ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা লবনচরা থানা শাখার সেক্রেটারীর পিতার ইন্তেকালঃ শোক প্রকাশ
খবর বিজ্ঞপ্তি
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা লবনচরা থানা শাখার সেক্রেটারী মোহাম্মাদ শফিউল ইসলামের পিতা, বটিয়াঘাটা দলিল লেখক সমিতির দির্ঘদিনের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শমশের আলী (৭৫) গত ২৮ মে শুক্রবার রাত ১ টায় কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না-লিল¬াহ ওয়াইন্না ইলাইহি রজিউন)। মরহুমের জানাজার নামাজ শনিবার বাদ জোহর হরিনটানাস্থ সাউদিয়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজে ইমামতি করেন দারুল উলুম মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস মাওঃ ইমদাদুল্লাহ।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি মুফতী আমানুল্লাহ, সহ সভাপতি মাওঃ মোজাফ্ফার হোসাইন, মুফতী মাহবুবুর রহমান, সেক্রেটারী শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওঃ ইমরান হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ দ্বীন ইসলাম, ফেরদাউস গাজী সুমন, মুফতী আমিরুল ইসলাম, আকবর আলী পাঠান, মোমিনুল ইসলাম নাসিব, মুফতী আরিফ বিল্লাহ, মুফতী তৈয়েবুর রহমান, মাওঃ হায়দার আলী, মাওঃ নাসিম, মাওঃ ফজলুল কাদের, সেলিম হোসেন বাবুল, হযরত আলী, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
জানাজা শেষে নিরালা কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
মরহুমের মৃত্যুতে ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন নগর ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মুফতি আমানুল্লাহ, সহ সভাপতি মাওঃ মোজাফ্ফার হোসাইন, মুফতী মাহবুবুর রহমান, সেক্রেটারী শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওঃ ইমরান হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ দ্বীন ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রচার ও দাওয়াহ্ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, মোঃ ফেরদাউস গাজী সুমন, মোঃ শরিফুল ইসলাম, মোঃ মঈন উদ্দিন ভূইয়া, আলহাজ্ব মোঃ মোমিনুল ইসলাম, মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার, ডাঃ কেএম আল আমিন এহসান, মুফতী শেখ আমিরুল ইসলাম, আলহাজ্ব মোঃ জাহিদুল ইসলাম, মাওঃ শায়খুল ইসলাম বিন হাসান, এ্যাডভোকেট মোঃ কামাল হোসেন, আলহাজ্ব মোঃ আমজাদ হোসেন, আলহাজ্ব হাফেজ আব্দুল লতিফ, আলহাজ্ব আবু তাহের, মুক্তিযোদ্ধা জিএম কিবরিয়া, আলহাজ্ব সরোয়ার হোসেন বন্দ, আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, নির্বাহী সদস্য শেখ হাসান ওবায়দুল করীম, মাওঃ হাফিজুর রহমান।
সাহিত্যপ্রেমী অধ্যাপক অচিন্ত ভৌমিকের মুত্যুতে সাহিত্য নিকেতনের শোক
খবর বিজ্ঞপ্তি
নাট্যকার, গীতিকার, সুরকার ও লেখক অধ্যাপক অচিন্ত কুমার ভৌমিকের মুত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে দুই বাংলার কবি সাহিত্যিকদের সংগঠন ‘সাহিত্য নিকেতন’। তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সাহিত্য নিকেতনের সভাপতি বিশ্বাস মিলন আহমেদ মিলি, সহ-সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, স্টেলা গোমেজ সীমা, শংকর তালুকদার ও তপন দেব, সাধারণ সম্পাদক প্রবীর বিশ্বাস, সহ-সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ ম-ল হিমাংশু ও ইন্দিরা রায়, কোষাধ্যক্ষ খন্দকার বাপ্পী খান, সাংগঠনিক সম্পাদক রামকৃষ্ণ বিশ্বাস, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আশীষ আচার্য্য ও তপন পাল, প্রকাশনা সম্পাদক বিপুল কুমার বিশ্বাস, সহ-প্রকাশনা সম্পাদক তারেক নন্দী ও শম্ভুনাথ মন্ডল, প্রচার সম্পাদক সুজয় সাহা, সহ-প্রচার সম্পাদক সঞ্জয় কুমার মল্লিক ও রাজলহ্মী ভট্টাচার্য্য, পাঠাগার সম্পাদক প্রদীপ চক্রবর্তী এবং সহ-পাঠাগার সম্পাদক মিনা কবিরাজ ও জুঁই রায়। বিবৃতিদাতার আরও হলেন, দপ্তর সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সহ-দপ্তর সম্পাদক যুবরাজ মন্ডল ও প্রশান্ত কুমার, সাহিত্য সম্পাদক অপর্ণা সাহা, সহ-সাহিত্য সম্পাদক রুমানা আরেফিন তন্দ্রা ও সন্দীপা সরকার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক প্রদীপ বিশ্বাস, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক টুকটুকি বিশ্বাস ও পিংকি সাহা, আইসিটি সম্পাদক শেখ শাওন, সহ-আইসিটি সম্পাদক বনানী ঘোষ ও সুদীপা দাসসহ সাহিত্য নিকেতনে সকল সদস্য।
সিপিবি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
খবর বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনায় সিপিবি’র উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠান শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় দলের জেলা ও মহানগর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সিপিবি’র কেন্দ্রীয় সদস্য ও খুলনা জেলা সভাপতি ডাঃ মনোজ দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় সদস্য এস এ রশীদ, মহানগর সভাপতি এইচ এম শাহাদাৎ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মোঃ বাবুল হাওলাদার, সিপিবি নেতা সুতপা বেদজ্ঞ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নিতাই পাল, মিজানুর রহমান বাবু, মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল, টিইউসি নেতা গাজী আফজাল হোসেন, সাইদুর বাবু, যুব ইউনিয়ন নেতা আফজাল হোসেন রাজু, সৈয়দ রিয়াসাত আলী রিয়াজ, শাহ ওযাহিদুজ্জামান জাহাঙ্গীর, প্লাবন পাল বাঁধন, রামপ্রসাদ রায়, হরষিৎ ম-ল প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ পারিবারিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় উন্নত বিশ্বে অথবা দেশে থেকেও বিলাসবহুল জীবন যাপন করতে পারতেন। কিন্তু তিনি সে পথে না হেঁটে মানবমুক্তির রাজনৈতিক জীবন পরিচালনায় অটল থেকে ছিলেন। তিনি পার্টির সার্বক্ষণিকের কঠিন জীবন বেছে নিয়েছিলেন। দেশের বামপ্রগতিশীল রাজনীতির ক্ষেত্রে তিনি অনুসরণীয় হতে পারেন।
দাকোপ বটিয়াঘাটায় ভাংগন এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগ নেতার ত্রান বিতরন
খবর বিজ্ঞপ্তি
দাকোপ ও বটিয়াঘাটা উপজেলার ভাংগন কবলিত বিভিন্ন এলাকায় ত্রান সামগ্রী বিতরণ করছেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রান ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এম এ রিয়াজ কচি। ২৯ মে, শনিবার নলিয়ান, সুতারখালি, কালাবগি, কামনীবাশিয়া, বটবুনিয়া, তিলডাংগা সহ বিভিন্ন স্থানে ভাংগন কবলিত জনগনের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আলী ফকির, ইউপি চেয়ারম্যান রনজিত কুমার মন্ডল, নীহার রঞ্জন সরকার, শেখ মহসিন আলী, বিধান রায়, সঞ্জয় সরদার, নীলকমল সরদার, ভোলা নাথ, সুজিত মন্ডল, নিমাই, জগবন্ধু সরকার, মনিমহন মন্ডল, সুরথ গোলদার, ইকবাল হোসেন, তন্ময় সরকার, স্বপন মন্ডল, দিজেন মন্ডল, বেবি নাজরিন, মিঠু দেব, অনিমেষ রায়, গাজি রুবেল, ফেরদৌস হোসেন, এনামুল হক এনা, মনি, মোঃ মামুন, নিত্যরঞ্জন কবিরাজ প্রমূখ
অচিন্ত্য কুমার ভৌমিকের মৃত্যুতে গভীর শোক
খবর বিজ্ঞপ্তি
বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গণের পুরোধা ব্যক্তিত্ব প্রফেসর অচিন্ত্য কুমার ভৌমিকের মৃত্যুতে গভীর সমবেদনা ও তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেনÑবাংলাদেশ গণশিল্পী সংস্থার কেন্দ্রীয় সভাপতি শিল্পী সুজেয় শ্যাম, সহ-সভাপতি এ্যাড. মিনা মিজানুর রহমান,অধ্যাপক আব্দুস সালাম, নাসরীন খান লিপি, রুচিরা সুলতানা, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, শামসুজ্জোহা, খুলনা শাখার কবি দুখু বাঙালি, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আশিষ কুমার ম-ল, অধ্যাপক গৌতম কুমার কু-ু, শাহীন জামাল পন, অধ্যাপিকা রমা রহমান, সন্দীপন রায়, অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন, জেসমিন জামান, শের আলী শের বাগ প্রমুখ।
খুলনা জেলা সুরক্ষা, নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা (সুনাম) কার্যনির্বাহী কমিটির সভা
খবর বিজ্ঞপ্তি :
সুনাম খুলনা জেলা কমিটির ত্রৈমাসিক সভা সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক সুনীল দাস’র সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক প্রভাষক এস এম সোহেল ইসহাক’র পরিচালনায় উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরিতে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তৃতা করেন সহ-সভাপতি প্রভাষক পঞ্চানন ম-ল, মাহফুজুর রহমান মুকুল, সহ-সাধারন সম্পাদক পলাশ দাশ, শারি’র খুলনা জেলা মিডিয়া সমন্বয়কারী শরিফুল ইসলাম সেলিম, প্রকল্প সমন্বয়কারী বিষ্ণু বিনয় কৃষ্ণ রানা, এ্যাডভোকেসী কর্মকর্তা শিবানী গাইন, রিংটন ম-ল, ফরহাদ হোসেন মিটন, জগন্নাথ কর্মকার, বাহালুল আলম, নয়ন পাল, নুরুদ্দিন মো: ইদ্রিস, এ্যাড. মনিবুর রহমান, প্রদ্দুত রায়, অনুপম সরকার।
কয়রায় যুবলীগ নেতা জহুরুল ও পাইকগাছা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ নেতার মৃত্যুতে সংসদ সদস্যের শোক
খবর বিজ্ঞপ্তি
কয়রা উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও আমাদী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এবং মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কয়রা উপজেলার সভাপতি মোঃ জহুরুল ইসলাম সরদার ও পাইকগাছা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের প্রচার সম্পাদক এবং কপিলমুনি বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রথীন্দ্র নাথ দত্তের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোক সন্তপ্ত উভয় পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু।
বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের অবদান প্রশংসনীয়
খবর বিজ্ঞপ্তি
