বর্ষার মৃত্যু নিয়ে রহস্য: প্রকৃত ঘটনা তদন্তের দাবি পরিবারের

4
Spread the love

খাইরুল ইসলাম নিরব, ঝিনাইদহ –

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের কনেজপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে বর্ষা খাতুন (১৮)১০ মাস পূর্বে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় একই উপজেলার সুরাট ইউনিয়নের রতনহাট গ্রামের ইদ্রিসের ছেলে শাকিল হোসেনের সাথে। শাকিল পেশায় একজন স্যানিটারি মিস্ত্রী। বিবাহের পর থেকে বর্ষা খাতুনের পরিবারে যৌতুকের দাবি করে আসছিল শাকিল পরিবার। এরই মাঝে গত শুক্রবার দুপুরে স্বামী শাকিল হোসেনের বসত ঘরে লাশ হয় বর্ষা।

স্থানীয়রা জানান, আমরা স্থানীয়রা ছাড়াও পুলিশ এসে দেখেছেন। যেভাবে রশি বাঁশের সাথে বাঁধা হয়েছে তাতে কোন ব্যক্তি এভাবে থাকলে আত্মহত্যা করতে পারবে না। এছাড়াও রশি বুক সমান নিচে রয়েছে। গলাই রশি দিয়ে আত্মহত্যা করলে এভাবে মারা যাওয়ার কোর প্রশ্নই ওঠে না।

বর্ষার খালু আকুল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমাদের মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। তার মুখে দাগ দেখা গেছে। বর্ষার মৃত্যুর ঘটনায় আমাদের কাউকে জানানো হয়নি। আমরা লোক মাধ্যমে জানতে পেরে এখানে এসেছি। তিনি আরও বলেন, বর্ষা খাতুনের মৃত্যুর পর থানায় দেওয়া অভিযোগে পেটে ব্যাথার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে গলাই কাপড় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি। তাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষিদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

ব্যাপারে সদর থানার এস আই ইয়াছির আরাফাত জানান, ঘটনায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার সকালে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্টে জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।