প্রাথমিক তদন্তে কোয়ারেন্টিনে তরুণী ধর্ষণের সত্যতা মিলেছে

0
Spread the love

০স্টাফ রিপোর্টার

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে খুলনায় কোয়ারেন্টিনে থাকা ভারতফেরত তরুণীকে ধর্ষণের সত্যতা মিলেছে। প্রথম রাতে মুখ চেপে ঘুমন্ত তরুণীকে ধর্ষণের পরদিন রাতে আবারও ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। রাতে তরুণী চিৎকার করলে ঘটনা পুলিশের নজরে আসে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. জাহাঙ্গীর আলম এক প্রেস বার্তায় তথ্য জানান।

কেএমপির মিডিয়া সেল থেকে প্রেরিত বার্তায় জানানো হয়, গত ১৩ মে দিনগত রাতে প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) এর মহিলা হোস্টেলে ভারতফেরত তরুণীকে এএসআই মোকলেছুর রহমান মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। এরপর ১৫ মে দিনগত রাতে আসামি আবার ভিকটিমের রুমে এসে মেলামেশা করতে চায়। সময় ভিকটিম চিৎকার করে। এরপর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরে অনুসন্ধানকালে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পরিলক্ষিত হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবু সাঈদ বলেন, ‘এএসআই মোকলেছকে আদালতে হাজির করা হলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। অভিযুক্ত মোখলেছুর কেএমপির কোর্ট সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি খুলনার প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টারে গত মে থেকে দায়িত্ব পালন করছিলেন। অভিযুক্ত মোকলেছুর রহমান (৪৪) যশোর সদরের দৌলদিহি এলাকার মৃত মো. সেকেন্দার আলীর ছেলে।

এদিকে প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) তত্ত্বাবধায়ক ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘আমি বিষয়ে কিছুই জানি না। কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রশাসনকে জায়গা দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে পুলিশ। সেখানে আমার কোনও দেখাশুনা নেই।’