বেশির ভাগ মানুষকেই মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা গেছে। কিছু লোক ব্যবহার না করায় তাদের নগদ জরিমানা করা হয়েছে। ভারতসহ দেশের বিভিন্ন নৌবন্দর থেকে আসা নৌযানের লোকজনকে মোংলা শহরে নামতে দেয়া হচ্ছেনা। তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌরসভার মেয়র আঃ রহমান নিজস্ব লোক দিয়ে পৌঁছে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নদী পারাপারের ক্ষেত্রে নৌকায় ১৬ জন করে এবং মাস্ক পরিহিত অবস্থায় পার করতে হবে।
এদিকে দেশ-বিদেশ থেকে আসা নৌযানের লোকজন শহরে না নামলেও ওই সকল নৌযানে স্থানীয়রা গিয়ে তেলসহ বাজার দিয়ে আসছেন, তাতেও সংক্রমণের ঝুঁকি থাকছে বলে বলছেন স্থানীয়রা।
এছাড়া মোংলা বন্দরে আগত বিদেশী জাহাজে চাকুরী ও ব্যবসার জন্য প্রতিনিয়ত শত শত লোকজন যাতায়াত করছেন। সেক্ষেত্রেও সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।
ইপিজেডে মোংলা এবং মোংলার আশপাশের বহু লোকজন যাতায়াত করছে। ইপিজেডেও বিদেশী নাগরিক রয়েছে।
তাই বন্দরের বিদেশী জাহাজ, অভ্যন্তরীণ নৌযান ও ইপিজেডের প্রতি বিশেষ নজর দারী প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকেরা।
বন্দরের বিদেশী জাহাজ, ইপিজেড ও দেশী-বিদেশী নৌযানের বিষয়ে তিনি বলেন, বন্দর ও ইপিজেড স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান, তারপরও চিঠি দিয়ে বিধি নিষেধের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। আর নৌযানগুলোর ক্ষেত্রে কোস্টারিকা গার্ডকে বলা হয়েছে। যাতে কেউ নিচে নামতে না পারে সেজন্য কোস্ট গার্ডের জোরদার টহল রয়েছে নদীতে।
এদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে রবিবার মোংলায় নূরউদ্দিন নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে আরো এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।
শুরু হওয়া করোনা বিধি নিষেধের মধ্যেও মোংলা বন্দরের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম মুসা বলেন, সর্তকতার সাথে বন্দরে জাহাজের পণ্য ওঠানামা, পরিবহণ ও অফিসিয়াল কাজ চলছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য করোনার মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্টরা বন্দরের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে সর্বোচ্চ সতর্কতার মধ্যদিয়েই বন্দরের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সাতক্ষীরায় করোনায় কর্মহীনদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণসামগ্রী বিতরণ
তথ্য বিবরণী
করোনায় কর্মহীনদের মাঝে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ পর্যন্ত ত্রাণ হিসেবে ৭৩ হাজার একশত ৪৪ পরিবারের মাঝে তিন কোটি ৬৫ লাখ ৭২ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় দুই লাখ ৮৭ হাজার তিনশত ৪০ উপকারভোগী পরিবারের মাঝে ১২ কোটি ৯৩ লাখ তিন হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া সাতশত ৩৮টি পরিবারের মাঝে শিশু খাদ্য হিসেবে তিন লাখ টাকা এবং গো খাদ্য হিসেবে চারশত ৭৯জন উপকারভোগীর মাঝে তিন লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ৩৩৩ কল এর মাধ্যমে একশত ১১ পরিবারকে খাদ্যসহায়তা প্রদান করা হয়েছে। খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলাগুলোতে অনুরূপ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
সাতক্ষীরায় জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪০ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় দুঃস্থ্যদের মাঝে খাদ্য বিতরন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা বিএনপির আয়াজনে রোববার দুপুরে শহরে ইটাগাছা হাটের মোড়ে উক্ত খাদ্য বিতরন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের সঞ্চালনায় উক্ত খাদ্য বিতরন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা ও পৌর মেয়র আলহাজ¦ তাজকিন আহমেদ চিশতি, জেলা শ্রমিকদল সভাপতি আব্দুস সামাদ, জেলা যুবদল সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি সোহেল আহমেদ মানিক প্রমুখ। অনুষ্ঠান থেকে এ সময় ৫ শতাধিক দঃস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরন করা হয়। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা করে এ সময় দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন হাফেজ মাও. মাহমুদুল ইসলাম।
সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার উপকুলীয় জলবায়ু যোদ্ধাদের শারীরিকভাবে লাঞ্চনার প্রতিবাদে ও এ ঘটনায় জড়িত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও পাউবো কর্মকর্তা আলমগীর কবিরের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্মিলিত সামাজিক সংগঠন জোটের আয়োজনে রোববার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে উক্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, উপকূলে স্থায়ী টেকসই বেঁড়িবাঁধ নির্মানের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে গত শুক্রবার অবস্থান কর্মসুচি পালন করেন শাহিন বিল্লাহ ও ইয়াছিন আরাফাতসহ জলবায়ু যোদ্ধারা। পর দিন শনিবার এই দুই জলবায়ু সেচ্ছাসেবীকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন পদ্মপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. আতাউর রহমান ও পাউবোর সেকশন অফিসার আলমগীর হোসেন। বক্তারা এসময় আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্য এই জনপ্রতিনিধি ও পাউবো কর্মকর্তাকে আইনের আওতায় এনে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবী জানান। তা নাহলে তারা কঠোর আন্দোলনে যাবেন বলে হুশিয়ারি দেন।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আক্রান্ত মোরেলগঞ্জ-শরণখোলায় ফুডপ্যাক বিতরণ
মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি:
ইয়াস আক্রান্ত বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ –শরণখোলায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত চার শতাধিক পরিবারের মাঝে ফুড প্যাক বিতরণ করেছে সরকার অনুমোদিত বেসরকারি সেবা সংস্থা পাবলিক ইমপ্রুভমেন্ট সোসাইটি অফ বাংলাদেশ পিসব।
শনিবার বেলা ১১টায় মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের গাবতলার ভাংগায়, খাউলিয়া ইউনিয়নের খাউলিয়া গ্রামসহ অন্যান্য এলাকায় ইয়াস আক্রান্ত দুই শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ফুডপ্যাক বিতরণ করে সংস্থাটি।
একই দিন দুপুরে শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ী,বগি,চালিতাবুনিয়াসহ বিভিন্ন স্পটে দুইশত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে ফুডপ্যাক ও ঔষধ বিতরণ করা হয়।
এ সব বিতরণ স্পটে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন পিসব এর প্রকল্প পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মো. ইমরান হেসাইন হাবিবী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পিসব এর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম সাঈদ, পিসব এর স্থানীয় প্রতিনিধি গাবতলার সন্তান মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, বেপারী ফাউন্ডেশন মোরেলগঞ্জের সদস্য সচিব ও দৈনিক যুগান্তর মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম মাসুম, দৈনিক সমকাল প্রতিনিধি ফজলুল হক খোকন, । এছাড়াও উপস্থিত থেকে বিতরণ কার্যক্রমে সহায়তা করেন মাওলানা সাজিদ আমীন, দৈনিক আজকের সংবাদ পত্রিকার মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি বিএম. মাহবুব, মাহমুদ হাসান শাহেদ, মো. জাহিদ, মো. রুম্মান, বিএম. শাওন প্রমূখ।
প্রসংগত, পাবলিক ইমপ্রুভমেন্ট সোসাইটি অফ বাংলাদেশ পিসব এ ফুডপ্যাক আইটিমের মধ্যে ছিলো ৫কেজি চাল,১কেজি মশুরী ডাল,২কেজি আলু,১কেজি পিয়াজ,১কেজি আটা,১ কেজি চিড়া,১কেজি চিনি,লবন ১কেজি লবন,১ কেজি বিস্কিট ,সুজি আদা কেজি, পানি ৫লিটার,গ্যাসলাইট ১পিস, খাবার স্যালাইন ১০ প্যাকেট, প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ১পাতা ও ম্যাট্রোনিডাজল১ পাতা।
দূর্যোগ কবলিত এসব এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষগুলো পিসব এর খাদ্য সহায়তা পেয়ে বেজায় খুশি। প্রতিটি স্পটে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষদের নিয়ে দোয়া মুনাজাতের মধ্য দিয়ে বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।
যশোরে হত্যা মামলার আসামী ছিনতাই পুলিশের দাবি গ্রেফতার
যশোর অফিস
যশোর আদালতে যাওয়ার পথে আইনজীবীর কাছ থেকে রাজু বিশ্বাস ওরফে টুটু (৩৫) নামের হত্যা মামলার এক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে পুলিশের দাবি, ওই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবিবার (৩০ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের মুজিব সড়কে জেলা জজ কোর্টের সামনের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
আইনজীবী তাজমিলুর রহমান সরদার স্বপন বলেছেন, ৫-৬ জন সাদা পোশাকের লোক হঠাৎ করেই সেখানে উপস্থিত হন এবং জোর করেই আমার মক্কেলকে তুলে নিয়ে যান।
পুলিশের দাবি, হত্যা মামলার আসামি রাজুকে পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছিল। সকালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নির্ণয় করে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়নি।
তবে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে বিষয়টি সংশি¬ষ্ট জেলার আইনজীবী, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, প্রেস ক্লাব সভাপতি এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিকে জানিয়েছেন তাজমিলুর রহমান।
রাজু বিশ্বাস যশোরের অভয়নগর উপজেলার ধোপাদী গ্রামের ভ্যানচালক শুকুর আলী হত্যা মামলার একমাত্র আসামি।
আইনজীবী তাজমিলুর রহমান বলেন, রাজু বিশ্বাস আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আমার কাছে এসেছিলেন। ওকালতনামা স্বাক্ষরসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি শেষে তাকে নিয়ে আইনজীবী সমিতি থেকে আদালতে যাচ্ছিলাম। জজ কোর্টের সামনের রাস্তায় পৌঁছাতেই ৫-৬ জনের একদল লোক আমাদের ঘিরে ধরে। এরপর ধস্তাধস্তি করে রাজু বিশ্বাসকে একটি রিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। আমি নিজের পরিচয় দিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে হুমকি দিয়ে চলে যায় তারা।
তিনি বলেন, আদালতে গিয়ে প্রথমে বিচারককে বিষয়টি জানাই। এরপর যশোরের পুলিশ সুপার, প্রেস ক্লাব যশোরের সভাপতি এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিকে বিষয়টি জানিয়েছি।
তারা কারা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি তাদের কাউকে চিনতে পারিনি। সবাই সাদা পোশাকে ছিলেন।
জানতে চাইলে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনা আমার জানা নেই। বিষয়টি কেউ আমাকে জানায়নি। থানা পুলিশের কেউ এ ধরনের কোনও অভিযান পরিচালনা করেনি।
তবে দুপুর পৌনে দুইটার দিকে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা অভয়নগর থানার একটি হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতার করেছি। দুই মাস ধরে আমরা খুঁজছি। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বেলা পৌনে ১১টার দিকে যশোর শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে আসামি অভয়নগর থানা হেফাজতে রয়েছে। আগামীকাল সকালে আদালতে পাঠানো হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আসামিকে আইনজীবী সমিতি বা আদালত চত্বর থেকে ধরিনি। রাস্তা থেকে গ্রেফতার করেছি। দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল।
প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল রাজু বিশ্বাসের ভ্যান-রিকশা মেরামতের দোকানে যান শুকুর আলী নামের এক ব্যক্তি। এরপর তিনি নিজের ভ্যান মেরামত করান। মজুরির ৩০ টাকার কাজ শেষে সন্ধ্যায় ফেরার পথে দেওয়ার কথা বলে শুকুর আলী চলে যান।
সন্ধ্যায় ফেরার পথে রাজু বিশ্বাস তার কাছে পাওনা টাকা চাইলে তাদের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে রাজু বিশ্বাস তার হাতে থাকা রেঞ্জ দিয়ে শুকুর আলীর মাথায় আঘাত করেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় শুকুর আলীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে রাজু বিশ্বাসের নামে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে রাজু বিশ্বাস পলাতক ছিলেন।
যশোরে ভারতফেরত আরো দুইজনের শরীরে করোনা
যশোর অফিস
যশোরে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকা ভারতফেরত আরো দুই ব্যক্তির শরীরের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের বয়স ২০ বছর এবং অপরজনের বয়স ৪৭। তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল রোববার (৩০ মে) সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার রেহনেওয়াজ রনি জানান, গত ১৫ মে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসেন এ দুই ব্যক্তি। এরপর তাদের যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গাজীর দরগাহ মাদরাসায় কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। গতকাল ২৯ মে ওই দুই ব্যক্তিসহ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকা ৪৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠানো হয়। আজকে পাওয়া পিসিআর টেস্টের ফলাফলে তাদের করোনা পজেটিভ রেজাল্ট এসেছে। যে কারণে তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, গত ২৬ এপ্রিল থেকে আজ পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকা ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজন ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের করোনায় আক্রান্ত।
এছাড়া রোববার জেলায় আরো ৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
যশোরে জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী পালন
যশোর অফিস
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে যশোরে পালিত হচ্ছে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী।
দিবসটি উপলক্ষে রবিবার বেলা ১১টায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। প্রথমে ওলামাদলের উদ্যোগে দোয়া হয়।
এরপর জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম আমিত। সভায় জেলা নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে দরিদ্রের মাঝে চাল, ডালসহ শুকনা খাবার ও রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।
জেলা নেতারা জানিয়েছেন, যশোর সদর উপজেলার ৫০০ স্থানে দরিদ্রভোজের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া আগামী তিনদিন জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পর্যায়ক্রমে দিবসটি পালন করা হবে।
উপকূলে ক্ষতিগ্রস্থ ৭ উপজেলায় টেকসই বেড়িবাঁধের দাবীতে মানববন্ধন
খবর বিজ্ঞপ্তি
সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম, শ্যামনগর, আশাশুনি ও কয়রা উপজেলা জলবায়ু অধিপরার্শ ফোরাম এবং শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ উপজেলা যুব ফোরামের আয়োজনে টেকসই বেড়িবাঁধ ও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকাকে দুর্যোগ ঝূঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করার দাবীতে শ্যামনগর, আশাশুনি, কালিগঞ্জ, কয়রা, পাইকগাছা, বাগেরহাট সদর ও শরণখোলা উপজেলায় নাগরিক সমাজ মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেছেন বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন এবং উদয়ন বাংলাদেশ। শ্যামনগর প্রেসক্লাবের সামনে, আশাশুনি উপজেলা পরিষদের সামনে, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে, কয়রা উপজেলা পরিষদের সামনে, পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের সামনে, বাগরেহাট প্রেসক্লাবের সামনে এবং শরণখোলা উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে একযোগে রবিবার সকাল ১১টায় এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে উক্ত স্থানের নাগরিক সমাজের সকল পর্যায়ের মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “টেকসই বেড়িবাঁধ পুনঃনির্মান ও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকাকে দুর্যোগ ঝূঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করতে হবে। সরকার সিডর, আইলা, রোয়ানু, মোরা, ফণী, বুলবুল ও আম্পান এর পর উপকূলীয় এলাকায় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কথা বললেও আজও তার বাস্তবায়ন হয়নি। শুধ দুর্যোগ এলেই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা বলা হয়। দুর্যোগ কেটে গেলে মেগা প্রকল্পের কোন খোঁজ থাকে না। সম্প্রতি সাইক্লোন ইয়াস এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় উচ্চ জোয়ারের কারনে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালিগঞ্জ উপজেলায়, খুলনা জেলার কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলায়, বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ, শরণখোলা ও মোংলা উপজেলার বেড়িবাঁধ ভেঙে লোনা পানিতে মানুষের জীবন-জীবিকা, সম্পদ, খাদ্য, পানি, বাসস্থানসহ অন্যান্য সংকট সৃষ্টি করেছে। এই সংকট পুরণ হওয়ার নয়।” এজন্য অচিরেই টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানের দাবী জানান মানববন্ধনে বক্তারা।
