খুলনা-মোংলা ও বাগেরহাট মহা-সড়কের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল স্থানে দুই পাশের্^র সাইড সোল্ডার মেরামত বা পুনঃ সংস্কার না করায় তা এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। স্থানীয় জনগন ও পথচারিরা দুইপাশের্^র ভেঙ্গে যাওয়া সাইড সোল্ডার পুনঃ সংস্কার বা মেরামত করার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষন করলেও তারা তার কোন তোয়াক্কাই করছেন না। যে কারনে উক্ত দুইটি সড়কে প্রতিনিয়ত ছোট বড় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে।
জানা গেছে, খুলনা-মোংলা মহা-সড়ক একটি জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হিসাবে দেশ বিদেশে এর ব্যপক পরিচিতি রয়েছে। তা ছাড়া এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ভোর হতে গভীর রাত পর্যন্ত হাজার হাজার বাস মিনিবাস পরিবহন ট্রাক পিকাপ সহ ভারীভারী যানবাহন চলাচল করে থাকে। মংলা দেশের দ্বীতিয় সমুদ্রিক বন্দর হওয়ায় বিদেশ থেকে দেশে বিভিন্ন মালামাল আমদানী করে এই খুলনা-মংলা সড়ক দিয়ে তা চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। সে অনুযায়ী এই সড়কের গুরুত্ব অপরাসিম। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে,এই সড়কের গুরুত্ব অপরাসিম হলেও এটির গুরুত্ব তেমন একটা চোখে পড়ছে না। স্থানীয়রা বলেছেন, সড়কটি দুই পাশের্^ বড়ানোর কথা বলে গত ২বছর পূর্বে সড়কের পাশের্^ রোপনকৃত বৃহৎ বৃহৎ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ফেলা হয়। কিন্তু আজও সড়কটি বড় করা হয় নী।
স্থানীয়রা বলেছেন দীর্ঘদিন ধরে জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ এই মহা-সড়কের দুই পাশের্^র সাইড সোল্ডার মরণ ফাঁদ হয়ে পড়ে রয়েছে, সে বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কোন মথাব্যাথা নাই। অথাচ গাছ কাটার বেলায় তাদের আগ্রহ অনেক বেশি। এর কারন কি। তারা বলেছেন, খুলনা-মোংলা মহা-সড়কের দুই পাশের্^র সাইড সোল্ডার কোন কোন স্থানে মুল কার্পেটিং থেকে অথাৎ রাস্তা থেকে ১/২ফুট নিচু। আবার কোন কোন স্থানে বন জংগলে ভরপুর আবার কোন কোন স্থানে রাস্তা দখল করে ইট বালু ও কাঠের গুড়ি ফেলে সাইড সোল্ডার দখল করা হয়েছে। সাইড সোল্ডার দখল করার ফলে একটি যানবাহন অপরটি যানবাহনকে ওভারটেক করার সময় সাইড সোল্ডারে চলে যেতে বাধ্য হয়, আর সেই সময় সাইড সোল্ডার নিচু বা দখল করায় যানবাহন উল্টে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণহানী বা মালামালের ব্যপক ক্ষতি হয়। শুধু তাই নয়, সন্ধ্যার পর হতে প্রতিটি মহা-সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। সেই সময় অধিকাংশ যানবাহনের চালকরা প্রতিযোগীতা ন্বরুপ গাড়ী চালিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটে চলে। সে সময় যানবাহন গুলি দ্রুত গতিতে চলাচলের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে বাধ্য হয় সাইড সোল্ডার নিচু থাকার কারনে।
সরেজমিনে অনুসন্ধ্যান করে দেখা গেছে,খুলনা-মোংলা মহা-সড়কের কুদির বটতলা, খাজুরা, লখপুর, কাটাখালী, শ্যামবাগাত, শুকদাড়া, চুলকাটি, ভট্টে কনকপুর, ফয়লা ও রোনসেন সহ বেশ কিছু স্থানে। এছাড়া খুলনা-বাগেরহাট মহা-সড়কের কাটাখালী হতে টাউন নওয়াপাড়া মোড় পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার সড়কের দুই পাশের্^ কোন স্থানে সাইড সোল্ডার নাই বললে চলে। অথাচ এই সড়কটির উপর সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে। বিকালের পর হতে যানবাহনের চাপের কারণে রাস্তা পার হওয়া জনগন ও পথচারীর পক্ষে প্রায় অসম্বাব ব্যাপার হয়ে দাড়াই। খুলনা-মোংলা মহাসড়কের কুদির বটতলা, কাটাখালী এসবিএসি ব্যাংকের অপর পাশের্^, শ্যামবাগাত বাসস্ট্যান্ড হতে জয়জুট মিলস পর্যন্ত, শুকদাড়া মুল বাসস্ট্যান্ড, ভট্টে ব্রীজ ও বাসস্ট্যান্ড ও বাগেরহাট মহা-সড়কের কাটাখালী বাসস্ট্যান্ড হতে টাউন নওয়াপাড়া মোড় পর্যন্ত সড়কের দুই পাশের্^ সাইড সোল্ডার নাই। খুলনা-মোংলা ও বাগেরহাট মহা-সড়কের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সাইড সোল্ডার ১/২ফুট নিচু ও চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় রাত্রিকালিন সময়ে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে। ছোটছোট যানবাহন গুলি এই দুর্ঘটনার কবলে সবচেয়ে বেশি পড়ছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধ কল্পে সাইড সোল্ডার মেরামত বা পুনঃ সংস্কার করা না হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে সড়ক দুর্ঘটনা চরম আকারে বেড়ে যাওয়া আশাংখা করা হচ্ছে। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।
-পি কে অলোক,ফকিরহাট