০ মোংলা ও রামপাল প্রতিনিধি
বাগেরহাটের রামপালে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জলোচ্ছ্বাসে ঘরবাড়ি, পুকুর, চিংড়ি ঘের, নলকুপ, হাসপাতাল, রাস্তাঘাট, হাস-মুরগীর খোপ ও স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট ডুবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে খোঁজ জানা যায়, ঘুর্ণিঝড় ইয়াসে মোট দশটি ইউনিয়নের প্রায় ৬ কোটি ৮৯ লাখ ৬৬ হাজার ৩ শত ৪ টাকার ক্ষতি হয়েছে। রামপালের অধিকংশ মানুষই মৎস্য চাষের উপর নির্ভরশীল হওয়ার কারণে মৎস্য ঘেরের সবচেয়ে ক্ষতির পরিমাণ বেশী।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আসাদুল্লাহ জানান, উপজেলার মোট দশটি ইউনিয়নে ২৭ হাজার ৮ শত ১ টি মৎস্য ঘের ইয়াসের জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে। ১৪৪৪.৮৭ হেক্টর আয়তনের মৎস্য ঘেরগুলোর ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি ২৪ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মতিউর রহমান জানান, ৪ হাজার ৮ শত ৪৫ টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ঘর ২ টি, আংশিক ক্ষতি ৩৩ টি, মৃত হাঁস ৮ টি, মুরগী ৩৩ টি, আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয় ২ টি, গভীর নলকুপ আংশিক ১৫ টি, অগভীর নলকুপ আংশিক ৮ টি, মানসম্মত পায়খানা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ৫০০ টি এবং আংশিক ১ টি হাসপাতাল। উপজেলা প্রকৌশলী গোলজার হোসেন জানান, ঘুর্ণিঝড় ইয়াসে জলোচ্ছ্বাস বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রবল বাতাসে উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ৪ টি রাস্তার দুইপাশ ভেঙে আংশিক ক্ষতি হয়েছে। বাঁশতলী ইউনিয়নের গিলাতলা শিকি রোডটির ৬ কিলোমিটার রাস্তাটি ২ কিলোমিটার আংশিক ক্ষতি হয়েছে। হুড়কা ইউনিয়নের নলবুনিয়া থেকে বাবুরবাড়ি পর্যন্ত ২২৫০ মিটার রাস্তাটির ১২ শ মিটার আংশিক ক্ষতি, ভাগা থেকে কাপাশডাঙ্গা রাস্তাটির ১৩ কিলোমিটার রাস্তাটির ২ কিলোমিটার আংশিক ক্ষতি এবং বাইনতলার সকুরহাট থেকে আলীপুর পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তাটির ১ কিলোমিটার আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কবির হোসেন বলেন, দুর্যোগের উপরে তো আমাদের কোনো হাত নেই, তবু প্রতিটি মানুষকেই আমরা সচেতন করছি। এছাড়া দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি যেনো কমানো যায়, মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে আশা যায় এই বিষয়ে আমরা সচেতন রয়েছি। পাশাপাশি দুর্যোগের পরবর্তীতে সরকারি সহায়তা প্রত্যেকেই যাতে পান এটা আমি নিশ্চিত করবো এবং এজন্য সরকারি নিয়মানুযায়ী যে পরিমান ত্রাণ আসবে আমরা সেগুলোকে দুর্যোগ কবলিত মানুষদের বণ্টন নিশ্চিত করবো। উপজেলা প্রশাসন সব সময়ই জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।