০ মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
মোংলায় সরকারী একটি রেকর্ডিয় খাল দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন ঠাকুরানী খালের শেষ প্রান্ত দখল করে রাতারাতি বেশ কয়েকটি দোকান ঘর বসিয়ে দিয়েছেন মোশারফ হোসেন খাঁন নামের প্রভাবশালী এক ব্যক্তি। তবে তিনি বলেন, এটি রেকর্ডিয় খাল নয়, ব্যক্তিগত জমি তার।
এদিকে রেকর্ডিয় খালের উপরে দোকান নির্মাণের অভিযোগে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার রাজবংশী বলেন, সরকারী খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পেয়ে গত শুক্রবার ওই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং একই সাথে কি বুনিয়াদে অবৈধভাবে এই স্থাপনা করা হচ্ছে, সেজন্য দোকান নির্মাণকারী মোশারফকেও তলব করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে সরেজমিনে পৌরসভার ৭ নং কলেজ রোডস্থ মোংলা-মোড়েলগঞ্জ সড়কের পাশে ও সরকারী হাসপাতালের পিছনে গিয়ে দেখা যায়, ওই খালের উপর বেশ কয়েকটি দোকান নির্মাণের কাজ চলছে। স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ নাসির, আলতাব, এমাদুল, মিলন ও ফিরোজ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, যে খালের উপর দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে এটি একটি প্রবাহমান খাল। ছোট বেলায় ওই খালে তারা অনেক মাছ ধরেছেন, গোসলও করেছেন। চলতো নৌকাও। কিন্তু গত দুই বছর ধরে দেখছি খালটির মালিক এখন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী মোশারফ হোসেন খাঁন। রাতারাতি দোকানপাট নির্মাণ করে ভাড়াও তুলছেন তিনি। এ কাজে তাকে কেউ বাঁধা না দেয়ায় তিনি নতুন করে আরও বেশ কয়েকটি দোকানপাট নির্মাণ শুরু করছেন।
মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জীবিতেষ বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, সরকারী ওই খালটি দখল করে রাখায় আমাদের হাসপাতালের পয়ঃনিস্কাশন বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। ড্রেন দিয়ে হাসপাতালের বর্জ না নামায় মারাতœক ক্ষতিও হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে খাল দখলকারী মোশারেফ খাঁনকে ডেকে এ কাজ বন্ধ করাসহ তার বিরুদ্ধে এসিল্যান্ডের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ডাঃ জীবিতেষ। এসিল্যান্ড এ ব্যাপারে ব্যবস্থার নেওয়ার কথা বলেছেন বলেও জানান তিনি।
দখলের বিষয়ে মোশারফ হোসেন খাঁন বলেন, যে খালটির উপরে আমি দোকান নির্মাণ করছি সেটি আমার মালিকানার শেহলাবুনিয়া মৌজার জমি। এ ব্যাপারেই স্যারের (এসিল্যান্ড) কাছে যাচ্ছি, কোন সমস্যা নাই। মালিকানা জমি হলে ওই খালের উপরে কালভার্ট কিভাবে হলো জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, এটা ভাল কথা বলেছেন, তবে ওই কালভার্ট পর্যন্তই সরকারী বাকীটা আমার মালিকানাধীন।