ভার্চুয়াল আলোচনায় খুলনা প্রেসক্লাব মিলনায়তন থেকে অংশ নেয় নগর ও জেলা বিএনপি
0খবর বিজ্ঞপ্তি
জাতির ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ছিল অবিস্মরণীয়। জিয়াউর রহমানের প্রবর্তিত কালজয়ী দর্শন ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’। তার অবিনাশী আদর্শ এ দেশের মানুষকে উদ্দীপ্ত করে। একইসাথে আমাদের স্বাধীনতা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রকে সুরক্ষা, উৎপাদন ও অগ্রগতি তরান্বিত করে। এ কথা বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার দুপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, জাতির ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ছিল অবিস্মরণীয়। তিনি সকল সঙ্কটে দেশ ও জনগণের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছেন। মহান স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ঘোষণা, স্বাধীনতা যুদ্ধের ময়দানে বীরোচিত ভূমিকা ও একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণে তার অনবদ্য অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষে জাতি বিদেশী শাসন থেকে মুক্তি লাভ করে। কিন্তু নাগরিক স্বাধীনতা ও কাঙ্খিত গণতন্ত্র মাটিচাপা পড়ে। একের পর এক দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা হরণ করা হয়। দেশ একদলীয় শাসনের নিষ্ঠুর কবলে পড়ে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করে মানুষের বাক ও চিন্তার স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয়। এ সময় দেশের সর্বত্র বিভৎস অরাজকতা নেমে আসে। গণতন্ত্র হত্যা ও অরাজকতার অমানিশার দুর্যোগের মুখে দেশের সিপাহী–জনতার মিলিত শক্তির মিছিলে জিয়াউর রহমান জাতীয় রাজনীতির পাদপ্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হন। ফিরিয়ে দেন বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংবাদপত্র ও নাগরিক স্বাধীনতা। মির্জা ফখরুল আরো বলেন, এই মহান জাতীয়তাবাদী নেতার জনপ্রিয়তা দেশী–বিদেশী চক্রান্তকারীরা কখনোই মেনে নিতে পারেনি। এই চক্রান্তকারীরা ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে। এই মর্মান্তিক ঘটনার মধ্য দিয়ে একজন মহান দেশপ্রেমিককে দেশবাসী হারায়। তবে চক্রান্তকারীরা ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ককে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে যতই চেষ্টা করুক না কেন, তিনি বিস্মৃত হননি। বরং দেশের জনগণের হৃদয়ে চিরজাগরুক হয়ে আছেন, থাকবেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, জাতীয় জীবনের চলমান সঙ্কটে শহীদ জিয়ার প্রদর্শিত পথ ও আদর্শ বুকে ধারণ করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। জাতীয় স্বার্থ, বহুমাত্রিক গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার সুরক্ষায় ইস্পাতকঠিন গণঐক্য গড়ে তুলতে হবে। ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাপরক রহমান উপস্থিত ছিলেন। একদলীয় শাসন পুন:প্রতিষ্ঠা করেছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের নির্মমতা চারিদিকে বিদ্যমান। বিরোধী দলের অধিকার, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করে সরকার। এজন্য গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। এখনো তিনি কার্যতঃ বন্দী। অসুস্থ হয়ে তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন। তার মিথ্যা মামলা ও সাজা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানান।
ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় খুলনা থেকে অংশ খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান, এড. ফজলে হালিম লিটন, এড. বজলুর রহমান, এড. এস আর ফারুক, স ম আব্দুর রহমান, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, এড. শরিফুল ইসলাম খোকন, মোল্যা খায়রুল ইসলাম, এস এ রহমান বাবুল, এড. মোমরেজুল ইসলাম, আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মো. মাহবুব কায়সার, আসাদুজ্জামান মুরাদ, ইকবাল হোসেন খোকন, একেএম শহিদুল ইসলাম, শামসুল আলম পিন্টু, এড. গোলাম মওলা, তসলিমা খাতুন ছন্দা, শেখ সাদী, নিজাম উর রহমান লালু, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, মজিবর রহমান ফয়েজ, হাসানুর রশিদ মিরাজ, মিজানুর রহমান মিলটন, শামসুজ্জান চঞ্চল, মশিউর রহমান যাদু, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, এড. মশিউর রহমান নান্নু, কামরান হাসান, শরিফুল ইসলাম বাবু, কামরান ইসলাম সিপার, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, ম শ আলম, শাহনাজ পারভীন, এড. এমদাদুল হক হাসিব, আলমগীর কবির, গোলাম কিবরিয়া আশা, ওয়েজউদ্দিন সান্টু, নাজির উদ্দিন নান্নু, বদরুল আনাম খান, আফসার উদ্দিন মাষ্টার, আকরাম হোসেন খোকন, তারিকুল্লাহ খান, ইশহাক তালুকদার, শেখ হেমায়েত হোসেন, খায়রুল ইসলাম জনি, খন্দকার ফারুক হোসেন, মোল্যা কবির হোসেন, মেজবাহ উদ্দিন মিজু, রবিউল ইসলাম রবি, মহিউদ্দিন টারজান, এনামুল হাসান ডায়মন্ড, আব্দুল জব্বার, মেহেদী হাসান সোহাগ, এইচ এম আসলাম, শাহাবুদ্দিন মন্টু, জিএম মিজানুর রহমান লিটন, শামসুল বারী পান্না, মনিরুজ্জামান লেলিন, তানভিরুল আজম রুম্মান, আবু সাঈদ, জাহিদ কামাল টিটু, তৌহিদুল ইসলাম খোকন, ইমতিয়াজ আলম বাবু, রিয়াজুর রহমান, মাওলানা আব্দুল গফ্ফার, সিরাজুল ইসলাম লিটন, সিদ্দিকুর রহমান, মোহাম্মাদ আলী, সায়মুন ইসলাম রাজ্জাক, কাজী মাহমুদ আলী, কাজী ফজলুুল কবির টিটো, ইকবাল হোসেন, জাহিদুর রহমান রিপন, রফিকুল ইসলাম টিটু, মশিউর রহমান খোকন, মঞ্জুরুল আলম সৌরভ, শামীম আশরাফ, নাজমুল হাসান নাসিম, ফারুক হোসেন, হাবিবুর রহমান কাজল, জাকারিয়া লিটন, লিটু পাটোয়ারী, তরিকুল আলম তুষার, শিমিয়া সাহাদাৎ, আবু তালেব, সাকিল আহমেদ, আলমগীর হোসেন, খোদাবক্স কালু, জাবির আলী, এস এম মারুফ আহমেদ, এড. জাহাঙ্গীর আলম, মিসেস মনি, রেহানা ইসলাম, এনামুল হক সজল, হেলাল আহমেদ, ইসমাইল হোসেন খান, খালিদ তানভীর আলম, বাইজিদ হোসেন, ইমরান খান, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
আজকের কর্মসুচি: দ্বিতীয় দিন ৩০মে রবিবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করন, কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারন। সকাল সাড়ে ১০ টায় বিএনপি কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও শহীদ জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠান। আলোচনা সভায় ভার্চুয়াল অংশগ্রহন করবেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এছাড়া বাদ জোহর থেকে বাদ এশা নগরী ও জেলার থানা, ওর্য়াড ও ইউনিয়নে দুঃস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন।