সাংবাদিক নির্যাতন ও হেনস্তায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করতে হবে: বক্তারা

1
Spread the love

০ খবর বিজ্ঞপ্তি

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে নির্যাতন হেনস্তায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন খুলনার পেশাদার সাংবাদিকরা। পাশাপাশি অবিলম্বে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানানো হয়।

বুধবার খুলনা টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এর উদ্যোগে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে সামনে রোজিনা ইসলামের মুক্তি হেনস্তাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি খুলনা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি মোস্তফা জামাল পপলু। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি  মহেন্দ্র নাথ সেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের প্রতিষ্ঠিতা এটিএন বাংলার ব্যুারো প্রধান এস এম হাবিব, বিএমএ খুলনার সভাপতি ডা: বাহারুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড: আফম মহসীন, হুমায়ুন কবির ববি, এ্যাড:মোমিনুল ইসলাম, মফিদুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন দিলু, মিজানুর রহমান বাবু, জনার্দন দত্ত নান্টু, মুনির হোসেন, এস এম সোহরাব হোসেন, শাহ মামুনর রহমান তুহিন, এস এম চন্দন, মাহাবুব আলম খোকন, আইনুল হক, ইকবাল হোসেন বিপ্লব, কোষাধ্যক্ষ বিমল সাহা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ দিদারুল আলম, মানবজমিনের রাশিদুল ইসলাম, দৈনিক খুলনাঞ্চলের সম্পাদক মিজানুর রহমান মিলটন, দৈনিক জন্মভূমির চীফ রির্পোটার সোহরাব হোসেন, দৈনিক কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক কৌশিক দে বাপি, বাংলা ট্রিবিউনের খুলনা প্রতিনিধি শেখ হেদায়েৎ হোসেন মোল্লা, দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক  শেখ আল এহসান, উত্তম মন্ডল, যমুনা টেলিভিশসের কনক রহমান, দীপ্ত টিভির খুলনা ব্যুারো প্রধান ইয়াসিন আরাফাত রুমি, দৈনিক খুলনার সিনিয়র রিপোর্টার মাকসুদ আলী, বাংলা নিউজ ২৪ ডট কমের মাহাবুবুর রহমান মুন্না,ডেইলি স্টারের দিপঙ্কর রায়,এস টিভির খুলনা ব্যুরো প্রধান প্রধান রকিবুল ইসলাম মতি।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম গত কয়েক মাস ধরেই স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট করে যাচ্ছিলেন। তার অনুসন্ধানী রিপোর্টের মাধ্যমেই দেশবাসীর সামনে করোনা মহামারির মধ্যেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির চিত্র ফুটে ওঠে। সোমবার (১৭ মে) তাকে মন্ত্রণালয়ে পরিকল্পিতভাবে আমলারা হেনস্তা করে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করে পরে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রোজিনা ইসলামের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুর্নীতি ঢাকার জন্য ওখানকার কর্মকর্তারা রোজিনা ইসলামের ওপর নির্যাতন করেছেন। তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এটা স্বাধীন সাংবাদিকতা বিরোধী। এটি রাষ্ট্রের সংবিধান বিরোধী।

মানববন্ধনে বক্তারা দুর্নীতি পরায়ন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান। সেসঙ্গে রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।