নগরীর ছোট বয়রা এলাকায় নেওয়াজ মোর্শেদকে (৩৪) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২৪ ঘন্টা পার হওয়ার আগেই ঘটনার মোটিভ উদ্ধারের পাশাপাশি একজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়েছেন ম্যাজিষ্ট্রেট।
বুধবার (৫ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় হাফিজনগরে অভিযান চালিয়ে নূর ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপর দুই জনকে দুপুর ২টার দিকে সোনাডাঙ্গা ময়লাপোতা নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে নূর ইসলাম (২৩) হত্যার সঙ্গে জড়িত স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার (৫ মে) দুপুরে মহানগর হাকীম তরিকুল ইসলামের আদালতে হত্যাকাণ্ডে নিজে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেন সে। আসামি নূর ইসলাম হাফিজনগর এলাকার রাঙ্গা মিয়ার বস্তির বাসিন্দা বাবু হাওলাদারের ছেলে। অন্যান্যরা হলেন, সোনাডাঙ্গা ময়লাপোতা এলাকার আবুল হোসেনের দুই ছেলে রানা হোসেন (২৫) ও শফিকুল হোসেন (৩২)।
জানা গেছে, টাকা পয়সার বিরোধে নগরীর ১নং ছোট বয়রা ক্রস রোডের রুবির দোকানের পাশে সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সোনাডাঙ্গা থানাধীন ময়লাপোতা এলাকার শেখ শাহজাহানের পুত্র নেওয়াজের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার (৪ মে) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল নেওয়াজ মোর্শেদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দ্বারা নেওয়াজের ঘাড়, হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই নিহতের ভাই শামীম পারভেজ বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সোবহান মোল্যা বলেন, নুর ইসলাম (২৫) বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে এবং এজাহারনামীয় আসামি মোঃ রানা (২৫) ও শফিকুল হোসেন (৩২) দ্বয়কে আদালতে সোপর্দপূর্বক ০৫ (পাঁচ) দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করা হয়। হত্যায় জড়িত অপরাপর আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর প্রচেষ্টাসহ মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এ হত্যায় এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। মোট তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরো পাঁচজন আসামি রয়েছে যাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।