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ও নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে খুলনার কয়রা উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের ৪০ টি গ্রাম প¬াবিত হয়। পানি বন্দি হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। এই দুঃসময়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগ। ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নগুলোর বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। গত বুধবার দুপুর ও রাতে উপজলার শাকবাড়ীয়া ও কপোতাক্ষ নদীর বাঁধ ভেঙ্গে প¬াবিত হয় ৪ টি ইউনিয়নর ৪০ টি গ্রাম। কেদ্রীয় ছাত্রলীগ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু’র নির্দেশনায় বুধবার থেকে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ শরিফুল ইসলাম টিংকু ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাদলের নেতৃত্বে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ ও সাধারণ মানুষের সাথ স্বেছাশ্রম ওই বাঁধ মেরামতর কাজে নেমেছেন একঝাক ছাত্রলীগ কর্মীরা। গত বুধবার থেকে শুরু করে প্রতিদিন প্রত্যেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কর্মীদের বাঁধ মেরামতের কাজে অংশ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। গত শুক্রবার মহারাজপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ী পবনা বাউলিয়া ঘাটা বাঁধ মেরামতের জন্য মাইকিং করে লোকজন নিয়ে বাঁধ বাধার কাজ করতে দেখা যায়। শুধু তাই নয় স্বেছাশ্রমে কাজ করতে আসা সাধারণ মানুষের মাঝ পানি খাওয়াতে দেখা যায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের। সফলও হয়েছেন। প্রাথমিক ভাব ২টি ইউনিয়নর বাঁধ মেরামত হয়েছে। গ্রাম রক্ষা বাঁধের পানি প্রবেশ আটকানোর জন্যও ছাত্রলীগ কর্মীদর অবদান ছিল প্রশংসনীয়। এর আগে ছাত্রলীগ সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকু ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাদল উপজলার ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদর নিয়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর আগাম প্রস্তুতি নিয়েছিলন। সাইক্লোন শেল্টার পরিষ্কার, গ্রামের অসচতন মানুষকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস সম্পর্কে আগে ও পরে সচেতন করতে মাইকিং, লিফলট বিতরণ, বৃদ্ধ ও শিশুদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার ব্যবস্থা, আশ্রয় কেন্দ্রে শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়াও বন্যার্তদের জন্য খাবার বিতরণ, বাঁধ সংস্কার কাজ ও উদ্ধার কাজ করেছেন তারা।
মোংলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ৫শ পরিবারের মাঝে উপমন্ত্রীর নগদ টাকা ও কৃষি বীজ বিতরণ
মোংলা প্রতিনিধি
বিগত ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত মোংলা উপজেলার চিলা ও সোনাইলতলা ইউনিয়নের ৫শ’ পরিবারের মাঝে নগদ টাকা ও কৃষি বীজ বিতরণ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। শনিবার সকালে চিলা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ওই ইউনিয়নের ১৯৭ জন ও দুপুরে সোনাইলতলা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ওই ইউনিয়নের ৩০৩ জনের মাঝে নগদ টাকা ও উন্নতমানের কৃষি বীজ বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকে প্রত্যেককে নগদ ৪ হাজার ৫ শ টাকা ও এক প্যাকেট কৃষি বীজ তুলে দেন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।
এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকবর হেসেন ও নারজিনা বেগম নারজিনাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা
মণিরামপুরে রপ্তানিযোগ্য সবজি খামার পরিদর্শন
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
যশোরের মণিরামপুরের রোহিতা এলাকায় সফল এনজিওর সহায়তায় ৯০ জন কৃষক নিরাপদ ও বালাইমুক্ত সবজি চাষ করছেন। ২০১৮ সালের প্রথম থেকে তারা বিদেশে রপ্তানির উদ্দেশে ৬২ বিঘা জমিতে পটল, লাউ, পেঁপে ও কলা চাষ করে আসছেন। যা থেকে গত চার মাসে ৭৫ মেট্রিক টন সবজি লন্ডন, ইটালি, ফ্রান্স, সুইডেন, কুয়েত, কাতার ও সৌদিআরবে রপ্তানি করা হয়েছে।
শনিবার (২৯মে) বেলা ১১ টায় পলাশী এলাকার চাষি আব্দুর রাজ্জাকের নিরাপদ পটলক্ষেত পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যানে ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। এসময় তিনি সবজি রপ্তানির নানা দিক নিয়ে কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন।
মণিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান, নেদারল্যান্ড ভিত্তিক কৃষি বিষয়ক এনজিও সলিডারিডাডের আঞ্চলিক পরিচালক সেলিম রেজা হাসান, সংস্থাটির সিনিয়র ম্যানেজার ইন্দু ভূষণ রায়, কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম, প্রজেক্ট ম্যানেজার আবু ইউসুফ,
জাগরণী চক্রের কর্মকর্তা কাজী সাজেদ নেওয়াজ, সফলের ফিল্ড অর্গানাইজার আল-আমিন প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সফলের ফিল্ড অর্গানাইজার আল-আমিন বলেন, আমাদের সংস্থার মাধ্যমে ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ থেকে রোহিতা এলাকার ৯০ জন কৃষক নিজেদের ৬২ বিঘা জমির চাষকৃত নিরাপদ ও বালাইমুক্ত সবজি বিদেশে রপ্তানি করছেন। প্রথম থেকে পলাশী কেন্দ্র থেকে সবজি রপ্তানি শুরু হয়। সম্প্রতি রোহিতার মুড়াগাছা এলাকায় আরো একটি কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। ২৩ জন বায়ারের মাধ্যমে সরাসরি বিদেশে সবজি রপ্তানি করে লাভবান হচ্ছেন এখানকার কৃষক।
কপিলমুনির কাশিমনগর বাজারে চুরি: টাকা ও মালপত্র সহ দুই কিশোর গ্রেফতার
কপিলমুনি (খুলনা) প্রতিনিধি ঃ
কপিলমুনির কাশিমনগর বাজারে ‘কালীমাতা স্টোরে মোদি দোকানে গত বৃহস্পতিবার রাতে এক দুর্র্ধষ চুরি সংঘঠিত হয়। চোরেরা দোকানের পিছনের জ্বানালা ভেঙ্গে দোকানের ভিতর প্রবেশ করে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা, দুটি মোবাইল ফোন সহ অন্যান্য মালপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার দিন রাত ১১ টা থেকে পরদিন সকাল ৯ টা ৩০ মিনিট এর মধ্যে যেকোন সময় এই চুরি সংঘটিত হয় বলে পুলিশ সহ স্থানীয়রা ধারণা করছেন। এঘটনায় দোকান মালিক দিপক বাদি হয়ে পাইকগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-২৬, তাং ২৮-০৫-২১। এ মামলার তদন্তভার কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির এস,আই আলীমকে দেয়া হয়। এস,আই আলীম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাটকেলঘাটা থানা পুলিশের সহায়তায় পাটকেলঘাটা বাজার এলাকা থেকে গত ২৮ মে রাত ৮ টার দিকে চুরির সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে দুই কিশোরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে চুরি হওয়া একত্রিশ হাজার দুইশ পঞ্চাশ টাকা ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার সহ চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি ডিসকোভার মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়। যার রেজিঃ নং সাতক্ষীরা ল-১১৭৮২৭। গ্রেফতার কৃতরা হল পাটকেলঘাটা থানার গনেশপুর গ্রামের জাফর গাজীর ছেলে আরশাফুল গাজী (১৫)সহ ওই থানার একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে আবু মুছা (১৪)। গ্রেফতারের পর তাদেরকে পাইকগাছা থানায় আনা হয়। এ দিকে গ্রেফতারকৃত ওই দুই কিশোরের ক্ষেত্রে দায়েরকৃত মামলায় আণীত ধারার সাথে সাংঘর্ষিক বিধায় তাদেরকে খুলনা শিশু আদালত( ২) তে প্রেরণ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
শরণখোলায় বন বিভাগের তালিকাভুক্ত বাঘ শিকারী হাবিব গ্রেপ্তার
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি ঃ
বন বিভাগের তালিকাভুক্ত বাঘ শিকারী হাবিব তালুকদারকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে শরণখোলা থানা পুলিশ। শুক্রবার (২৮মে) দিবাগত রাতে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বনসংলগ্ন মধ্য সোনাতলা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শরণখোলা থানার ওসি মো. সাইদুর রহমান বলেন, বাঘ হাবিবের নামে শরণখোলা থানায় একাধিক মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা ছিল। তাকে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, হাবিব তালুকদার বাঘ হাবিব নামে বনবিভাগের তালিকাভুক্ত অপরাধী। তার হাতে গত ২০ বছরে কম করে হলেও ৭০টি বাঘ মারা পড়েছে বলে এর আগে বন বিভাগের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তার নামে ৯টি বন অপরাধের মামলা রয়েছে। এর মধ্যে তিনটিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. আব্দুল মান্নান বলেন, বাঘ শিকারী হাবিব বনবিভাগ ও পুলিশে কাছে মোস্ট ওয়ান্টেড। তাকে বহু আগে থেকেই সুন্দরবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। তার পরও গোপনে বনে ঢুকে বন্যপ্রাণি শিকার করেন তিনি। তার নামে একাধিক মামলা থাকার পরও এই অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছেন। এর পেছনে একাধিক শক্তিশালী চক্র জড়িত রয়েছে।
ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) জেলা সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত
খবর বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) খুলনা জেলা শাখার সাংগঠনিক এক সভা শনিবার, বেলা ১১টায় অস্থায়ী কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা শাখার সভাপতি কমরেড মোজাম্মেল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা সাধারণ সম্পাদক কমরেড গাজী নওশের আলী, জেলা নেতা গাজী লুৎফর রহমান, গোলাম হোসেন মোড়ল, পবিত্র হালদার, মোকলেসুর রহমান মুকুল, জামাল হোসেন, স্বপন মল্লিক, শফিয়ার রহমান প্রমুখ। সভায় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল চালু, আধুনিকায়ন, বদলী-দৈনিকভিত্তিক শ্রমিকদের ইনক্রিমেন্ট, ২০২০ সালের ঈদ বোনাসসহ সমুদয় বকেয়া পরিশোধ, নাম ভুলের সমস্যা সংশোধন করে স্থায়ী শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের জন্য আসন্ন বাজেটে অর্থ বরাদ্দের একান্ত জরুরী। তিনি আরও বলেন, দেশের ৩৫ হাজার বদলী ও দৈনিকভিত্তিক পাটকল শ্রমিকরা এখনো তাদের পাওনা টাকা পায়নি। আসন্ন ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেটে এসব শ্রমিকদের সমুদয় বকেয়া পাওনা পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ রাখতে হবে। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত সকল পাটকল-চিনিকল রাষ্ট্রীয়ভাবে চালুর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বাজেটে বরাদ্দ দিতে হবে। পাটকল শ্রমিকরা বিগত ১ বছর ধরে চরম আর্থিক কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। শ্রমিক পরিবার অর্ধাহারে অনাহারে দিন অতিবাহত করছে। সন্তানদের লেখাপড়া প্রায় বন্ধের উপক্রম হয়েছে। তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সীমহীন ঊর্ধ্বগতি সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সম্প্রতি ইয়াস-এর আঘাতে ভেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে নোনা পানি ঢুকে ফসলাদি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, সাথে সাথে সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এসব সমস্যার দ্রুত সমাধান সরকারকে এখনই করতে হবে। সভায় দলকে গতিশীল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
