পরিষ্কার করুন নিরাপদ কিছু দিয়ে

13
Spread the love

০ মিলি রহমান

পরিষ্কারের প্রশ্ন আসলেই চলে আসা একগাদা বোতলভরা রাসায়নিকের নাম। এতে জিনিসপত্র পরিষ্কার হলেও পরিবেশের কিন্তু ক্ষতিটা করে দিয়েই যাচ্ছে। তবে ওই সব পরিষ্কারকেরও আছে বিকল্প। যা আপনার ত্বকে বা মুখে লেগে গেলেও কোনও সমস্যা হবে না।

বেকিং সোডা : বেসিনের জট খোলা থেকে শুরু করে আরও একগাদা জিনিসপত্র পরিষ্কার করার কাজে লাগে বেকিং সোডা। চুলা বা স্টেইনলেস স্টিলের কিছু পরিষ্কার করতে গরম পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে সেটা ওই বস্তুর ওপর খানিকক্ষণ রেখে দিন। তারপর ঘষেই দেখুন। আবার বেকিং সোডার সঙ্গে সমপরিমাণ সাদা ভিনেগার মিশিয়ে তৈরি করতে পারেন নিরাপদ টয়লেট ক্লিনার। গরম পানি মিশ্রিত সেই বেকিং সোডার মিশ্রণ দিয়ে টাইলসের কঠিন দাগও ওঠাতে পারবেন। কারপেটের দাগও তুলতে পারে এটি।

সাধারণ সাবান : যেকোনও সাবানই তেল-চর্বি জাতীয় জিনিস পরিষ্কার করতে পারে। তাই বাসাবাড়িকে যদি জীবাণুমুক্ত করতে চান, যেকোনও ধরনের সাবান-পানিই যথেষ্ট।

লেবুর রস : বাসাবাড়িতে যেসব ব্যাকটেরিয়া জন্মায় সেগুলোকে মারতে রাসায়নিক দ্রব্য লাগবে না। পানি লেবুর রস মিশিয়ে ঘষা দিলেই মরে যাবে ব্যাকটেরিয়া।

সাদা ভিনেগার: গ্রিজ, ছাতাপড়া দাগ, মোমের দাগ তুলতে এটি বেশ কার্যকর। আবার বেকিং সোডার সঙ্গী হিসেবে পরিষ্কারের বেলায় এর অনেক ব্যবহার আছে অনেক।

অলিভ অয়েল: কাঠের ফার্নিচারের জন্য প্রাকৃতিক পলিশিং এজেন্টের কাজ করে এটি।

কর্ন ফ্লাওয়ার : জানালার কাচ, আসবাবাপত্র কারপেট পরিষ্কারেও একটি কাজে লাগানো যায়।

হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড : কিছুটা ব্লিচের কাজ করলেও অন্যসব রাসায়নিকের চেয়ে এটি নিরাপদ। বিশেষ করে ক্ষত জীবাণুমুক্ত করা কিংবা পানি মিশিয়ে এটা দিয়ে চাইলে মাউথওয়াশের কাজও করা যায়।