নৃশংস, হাসপাতালে মুমূর্ষু করোনা রোগীকে ধর্ষণ; অতঃপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু!

2
Spread the love

০ খুলনাঞ্চল ডেস্ক

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এক নারী। অভিযোগ, এই অবস্থায় তাকে ধর্ষণ করে এক হাসপাতাল কর্মী। এরপরই ওই নারীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হয় তার।

অভিযুক্ত পুরুষ নার্সের কাজ করা ওই কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চূড়ান্ত নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপালে।

পুলিশ জানিয়েছে, গত এপ্রিল ভোপাল মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি হন ৪৩ বছর বয়সী ওই নারী। সেই সময়ই তাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত হাসপাতাল কর্মী। দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ওই নারীকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই মৃত্যু হয় তার। তবে মারা যাওয়ার আগে এক চিকিৎসকের কাছে বিবৃতি দিয়ে শনাক্ত করে যান অভিযুক্তকে। তার অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ গ্রেফতার করে ৪০ বছরের সন্তোষ আহিরওয়ারকে। ভোপাল সেন্ট্রাল জেলে রাখা হয়েছে তাকে। শিগগিরিই শুরু হবে বিচার প্রক্রিয়া।

কিন্তু এক মাসেরও বেশি সময়ের আগের ঘটনা কেন এতদিন পরে জানাল পুলিশ? এক সিনিয়র পুলিশ অফিসারের কথায়, ‘‘ওই রোগীর অনুরোধ ছিল, তার নাম যেন প্রকাশ না করা হয় এবং ঘটনাটির কথাও যেন এখনই প্রকাশ্যে না আনা হয়। সেই কারণেই এতদিন পর্যন্ত ঘটনাটির কথা গোপন রাখা হয়েছিল। কেবল তদন্তকারী দল বিষয়ে জানত।”

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বেসামাল গোটা ভারত। একদিকে যেমন হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ, অন্যদিকে ক্রমেই প্রকট হয়েছে হাসপাতালগুলোতে বেডের আকাল এবং অক্সিজেনের অভাব। এই রকম পরিস্থিতিতে যেখানে করোনা রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার কথা, এভাবে হাসপাতালেরই এক কর্মীর হাতে এই ধরনের নৃশংসতায় সরব সচেতন মহল।

প্রসঙ্গত, ওই নারী ১৯৮৪ সালের ভয়াবহ ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার কবলে পড়েও শেষ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এবার মহামারীর সময়ে নৃশংসতার শিকার হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। ভোপাল দুর্ঘটনায় যারা বেঁচে গিয়েছিলেন, তাদের একটি সংগঠন রয়েছে। ওই নারী ছিলেন সেই সংগঠনেরই সদস্য। সেই সংগঠনের পক্ষ থেকেও আঙুল তোলা হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দিকেও। কী করে এমন ঘটনাকে চেপে যেতে চাওয়া হয়েছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে লেখা চিঠিতে।

জানা গেছে, অভিযুক্ত সন্তোষের নামে এর আগেও ২৪ বছরের এক নার্সের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি, কাজের সময় মদ্যপান করার অভিযোগে তাকে বরখাস্তও করা হয়েছিল। কী করে এমন একজনকে চাকরিতে বহাল রাখা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন