০ স্পোর্টস ডেস্ক
শনিবার দিবাগত রাতে ইংলিশ জায়ান্ট ক্লাব চেলসিকে হারিয়ে ৫২ বছর পর শিরোপা ঘরে তুলেছে লেস্টার সিটি। এমন অর্জনে বাঁধভাঙা উল্লাসে চেস্টার সিটি শিবিরে। উদযাপনের মধ্যেই ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী। এফএ কাপ জয়ের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলি নির্মমতার কথাই যেন বিশ্ববাসীকে মনে করালেন হামজা।
ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে বসেছিল এফএ কাপের ফাইনাল। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ পরিবারের সদস্য প্রিন্স উইলিয়ামসসহ দেশটির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। টিভি কিংবা অনলাইনে খেলাটি উপভোগ করেছেন কোটি কোটি দর্শক। চেলসির বিপক্ষে শিরোপা জেতার পর উদযাপনের সময় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে তুলে চলে এসেছেন আলোচনায়।
ওয়েম্বলিতে শনিবার দিবাগত রাতে নাটকীয়তায় ঠাঁসা এক ফাইনালে চেলসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এফএ কাপের শিরোপা জিতেছে লেস্টার সিটি। এর আগে তিনবার এফএ কাপের ফাইনালে তিনবার উঠেছিল কিন্তু শিরোপা জেতা হয়নি। অবশেষে ৫২ বছর পর অধরা শিরোপাটি ঘরে তুললো তারা।
লেস্টারসিটির উদযাপনের আলোর ঝলকানি ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়তে চায় সমগ্র ইংল্যান্ডে। তবে পুরো আলোটাই নিজের করে নিলেন লেস্টার সিটি মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী। সতীর্থদের শিরোপা উদযাপনের সময় তার হাতে ফিলিস্তিনি পতাকা দেখলো কোটি কোটি মানুষ।
হামজার জন্ম ইংল্যান্ডের লাফবরোতে। মা রাফিয়া চৌধুরীর আদি নিবাস সিলেটের হবিগঞ্জে। তার বাবা গ্রানাডিয়ান বংশোদ্ভূত। বড় হয়েছেন সৎবাবা দেওয়ান মুরশিদ চৌধুরীর কাছে। তার বাড়িও বাংলাদেশের হবিগঞ্জে। ওয়েম্বলিতে হামজার সঙ্গে সতীর্থ ফ্রান্সের ফুটবলার ওয়েসলে ফোফানাও ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে তুলে নিয়ে অন্যরকম এই প্রতিবাদে অংশ নেন। হামজা চৌধুরী এবং ফোফানার ছবি ছাপানো হয়েছে বিশ্বের প্রায় সবগুলো প্রভাবশালী গণমাধ্যমে। নেট দুনিয়াতেও ভাইরাল এই ছবি।
বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছে এই দুই ফুটবলারকে। ইংল্যান্ডে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত হুসাম জমলটও তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।