0 স্টাফ রিপোর্টার
খুলনায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ধর্ষণের ঘটনায় এএসআই মোকলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে শিগগিরই বিভাগীয় মামলা হবে বলে জানিয়েছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি সোনালী সেন। মঙ্গলবার (১৮ মে) এ তথ্য জানান তিনি।
সোনালী সেন জানান, ভিকটিমের সমস্ত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্টের জন্য চিকিৎসকের ওপর নির্ভর করতে হবে। তাছাড়া তার শরীরের অবস্থা এখন আগের চেয়ে অনেক ভাল। তাকে আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর করা মামলায় মোকলেছুর রহমানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
পুলিশ ও মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১ মে (শনিবার) থেকে এএসআই মোকলেছুর রহমান খুলনা পিটিআই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে দায়িত্বে ছিলেন। ৪ মে (মঙ্গলবার) ভারত থেকে ফিরে ওই যুবতি সেখানে কোয়ারেন্টাইনে থাকেন। গত ১৩ মে (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাতে ডিউটিতে থাকাকালীন এএসআই মোকলেছুর রহমান কোয়ারেন্টাইনে অবস্থানরত ওই তরুণীর কক্ষে প্রবেশ করে তার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করেন।
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রাথমিক অনুসন্ধান করা হয়। অনুসন্ধানকালে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা মিললে রোববার (১৬ মে) এএসআই মোকলেছুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
মামলার এজাহারে অসঙ্গতি তুলে ধরেন বাদীপক্ষের আইনজীবীরা। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হলে এজাহারে ৯ এর ১ ধারা অনুযায়ী মামলাটি রজু করতে হয়। কিন্তু বাদীর খুলনা থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে ৯ এর ৫ ধারা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে করে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড না হয়ে সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। দুর্বল মামলা সাজানোর জন্য সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের ব্যর্থতাকে দুষছেন তারা।
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম বলেন, থানার ওসি কিভাবে এটি করেছে, তার তো ৯ এর ১ ধারা অনুযায়ী মামলাটি রজু করা উচিত ছিল। এজাহারে এ ধরনের অসঙ্গতি আসামিকে বাঁচানোর চেষ্টা বলে মনে করেন তিনি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল আলম জানান, এ ঘটনায় যে ধারা উল্লেখ করা হয়েছে সেটা ঠিক আছে। ৯ এর ৫ তো পুলিশ হেফাজতে কেউ ধর্ষণ হয় সেটা। আমার আসামি তো একজন, ধর্ষণের মামলাই তো নেয়া হয়েছে।