শৈলকুপায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় হামলা, সংঘর্ষের আশংকা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার রাণীনগর গ্রামে প্রতিপক্ষের বাড়ি ঘরে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। রোববার সকালসহ গত ৩ দিনে অন্তত ২০ টি বাড়ী ঘরে হামলা ও ভাংচুর করা হয়। এদিকে হামলার আতংকে পুরুষশুণ্য ওই গ্রামে অন্তত ১’শ টি পরিবার। স্থানীয়রা জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামের শফিউদ্দিন জোয়ার্দ্দার ও ইয়ারুস শেখের সমর্থকদের মাঝে বিরোধ চলে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে ইয়ারুস শেখের সামাজিক দল থেকে কিছু কর্মী শফিউদ্দিনের দলে যোগদান করে। দল ভারী হওয়ায় ওইদিন রাতেই শফিউদ্দিনের সমর্থকরা ইয়ারুসের সমর্থক সিদ্দিক মোল্লা, লতিফ মোল্লা, তোফাজ্জেল মোল্লা, আসাদুল মোল্লা, সুরাপ মৃধা, নওশের মোল্লা, কালাম মোল্লাসহ ১৫ টি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। পরবর্তীতে রোববার সকালে গ্রামের ফারুক হোসেন, আব্দুল গণি, মোবারেক বিশ্বাস, সাবু বিশ্বাসের ৪ টি বাড়িসহসহ ৩ দিনে ২০ টি বাড়ীঘর ভাংচুর, লুটপাট করা হয়। এদিকে হামলা আতংকে বাড়ি ছাড়া ইয়ারুসের অনেক সমর্থক।
ওই গ্রামের তাসলিমা খাতুন নামের এক গৃহবধু বলেন, প্রায়ই প্রায়ই শফিউদ্দিনের লোকজন আমাদের বাড়ি ভাংচুর করে। বৃহস্পতিবার ওদের সমাজে লোক গেছে। এখন ওদের লোক বেশি তাই আমাদের বাড়ি ভাংচুর করেছে। মারধরের ভয়ে বাড়ির লোকজন পলায়ে আছে।
এদিকে দফায় দফায় বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুরের ঘটনার পর এলাকায় থমে থমে অবস্থা বিরাজ করছে। যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে স্থানীয় সচেতন মহল। দ্রুতই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়ে এমনটি আশা করছেন তারা।
এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার এস আই শামীম বলেন, সে দিন আধিপত্য বিস্তার নিয়ে একটু উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। উভয়পক্ষকে শান্ত রাখতে ওসি স্যার নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
জিয়াউর রহমানের ৪০ তম শাহাদাত বার্ষিকী: খুলনায় দিনভর নানা কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপির একাংশ
খবর বিজ্ঞপ্তি
স্বাধীনতার মহান ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকীতে খুলনায় দিনভর নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বিএনপি এবং তার সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠন পৃথক পৃথকভাবে এসব কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনা, তার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া, দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ এবং স্বেচ্ছায় রক্তদান।
দুপুরে কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে মহানগর ও জেলা বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শফিকুল আলম তুহিন, এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী, আজিজুল হাসান দুলু, এহতেশামুল হক শাওন, আল জামাল ভূইয়া, সুলতান মাহমুদ, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ হাফিজুর রহমান, মাহবুব হাসান পিয়ারু, তৈয়েবুর রহমান, জামাল হোসেন তালুকদার, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, কে এম হুমায়ুন কবির, একরামুল হক হেলাল, শামীম কবির, আব্দুল আজিজ সুমন, ইবাদুল হক রুবায়েদ, রফিকুল ইসলাম বাবু, ফারুক হোসেন হিল্টন, হেলাল আহমেদ সুমন, খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, মোঃ তারেকুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, ইশতিয়াত আহমেদ ইস্তি, গোলাম মোস্তফা তুহিন, তাজিম বিশ^াস, কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম, শফিকুল ইসলাম শাহিন, আনোয়ার হোসেন আনো, সজীব তালুকদার, জাহাঙ্গীর হোসেন, মোল্লা আইয়ুব হোসেন, হারুন অর রশিদ মাসুম, মাহমুদ হাসান বিপ্লব, মুনতাসির আল মামুন, শহিদুল ইসলাম, মইদুল হাসান টুকু প্রমুখ।
স্বেচ্ছাসেবক দল সদর থানা ঃ এর আগে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল সদর থানা শাখার উদ্যোগে দোলখোলা ইসলামপুর মোড়ে দুঃস্থদের মাঝে রান্না করা খাদ্য বিতরণ করা হয়। সদর থানার আহবায়ক খায়রুজ্জামান সজীবের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব এ্যাড. ওমর ফারুক বনির সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে নগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, শফিকুল আলম তুহিন, আজিজুল হাসান দুলুসহ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মঞ্জুর শাহীন রুবেল, নাঈম হাসান হাসিব, রিপন শিকদার, আল আমিন শেখ, জুলফিকার আলী, মিজান সরদার প্রমুখ।
জাতীয়তাবাদী যুবদল সদর থানা ঃ যুবদল সদর থানা শাখার উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ের সামনে দুঃস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
ছাত্রদলের রক্তদান কর্মসূচি পালন ঃ যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মহানগর ও জেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। দুপুর আড়াইটায় কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা। সাবেক এমপি শেখ মুজিবর রহমান সহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। জেলা ছাত্রদল সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, নগর আহবায়ক ইশতিয়াক আহমেদ ইস্তি, গোলাম মোস্তফা তুহিন, মোঃ তাজিম বিশ^াস, হুমায়ুন কবির রুবেল, গাজী শহিদুল ইসলাম, রাকিবুল ইসলাম, সাগর শিকদার, মোঃ হাসান ফকির, সৈয়দ ইমরান, শেখ ফারুক, হেদায়েতউল্লাহ দীপু, রিয়াজুল ইসলাম খান মুরাদ, মাহফুজ শিকদার, মোঃ আবু জাফর, ওহিদুজ্জামান খান, কাজী আসিফুর রহমান, মনিরুল ইসলাম, স্বপন রহমাতুল্লাহ, রাশিকুল আনাম রাশু, পারভেজ হাসান মিজান, আলী আকবর, মোঃ মাজহারুল ইসলাম রাসেল, তরিকুল ইসলাম নকিব, আব্দুর রহিম বাদশা, সরদার মাহিম উল হক, অনিক আহমেদ, আরিফুল ইসলাম, মোঃ ইউসুফ শেখ, মিজানুর রহমান মৃদুল, রাজেস রায় রাজা, ইলিয়াস সরদার, বীরেশ^র মন্ডল, রায়হান সোবহান, রাশেদুল ইসলাম রাব্বি, রাজু আহমেদ, ইমরান মল্রিখ, জুবায়ের হোসেন পপিন, ইসরাইল হোসেন জিসান, শেখ মারজান হোসেন, আল ফারাবি জামান, আল আমিন, আহমেদ ইমরান সালেহ সিফাত, হাফিজুর রহমান হাফিজ, এস এম নয়ন হোসেন, আমিনুজ্জামান সুজন, রাকিব হাসান তাজ, মেহেদী হাসান ইমু, মহিউদ্দিন তালিম, রায়হান মৃধা, আসিফ হৃদয়, নাজের মাহমুদ নিবিড়, মোঃ সুরুজ, তামিম খান, পারভেজ আহমেদ, তানভীর হাসান, সাকিব রিজভী, মেহেদী হাসান ইমু, রাকিবুল ইসলাম, মাসুদ, রিপন, পাপ্পু, সাগর, ইয়াসিন, রিয়াদ, তুফান প্রমুখ।
মহিলা দলের তবারক বিতরণ ঃ বিকেল ৩টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল মহানগর শাখার উদ্যোগে দুঃস্থ, পথচারী, শ্রমিক ও অসহায় মানুষের মাঝে তরাবক বিতরণ করা হয়। অতিথি হিসেবে কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, শেখ মুজিবর রহমান, শফিকুল আলম তুহিন, আজিজুল হাসান দুলুসহ বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ। মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক আজিজা খানম এলিজার সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মামসুন্নাহার লিপি, নাসরিন হক শ্রাবণী, সোনিয়া খান, শাহানাজ সরোয়ার, লুবনা ইয়াসমিন, লুৎফুন্নাহার লাভলী, ইভা রহমান, লাকী আজমেরি, রুমা আক্তার, মদিনা আক্তার প্রমুখ।
এরপরে খুলনা মহানগর বিএনপি নেতারা নগরীর সঙ্গীতা সিনেমা হল চত্বরে যুবদল সোনাডাঙ্গা থানা শাখা, নবপল্লী কমিউনিটি সেন্টার এবং বাদ মাগরিব জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম খুলনা মহানগর শাখার আয়োজনে পিটিআই মোড় এলাকায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা, দোয়া এবং দুঃস্থদের মাঝে তবারক বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এছাড়া শ্রীফলতলা ইউনিয়নের দক্ষিণ নন্দনপুর বায়তুস সোবহান জামে মসজিদ, বায়তুল আকসা জামে মসজিদ, বায়তুল বরাত জামে মসজিদসহ বিভিণœ মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবু। উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম, আফসার হোসেন, মিজানুর রহমান মিন্টু, মোঃ আব্দুস সাত্তার খান, মোহাম্মদ বাবু, মোঃ ফারুক প্রমুখ।
১৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে বয়রা বাজারে দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মোঃ তারিকুল ইসলাম, লাবু বিশ^াস, হাবিবুর রহমান বিপুল, অহেদুর রহমান অর্ঘ্য, জোবের আলম তুয়াজ, বদরুল আলম রয়েল, আল আমিন, মোল্লা সোহরাব হোসেন প্রমুখ।
খুলনা বিএনপির তিনদিনের কর্মসুচির আজ শেষ দিন
খবর বিজ্ঞপ্তি
মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির তিনদিনের কর্মসুচির আজ (৩১ মে) সোমবার শেষ দিনে থানা পর্যায়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া মহানগর তাঁতীদলের উদ্যোগে বাদ আসর দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হবে।
