পাইকগাছায় রেজিষ্ট্রেশন বা অনুমোদন ছাড়াই নতুন একটি ক্লিনিকের উদ্বোধন ও অপারেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কর্তৃপক্ষের চোখের সামনে এ ধরনের কার্যক্রম শুরু হলেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, খুলনা জেলার পাইকগাছা পৌরসভার প্রধান সড়কের পাশে একটি ভাড়া করা ঘরে রাসেল ক্লিনিক নামে একটি ক্লিনিক উদ্বোধন করা হয়। ক্লিনিকটি ৩ জন পার্টনারশীপে নিয়ে গড়ে তোলা হয়। যার ২ নং পার্টনার রোকনুজ্জামান মিঠুর ছেলে রাসেলের নামে নামকরণ করা হয়। অন্য পার্টনার মোঃ লুৎফর রহমান ও মোঃ বালু সরদার। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সামনে নির্মানাধীন একটি দো-তলায় গত ৫ এপ্রিল এ ক্লিনিকটির উদ্বোধন করা হয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পার্টনার লুৎফর রহমান জানায়, সিভিল সার্জনের অনুমতি নিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। রোকনুজ্জামান মিঠু বলেন, এখানে সার্বক্ষনিক ৩জন ডাক্তার ডাঃ প্রিন্স (এ্যানাথেসিয়া), ডাঃ বরকত (সার্জন), ডাঃ তুহিন (চক্ষু), চার জন নার্স, তিনজন আয়া, ও দুজন ওয়ার্ডবয় দায়িত্ব পালন করছে। বুধবার সকাল সরেজমিনে গেলে সেখানে কোন ডাক্তার পাওয়া যায়নি। একজন নার্স পলি রোজারিও এবং রিসিপশনে অনুপমা দেবনাথকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। তবে ঐদিন কয়েকটি ওয়ার্ডে ৭ জন অপারেশন রোগী ছিল। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিতিষ চন্দ্র গোলদার বলেন, রেজিষ্ট্রেশন না পেয়ে কোনভাবে ক্লিনিক চালু করা সঠিক হয়নি। খুলনার সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াজ মোহম্মদ বলেন, কোন ক্লিনিক বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অপারেশন করলে সেটি আইনগত অপরাধ। কোন ক্লিনিকের অনুমোদন দেয়ার এখতিয়ার আমার নেই। বিষয়টি সম্পুর্ন ডিডি মহাদয়ের এখতিয়ারাধীন। তবে রাসেল ক্লিনিকের নামে একটি আবেদন জমা পড়েছে। সরেজমিনে যেয়ে তদন্ত করে তার প্রতিবেদন মহাপরিচালক বরাবর পাঠানো হবে।
পাইকগাছায় চায়ের দোকান আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত
পাইকগাছায় একটি চায়ের দোকান আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। ঘটনাটি চাঁদখালী ইউপির শাহাপাড়া গ্রামের ফুলতলা বাজারে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জানা গেছে, শুক্রবার গভীর রাতে রথিন হাজরা নামে এক হতদরিদ্র চা বিক্রির পর রাত ৮ টার দিকে বাড়ি চলে যায়। সকালে এসে দেখে দোকান ঘরটি কে বা করা রাতের আঁধারে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় সাধারন ডায়রী হয়েছে। ওসি এজাজ শফী বলেন, জায়গা দখলের জন্য না শত্রুতা বসত পুড়িয়ে দিয়েছে, সেটি খুঁজে দেখা হবে।
– পাইকগাছা প্রতিনিধি