০ ঢাকা অফিস
দেশে চলমান করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে আরও একদফা দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়িয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে ২২ মে পর্যন্ত দেশের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিলেও এবারে এই ছুটি বাড়ানো হয়েছে ২৯ মে পর্যন্ত। পরিস্থিতি অনুকূলে এলে ৩০ মে খুলতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের সই করা এক বার্তায় ২৯ মে পর্যন্ত স্কুল-কলেজের ছুটি বাড়ানোর তথ্য জানানো হয়েছে। শনিবার (১৫ মে) রাতে গণমাধ্যমে এই বার্তাটি পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে সম্প্রতি চলমান কোভিড-১৯ সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে পরামর্শ করে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ২৯ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সময়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।
এর আগে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় ৩০ মার্চ দেশের সব স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে করোনা সংক্রমণ কমতে থাকলেও পরে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই সংক্রমণের চিত্র বিপরীতমুখী হতে থাকে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ২৫ মার্চ মন্ত্রণালয় জানায়, স্কুল-কলেজ খুলবে ২৩ মে। এবার সেই সিদ্ধান্ত থেকেও পিছু হঠতে হলো সরকারকে।
এর আগে, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। ওই সময় ১৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর দ্বিতীয় দফায় ৯ এপ্রিল ও তৃতীয় দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সেই ছুটি বাড়ানো হয়। সেই ছুটি বাড়তে বাড়তে ঠেকেছে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। পরে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (কওমি ছাড়া) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। সেটিও বেড়ে ঠেকেছিল ২৯ মার্চে। পরে ২২ মে এবং সবশেষ ২৯ মে পর্যন্ত বাড়ল এই ছুটি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে এরই মধ্যে একে একে গত বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের এইচএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষাও বাতিল করা হয়। সবশেষ প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পর্যন্ত সব শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষাও নেওয়া হয়নি। সব মিলিয়ে একবছরেরও বেশি সময় ঝরে গেছে শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে। এ বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও রয়েছে শঙ্কার মুখে।