ইয়াসে দাকোপে ক্ষতিগ্রস্তদের খাবার বিতরণ
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদক এড. সুজিত অধিকারী’র নির্দেশনা ও সহযোগিতায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস দূর্গত দাকোপে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকায় সুপেয় পানি ও শুকনো খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন জেলা কৃষক লীগ নেতৃবৃন্দ। গতকাল রবিবার দিনব্যাপী এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মানিকউজ্জামান অশোকের নেতৃত্বে জেলা কৃষক লীগের পাঁচ সদস্য’র প্রতিনিধি দল দাকোপের পানখালীর কাজীবাছা নদী সংলগ্ন ওয়াপদা বেঁড়ীবাধ, চালনা পৌরসভার খলিসা এলাকার ওয়াপদা বেঁড়ীবাধ, ভদ্রানদী সংলগ্ন বেঁড়ীবাধ, ৬নং কামারখোলা সংলগ্ন বেঁড়ীবাধ, ঝপঝপিয়া নদী সংলগ্ন বেঁড়ীবাধ, সুতারখালী ইউনিয়নের কালাবগী আর্য হরি মন্দির সংলগ্ন বেঁড়ীবাধ, কালাবগী গ্রামের ওয়াপদা বেঁড়ীবাধ, কালাবগীর নতুন বাজার ওয়াপদার বেঁড়ীবাধ, মুজিবনগর এলাকার বেঁড়ীবাধ, জয়নগর বাজার সংলগ্ন বেঁড়ীবাধ, তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের বটবুনিয়া বাজার সংলগ্ন বেঁড়ীবাধ পরিদর্শনকালে ক্ষতিগ্রস্ত বানভাসী মানুষের মাঝে এসব খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি’র সাথে গতকাল দুপুরে সুতারখালী ফরেষ্ট অফিস সংলগ্ন বাড়িতে জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মানিকউজ্জামান অশোকের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এসময় বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের দুঃখ-দুর্দশার কথা ও দলের সাংগঠনিক বিষয়ে তুলে ধরা হয়। তিনি কথা শোনার পর করণীয় বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কৃষক লীগ এদেশের মানুষের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের সংগঠন। এজন্য এই দুঃসময়ে কৃষক লীগ নেতা-কর্মীদের ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র হাতকে আরো শক্তিশালী করতে কৃষক লীগকে একযোগে কাজ করতে হবে।’
অনুরুপভাবে, দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল হোসেন এবং ৬নং কামারখোলা ইউপি চেয়ারম্যান পঞ্চানন কুমার মন্ডল ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে দাকোপে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সার্বিক অবস্থা নেতৃবৃন্দের কাছে তুলে ধরেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এসএম জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক আল মাহমুদ প্রিন্স, বিশিষ্ট সমাজসেবক এড. প্রসেনজিৎ দত্ত, দাকোপ উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক গোলাম হোসেন, সদস্য সচিব কমলেশ গোলদার, কামারখোলা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনসার আলী গাজী, তিলডাঙ্গা ইউনিয়ন কৃষক লীগের আহ্বায়ক মোঃ হযরত সরদার, সদস্য সচিব ধীনবন্ধু রায়, ৫নং সুতারখালী ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নিমাই কুমার রায়, কামারখোলা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি যোগেশ রায়, কৃষক লীগ নেতা সুব্রত মিন্ত্রী, সুব্রত মিস্ত্রী, মোঃ রিপন গাজী প্রমুখ।
সাতক্ষীরায় বিদেশি পিস্তলসহ গুলি উদ্ধার
জেলা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার কলারোয়া থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, নয় রাউন্ড গুলি ও দুটি খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শনিবার (২৯ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ভাদিয়ালীর খালমুখ কবরস্থান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এসব অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
বিজিবির সাতক্ষীরা-৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আল-মাহমুদ বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালায় বিজিবি। এসময় একটি নাইন এমএম বিদেশি পিস্তল, নয় রাউন্ড গুলি ও দুটি খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত অস্ত্র, গোলাবারুদ ও ম্যাগাজিন কলারোয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সেই ভ-পীর শামীমকে গ্রামছাড়া করতে এলাকাবাসীর স্মারকলিপি
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার ফিলিপনগর উপজেলায় ঢোল-ঢগর বাজিয়ে নেচে-গেয়ে এক কিশোরের মরদেহ দাফনসহ ইসলামবিরোধী নানা অপকর্মের হোতা কথিত ভ-পীর আব্দুর রহমান শামীম ওরফে শামীম রেজাকে গ্রামছাড়া করতে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
রোববার (৩০ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলামের কাছে প্রায় ৭০০ মানুষের গণস্বাক্ষর সম্বলিত এই স্মারকলিপি দেয়া হয়। জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মৃনাল কান্তি দে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। পরে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলম ও দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তারের কাছে স্মারকলিপির অনুলিপি দেয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ফিলিপনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল হক কবিরাজ, দৌলতপুর উপজেলা যুবলীগের ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম কবিরাজ, পশ্চিম-দক্ষিণ ফিলিপনগর জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. ওমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ফিলিপনগর ইউনিয়নের পশ্চিম-দক্ষিণ ফিলিপনগর গ্রামের মৃত জেছের মাস্টারের ছেলে শামীম রেজা এলাকার বেশ কিছু সংখ্যক মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসলাম ধর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক শিক্ষা-দীক্ষা দিয়ে আসছেন। যার জ্বলন্ত বহিঃপ্রকাশ গত ১৬ মে রাতে পশ্চিম-দক্ষিণ ফিলিপনগর গ্রামের মহাসিন আলীর ছেলে আঁখির (১৭) মরদেহ ভ- শামীম ও তার অনুসারীরা ঢাক-ঢোল পিটিয়ে নেচে-গেয়ে দাফন করেন।
এছাড়া তারা ধর্মবিরোধী বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ করে আসছে। তার এসব কর্মকা-ে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। এ অবস্থায় ভ- শামীমকে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়ার জোর দাবি জানান এলাকাবাসী।
একটি সেতুর জন্য দুর্ভোগে ১০ গ্রামের মানুষ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের মহেশপুরের ভারতীয় সীমান্ত ঘেষা কুদলা নদীতে একটি সেতু না থাকায় দুর্ভোগে রয়েছেন এখানকার ১০ গ্রামের মানুষ। এছাড়া সেতু না থাকায় এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করতে প্রতিনিয়তই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
জানা যায়, উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্ত ঘেষে বয়ে চলেছে কুদলা নদী। নদীর পূর্ব পাশে রয়েছে মাটিলা, লেবুতলা, যাদবপুর ও কানাইডাঙ্গা গ্রাম। এদিকে পশ্চিম পাশে রয়েছে মকরধ্বজপুর, দরবেশপুর, রুলি, বৈরবা, মোমিনতলা, গোপালপুর, কুটিপাড়া, বাশবাড়িয়া, সামান্তাসহ প্রায় ১০টি গ্রাম। আর দক্ষিণে সামান্য দূরেই ভারতীয় সীমান্ত রেখা।
তবে ওই এলাকায় ভারতীয়দের কোনো তারকাঁটার বেড়া নেই। ফলে এ এলাকাটিকে দীর্ঘদিন ধরে চোরাকারবারি ও মানবপাচারকারিরা নিরাপদ রুট হিসাবে ব্যবহার করে আসছেন।
কিন্তু এ নদীর ওপর সেতু না থাকায় বিজিবিকে এ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাদের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সীমান্ত টহলে যেতে হয়।
এছাড়া ব্রিজ না থাকায় ১০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষকেও ১২-১৩ মাইল ঘুরে নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় কাজ করতে হয়। এক পাড়ের মানুষদের অন্য পাড় থেকে কৃষিপণ্য আনতে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
স্থানীয়রা জানান, ব্রিটিশ আমলে এখানে একটি পাকা সেতু ছিল। এ ব্রিজের সূত্রেই নদীর দু’পাড়ের মানুষের মধ্যে কৃষিপণ্য বিনিময় ও ব্যবসা-বাণিজ্য গড়ে উঠে। তবে দেশ স্বাধীনের আগেই সেতুটি ভেঙে যায়। এরপর থেকে দুর্ভোগে পড়ে নদীর দু’পাড়ের মানুষ ।
দেশ স্বাধীনের ৫০ বছর পরও এখানে সেতু না হওয়ায় নদী পাড়ের মাটিলা গ্রামের কয়েকটি পরিবার অপর পাশে থাকা তাদের প্রায় ২০০ বিঘা জমি বিক্রি করে দিয়েছে। বর্ষা মৌসুমে মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ বাঁশের সাকো। আর শুষ্ক মৌসুমে হেটে পানি পার হয়ে প্রয়োজনীয় কাজ করতে হয় তাদের।
এদিকে সম্প্রতি স্থানীয়দের উদ্দ্যোগে নদীতে বাঁশের একটি ছোট সাঁকো তৈরি করা হয়। সাঁকোর দু’পাশ মাটি দিয়ে বাঁধিয়ে দেয়া হয়েছে। যেন বর্ষা মৌসুমে সহজে এ সাঁকো পার হওয়া যায়।