যশোরে কৃষিবিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত
যশোর অফিস
দুইদিনব্যাপী খুলনা বিভাগীয় কর্মশালা হয়েছে যশোর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মহাপরিচালক ড. মো: নাজিরুল ইসলাম, ডাল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক জাহিদুল আমিন, খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক জিএমএ গফুর, আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্র যশোরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কাওছার উদ্দিন আহাম্মদ, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
কর্মশালায় মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সমস্যা সমাধানে সুপারিশ গ্রহণসহ গতবছরের সুপারিশের আলোকে গৃহীত কর্মসূচির ফলাফল পর্যালোচনা ও চলতি বছরে নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
দুইদিনব্যাপী কর্মশালায় খুলানা বিভাগের অর্ধশতাধিক কৃষি গবেষক, কর্মকর্তা অংশ নেন।
খুলনায় শতভাগ ভাতা প্রদানের অগ্রগতি পর্যালাচনা সভা অনুষ্ঠিত
তথ্য বিবরণী
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতাধীন উপকারভোগীদের জিটুপি পদ্ধতিতে শতভাগ ভাতা প্রদানের অগ্রগতি পর্যালাচনা ও সিটিএম প্রকল্পের অধীন ল্যাপটপ-প্রিন্টার বিতরণ অনুষ্ঠান শনিবার দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউজের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রকল্প পরিচালক ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খুরশিদ আলম চৌধুরী। খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মোঃ মারুফুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ আব্দুর রহমান। স্বাগত জানান জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক খান মোতাহার হোসেন। খুলনা জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয় যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি খুলনা জেলার নয়টি উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের জন্য নয়টি ল্যাপটপ ও নয়টি প্রিন্টার, তিনটি শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের জন্য তিনটি ল্যাপটপ ও তিনটি প্রিন্টার এবং জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের জন্য একটি ল্যাপটপ ও একটি প্রিন্টার কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেন।
খুলনা বিভাগে করোনায় কর্মহীনদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত
তথ্য বিবরণী
খুলনা বিভাগের মাগুরা, নড়াইল ও বাগেরহাট জেলায় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় করোনায় কর্মহীনদের মাঝে নগদ অর্থ ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। মাগুরা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তর হতে তিনশত ২০ পরিবারের মাঝে পরিবার প্রতি পাঁচশত টাকার খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
নড়াইল জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তর হতে আজ দুইশত পরিবারের মাঝে শিশু খাদ্য হিসেবে এক লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। বাগেরহাট জেলায় এ পর্যন্ত ৪০ হাজার ছয়শত ৫০ উপকারভোগী পরিবারের মাঝে দুই কোটি পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় এক লাখ ৭২ হাজার আটশত ৯৯ উপকারভোগী পরিবারের মাঝে সাত কোটি ৭৮ লাখ চার হাজার পাঁচশত ৫০ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ৩৩৩ কল এর মাধ্যমে দুইশত ৩৯টি পরিবারকে খাদ্যসহায়তা প্রদান করা হয়েছে। খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলাগুলোতে অনুরূপ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ
তথ্য বিবরণী
সাতক্ষীরা জেলায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত বয়েছে। এপর্যন্ত এক হাজার নয়শত ৫০ প্যাকেট শুকনা খাবার, ৭০ মেট্রিট টন চাল এবং নগদ দুই কোটি নয় লাখ ৫৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়াদের মাঝে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ পর্যন্ত ত্রাণ হিসেবে ৪৫ হাজার নয়শত ২৪ পরিবারের মাঝে দুই কোটি ২৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় দুই লাখ ৮৭ হাজার তিনশত ৪০ উপকারভোগী পরিবারের মাঝে ১২ কোটি ৯৩ লাখ তিন হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া সাতশত ৩৮টি পরিবারের মাঝে শিশু খাদ্য হিসেবে তিন লাখ টাকা এবং গো খাদ্য হিসেবে চারশত ৭৯জন উপকারভোগীর মাঝে তিন লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ৩৩৩ কল এর মাধ্যমে ৯৭ টি পরিবারকে খাদ্যসহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্য দিবেসের আলোচনায় বক্তারা: মেয়েদের চিন্তাশক্তি ও কর্মদক্ষতা বাড়াতে হলে স্বাস্থ্যের প্রতি নজর নিতে হবে
খবর বিজ্ঞপ্তি
আজকের একজন মেয়ে আগামী দিনের মা। তাই তার চিন্তাশক্তি ও কর্মদক্ষতা বাড়াতে হলে মাসিকের সময় মেয়েদের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর নিতে হবে। মনে রাখতে হবে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার পারে চর্মরোগ, জরায়ু ক্যান্সারসহ নানা রোগ থেকে মুক্তি দিতে। তাহলে নারী-পুরুষ মিলে বির্নিমাণ করতে পারবে সোনার বাংলাদেশ। এজন্য নারীকে স্যানিটারী ন্যাপকিন এর পাশাপাশি মাসিক কাপ ব্যবহার করতে হবে। নারীর সুস্বাস্থ্যে নিশ্চিত করার জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টি করা সহ সমাজে নারী-পুরুষ সকলের কিছু ইতিবাচক দায়িত্ব এবং কর্তব্য রয়েছে। তাই এই বিষয়ে সরকারের বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। নারী সুস্থ্য থাকলে তার কর্মক্ষমতা বেড়ে যাবে। এসব কথা বললেন বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্য দিবসের আলোচনায় বক্তারা।
২৮ মে শুক্রবার বিকাল ৪টায় অপরাজিতা যুব কল্যাণ সংস্থারসহ কয়েকটি সংগঠনের উদ্যোগে খুলনায় এফপিএবি মিলনায়তনে বাংলাদেশে মাসিক কাপ সচেতনতা এর বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও কেক কাটা অনুষ্ঠন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন একুশে টেলিভিশনের বিভাগীয় প্রতিনিধি ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ –সভাপতি মহেন্দ্রনাথ সেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিট বাইটস কম্পিউটার এন্ড ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী আশিকুল ইসলাম শেখ, অপরাজিতা যুব কল্যাণ সংস্থাএর প্রতিষ্ঠাতা এবং সাধারণ সম্পাদক অনুপ কুমার মন্ডল, এফপিএবি, খুলনার প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর কামাল পারভেজ, উইথ সী এর প্রতিষ্ঠাতা ও কো-অর্ডিনেটর ইমরান জাহান আরাফাত, বাংলাদেশের ভ্রমণকারীর কো-জোন লিডার –ভ্রমণকন্যা মুনমুন খাতুন, তরুকল্প যুব কল্যাণ সংস্থার উপদেষ্টা মোঃ রফিকুল ইসলাম, , তরুকল্প যুব কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ফাতেমা খাতুন,অপরাজিতা যুব কল্যাণ সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক রুমানা হক সীমা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আয়োজনকারী সকল সহযোগী সংস্থার সদস্যবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইমরান জাহান আরাফাত । অনুষ্ঠানে অতিথিগন অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে অতিথিদের নিয়ে কেক কাটার মধ্যে দিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়।
গৃহকর্মী আমেনার ওপর পাশবিক নির্যতানের ঘটনায় যশোরের মানববন্ধন
যশোর অফিস
গৃহকর্মী আমেনার ওপর পাশবিক নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের আটক ও বিচার দাবিতে যশোরে মানববন্ধন হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২টায় প্রেসক্লাব যশোরের সামনে এ মানববন্ধন হয়। এ মানববন্ধনেই কেঁদে কেঁদে নির্যাতনের বর্ণনা দেয় আমেনা।
যশোর সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা আমেনা ঢাকায় মায়ের বান্ধবীর বাসায় কাজ করতে গিয়ে গত এক বছর ধরে নির্যাতিত হচ্ছিল। ঈদের পরে তাকে তার নানি উদ্ধার করে এনে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনদিন চিকিৎসার পর সে বাড়িতে ফেরে। এ খবরে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনের পাশেই একটি ইজিবাইকে অবস্থান করছিল নির্যাতনে অসুস্থ আমেনা।
আমেনা বলে, ছোট ছোট ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে নির্যাতন করা হতো। বেধড়ক মারপিট, গরম খুন্তির ছ্যাঁকা, প¬ায়ার্স দিয়ে নখ, চুল তুলে ফেলা ছিল নিত্য ঘটনা। এমনকি তাকে হাত-পা বেঁধে বুকের উপর পাড়িয়ে নির্যাতন করা হয়। সেইসাথে জবাই করে হত্যার প্রচেষ্টাও চালানো হয়েছিল দাবি করে সে জানায়, কিন্তু ভাগ্যক্রমে সে বেঁচে যায়।
কাঁদতে কাঁদতে সে আরো বলে, ‘এখনও বুক ও পেটে ব্যথা করে। ব্যথা সহ্য করতে পারি না।’
মানববন্ধন থেকে আমেনার নানি ও স্থানীয়রা জানান, ঘটনা ধামাচাপা দিতে অব্যাহতভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এ অবস্থায় জড়িতদের আটকের দাবি জানান তারা। একইসাথে ন্যায়বিচার পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয় মানববন্ধন থেকে।
মানববন্ধনে যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিয়ান মৌরিন, আমেনার নানি জোহরা বেগমসহ গ্রামের শতাধিক লোক অংশ নেন।
বেনাপোলে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
যশোর অফিস
বেনাপোলে একটি ওয়ান শুটার গানসহ দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শনিবার (২৯ মে) ভোরে পোর্ট থানার পুটখালীর মহিষাডাঙ্গা গ্রাম থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
