প্রচণ্ড তাপদাহে গত কয়েকদিন ধরে জনজীবন বিপর্যস্ত ও দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। তীব্র গরমে পুড়ছে সারাদেশ। সর্বত্র গরম আর গরম, কোথাও স্বস্তির বাতাস নেই। প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে শ্রমজীবীদের থাকতে হচ্ছে কর্মযুদ্ধে। অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষ।
করোনা সংক্রমণের পাশাপাশি গত এক সপ্তাহের তীব্র গরমে বেড়েছে ডায়রিয়া। পানিশূন্যতাসহ তাপদাহের কারণে অসুস্থ হয়ে অনেকেই ছুটছেন বিভিন্ন হাসপাতালে। করোনা রোগীর চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি আকস্মিক ডায়রিয়া রোগী বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে অনেক হাসপাতালের।
তবে আশার কথা হচ্ছে, দেশের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আগামী তিন দিনে বাড়তে পারে সারাদেশে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
এছাড়া পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত সুষ্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে তা ঘণীভূত হয়েছে। আজ সকালে তা ঘূর্ণীঝড় ‘ইয়াস’ এ পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটির লক্ষ্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কাছাকাছি হলেও বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশে গণপরিবহন সীমিত আকারে খুলে দেয়া হয়েছে, স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে জনজীবন। তবে দেশের সীমান্তবর্তী কিছু এলাকায় করোনার প্রকোপ বেড়েছে। এছাড়া চলমান প্রচণ্ড গরম, গরমের জন্য অসুখ, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কার পাশাপাশি করোনার প্রকোপ চলছেই। সবমিলিয়ে দূর্যোগময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশ। এরকম পরিস্থিতিতে প্রয়োজন সমন্বিত প্রস্তুতি। আমাদের আশাবাদ, সবার প্রচেষ্টায় সব ধরণের দূর্যোগ দ্রুত কেটে যাবে।