ব্রিজের পূর্ব পাশের গ্রাম মাটিলার বাসিন্দা বৃদ্ধ ওয়াজেদ আলী বলেন, আমাদের গ্রামের তরফদার পরিবারের নদীর অপর পাশে ১০০ বিঘা জমি ছিল। কিন্তু চাষ করার পর কৃষিপণ্য বাড়িতে আনতে অসুবিধা হওয়ায় জমিগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন তারা।
নদীর পশ্চিমপাশে মাত্র চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরে রুলি মাধ্যমিক স্কুল, শহিদুল ইসলাম কলেজ ও ফাজিল মাদরাসা রয়েছে। যেখানে এলাকার ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করে। বর্ষা মৌসুম এলেই তাদের প্রায় ১২ কিলোমিটার ঘুরে স্কুল-কলেজে যেতে হয়। এদিকে এ নদীর দু’পাড় দখল করে নিচ্ছেন মানুষ। ফলে মরে যেতে বসেছে নদীটি।
ব্রিজের পশ্চিম পাশের গ্রাম মকরধ্বজপুর গ্রামের বাসিন্দা খেলাফত ম-ল, দেলোয়ার হোসেন ও হবিবর রহমান জানান, একটি সেতু তৈরি করা এখন একান্ত প্রয়োজন। সেতু না থাকায় বিজিবি সদস্যদের টহল কাজে বিঘ্ন ঘটে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে চোরকারবারিরা কোদলা নদী রুট ধরেই গরু, মাদক ও মানব পাচার করে থাকেন।
ভারতীয় সীমান্ত ঘেষা যাদবপুর ইউপি চেয়ারম্যান এ বি এম শাহীদুল ইসলাম জানান, সেতু করার জন্য প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প পাশ হলেই নির্মাণকাজ শুরু হবে।
মহেশপুর ৫৮ বিজিবির মাটিলা ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার সোহরাব হোসেন বলেন, কোদলা নদীর প্রস্তাবিত এ সেতুটির পূর্ব পাশে অবস্থিত মাটিলা বিজিবি ক্যাম্প। নদীর পার হয়ে ও পাশে (পশ্চিম) আমাদের আরো তিন কিলোমিটার পর্যন্ত মাটিলা বিওপির আওতায় রয়েছে। যখন নদীতে পানি থাকে, তখন নদীর পশ্চিম পাশে কোনো সমস্যা হলে প্রায় ২০ কিলোমিটার ঘুরে ঘটনাস্থলে যেতে হয়। অথচ সেতুটি নির্মিত হলে আধা কিলোমিটারের কম পথ পাড়ি দিয়েই নদীর অপর প্রান্তে যাওয়া যাবে।
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সেতুটি না হওয়ায় কয়েক গ্রামের মানুষের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা সেতু তৈরির প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে। প্রস্তাবনা পাশ হলে সেতু তৈরির কাজ শুরু হবে।
আটকে রেখে দেহব্যবসা, দুই কিশোরীকে উদ্ধার করল পুলিশ
ঢাকা অফিস
চট্টগ্রামের চাকরির প্রলোভনে আটকে রেখে দুই কিশোরীকে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে একটি চক্র। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে এক ব্যক্তি এ তথ্য জানান। পরে ভুক্তভোগী দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানা পুলিশ। রোববার (৩০ মে) জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শনিবার দিবাগত রাত ২টায় চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ থেকে একজন কলার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান, তার মামাতো বোনকে গত ১৭/১৮ দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তারা এ কয়দিন অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোন খোঁজ পাননি। তার মামা কুমিল্লার মুরাদনগরের অধিবাসী যিনি এখন চট্টগ্রামে রিকশাচালান। আধা ঘণ্টা আগে তারা খবর পেয়েছেন তার মামাতো বোনকে ডবলমুরিং থানাধীন আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার ২৭ নম্বর সড়কের ৭৪ নম্বর বাড়িতে আটকে রেখে খারাপ কাজ করানো হচ্ছে। তার মামাতো বোনের অনুরোধে এক সহৃদয় ব্যক্তি তাকে ফোন করে এ ব্যাপারে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ৯৯৯ তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি ডবলমুরিং থানায় জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানায়। ৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে ডবলমুরিং থানার একটি দল অবিলম্বে ঘটনাস্থলে যায়। পরে ভোর সাড়ে তিনটায় ডবলমুরিং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুব রাব্বানি অপু ৯৯৯-কে ফোনে জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়িটিতে অভিযান ও তল্লাশি চালিয়ে নিচতলা থেকে কলারের মামাতো বোনসহ দুই কিশোরীকে উদ্ধার করেন। তাদের জোর করে পতিতাবৃত্তি করানো অভিযোগে পাচারকারী চক্রের একজন তানজিনা আক্তার (৩৫) ও দুই খদ্দেরকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বারডেমের সেই রোগী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসেই মারা গেছেন
ঢাকা অফিস
রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে মারা যাওয়া সেই রোগী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েই মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। গত ২৫ মে ওই রোগী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে সন্দেহ করেছিলেন চিকিৎসকরা। আজ রবিবার (৩০ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন রবিবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রবিবার ( ৩০ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনলাইন বুলেটিনে তিনি বলেন, আমরা মিউকরমাইকোসিসে একজন রোগীকে হারিয়েছি। সেই একজন বারডেমে মারা যাওয়া ব্যক্তি কিনা প্রশ্নে পরে তিনি এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন। এর আগে গত ২৫ মে বারডেম হাসপাতালের রেসপিরেটরি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. দেলোয়ার হোসেন জানান, আমরা সন্দেহ করছি, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে চিকিৎসাধীন ব্যক্তি মারা গেছেন। তবে আমরা কনফার্ম করছি না। রবিবার স্বাস্থ্য অধিদফতর সেই রোগী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যুবরণ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছে।
মিউকরমাইকোসিস ( ব্ল্যাক ফাঙ্গাস) নিয়ে অনেক বেশি ভয়ের কোনও কারণ নেই জানিয়ে অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, ভারতীয় অংশে আমরা দেখেছি এই ইস্যুতে সেখানকার পরিবেশ ও হাসপাতালে যে অবস্থা ছিল, তাদের রোগীদের সেবায় স্টেরয়েড ব্যবহার, অক্সিজেন সাপ্লাই দেওয়ার ক্ষেত্রে যে তারতম্য সেসব বিভিন্ন কারণে ভারতে এই পরিমাণ ছড়িয়েছে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে কিছু কিছু রোগী আগেও ধরা পড়েছে, এখনও পড়ছে। আমরা মিউকরমাইকোসিসে একজন রোগী হারিয়েছি। অন্যান্য যারা তারা চিকিৎসাধীন এবং তাদের অবস্থা তুলনামূলক ভালো। তবে মিউকরমাইকোসিসকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যেসব রোগী ডায়াবেটিস, ক্যানসার বিশেষত ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত, যারা কেমো পাচ্ছেন, দীর্ঘ মেয়াদি স্টেরয়েড পাচ্ছেন এসব রোগীর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। আশেপাশে যতই মিউকরমাইকোসিস থাকুক, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে আক্রান্ত করতে পারবে না। শুধু মাস্ক পরলেই হবে না, সেটা যেন ঠিক মতো পরা হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। ব্যবহার শেষে যেন ঠিক জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
দেশে মিললো করোনার চার ভ্যারিয়েন্ট
ঢাকা অফিস
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২৭টি ইউকে ভ্যারিয়েন্ট, ৮৫টি সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট, পাঁচটি নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট এবং ২৩টি ইন্ডিয়ার ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন। রবিবার (৩০ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভার্চুয়াল বিফ্রিংয়ে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, দেশে এযাবৎ ২৬৩টি সিকোয়েন্স করা হয়েছে। তার মধ্যে ২৭টি ইউকে ভ্যারিয়েন্ট, ৮৫টি সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট, পাঁচটি নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট এবং ২৩টি ইন্ডিয়ার ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। বি.১.৬.৭ এটি ভারত ফেরত এবং তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে পেয়েছি আমরা।
তবে এই ভ্যারিয়েন্ট নতুন কোনও বিষয় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, যত রোগী শনাক্ত হবে, সংক্রমণ হবে, নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাবে। সুতরাং ভ্যারিয়েন্ট যা-ই হোক না কেন, আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যার যখন সময় আসবে, তাকে টিকা নিতে হবে। এভাবে আমরা সংক্রমণ কমাতে পারবো। করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, এটা আমের মৌসুম। আম পচনশীলও। অনেক পরিবার আমের বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল। তাই এই মৌসুমে আম কেনাবেচা করতে হবে। সেক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাগান থেকে আম কেনাবেচা নিশ্চিত করতে হবে। বাজারজাত করার ক্ষেত্রে স্বল্প পরিসরে খোলা জায়গায় বিক্রি করতে হবে। অনলাইন শপিংয়ে মাধ্যমে আম কেনাবেচা নিশ্চিত করতে হবে।
টাকার বস্তা ফেলে গেলেন ভিক্ষুক
নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পাবনা বাসস্ট্যান্ডে জমানো টাকার বস্তা ফেলে গেছেন এক নারী ভিক্ষুক। টাকাগুলোর বিভিন্ন নোট জড়ানো পাকানো থাকায় তা দখল করে ছিল বস্তার পুরো অংশ। উৎসুক জনতা টাকাগুলো গুনে জমা দেন পৌরসভায়।
রবিবার (৩০ মে) রাতে বনপাড়া পৌরসভার মেয়র কেএম জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জাকির হোসেন বলেন, এক নারী ভিক্ষুক টাকাগগুলো জমিয়েছেন। কিন্তু তিনদিন ধরে তিনি নিখোঁজ। আমরা তার সন্ধান করে টাকাগুলো বুঝিয়ে দেব।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও মহল্লাবাসীর বরাত দিয়ে মেয়র আরও বলেন, বনপাড়া বাসস্ট্যান্ডে ওই নারী থাকতেন। দেখে তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হতো সবার। ছেঁড়া কাপড়ে জড়িয়ে থাকতেন। কোথা থেকে এসেছেন তা কেউ জানে না। হঠাৎ তিনদিন ধরে তাকে কেউ দেখছে না। বিকেলে বনপাড়া পৌরসভার কর্মীরা বস্তার মুখ খুলতেই টাকাগুলো দেখতে পান। এরপর স্থানীয় পথচারী, ব্যবসায়ী ও উৎসুক জনতা ভিড় জমান। পরে পৌরসভার অনুমতি নিয়ে তারা টাকাগুলো গুনে দেখেন ১৬ হাজার ৪২০ টাকা। টাকাগুলো পৌরসভায় গচ্ছিত রাখা হয়েছে।
করোনা আক্রান্তের লাশ ফেলা হচ্ছে নদীতে, ভিডিও ভাইরাল
খুলনাঞ্চল ডেস্ক
করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত ভারতে চলতি মাসের শুরুর দিকে গঙ্গা নদীর বিহার ও উত্তর প্রদেশ অংশে শত শত লাশ ভাসতে দেখা যায়। গঙ্গার তীরে বালিতেও অনেক লাশ চাপা দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যায় করোনায় মৃত এক ব্যক্তিকে সেতুর ওপর থেকে নদীতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।
রোববার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটেছে ২৮ মে ভারতের উত্তর প্রদেশের বলরামপুর জেলায়। নদীর ওপরে থাকা সেতু দিয়ে গাড়িতে করে যাওয়ার সময় লোকজন মরদেহ নদীতে ফেলে দেওয়ার চেষ্টার দৃশ্য ধারণ করেন। পরে এ ঘটনায় মৃতের স্বজনদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, নদীতে ফেলার জন্য দুই ব্যক্তি মরদেহটি সেতুর রেলিংয়ে তুলছেন। দুই ব্যক্তির মধ্যে একজনের পরনে ছিল পিপিই। রেলিংয়ের ওপর তোলার পর পিপিই পরা ব্যক্তি সম্ভবত মরদেহটি ব্যাগ থেকে বের করার চেষ্টা করছিলেন।
বলরামপুরের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পরে নিশ্চিত করেন, মরদেহটি করোনায় মৃত এক ব্যক্তির। তার স্বজনেরা লাশটি নদীতে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। পরে লাশটি উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে এবং মামলা দায়ের করা হয়েছে। বলরামপুরের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ভিবি সিং বলেন, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে ওই রোগী ২৫ মে হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি ২৮ মে মারা যান। করোনার প্রটোকল অনুযায়ী, স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। স্বজনেরা মরদেহটি নদীতে ফেলে দেন।
বাঁধ মেরামত না হলে বাসুদেবদের ঘরে ফেরা হবে না
কয়রা প্রতিনিধি
খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের গাতিরঘেরি এলাকার বাসুদেব দাশের গৃহস্থ পরিবার ছিল। মাছের ঘের ও অন্যান্য কাজ করে পরিবার নিয়ে বেশ সুখেই ছিলেন তিনি। কিন্তু গত বুধবার জোয়ারের পানির চাপে তাঁর বাড়ির পাশেই থাকা শাকবাড়িয়া নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। মুহূর্তেই পানিতে তলিয়ে যায় সবকিছু। কিছু জিনিসপত্র রক্ষা করতে পারলেও অনেক কিছু ভেসে গেছে ওই পানির তোড়ে। বৃহস্পতিবার ভাটায় পানি নেমে যাওয়ার পর একটি নৌকায় করে ঘরের জিনিসপত্র ও মালামাল নিয়ে হরিহরপুর লঞ্চঘাট এলাকায় বাঁধের ওপর বসতি স্থাপন করেছেন।
বাসুদেবের মতো আরও কয়েকটি পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন ওই বাঁধের ওপর। বাসুদেব বলেন, ‘আইলার সময়ও এত জোয়ারের পানি হয়নি। ঝড়ের সময় প্রস্তুতি নিলেও ঘর ছাড়তে হতে পারে, তা কল্পনাও করিনি। এখন কোনোরকম মাথা গুঁজে আছি। বাঁধ মেরামত না হলে আর ঘরে ফেরা যাবে না। গরু-ছাগল আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে এসেছি।’ বাসুদেব দাশের মতোই অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন খুলনার কয়রা উপজেলার অন্তত ২৬টি গ্রামের মানুষ। ঘরে খাবার নেই, মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, খাওয়ার পানিরও সংকট। সব মিলিয়ে আশ্রয়ের খোঁজে মানুষ ছুটছেন বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে। কিন্তু সেখানেও ঠাঁই নেই। মানুষ পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন পুকুপাড়, সড়কসহ বিভিন্ন উঁচু স্থানে।
সবচেয়ে বেশি বিপদে রয়েছে উপজেলার মহারাজপুর ও বাগালী ইউনিয়নের মানুষ। ওই দুই ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রামের মধ্যে নিয়মিত জোয়ার–ভাটা আসা-যাওয়া করছে। আধা পাকা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। গবাদিপশু ও অন্যান্য আসবাব আশপাশের বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে রাখছে মানুষ। খাবার পানির উৎস পুকুর ও নলকূপগুলো নোনাপানিতে তলিয়ে যাওয়ায় খাওয়ার পানির প্রচ- সংকটে পড়েছে মানুষ। উপজেলা প্রশাসন থেকে কোনো ধরনের সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন তাঁরা। এদিকে নোনাপানির প্রভাবে পুকুরের মাছসহ অন্যান্য জীব মরে গিয়ে এলাকায় ব্যাপক দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে। প্রাদুর্ভাব ঘটেছে পেটের পীড়া, ডায়রিয়াসহ অন্যান্য রোগের।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট উচ্চ জোয়ারে খুলনার কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটা উপজেলার বিভিন্ন স্থানের বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রায় অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়। তবে বর্তমানে জোয়ারের পানির উচ্চতা কমে যাওয়ায় কয়রা ছাড়া অন্যান্য এলাকায় আর জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে না। কিন্তু কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশী ও মহারাজপুর ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানের বাঁধ এখনো মেরামত করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে ওই ভাঙা স্থানগুলো দিয়ে ওই দুই ইউনিয়নসহ আশপাশের ইউনিয়নের গ্রামগুলোও প্লাবিত করছে।
এর মধ্যে উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের গাতিরঘেরি এলাকার শাকবাড়িয়া নদীর ভাঙনে প্লাবিত হচ্ছে ওই ইউনিয়নের গাতিরঘেরি, হরিহরপুর, পদ্মপুকুর ও চরামুখা গ্রাম। ওই ভাঙনের পানি প্লাবিত করছে পাশের দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের বীণাপানি ও হলুদবুনিয়া গ্রামের কিছু অংশ। ইয়াসের প্রভাবে উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মহারাজপুর ইউনিয়ন। ওই ইউনিয়নের পশ্চিম পাশে দশহালিয়া এলাকার কপোতাক্ষ নদের ভাঙনে প্লাবিত হচ্ছে লোকা, কালনা, মেঘারাইট, সিমনার আইট, খেজুরডাঙ্গা, আটরা, গোবিন্দপুর, দশহালিয়া, জয়পুর ও দেয়াড়া গ্রাম। এ ছাড়া প্লবিত হচ্ছে কয়রা সদর ইউনিয়নের উত্তর মদিনাবাদের আংশিক ও বাগালী ইউনিয়নের বাইলহারানিয়া, শ্রিফলতলা, কলাপাতা, বাগালী, ঘুগরোকাটি, দক্ষিণ ঘুগরোকাটি, বামিয়া, ইসলামপুর, হোগলা ও শেওড়া গ্রাম।
ওই ইউনিয়নের পূর্ব দিকে মঠবাড়ি ও পবনা এলাকায় শাকবাড়িয়া নদীর ভাঙনে প্লাবিত হয়েছিল আরও অন্তত পাঁচটি গ্রাম। কিন্তু ওই দুই জায়গার বাঁধ মেরামত করে দেওয়ায় এখন গ্রামগুলো আর প্লাবিত হচ্ছে না।
বাগালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাত্তার পাড় বলেন, এমন দুর্ভোগ আইলার সময়ও কেউ পড়েনি। পুরো ইউনিয়নের অন্তত চার ভাগের মধ্যে তিন ভাগ পানিতে তলিয়ে আছে। ওই ইউনিয়নের কোনো স্থান থেকে বাঁধের ভাঙন হয়নি বলে জানান তিনি।
আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার জায়গা না পেয়ে খেজুরবুনিয়া পুকুরপাড়ের চারপাশে আশ্রয় নিয়েছে অন্তত ৩০টি পরিবার। অধিকাংশই পলিথিন দিয়ে খুপড়ি তৈরি করে কোনোরকমভাবে সেখানে রয়েছেন। তাঁদেরই একজন আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, প্রথম দিনই ঘরের মধ্যে কোমরসমান পানি ওঠে। ভাটার সময়ও থাকে হাঁটুপানি। পরদিন ঘর ভেঙে পড়ে। এরপর আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে সেখানে কোনো জায়গা পাওয়া যায়নি, তাই পুকুরপাড়ে আশ্রয় নিয়েছেন। ঘরবাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেওয়া ওই মানুষগুলো জানান, সরকারিভাবে তাঁরা এখনো কোনো খাদ্যসহায়তা পাননি।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেশ বিশ্বাস বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তা করার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের আড়াই টন করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শুকনা খাবার কিনে বিতরণের জন্য দেওয়া হয়েছে ২৫ হাজার করে টাকা। ইতিমধ্যে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা বাঁধ মেরামতের কাজে ব্যস্ত থাকায় খাদ্যসহায়তা করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। একটি ভ্রাম্যমাণ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে খাওয়ার পানি সরবরাহ করছে।
সম্পাদকীয়
————
‘কঠোর বিধিনিষেধের’ বিকল্প খুঁজতে হবে
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লকডাউনের বিকল্প হিসেবে সরকার প্রথমবারের মতো ‘বিধিনিষেধ’ শব্দের প্রয়োগ করেছিল গত ৫ এপ্রিল। ওইদিন এক সপ্তাহের জন্য নানান বিধিনিষেধ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে তা আরও দুইদিন বাড়ানো হলেও করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তাই নতুন করে ১৪ এপ্রিল তারিখ থেকে শুরু হয় ‘কঠোর বিধিনিষেধ’। যদিও তারপর দফায় দফায় তার মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী ৬ জুন পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে। হয়তো আবারও বাড়ানো হবে এর মেয়াদ। আমাদের প্রশ্ন; কথিত এই ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ এ কতটা লাভ হলো? এতে কি আদৌ করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করা গেছে? না কি তা বেড়ে গেছে- সেই মূল্যায়ন আসলে সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে আমরা লক্ষ্য করেছি, এই ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ এর মধ্যেও বহু মানুষের মুখে মাস্ক নেই। নিজেকে এবং অন্যকে নিরাপদে রাখতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার আগ্রহ খুবই কম। যার ফলে সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বিধিনিষেধের প্রথম দিকে কিছুটা কমলেও এখন আবার নতুন করে করোনাভাইরাস বাড়তে শুরু করেছে। অথচ এই আয়োজনের মূল লক্ষ্যই ছিল করোনার ভারতীয় প্রজাতির হাত থেকে বাঁচা। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো, ভারতীয় প্রজাতি বাংলাদেশে ঢুকে গেছে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনায় যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে, তার বেশির ভাগই হয়েছে ওই প্রজাতির সংক্রমণে। আশঙ্কা করা হচ্ছে সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি জেলায় সামাজিক সংক্রমণের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে।
অস্বীকার করার উপায় নেই; এখন ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ খুব একটা কাজে আসছে না। তাই তো চাঁপাইনবাবগঞ্জে লকডাউন দিতে বাধ্য হয়েছে সরকার। রাজশাহীসহ আরও ৭ জেলা লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় কমিটি। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করা হয়েছে আরও ১৫ দিনের জন্য। এমন পরিস্থিতিতে ‘কঠোর বিধিনিষেধের’ কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করা হচ্ছে, তাতে নতুন কোন পদক্ষেপ ছাড়া করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না। ভারতের করোনা পরিস্থিতি দেখে এখনো অনেকেই শিউরে উঠছেন। সেখানে করোনাভাইরাসের ভয়াবহ বিস্তারে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাসহ বলতে গেলে সবকিছুই ভেঙে পড়েছে। টানা লকডাউনে ভারতে আপাতত পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। আমরা মনে করি, করোনার বিরুদ্ধে জয়ের একমাত্র পথ কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। তাই ‘নামমাত্র কঠোর’ নয়, ‘প্রকৃত কঠোর’ পদক্ষেপ নিতে হবে।
মণিরামপুরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
মণিরামপুরের রাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিস্তম্ভ ও উন্মুক্ত অডিটোরিয়াম নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার (৩০মে) বিকেলে রাজগঞ্জ বাজারে একাজের উদ্বোধন করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য।
উদ্বোধন শেষে স্থানীয় আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রধান অতিথি বলেন, ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠনের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই রাজগঞ্জ বাজারে এসেছিলেন। তখন তিনি জনতার উদ্দেশে ২০ মিনিট বক্তব্য রাখেন। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি স্মৃতিস্তম্ভ। সবার দাবিপূরণে তিনি যে স্থানে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন সেই স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হচ্ছে। একাজে সবার সহযোগিতা কামনা করেন প্রতিমন্ত্রী।
মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান, এলজিইডি যশোর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান, চালুয়াহাটি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ, মশ্মিমনগর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, অ্যাডভোকেট বসির খান, অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলাউদ্দিন, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার কওসার আলী প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি রূপসা উপজেলা শাখার দোয়া মাহফিল
খবর বিজ্ঞপ্তি
জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র প্রতিষ্ঠতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যু বার্ষিকী পালন উপলক্ষে রূপসা উপজেলা শাখার উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলার রাজাপুর শাহী জামে মসজিদে এর আয়োজন করা হয়।
এ সময় বিএনপি রূপসা উপজেলা শাখার সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান খান জুলফিকার আলী জুলু, জেলা শাখার সহ-সভাপতি মোস্তফা উল বারী লাভলু, বিএনপি আইচগাতী ইউনিয়ন শাখার সভাপতি শেখ আব্দুর রহমান, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো.আতাউর রহমান রনু, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা দুলাল, সেচ্ছাসেবক দল জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম ও মো. ফরহাদ হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শহীদ জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত এবং বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত করা হয়। শেষে ৪শ’মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে একই সময় রাজাপুর বাজারে জিয়া সৈনিক দল জেলা শাখার পক্ষ থেকে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপি যুক্তরাজ্য শাখার সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পারভেজ মল্লিক এর সার্বিক সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি জসিম উদ্দিন মিলটন , সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম ও মো. বশির হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় দু:স্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
কথা সাহিত্যিক অচিন্ত্য কুমার ভৌমিক এর মৃত্যুতে শোক
খবর বিজ্ঞপ্তি
কথা সাহিত্যিক ও রম্য লেখক অচিন্ত্য কুমার ভৌমিক এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা বাজার কালিবাড়ি মন্দির কর্তৃপক্ষ। বিবৃতি দাতারা হচ্ছেন মন্দিরের সেবায়েত ও পুরোহিত শিবচন্দ্র ব্যানার্জী, নগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল হালদার, সাবেক সভাপতি গোপী কিষান মুন্ধাড়া, সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডু, ধর্মীয় সংবাদ পরিবেশক সুব্রত হালদার তপা, প্রশান্ত ব্যানার্জী, তোতন হালদার, উজ্জল ব্যানার্জী, সুশান্ত ব্যানার্জী, স্বপন সরকার, ভোলানাথ ভট্টচার্য ও আকাশ ব্যানার্জী।
রূপসায় জেলেদের মাঝে বিশেষ ভিজিএফ এর চাউল বিতরণ