খুলনা-২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পুটখালী ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার লাভলু সরকার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহিষাডাঙ্গা গ্রামে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলি বেনাপোল পোর্ট থানায় জমা দেয়া হয়েছে।
বর্ষার মৃত্যু নিয়ে রহস্য : প্রকৃত ঘটনা তদন্তের দাবি পরিবারের
খাইরুল ইসলাম নিরব, ঝিনাইদহ –
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের কনেজপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে বর্ষা খাতুন (১৮)। ১০ মাস পূর্বে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় একই উপজেলার সুরাট ইউনিয়নের রতনহাট গ্রামের ইদ্রিসের ছেলে শাকিল হোসেনের সাথে। শাকিল পেশায় একজন স্যানিটারি মিস্ত্রী। বিবাহের পর থেকে বর্ষা খাতুনের পরিবারে যৌতুকের দাবি করে আসছিল শাকিল ও পরিবার। এরই মাঝে গত শুক্রবার দুপুরে স্বামী শাকিল হোসেনের বসত ঘরে লাশ হয় বর্ষা।
স্থানীয়রা জানান, আমরা স্থানীয়রা ছাড়াও পুলিশ এসে দেখেছেন। যেভাবে রশি বাঁশের সাথে বাঁধা হয়েছে তাতে কোন ব্যক্তি এভাবে থাকলে আত্মহত্যা করতে পারবে না। এছাড়াও রশি বুক সমান নিচে রয়েছে। গলাই রশি দিয়ে আত্মহত্যা করলে এভাবে মারা যাওয়ার কোর প্রশ্নই ওঠে না।
বর্ষার খালু আকুল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমাদের মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। তার মুখে দাগ দেখা গেছে। বর্ষার মৃত্যুর ঘটনায় আমাদের কাউকে জানানো হয়নি। আমরা লোক মাধ্যমে জানতে পেরে এখানে এসেছি। তিনি আরও বলেন, বর্ষা খাতুনের মৃত্যুর পর থানায় দেওয়া অভিযোগে পেটে ব্যাথার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে গলাই কাপড় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি। তাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষিদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে সদর থানার এস আই ইয়াছির আরাফাত জানান, এ ঘটনায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার সকালে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্টে জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।
পাইকগাছার সোলাদানা ইউনিয়নে ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ওয়াপদার বাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার
পাইকগাছা প্রতিনিধি
পাইকগাছার সোলাদানা ইউনিয়নে ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রবল জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ ওয়াপদার বাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করা হয়েছে। হাতে হাত রেখে এলাকাবাসী এ কাজে অংশগ্রহণ করেন।
উপজেলার হরিখালী মৌজায় শিবসা নদীর তীরে ওয়াপদার বাঁধ প্রবল জোয়ারের পানিতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ দিয়ে পানি ভিতরে প্রবেশ করে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। ক্ষতি হয় চিংড়ি ঘের। এ ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা মেরামতের জন্য খুলনা-৬ সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবু ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীর নির্দেশনায় শনিবার সকালে মেরামতের কাজ শুরু হয়। বর্তমান চেয়ারম্যান এস,এম, এনামুল হক ও আওয়ামীলীগনেতা আব্দুল মান্নান গাজী পৃথকভাবে বিপুল সংখ্যক লোক হাতে-হাত রেখে বাঁধের কাজ শুরু করে। এদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশনায় পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন লস্কর চেয়ারম্যান কে,এম, আরিফুজ্জামান তুহিন বাঁধের কাজে অংশগ্রহণ করেন। দুপুরের জোয়ার আসার আগেই বাঁধের কাজ সম্পন্ন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী, অফিসার ইনচার্জ এজাজ শফী ও উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে খুবির নবনিযুক্ত উপাচার্যের শ্রদ্ধা নিবেদন
খবর বিজ্ঞপ্তি
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এরপর নবনিযুক্ত উপাচার্য শোক বইতে মন্তব্য ব্যক্ত করেন।
এসময় নবনিযুক্ত উপাচার্যের সাথে ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ ওয়ালিউল হাসানাত, অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান। এছাড়াও উপাচার্যের সচিব সঞ্জয় সাহা ও উপ-উপাচার্যের সচিব মোঃ হেমায়েত মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা নৌ অঞ্চলে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উদ্যাপন
খবর বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে খুলনায় শনিবার আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস-২০২১ উদ্যাপিত হয়। শান্তিরক্ষী বাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় আত্ম উৎসর্গকারী সকল সামরিক ও অসামরিক শান্তিকর্মী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও তাদের অসামান্য অবদানকে স¥রণীয় করে রাখতে ২০০২ সাল থেকে প্রতি বছর ২৯ মে দিবসটি ‘আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে করোনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে খুলনা সার্কিট হাউজে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দিবসটির যথাযথ মর্যাদা ও তাৎপর্য বিবেচনায় সকালে এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালিতে কমান্ডার খুলনা নেভাল এরিয়াসহ খুলনা ও যশোর অঞ্চলে কর্মরত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশ পুলিশ, জাতিসংঘের স্থানীয় প্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দসহ মোট ১৮০ জন অংশগ্রহণ করেন। র্যালিটি সকাল ০৭৩০ ঘটিকায় শিববাড়ি মোড় হতে শুরু হয়ে খুলনা সার্কিট হাউজে এসে শেষ হয়। পরে খুলনা সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সকল আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত এবং শান্তিরক্ষায় জীবন উৎসর্গকারী সদস্যদের স¥রণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমান্ডার খুলনা নেভাল এরিয়া রিয়ার এডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী, এনডিইউ, এএফডবি¬উসি, পিএসসি। তিনি তাঁর বক্তব্যে শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অগ্রযাত্রা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ১৫ জন সামরিক পর্যবেক্ষক নিয়ে জাতিসংঘ ইরান-ইরাক সামরিক পর্যবেক্ষক দল অংশ নেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী সর্বপ্রথম শান্তিরক্ষা মিশন শুরু করে। পরবর্তীতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী ১৯৮৯ সালে নামিবিয়া ইউনিটেগ(জাতিসংঘের ট্রানজিশন সহায়তা গ্রুপ) এ প্রথমবারের মত অংশ নিয়ে শান্তিরক্ষা মিশনে যাত্রা শুরু করে। আজ অবধি, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর মোট ১,৭৭,০০০ গর্বিত সদস্য বিশ্বের ৪০টি দেশে ৪৪টি মিশন সফলতার সাথে সম্পন্ন করেছে। একই সময়ে, বাংলাদেশ পুলিশের মোট ২০,৩১৬ গর্বিত সদস্য ২৩টি দেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করে। বিশ্বের বিভিন্ন যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জাতিসংঘের পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছে। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এ মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী এবং বাংলাদেশ পুলিশের ১৫৩ জন কর্মকর্তা ও সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন।
পরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর এই অসামান্য সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। পরিবর্তিত বিশ্বের ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী সদস্যরা বিচক্ষণতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দেশের জন্য আরও সুনাম বয়ে আনবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সবশেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড না মানায় কেডিএ-এর দৃষ্টি আকর্ষণ খুলনা নাগরিক সমাজের
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা মহানগরীতে বিল্ডিং কোড, যথাযথ বিধিমালা না মেনে যত্রতত্র, যথেচ্ছা ঝুঁকিপূর্ণ ভবন গড়ে ওঠায় উদ্বেগ প্রকাশ এবং কেডিএ-সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন খুলনা নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ। এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশেষ করে শহর এলাকায় ভবন তৈরীর ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট আইন, নীতিমালা, বিল্ডিং কোড রয়েছে। অথচ আশ্চর্যজনকভাবে এসব বিধিবিধান না মানার এক ধরনের প্রতিযোগিতা/প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এ ব্যাপারে দায়িত্বশীর কর্তৃপক্ষের ভূমিকাও অনেকটা প্রশ্নবিদ্ধ। অথচ নিয়ম না মেনে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা ভবনগুলো মনুষ্য বসবাস, পরিবেশ বান্ধব ও পরিকল্পিত নগরায়নের ক্ষেত্রে মারাত্মক হুমকি। উদাহরণ স্বরূপ, সম্প্রতি সোনাডাঙ্গা এম এ বারী সড়কস্থ আলী ক্লাব মোড়ে হাজী তমিজউদ্দিন সড়ক দারুল আমান মহল্লায় নির্মাণাধীন এক বহুতল বিশিষ্ট ভবন গড়ে উঠছে। যেখানে কোনো বিধিমালা বা বিল্ডিং কোড বিন্দুমাত্র মানা হচ্ছে না। ফলে আকস্মিকভাবে দুর্ঘটনা ঘটে এবং এ দুর্ঘটনায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় পার্শ্ববর্তী দোকান ও বাড়ির। এমনকি মৃত্যু ঘটারও সমূহ সম্ভাবনা ছিল। জানমাল নিরাপত্তার স্বার্থে এবং বসবাস উপযোগী নগর গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ ব্যাপারে কেসিসি, কেডিএ-সহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিবৃতি প্রদান করেছেন খুলনা নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতারা হলেনÑসংগঠনের পক্ষে আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অ্যাডঃ আ ফ ম মহসীন, সংগঠনের সদস্য ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির খুলনা মহানগর সভাপতি শেখ মফিদুল ইসলাম, সংগঠনের সদস্য সচিব অ্যাডঃ মোঃ বাবুল হাওলাদার, সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক বাংলাদেশে পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)-এর খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল, সদস্য যথাক্রমে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’র মহানগর আহ্বায়ক এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, উন্নয়ন সংগঠক বাকের আহমেদ, আইন ও অধিকার বাস্তবায়ন ফোরামের খুলনা বিভাগীয় সভাপতি এস এম দেলোয়ার হোসেন, অ্যাড. নিত্যানন্দ ঢালী, আফজাল হোসেন রাজু, খ ম শাহীন হোসেন, মোঃ নাজমুল হোসেন, কাজীর রাসেল, রুহুল আমিন তালুকদার প্রমুখ।
প্রয়োজনীয় ওষুধ মেলেনা মণিরামপুর হাসপাতালে
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি ॥
যশোরের মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে আগত রোগীরা প্রয়োজনীয় সব ওষুধ পাচ্ছেন না। দূরদূরান্ত থেকে সেবা নিতে এসে রোগীদের ফিরতে হচ্ছে ওষুধ বাদে। রোগীরা ডাক্তার দেখিয়ে স্লিপ নিয়ে ফার্মেসীতে গেলে ওষুধ নেই বলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালের ভর্তি ও বহির্বিভাগে মিলছে না প্রয়োজনীয় সব ওষুধ। ফলে ভোগান্তি তে পড়তে হচ্ছে দুস্থ অসচ্ছল রোগীদের।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, করোনায় চাহিদার তুলনায় কম সরবরাহ পাওয়ায় অধিক চাহিদাপূর্ণ কিছু ওষুধের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, এমনটি দাবি কর্তৃপক্ষের।
বৃহস্পতিবার (২৭মে) উপজেলার কোদলাপাড়া এলাকা থেকে গ্যাসের সমস্যা নিয়ে মণিরামপুর হাসপাতালে আসেন আয়েশা বেগম ও রুনা খাতুন। চিকিৎসক তাদের দেখে ব্যবস্থাপত্র দেন। গ্যাসের ওষুধসহ কিছু ওষুধ হাসপাতাল থেকে নেওয়ার জন্য স্লিপ দেন ডাক্তার। সেই স্লিপ নিয়ে হাসপাতালের ফার্মেসীতে গেলে গ্যাসের ওষুধ নেই বলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রুনা খাতুন বলেন, ডাক্তার ১০টা গ্যাসের ক্যাপসুল লিখেছেন। হাসপাতাল থেকে একটাও দেয়নি। বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে। মণিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে গত ৩-৪ দিন চিকিৎসা নিচ্ছেন রঘুনাথপুর গ্রামের সোনিয়া খাতুন। ভর্তির পর থেকে গ্যাসের ইনজেকশন পাননি তিনি। গত বুধবার (২৬মে) সকালে চার বছরের ছেলে সিয়ামকে ডায়রিয়া জনিত কারণে এই হাসপাতালে ভর্তি করেছেন মা লিমা খাতুন। একদিনের ব্যবধানে তাকে ছেলের জন্য ৫০০ টাকার ওষুধ কিনতে হয়েছে। রোগীদের অভিযোগ, টাকা পয়সা খরচ করে হাসপাতালে আসি। ছয়টার বেশি গ্যাসের বড়ি পাইনা। আর দুপুর ১২টার পর হাসপাতালে আসলে বলে, গ্যাসের বড়ি নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মণিরামপুর হাসপাতালের বহির্বিভাগে ডায়াবেটিস রোগীরা চারমাস ধরে কোন ওষুধ পাচ্ছেন না।
মণিরামপুর হাসপাতালের চিকিৎসক আসাদুজ্জামান বলেন, আমি গত দেড় বছর ধরে এনসিডি কর্ণারে রোগী দেখছি। এখানে নিয়মিত ৬০-৭০ জন ডায়াবেটিসের রোগী আসতেন। রোগীরা ৪-৫ রকমের ওষুধ বিনামূল্য পেতেন। গত চারমাস ধরে ডায়াবেটিসের কোন ওষুধ নেই। এই পর্যন্ত তিন-চারবার ওষুধ চেয়ে চিঠি করা হয়েছে। সরবরাহ আসছে না। এখন ডায়াবেটিসের রোগী কম আসছেন। ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত মণিরামপুর উপজেলা। এখানে সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষের জন্য রয়েছে একটি হাসপাতাল। এছাড়া উপজেলার নেহালপুর ও রাজগঞ্জ বাজারে দুইটি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও সেখানে নিয়মিত চিকিৎসক না থাকায় রোগীরা সেবা পাননা বলে অভিযোগ। ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপ বেশি। নিয়মিত এখানে বহির্বিভাগে ৪০০-৪৫০ রোগী চিকিৎসা নিতে আসতেন। প্রয়োজনীয় ওষুধ না পাওয়ায় এখন রোগীর সংখ্যা কমে অর্ধেকে দাঁড়িয়েছে। সরেজমিন জানা গেছে, মণিরামপুর হাসপাতালের বহির্বিভাগে গত ১৫দিন ধরে গ্যাসের ক্যাপসুল, একমাস ধরে এন্টাসিড ও ক্যালসিয়াম বড়ি সরবরাহ নেই। এরআগে প্যারাসিটামল ছিল না বেশ কয়েকদিন। ভর্তি বিভাগে গ্যাসের ইনজেকশন নেই একমাসেরও বেশি সময়। মেলেনা ডায়রিয়ার সব ওষুধ। হাসপাতালের ভর্তি বিভাগে নারী ও শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ বন্ধনা নন্দী বলেন, গ্যাসের ইনজেকশনের চাহিদা বেশি থাকায় দ্রুত সরবরাহ শেষ হয়ে গেছে। একমাস ধরে গ্যাসের ইনজেকশন নেই। আর ডায়রিয়ার রোগীদের সব ওষুধ হাসপাতালে আছে। অনেক সময় রোগীর অবস্থা বুঝে ডাক্তার কিছু বাইরের ওষুধ লেখেন।
মণিরামপুর হাসপাতালের ষ্টোরকিপার মহিতোষ কুমার বলেন, ডায়াবেটিসের ওষুধ ঢাকা থেকে আসে। তিন-চার পদের ওষুধ আসে এই রোগীদের জন্য। গতবার তিন লাখ চাহিদা পাঠানো হয়েছিন;পাইছি মাত্র ৫০ হাজার। কিছু ওষুধ হাতে রেখে পাঁচমাস আগে আবারও চাহিদা পাঠানো হয়েছে; খবর নেই। মহিতোষ বলেন, ডায়াবেটিসের বাদে বাকি ওষুধ বগুড়া থেকে আসে। তিন-চার মাস পরপর ওষুধ পাই। গ্যাসের ক্যাপসুলের চাহিদা ছিল তিন লাখ; পাইছি ৩০ হাজার। আবার তিন লাখ চাহিদা পাঠানো হয়েছে। ক্যালসিয়াম বড়ি ৯০ হাজার পাইছি; তিনমাসে শেষ হয়ে গেছে। এন্টাসিড এক-দেড় লাখ পাইছি। তা একমাস আগে শেষ হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী কম ওষুধ পাওয়ায় রোগীদের হিসাব করে দিতে হয়। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা: অনুপ বসু বলেন, মণিরামপুর উপজেলার আয়তন বড় হওয়ায় এই হাসপাতালে রোগীর চাপ সবসময় বেশি। হাসপাতালে সর্বমোট ২০-২২ পদের ওষুধ আসে। আমরা যা ওষুধ চাই সরবরাহ পাই অনেক কম। উপজেলায় ৪৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক আছে। সেখানে পর্যাপ্ত ওষুধ আসে। রোগীরা সাধারণ রোগে হাসপাতালে না এসে সেখানে গেলে প্রয়োজনীয় ওষুধ পাবেন।
মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা শুভ্রারানী দেবনাথ বলেন, করোনার কারণে ওষুধ কম এসেছে। সেই কারণে গ্যাসের ওষুধসহ কয়েক প্রকারের ওষুধের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। নতুন চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ওষুধ চলে আসবে।
রম্য লেখক অধ্যাপক অচিন্ত্য কুমার ভৌমিকের মৃত্যু: শোক
খবর বিজ্ঞপ্তি
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, কথা সাহিত্যিক, রম্য লেখক ও বাংলাদেশ গণশিল্পী সংস্থার কেন্দ্রীয় অন্যতম উপদেষ্টা অধ্যাপক অচিন্ত্য কুমার ভৌমিক (৭৮) গত ২৮ মে শুক্রবার রাত ১১:২০টায় খুলনার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চিরনিদ্রায় নিদ্রিত হন। অধ্যাপক অচিন্ত্য কুমার ভৌমিক আজীবন শিক্ষকতা আর শিল্প সাহিত্যের মধ্যে নিজেকে সমর্পিত রেখেছিলেন। তিনি ছিলেন সাদাসিদা প্রকৃতির আটপৌরে একান্ত বাঙালিয়ানায় সিদ্ধ একজন সাহিত্যপ্রেমী মানুষ। লোভ-বিলাসিতা-কৃত্রিমতা কখনও তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। জীবনভর প্রচুর লিখেছেন, একাধারে গীতিকার, সুরকার, নাট্যকার, ছোট গল্প লেখক এমনই শিল্প-সাহিত্যের সকল ক্ষেত্রে ছিল তাঁর অবাধ বিচরণ। রম্য রচনায় তিনি ছিলেন সিদ্ধ হস্ত। বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্র থেকে প্রচারিত দুই বাংলার ¯্রােতাদের কাছে সমাদৃত তাঁর রচনা রম্য নাটিকা ‘আয়না’ কথা সবাই জানেন। আধুনিক গান, গণসংগীত, দেশাত্মবোধক গান এবং নানা ধরনের লেখালেখির মধ্যে তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর এই অন্তর্ধানে সমাজের যে সংকট সৃষ্টি হলো তা পূরণ হবার নয়। আজীবন তিনি সমাজের নিচুতলার শ্রমজীবী মানুষের কথা, সাধারণ নি¤œবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের কথা ভেবেছেন, যার বহিঃপ্রকাশ তাঁর নাটক, ছোট গল্প ও গণসংগীতে দৃশ্যমান। কলেজ জীবন থেকে তিনি প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতির সংস্পর্শে ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি একটি বাম রাজনৈতিক দলের সাথেও যুক্ত ছিলেন। বিশেষ করে গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়ায় তাঁর জন্ম হলেও দীর্ঘদিন থেকেই খুলনার ফুলতলার দামোদর গ্রামে থাকতে শুরু করেন। পরবর্তী সেখানে ঘরসংসার করে বসতবাটী গড়ে তোলেন এবং অত্র এলাকায় বাম রাজনীতির নেতৃবৃন্দের সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে। বিশেষ করে কৃষকনেতা প্রয়াত কমরেড কামরুজ্জামান লিচু এবং কিংবদন্তী শ্রমিকনেতা প্রয়াত কমরেড হাফিজুর রহমান ভূইয়ার সাথে তাঁর নিবিড় সখ্যতা হয়। সে কারণে মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তনও লক্ষণীয়, যা তাঁর শিল্প-সাহিত্য চর্চাকেও প্রভাবিত করে। তিনি কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, সরকারি বিএল কলেজের স্বনামধন্য সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক প্রয়াত অধ্যাপক মুক্তি মজুমদার ও প্রফেসর মুহম্মদ কায়কোবাদ-এর অত্যন্ত প্রিয়ভাজন ছিলেন। আজ দুপুর ১টায় ফুলতলা কেন্দ্রীয় শ্মশানঘাটে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এখানে উপস্থিত ছিলেনÑবাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি খুলনা জেলা সভাপতি কমরেড এড. মিনা মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কমরেড আনসার আলী মোল্লা, উপজেলা জেলা চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন, অধ্যাপক সুশান্ত সরকার, অধ্যাপক মোস্তানিসুর রহমান নিলু, অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু, উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা প্রভাষক রেজওয়ান রাজা, প্রভাষক গৌতম কুমার কু-ু, প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলমসহ এলাকার বিশিষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ। শেষকৃত্যের পূর্বে প্রয়াতের মরদেহে পুষ্পস্তবক প্রদান করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বাংলাদেশ গণশিল্পী সংস্থা, শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সংগঠন।
