আইসিটি বিভাগ ও খাদ্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালনায় ‘কৃষকের অ্যাপ’ নামক মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকেরা ঘরে বসেই রেজিস্ট্রেশনপূর্বক লগইন করে সরকার নির্ধারিত ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রি করতে পারবেন।
খুলনায় ‘কৃষকের অ্যাপ’ ব্যবহার করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বোরো ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে ‘কৃষকের অ্যাপ’ ব্যবহার করে জুম অ্যাপে সংযুক্ত থেকে বোরো ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
আইসিটি বিভাগ ও খাদ্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালনায় ‘কৃষকের অ্যাপ’ নামক মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকেরা ঘরে বসেই রেজিস্ট্রেশনপূর্বক লগইন করে সরকার নির্ধারিত ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রি করতে পারবেন।
গত বছর বোরো মৌসুমে করোনাকালে প্রচলিত বাজার ব্যবস্থার ভিড় এড়িয়ে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও দ্রুততার সাথে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যে খুলনা জেলা প্রশাসনের একান্ত উদ্যোগে ‘কৃষকের হাসি’ তৈরি করা হয়।
খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে কৃষকের উৎপাদিত ধান সংগ্রহ, মজুত নির্বিঘ্ন উপায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির সঙ্গে সম্পাদন করতে সরকার ডিজিটাল উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এতে একদিকে যেমন সেবা সহজীকরণ সম্ভব হবে, তেমনি অপরদিকে কৃষকদের ভোগান্তি দূর হবে। আর মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে ধান বিক্রয়ের অর্থ সহজেই কৃষকের বিকাশ অ্যাকাউন্ট/ব্যাংক হিসাবে প্রবেশ করবে।
করোনাকালীন লকডাউনে প্রচলিত ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে লকডাউন কার্যকর করতে এর ভূমিকা সমধিক। ফলে সরকারের এই উদ্যোগ পরোক্ষভাবে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনেও সহযোগিতা করবে।
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা কমপ্লেক্স চত্বরে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে জুম অ্যাপে সংযুক্ত ছিলেন খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম ও বিভাগীয় কমিশনার খুলনা ইসমাইল হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইউসুপ আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সাদিকুর রহমান খান, উপপরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর হাফিজুর রহমান ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মাদ বাবুল হোসেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘জেলা খাদ্যশস্য সংগ্রহ কমিটি’-এর সভাপতি জেলা প্রশাসক খুলনা মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।
এ বছর খুলনা জেলায় বোরো ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ৯৫৭ মেট্রিক টন। আর সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১৭ হাজার ৫২২ মেট্রিকটন।
২৮ এপ্রিল থেকে শুরু করে ১৬ আগস্টের মধ্যে নির্ধারিত পরিমাণ ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে।
এ বছরও খুলনা জেলায় ‘কৃষকের অ্যাপ’-এর সাথে সাথে ‘ডিজিটাল রাইস প্রকিউরমেন্ট অ্যাপস’-এর মাধ্যমেও চাল সংগ্রহ করা হয়েছে।
‘কৃষকের অ্যাপ’-এর মাধ্যমে ধান বিক্রয় করতে আগ্রহী কৃষকদের সুবিধার্থে কৃষক তার অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের গুগল প্লে-স্টোরে গিয়ে সহজেই অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারবেন। ডাউনলোডকৃত অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করে আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লগইন করে ধান বিক্রয় করতে পারবেন।
-স্টাফ রিপোরর্টার