রূপসা প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের সামুদ্রিক, অর্থনৈতিক জলসীমায় মাছের প্রজনন ও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণের জন্য ২০ মে হতে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন মাছ ধরা হতে বিরত থাকা জেলেদের মাঝে বিশেষ ভিজিএফ চাউল বিতরণ কার্যক্রম গত ৩০ মে উপজেলা মৎস্য দপ্তর কর্তৃক আয়োজিত রূপসা উপজেলার ৩ টি ইউনিয়নে যথাক্রমে আইচগাতী, নৈহাটি ও টিএসবি ইউনিয়ন পরিষদে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বাপি কুমার দাস সকল মৎস্যজীবীদের মাঝে উল্লিখিত সময়ে মৎস্য পোনা সংরক্ষনের জন্য নদী, খাল সহ সকল সরকারী জলাশয়ে মাছ শিকার না করার আহবান জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইচগাতী ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান বাবুল, নৈহাটি ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বুলবুল, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সা: সম্পাদক ইমদাদুল ইসলাম,উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আকতার ফারুক, প্রচার সম্পাদক আ: গফুর খান, বেলফুলিয়া ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মনিরুজ্জামান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সা: সম্পাদক রাজিব দাস টাল্টু, প্যানেল চেয়ারম্যান বিনয় কৃষ্ণ হালদার, ইউনিয়ন মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি শামিম বাবু, ইউপি সদস্য খন্দকার শরিফুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় টিএসবি ইউনিয়নে ১১০ জন, নৈহাটি ইউনিয়নে ১৪৯ জন ও আইচগাতী ইউনিয়নে ১৯৪ জন মৎস্য শিকারীর মাঝে ৫৬ কেজি করে বিশেষ ভিজিএফ চাউল বিতরণ করা হয়।
লখপুর ইউনিয়নে উন্মুক্ত বাজেট সভা অনুষ্ঠিত
ফকিরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের ফকিরহাটের লখপুর ইউনিয়নে স্বচ্ছতা ও জবাব দিহিতা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের উন্মুক্ত বাজেট সভা রবিবার সকাল ১১টায় ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে অত্র ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাজেট সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম আবুল হোসেন। ইউপি সচিব প্রসুন দাশ এর সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন প্রভাষক সুব্রত দাম, ডাঃ মাসুদা খানম, ইউপি সদস্য শেখ আলী আহম্মদ, বজলুর রহমান মোড়ল সহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ। পরে ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আবুল হোসেন ও ইউপি সচিব প্রসুন দাশ ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ৩কোটি ৬লক্ষ ২শত ৪০টাকার বাজেট ঘোষনা করেন। এর মধ্যে রাজস্ব ৪৩লক্ষ ৫৫হাজার ২শত ৭০টাকা ও উন্নয়ন ২কোটি ৬২লক্ষ ৪৪হাজার ৯শত ৬০টাকা।
শুভদিয়া ইউনিয়নে উন্মুক্ত বাজেট সভা অনুষ্ঠিত
ফকিরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের ফকিরহাটের শভদিয়া ইউনিয়নে স্বচ্ছতা ও জবাব দিহিতা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের উন্মুক্ত বাজেট সভা শনিবার বিকাল ৫টায় ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে অত্র ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাজেট সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ শহীদুল ইসলাম। ইউপি সচিব এমএম ফিরোজ আহম্মেদ এর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ, বিশেষ অতিথি ছিলেন, ইউনিয়ন আ,লীগের সভাপতি মোঃ ফারুকুল ইসলাম ওমর সহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ। পরে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শহীদুল ইসলাম ও ইউপি সচিব এমএম ফিরোজ আহম্মেদ ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ২কোটি ৫৫লক্ষ ৭৯হাজার ৮শত ৭৫টাকার বাজেট ঘোষনা করেন। এর মধ্যে রাজস্ব ২১লক্ষ ৫৭হাজার ৯শত ৫০টাকা ও উন্নয়ন ২কোটি ২৬লক্ষ ২১হাজার ৯শত ২৫টাকা।
ডুমুরিয়ায় বিএনপির আলোচনা ও দোয়া মাহফিল
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
ডুমুরিয়ায় উপজেলা বিএনপির আয়োজনে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা জাতীয়তাবাদি দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।গতকাল রবিবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোল্যা মোশাররফ হোসেন মফিজ।উপজেলা বিএনপির ১ম যুগ্-আহবায়ক শেখ সরোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্যদেন ভাইস চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হালিম,জহুরুল ইসলাম আকুঞ্জি,শেখ শাহিনুর রহমান,অরুন কুমার গোলদার,শেখ ফরহাদ হোসেন,বিএম জহুরুল হক, মোল্যা মশিউর রহমান,সরদার মোজাফফার,শহিদুল ইসলাম মোড়ল,মাষ্টার আয়ুব আহম্মেদ,শফিকুল ইসলাম খান,সরদার দৌলত হোসেন,শাহাদাত হোসেন হালদার,জিএম শাহেদুজ্জামান বাবু,এফএম গোলাম সরোয়ার,সালাম সরদার,হাফেজ মতিয়ার রহমান,মাহাবুর রহমান,রফিকুল ইসলাম,দেলোয়ার জোয়ার্দার,অলিয়ার রহমান খান,পারভেজ গাজী,সরোয়ার মোড়ল,ডাঃ জিয়াউর রহমান,জাহাতাপ গাজী, শফিকুল জোয়ার্দার,মকবুল গাজী,খান তাজ,মুজাহার শেখ,মনিরুল ইসলাম,আঃ গফুর,নিজাম মোল্লা, রিয়াজুল বাসার খান,শাহিনুর ফকির,সাদেক বিশ্বাস,আফসার খান,আবুল কাশেম বিশ্বাস,রিজ্উাল করিম, আকবর আলী খান,শিব গোসাই প্রমূখ।অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মোঃ মতিয়ার রহমান।
আটরা গিলাতলা ইউনিয়ন পরিষদে বাজেট সভা অনুষ্ঠিত
ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধি
আটরা গিলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের ২০২১/২০২২ অর্থবছরের বাজেট সভা ২৭ মে বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদ অডিটিয়রমে অনুষ্ঠিত হয়। ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও ইউপ সচিব তুলসিদাস মন্ডলের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন আম্বিয়া বেগম, শিরিনা আক্তার , আছিয়া বেগম, এসএম বখতিয়ার পারভেজ, মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম, মাহমুদ হাসান, খোকন কুমার নন্দী, হাফেজ মোঃ গোলাম মোস্তফা, মোল্যা সোহরাব হোসেন, শেখ আব্দুস সালাম, নবীরুল ইসলাম রাজা প্রমুখ।
যশোরে ছাত্রদলের উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন
যশোর অফিস
ছাত্রদলের উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালনছাত্রদল যশোর সরকারি এম এম কলেজের সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম রুবেলের উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের ৪০ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। যশোর জিলা স্কুলের সামনে রোববার দুপুরে এ উপলক্ষে দোয়া ও খাবার বিতরণ করা হয়।
দোয়া মাহফিল শেষে পথচারীদের মধ্যে খাদ্য বিতরণের সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যশোর নগর বিএনপির সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র মারুফুল ইসলাম মারুফ, সাধারণ সম্পাদক মনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল বাশার শাহিন, ছয় নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নওশের আলী, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক নুরুল হক ওয়াসি আহমেদ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজা উল ইসলাম টিপু, সহ-সভাপতি কামাল হোসেন, কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম রুবেল প্রমুখ।
মোড়েলগঞ্জে ওয়ার্ল্ড ভিশনের উদ্যোগে ২৬শ’ শিশুদের মধ্যে খাতা কলম বিতরণ
মোড়েলগঞ্জ প্রতিনিধি
করোনা কালীন সময়ে দরিদ্র পরিবারে শিশুদের পড়ালেখার অনুশীলনি বৃ্িদ্ধর লক্ষ্যে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে রোববার উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে ৬টি ইউনিয়নে ২৬শ’ হতদরিদ্র শিশুদের মাঝে প্র্যতেক শিশুকে ৬টি খাতা ও ৫টি কলম বিতরণের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়া ৫৯৫ জন স্কুল ছাত্রীদের মাঝে একটি করে ছাতা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ এ্যাড. শাহ-ই-আলম বাচ্চু। এ উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা খানম।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভিশন মোড়েলগঞ্জ এপি ম্যানেজার লাভলি লাকি বিশ্বাস, বক্তব্য রাখেন প্রোগ্রাম অফিসার মো. নিজাম উদ্দিন, লাকী হালদার প্রমুখ। পর্যায়ক্রমে বাকি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় উপহার সামগ্রী এলাকার দরিদ্র ও প্রতিবন্ধী পরিবারের মধ্যে বিতরন করা হবে।
মোড়েলগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টর উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য
মোড়েলগঞ্জ প্রতিনিধি
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুর্ধ ১৭ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাড. আমিরুল আলম মিলন রবিবার বিকেল ৫টায় এ টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. শাহ্-ই-আলম বাচ্চু, নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন, থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা ছাবুল, যুবলীগ যুগ্ম আহবায়ক এ্যাড. তাজিনুর রহমান পলাশ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী খেলায় মোড়েলগঞ্জ পৌরসভা একাদশ ৭/১ গোলে বলইবুনিয়া একাদশকে পরাজিত করে করে।