অপরদিকে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, কথা সাহিত্যিক, রম্য লেখক ও বাংলাদেশ গণশিল্পী সংস্থার কেন্দ্রীয় অন্যতম উপদেষ্টা অধ্যাপক অচিন্ত্য কুমার ভৌমিকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমাবেদনা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেনÑওয়ার্কার্স পার্টি খুলনা জেলা সভাপতি কমরেড এড. মিনা মিজানুর রহমান, মহানগর সভাপতি কমরেড শেখ মফিদুল ইসলাম, জেলা সাধারণ সম্পাদক কমরেড আনসার আলী মোল্লা, মহানগর সাধারণ সম্পাদক কমরেড এস এম ফারুখ-উল ইসলাম, জেলা ও মহানগর সম্পাদকম-লীর সদস্য কমরেড দেলোয়ার উদ্দিন দিলু, কমরেড গৌরাঙ্গ প্রসাদ রায়, কমরেড শেখ মিজানুর রহমান, কমরেড মনির আহমেদ, কমরেড খলিলুর রহমান, কমরেড আব্দুস সাত্তার মোল্লা, কমরেড নারায়ণ সাহা, কমরেড আমিরুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য শেখ সাহিদুর রহমান, কমরেড মনিরুজ্জামান, কমরেড সন্দীপন রায়, কমরেড রেজাউল করিম খোকন, কমরেড আঃ হামিদ মোড়ল, কমরেড কৌশিক দে বাপী, কমরেড মোঃ আলাউদ্দিন, কমরেড মনির হোসেন, কমরেড বাবুল আখতার, কমরেড আরিফুর রহমান বিপ্লব, কমরেড অজয় দে, কমরেড এড. কামরুল হোসেন জোয়ার্দ্দার, কমরেড হাফিজুর রহমান, কমরেড গৌরী ম-ল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বেড়িবাঁধের দাবি করায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরা উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা সেই তরুণ জলবায়ুকর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও পাউবো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। জানা গেছে, শনিবার (২৯ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলার ঝাঁপা এলাকায় স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙন কবলিত বেড়িবাঁধ সংস্কার করার সময় শত শত মানুষের সামনে তাদের মারধর করা হয়।
শুক্রবার (২৮ মে) সকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের পাতাখালীতে ভাঙনকবলিত বেড়িবাঁধের উপর কাফনের কাপড় পরে জলবায়ুকর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি পালনের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এরপর রাতে জলবায়ু কর্মীদের ফোন করে পদ্মপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান ও পাউবোর সেকশন (এসও) অফিসার আলমগীর হোসেন হুমকি দেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপকূলের লাখ লাখ জনগোষ্ঠীকে রক্ষার জন্য কাফনের কাপড় পরে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে এই কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয়রা। ম্যানগ্রোভ স্টুডেন্ট সোসাইটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই অবস্থান কর্মসূচিতে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় জনপদের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষার্থীসহ কয়েকশ’ সাধারণ মানুষ অংশ নেন। এই খবর গণমাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রচারিত হয়।
এরপর শনিবার সকাল থেকে স্থানীয় গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভাঙন কবলিত ঝাঁপা অংশের উপকূল রক্ষা বাঁধের সংস্কার কাজ শুরু করেন। এ সময় কাজে নিয়োজিত গ্রামবাসীদের উৎসাহিত করতে স্বেচ্ছাসেবী ওই সংগঠনের কয়েকজন কর্মী একটি অনলাইন পোর্টালে লাইভ টেলিকাস্ট করতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট বাঁধের দায়িত্বে থাকা পাউবোর এসও আলমগীর হোসেন দ্রুত সেখানে উপস্থিত হয়ে জলবায়ুকর্মী ও গণমাধ্যমকর্মী শাহিন বিল্লাহসহ তার সহকর্মীদের লাইভ টেলিকাস্ট বন্ধ করতে বলেন। তিনি শাহিনের হাত চেপে ধরেন। এ সময় শাহিনকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান শত শত গ্রামবাসীর সামনে মারতে শুরু করেন। তাৎক্ষণিক গ্রামবাসী এগিয়ে এসে শাহিনসহ তার সহকর্মীদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে শাহিন বিল্লাহ বলেন, ‘চেয়ারম্যান সবার সামনে আমাকে থাপ্পড় মেরেছেন। হুমকি দিয়েছেন। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হাবিবুল্লাহ গাজী ও মুজিবর রহমান জানান, বাঁধের দাবিতে কর্মসূচি পালন করায় চেয়ারম্যান সবার সামনে শাহিনকে মেরেছেন। শাহিনকে মেরে পরবর্তীতে উপকূল নিয়ে কোনও কর্মসূচি পালন করলে দেখে নেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন।
আজগর আলী ও সোহরাব হোসেন নামে স্থানীয় দুই শ্রমিক বলেন, ‘সকাল থেকে আমরা প্রায় তিন হাজার গ্রামবাসী বাঁধ মেরামত করছিলাম। শাহিন তা ভিডিও করে প্রচারের সময় চেয়ারম্যান লোকজন নিয়ে তাকে মারধর করেন। পরে অন্যরা এগিয়ে এসে তাকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় এসও সাহেব শাহিনকে জেলে ভরতে চান।’
এ প্রসঙ্গে পাউবোর সেকশন অফিসার আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমার সঙ্গে শাহিনের কোনও সমস্যা হয়নি। তবে ভাতিজা হওয়ায় চেয়ারম্যান শাহিন বিল্লাহর সঙ্গে কিছুটা খারাপ আচরণ করেছেন।’
মারধরের বিষয়ে জানার জন্য পদ্মপুকুরের ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের মোবাইল ফোনে বার বার কল দেওয়া হলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এ সময় তার ফোনে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, তরুণ জলবায়ু কর্মীদের মারধরের ঘটনায় সাতক্ষীরা জেলা জুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ফেসবুকে নিন্দার ঝড় বইছে।
দেহ ব্যবসায় বাধ্য করতেই তরুণীদের ভারতে পাচার
খুলনাঞ্চল রিপোর্ট
ভাইরাল ভিডিওর ঘটনায় এদের ছবি প্রকাশ করে আসাম পুলিশ। ছবি তাদের ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া।
ভারতে এক বাংলাদেশি তরুণীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরালের ঘটনা তদন্তে নেমে আন্তর্জাতিক নারীপাচার চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। ভারতে এ চক্রটির মূল আস্তানা ব্যাঙ্গালুরুর আনন্দপুর এলাকায়। মূলত দেহ ব্যবসায় বাধ্য করতেই বিভিন্ন বয়সী তরুণীদের ভারতে পাচার করা হয়। তারা সেখানকার স্থানীয় কিছু হোটেলের সাথে চুক্তিতে টাকার বিনিময়ে নারী সরবরাহ করে। শনিবার (২৯ মে) ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘পাচার হওয়া তরুণীদের দেহ ব্যবসায় বাধ্য করতে তাদের নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে বিবস্ত্র করে ছবি-ভিডিও করা হয় কিংবা নির্যাতন করা হয়। তাদের কথামতো অনৈতিক কাজ করতে রাজি না হলে সেসব ছবি-ভিডিও অনলাইনে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। তাদের হাতে রাখতে এবং বাধ্যতামূলকভাবে অনৈতিক কাজ করতে এটা ব্ল্যাকমেইলিংয়ের কৌশল।’
ডিসি শহিদুল্লাহ বলেন, ‘ভিডিও ভাইরালের পর ভারতেও বিষয়টি আলোচিত হয়। পরে ভারতীয় পুলিশ দ্রুত তাদের গ্রেফতার করে। ভুক্তভোগী তরুণীকে উদ্ধারসহ মূল অভিযুক্ত টিকটক হৃদয় এবং আরও চারজনকে গ্রেফতারের তথ্য পাওয়া গেছে। যারা প্রত্যেকেই অবৈধভাবে ভারতে গেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের কাছে ভিসা-পাসপোর্ট কিছুই ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, ‘টিকটকের একটি গ্রুপের অ্যাডমিনের তত্ত্বাবধানে গত বছরের শেষ দিকে ঢাকার পাশের একটি জেলায় পুলপার্টির আয়োজন করা হয়। ওই পার্টিতে প্রায় ৭০০-৮০০ তরুণ-তরুণী অংশ নেন। এই গ্রুপ থেকেই নারীদের টার্গেট করে বিভিন্ন মার্কেট, সুপারশপ, বিউটি পার্লারে ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভনে পাচার করা হয়।’
ভারতের ওই তরুণীকে নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে এ চক্রের মাধ্যমে আরও অনেক তরুণী পাচারের তথ্য পাওয়া গেছে। এর সঠিক সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পাচার হওয়া তরুণীর সংখ্যা নেহায়েত কম নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এমন আরও গ্রুপ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়গুলো ধারাবাহিকভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা গেছে, ভারতে বাংলাদেশি ওই তরুণীকে যৌন নির্যাতন ও ভিডিও ধারণ করে অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৭ মে) হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা করেন মেয়ের বাবা। প্রায় এক বছর ধরে নিখোঁজ থাকা মেয়েকে ভিডিও দেখে শনাক্ত করে মামলা করেন তিনি।
এর আগে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগ জানায়, সম্প্রতি কিশোরগঞ্জের এক তরুণীকে ভারতের কেরালা রাজ্যে যৌন নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় ঢাকা হাতিরঝিলের রিফাদুল ইসলাম হৃদয় (২৬) নামে এক যুবকে শনাক্ত করে পুলিশ।
সাতক্ষীরায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, যেকোনো মুহূর্তে লকডাউন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
ঈদের পর থেকে সাতক্ষীরায় আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার। জেলায় গত এক সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ রোগীর গড় হার ৩৯ শতাংশ। রোগীর বাড়তি চাপ ও হাসপাতালে করোনা বেড না থাকায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন করে রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না জানা গেছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৪ জন করানোয় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের করোনা বিষয়ক তথ্য কর্মকর্তা ডা. জয়ন্ত কুমার ঘোষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভারতফেরত বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রায় ১০০ জনের মতো পাসপোর্টযাত্রীকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে করোনার নমুনা সংগ্রহকারীদের মধ্যে মোট ৩০ ভাগ মানুষ করানোয় আক্রান্ত। গত সপ্তাহে এ আক্রান্তের হার ছিল ৪০ ভাগ। আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় ধরন আছে কি-না তা রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।
এ সপ্তাহে আক্রান্তের হার একটু কম হলেও অবস্থা দৃষ্টে আগামীতে বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কুদরত-ই-খোদা জানান, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনার রোগীর জন্য ১০০ শয্যা আছে। গত সপ্তাহে ১০০ জনের বেশি রোগী ছিল। বর্তমানে ৪৯ জন রোগী ভর্তি আছে। বাকিরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আটটি আইসিইউ বেডের মধ্যে চারটিতে করোনা পজিটিভ রোগী ভর্তি আছে।
ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি ব্যবসায়িক সংগঠনের সভাপতি আরাফাত হোসেন জানান, ভারত থেকে মালামাল নিয়ে কাজে ট্রাক চালক, হেলপার, খালাসি আসছে। তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হচ্ছে। ১৩৮ কিলোমিটার সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন অবৈধ পথে কমবেশি বাংলাদেশে আসা যাওয়া করছে। সাতক্ষীরাকে নিরাপদ রাখতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়েত বলেন, ‘সাতক্ষীরায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ভারতীয় ধরন পাওয়া যায়নি। ভারতফেরত কয়েকজন পজিটিভ রোগীদের থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট পেলে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
লকডাউনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রোববার (৩০ মে) জেলা করোনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে সার্বিক বিষয় তুলে ধরা হবে। লকডাউনের বিষয়ে জেলা প্রশাসক সিদ্ধান্ত জানাবেন।’
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সংক্রমণের হার উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে। গত এক সপ্তাহের গড় হিসেবে জেলায় সংক্রামণের হার ২৯%। রোববার এ সংক্রান্ত বিষয়ে জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে। এখনই লকডাউন ঘোষণার করা কঠিন সঠিক হবে কিনা সে বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে নির্দেশনা পেলে জেলাব্যাপী লকডাউন কার্যকর করা হতে পারে।’
পরিকল্পনাবিদ মোঃ মঈনুল ইসলামের সাথে মতবিনিময় করেন উদীয়মান যুব সমাজের নেতৃবৃন্দ
খবর বিজ্ঞপ্তি
স্বেচ্ছাসেবামূলক সংগঠন উদীয়মান যুব সমাজের নেতৃবৃন্দের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন পরিকল্পনাবিদ মোঃ মঈনুল ইসলাম। ২৯ মে ২০২১ইং শনিবার বিকাল ৫ টার সময় খালিশপুরে উদীয়মান যুব সমাজের সভাপতি মোঃ রবিউল গাজী উজ্জল এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকরামুল ইসলামের পরিচালনায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উদীয়মান যুব সমাজের বিভিন্ন সেবা ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বিষয়ে আলোচনা করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নগর পরিকল্পনাবিদ মোঃ মঈনুল ইসলাম। এসময় তিনি সংগঠনের তরুণ ও যুবকদের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও এলাকার সুন্দর্যবর্ধনের বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি শুকুর গাজী, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক আশিক খান রাজা, সিনিয়র কার্যকরী সদস্য আরিফ আলম, কোষাধাক্ষ রনি গাজী, প্রচার সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম সাগর, সহ-দপ্তর সম্পাদক রায়হান গাজী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুলাহ্ আল জুনায়েদ, কার্যকরী সদস্য রায়হান নিশাত, সদস্য হামযা আলম, মোঃ নাহিন গাজী উৎস প্রমুখ।
মুজিব শতবর্ষে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা পেল প্রধানমন্ত্রীর উপহার
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মণিরামপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ২০ পরিবারের মাঝে ঘর বিতরণ করা হয়েছে। একই সাথে ১৭৬ জন নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীর মাঝে চার লাখ টাকা শিক্ষাবৃত্তি ও ১০ ছাত্রীর মাঝে সাইকেল বিতরণ করা হয়েছে।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য শনিবার (২৯মে) দুপুর ১২টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই ঘর, টাকা ও সাইকেল বিতরণ করেন।
পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান, উপজেলা নির্বাহ কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) পলাশ দেবনাথ, থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মণিরামপুর এসিল্যান্ড অফিসের অফিস সহকারী ফাহিম আল মোমিন বলেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে উপজেলার ঢাকুরিয়া, মশ্মিমনগর, শ্যামকুড়, দূর্বাডাঙা, কুলটিয়া, মনোহরপুর ও পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ২০ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে ঘর দেওয়া হয়েছে। প্রতিঘরে ব্যয় হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বরাদ্দ আসা চার লাখ টাকা ১৭৬ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। যারমধ্যে প্রাথমিক স্তরের ৯১ জন এক হাজার ২০০ টাকা, মাধ্যমিক স্তরের ৬৫ জন তিন হাজার টাকা ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ২০ জন চার হাজার ৮০০ টাকা করে পেয়েছেন। একইসাথে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে নৃ-গোষ্ঠী ১০ ছাত্রীর হাতে সাইকেল তুলে দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
নগরীর সুপেয় পানির সংকট সমাধানের দাবী যুব ইউনিয়ন
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা ওয়াসা কর্তৃক খুলনা মহানগরীর পানির সংকট সমাধানের দাবীতে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন খুলনা মহানগর কমিটির উদ্যোগে এক সভা শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় সংগঠন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের মহানগর সভাপতি আফজাল হোসেন রাজুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক ও যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মোঃ বাবুল হাওলাদার। মহানগর সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রিয়াসাত আলী রিয়াজের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনÑশাহ ওয়াহিদুজ্জামান জাহাঙ্গীর, প্লাবন পাল বাঁধন, রামপ্রসাদ রায়, উজ্জ্বল বিশ্বাস, হরষিৎ ম-ল, ডাঃ গৌরাঙ্গ সমাদ্দার, মোঃ ফেরদৌস সানা প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ বলেন, ওয়াসা একদিকে সেবার নামে উচ্চহারে পানির বিল নিচ্ছে, সরবরাহের ক্ষেত্রে কখনও কখনও দিনের পর দিন পানি পাওয়া যায় না। মাঝে মাঝে যা পাওয়া যায় তা লবণাক্ত, ময়লা, দুর্গন্ধযুক্ত। ব্যবহারের একেবারেই অনুপযোগী। নেতৃবৃন্দ এ সমস্যার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপের আহ্বান জানান।
শিরোমনি বাজার সংস্কার ও উন্নয়নের লক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ফুলবাড়ীগেট, (খুলনা) প্রতিনিধি
শিরোমনি বাজার সংস্কার , বাজারের ব্যাবসায়ি, ক্রেতাদের বিভিন্ন সমস্যা নির্নয় ও সেসকল সমস্য নিরসনের লক্ষে শনিবার বিকাল ৫ টায় আটরা গিলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের অডিটরিয়মে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় । ফুলতলা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও শেখ জাকির হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন খানজাহান আলী থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সম রেজওয়ান , ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মনিরুল ইসলাম খানজাহান আলী থানা পুলিশিং কমিটির সাধারন সম্পাদক মোড়ল আনিছুর রহমান, ইউপি সদস্য মোল্লা সোহরাব হোসেন , শেখ আঃ সালাম , কাজী আজাদুর রহমান হিরোক, শেখ ইবাদাত হোসেন, মোল্লা কওসার আলী, এ সময় উপস্থিত ছিলেন মোঃ মইনুর, শেখ বিপ্লব হোসেন, শামসু, জসিম, মিন্টু, আলামিন, সানি, তারিক, শহিদ, মান্দার, ফারুক প্রমুখ ।
সুপেয় নিরাপদ পানি নিশ্চিতকল্পে রূপসায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এর স্থান নির্ধারণ ও লে-আউট সম্পন্ন
খবর বিজ্ঞপ্তি
সুপেয় নিরাপদ পানি নিশ্চিতকল্পে রূপসায় স্থাপিত হচ্ছে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট। ২৯ মে শনিবার বেলা ১১টায় উপজেলার ২নং শ্রীফলতলা ইউনিয়ন পরিষদে স্থান নির্ধারণ ও লে-আউট করা হয়েছে। খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদীর ব্যবস্থাপনা ও সার্বিক দিক নির্দেশনায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্রকল্পের আওতায় এ কাজ বস্তবায়িত হচ্ছে। এতে ব্যয় হবে ৪২ লাখ টাকা। নির্মাণ কাজ শেষ হলে দুটি ট্যাংকির মাধ্যমে প্রতি ঘন্টায় তিন হাজার লিটার সুপেয় নিরাপদ পানি ফিল্টার করা হবে। যা এলাকাবাসী পান করতে পারবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রীফলতলা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ ইসহাক সরদার। প্যানেল চেয়ারম্যান সরদার কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তৃতা করেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা আফরোজ মনা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম হাবীব, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম বিশ^াস, রূপসা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম মাহবুবুর রহমান, সাবেক সভাপতি তরুন চক্রবর্তী বিষ্ণু, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আ: জব্বার শিবলী, সাংবাদিক বেনজির হোসেন, ফ.ম. আইউব আলী, প্রকল্পের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো: রাসেল, মহিলা নেত্রী হীরা বেগম প্রমুখ।
সুপেয় নিরাপদ পানি নিশ্চিতকল্পে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী বলেন- নিরাপদ পানি ও উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গ্রাম বাংলার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। “গ্রাম হবে শহর” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আমি আমার নির্বাচনী এলাকার গণমানুষের উন্নয়নে সকল প্রকার উন্নয়ন কর্মকান্ডে আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সকল কর্মযজ্ঞে সামিল থাকবো। তিনি আরও বলেন গ্রাম বাংলায় পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছরে অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন হতো। যে কারণে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ণের লক্ষ্যে খুলনা-৪ আসনের বিভিন্ন এলাকায় সুপেয় পানি ও নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থার লক্ষ্যে নানামুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হচ্ছে।
শুধু রূপসায় নয় একই ক্ষমতা সম্পন্ন আরো একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তেরখাদায় স্থাপন করা হচ্ছে।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে ২৫ শত গভীর নলকূপ স্থাপন, রূপসা কলেজের পাইপ লাইনের মাধ্যমে সুপেয় পানি সরবরাহকরণ, ৩০ টি কমিউনিটি ল্যাট্রিন, ৪ টি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন ও ২০০ শতাধিক পুকুর পূনঃখননের মাধ্যমে নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঝিনাইদহে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রে জমিদখল, চাঁদা দাবিসহ হত্যার হুমকী
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ফুরসন্দি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসারপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ হাফিজুর রহমান এর পরিবারকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে একটি কুচক্রী মহল। এর ধারাবাহিকতায় ওই মহলটি মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমানের জমি-জামা দখল করে নিয়েছে, কেটে নিয়েছে হয়েছে জমির গাছ, দাবি করা হয়েছে বড় অংকের চাঁদা না দিলে হত্যার হুমকী। অভিযোগ এর ভিক্তিতে শুক্রবার সরে জমিনে গিয়ে এমন তথ্য মিলেছে ।
মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান (৮০) জানান দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ অবস্থায় তার স্ত্রীকে নিয়ে ফুরসন্দি গ্রামে নিজ বাড়িতে একটি মাটির ঘরে একাকি বসবাস করছে। তার তিন কন্যা বিয়ের পর সবাই স্বামী-সংসার করছে ও একমাত্র পুত্র সন্তান ঢাকায় চাকুরীরত। তিনি অভিযোগ করেন তিনি অসুস্থ হওয়ার কারনে বাড়িতে তার স্ত্রীকে নিয়ে থাকার সুযোগে একই গ্রামের প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থাকা দুর্বৃত্তর তার পিতার নামিয় ২৫৮ নং ফুরসন্দি মৌজার ৩৬৩ নং দাগের উপর অবস্থিত প্রায় ৭০ হাজার টাকা মুল্যের একটি গাছ কেটে নেয়। তিনি আরো জানান তাদের মিয়া বংশের পক্ষ থেকে একই মৌজার ৩৬৪ নং দাগের ২৪ শতাংশ জমি গ্রামের ঈদগাঁর নামে দান করেছে। কিন্তু ওই মহলটি ঈদগাঁর অধিকাংশ জায়গা জোর দখল করে নিয়েছে।
তিনি আরো অভিযোগ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্য হয়েও তার তিনি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন । একই গ্রামের মৃত বাবর আলীর পুত্র ভুমি দস্যু মধু, মোহন ও অর্শ্বিনী কুমারের পুত্র উৎপল গং তার বসতবাড়ি জোর করে নামে মাত্র মুল্যে ক্রয় করার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। তাতে রাজি না হওয়ায় তারা তার কাছে ৫ লক্ষ চাঁদা দাবী করে মধু গং। তিনি দাবিকৃত চাঁদা পরিশোধ করতে না পারায় গত ৬ এপ্রিল দুপুরে মধু,মোহন ও উৎপল লাঠি-শোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে চড়াও হয় । এ সময় তারা তাকে এবং তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম ও কন্যা শাহনাজ পারভীনকে মারধর করে এবং স্ত্রী রোকেয়া বেগম ও কন্যা শাহনাজ পারভীন বিউটির শি¬লতাহানী করে এবং তাদের গলায় থাকা দুইটি সোনার চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এছাড়া চাঁদা না দিলে তাকে খুন করার হুমকী দিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে মুৃক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান ঝিনাইদহ অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল আদালতে গত ১২ মে তিন জনকে আসামী করে ৪৪৭/৩২৩/৩৫৪/৩৭৯/৩৮৫/৫০৬ দঃবিঃ আইনে মামলা দায়ের করে যাহা ১৬-০৫-২০২১ তারিখ আমলে নেওয়া হয়। ১৮ মে পুলিশ আসামীদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। এরপর ২০ মে তাদের সহযোগী হালিম, কামাল কাজি, সোনালী কাজি, জসিম, জায়েদা রেজাউল ও ইবরা একদল লোক তাদের বসতবাড়ী ঘেরাও করে গালি-গালাজ করে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকী প্রদান করে এবং মামলা তুলে নেওয়া না হলে খুন করার হুমকী দেয়। এছাড়া ওউ গং এই ঘটনায় কেউ সাক্ষ্য প্রদান করলে তাদেরকেউ দেখে নেয়ার হুমকী দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়। এরপর থেকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হয়ে তার পরিবার চরম নিরাপত্তা হীনতার মধ্যে দিন যাপন করছে। তিনি বিষয়টি মাননিয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং স্থানিয় প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি আকর্শণ করেন। তবে অভিযুক্তদের মধ্যে কামাল কাজি তাদের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন সবটায় তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মাত্র।
এ বিষয়ে ফুরসন্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ্যাড.আব্দুল মালেক ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন তিনি অনেকবার বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেছেন কিন্তু ওই গং কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
ইন্দুরকানীতে দশম শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষনের শিকার
ইন্দুরকানী(পিরোজপুর)প্রতিনিধিঃ
ইন্দুরকানীতে দশম শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষনের শিকার । বৃহস্পতিবার বিকালে মোড়েলগঞ্জ উপজেলার চরহোগলাবুনিয়া মমিন উদ্দিন স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণি ছাত্রী তার স্কুলের ব্যবহৃত ছবি তুলতে ইন্দুরকানী উপজেলার ঘোষেরহাট বাজারে আসেন। তখন ঐ স্কুল ছাত্রীর সাথে ২ বছর সম্পর্ক থাকা মোড়েলগঞ্জ উপজেলার সন্নাসী এলাকার মোয়াজ্জেম খানের ছেলে তরিকুল ইসলামের সাথে দেখা করেন । এ সময় তরিকুলের খালাতো দুলাভাই দক্ষিন ইন্দুরকানী গ্রামের আঃ রহমান হাওলাদারের ছেলে দুই সন্তান জনক মাসুম হাওলাদার তাদেরকে দেখে তার বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে তরিকুল কে আগে পাঠিয়ে দিয়ে ছাত্রীকে নিজের বাড়ীতে না নিয়ে দক্ষিন ইন্দুরকানীর জব্বার মৃধার ছেলে এনামুল মৃধার বাড়ীতে রেখে ধর্ষন করেন। মেয়ে কৌশলে দুইদিন পরে অন্য একজনের ফোনের সহযোগীতায় তার প্রেমিক তরিকুলকে জানালে তরিকুল হাফিজার স্বজনদের জানান। পরে হাফিজার মামা রফিকুল ইসলাম ইন্দুরকানী থানা পুলিশের সহযোগীতায় শুক্রবার রাতে এনামুলের বাড়ী থেকে হাফিজাকে উদ্ধার করেন ।
স্কুল ছাত্রী নানী জানান, আমার নাতি এতিম । ছোট বেলায় মা মারা গেছে । বাবা অন্যত্র বিবাহ করে চিটাগাং থাকেন । ছবি তুলতে এসে বাড়ীতে না গেলে অনেক খোজাখুজির পরে তরিকুলের মাধ্যমে জানতে পারি আটকিয়ে রাখা হয়েছে । তখন পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করি। ইন্দুরকানী থানার ওসি মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে সত্যতা যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
সাতক্ষীরার দেবহাটায় মসজিদের নাম পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘের্ষে নারী-শিশুসহ আহত ২০
কে এম রেজাউল করিম
সাতক্ষীরার দেহাটায় চররহিমপুর (২৮ শে মে) মসজিদের নাম পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সদর ইউনিয়নের চর রহিমপুর গ্রামের মসজিদটিতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া দুই গ্রামের মুসল্লিদের পাশাপাশি স্থানীয় নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের বেশিরভাগ বর্তমানে সখিপুরস্থ দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং বাকিরা বিভিন্ন গ্রাম্য ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহতরা হলেন, চরশ্রীপুরের শহিদুল ইসলামের ছেলে শাহিন কাদের বাপ্পী (৩০), চর রহিমপুরের শহিদুল সরদারের ছেলে শাহিন সরদার (৩৩), চরশ্রীপুরর মৃত ছফেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে আবুল হাসান (৪৫), ইমাদুল গাজীর ছেলে ইদ্রিস আলী (২৬), মৃত আকিল উদ্দীন গাজীর ছেলে মুনসুর আলী (৫৫), চর রহিমপুরের আব্দুস সবুর সরদারের ছেলে আতাউর (১৪), সাবুর আলী সরদারের ছেলে আশিকুর (৩৫), আব্দুস সবুরের স্ত্রী মহসিনা খাতুন (৩৭), শওকত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৮), মাজেদ সরদারের ছেলে শুকুর আলী (২৬), ছইল উদ্দীন সরদারের ছেলে হোসেন আলী (৩৫), শওকত আলীর ছেলে আহছান হাবীব (২৮), ওয়াহেদ আলী সরদারের ছেলে ফারুক হোসেন (৩৭)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, চর রহিমপুর গ্রামের ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি জামে মসজিদ রয়েছে তাদের। মসজিদটি পূর্ব থেকেই চর রহিমপুর জামে মসজিদ নামে প্রতিষ্ঠিত ছিল। মসজিদটিতে পাশ্ববর্তী গ্রাম চরশ্রীপুরের বাসিন্দারাও নিয়মিত নামাজ আদায় করেন। ফলে দুই গ্রাম থেকে মসজিদটির সভাপতি ও সম্পাদক পদে দুজনকে মনোনীনত করেন মুসল্লীরা। মসজিদের বর্তমান সভাপতি রয়েছেন চরশ্রীপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে আবুল হাসান গাইন এবং সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন চর রহিমপুর গ্রামের তোফাজ্জলের ছেলে রুহুল কুদ্দুস। মসজিদটির নাম কেবলমাত্র চর রহিমপুরের নামে নামকরণ থাকায় দীর্ঘদিন ধরে চরশ্রীপুর গ্রামের মুসল্লিরাও তাদের গ্রামের নামটি মসজিদের নামে সম্পৃক্ত করার দাবী করে আসছিলেন। বিগত কয়েকমাস ধরে এ নিয়ে মসজিদের দুই গ্রামের মুসল্লিদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। মুলত মসজিদের বর্তমান সভাপতি আবুল হাসান গাইন চর শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা হওয়ায় তার নেতৃত্বাধীন ওই গ্রামের মুসল্লিরা তাদের গ্রামের নামটি চর রহিমপুরের আগে দেয়ার জন্য মসজিদ কমিটিকে তাগিদ দিয়ে আসছিল।
সম্প্রতি মসজিদটির উন্নয়ন কাজ শুরু হলে দুই গ্রামের নাম মিলিয়ে ‘চর রহিমপুর, চরশ্রীপুর জামে মসজিদ’ হিসেবে মসজিদের নামকরণ টাইলস খোচিত করা হয়। এতেই বাঁধে মুল গন্ডগোল। নামকরণ টাইলসে কেন আগে চরশ্রীপুর না লিখে চর রহিমপুর লেখা হলো তা নিয়ে ক্ষুদ্ধ হন কমিটির সভাপতি আবুল হাসান গাইনের নেতৃত্বাধীন মুসল্লিরা। ঘূর্নিঝড় ইয়াস’র রাতে মসজিদে লাগানো ওই নামফলকটির আংশিক ভেঙে ফেলা হলে বৃহষ্পতিবার মসজিদটির জমিদাতা হিসেবে চর রহিমপুর গ্রামের মৃত সহিদুল ইসলামের ছেলে ইউনুছ আলী বাদী হয়ে মসজিদের সভাপতি আবুল হাসানসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এতে আরোও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সভাপতি আবুল হাসানের নেতৃত্বাধীন চর শ্রীপুরের মুসল্লি ও চর রহিমপুর গ্রামের মুসল্লিদের মধ্যে। শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে দুই গ্রামের বাসিন্দারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে মারপিট পাল্টা মারপিটে দুই উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ২০ জন গুরুতর আহত হন।
দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের খোঁজখবর নিয়েছে। ঘটনাটি তদন্তাধীন। তদন্ত শেষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।