শৈলকুপায় নির্জন খালে হিন্দু বিধবা নারীর লাশ: গলায়-মুখে রক্তের দাগ

29
Spread the love

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় খাল থেকে রেখা রানী নামে এক বিধবা নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা স্বজনদের।

সোমবার রাতে উপজেলার মলমলি গ্রামের একটি খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত রেখা একই গ্রামের যশোধর বিশ্বাসের স্ত্রী।

নিহতের ছেলে অপূর্ব কুমার বিশ্বাস জানান, জমি লিজের টাকা আনতে সোমবার বিকেলে পার্শ্ববর্তী উমেদপুর ইউনিয়নের হালসাদাড়ি গ্রামে যান তার মা। লিজের ১১ হাজার টাকা নিয়ে বিকেলের দিকে বাড়ি ফিরছিলেন। হয়তো টাকার জন্য ছিনতাইকারীরা তার মাকে হত্যা করে খালে ফেলে রেখে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী রফিকুল ইসলাম জানান, রাতে মলমলি গ্রামের নির্জন খালে লাশটি দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঝিনাইদহের এএসপি (শৈলকুপা সার্কেল) আরিফুল ইসলাম জানান, লাশটি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া মুখে গলায় রয়েছে রক্তের দাগ। টাকা ছিনতাইয়ের জন্য দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

কেন এমন হত্যাকান্ড, সামনে আসছে দুটি প্রসঙ্গঃ

কারা এই খুণী, এমন বৃদ্ধা মহিলা কে কেন হত্যা করল? এমন প্রশ্নে মানুষের সামনে আসছে দুটি বিষয়। টাকা ছিনতাই এর জন্যে এমন নিষ্ঠুর হত্যা বলে মুখে মুখে ভাসছে। কিন্তু যারা একটু খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে তাদের সামনে আসছে বৃদ্ধার জমিজমা। জানা গেছে মলমলী গ্রামের মৃত যশোধর এর স্ত্রী রেখা রাণীর নামে রয়েছে বেশ কয়েক বিঘা জমি সম্পত্তি। সংখ্যালঘু এই সম্পত্তির উপর ললুপ দৃষ্টি রয়েছে একটি মহলের। সেই জমাজমি আত্মসাতের জন্যে চালানো হতে পারে নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ।

বৃদ্ধা গ্রাম থেকে টাকা নিয়ে মাঠের রাস্তায় কখন?

ত্রিপাকান্দি মাঠের নির্জন খাল যার দুপাশ দিয়ে কলাগাছ ঝোপঝাড়ে ঘেরা এমন একটি নির্জন খালের মাঝে মিলছে বৃদ্ধা রেখা রাণীর লাশ। ফলে মাঠের পথে কখন বেরিয়েছিলেন বৃদ্ধা সেকথা অনেকে বলছে। দুপুরে টাকা নিয়ে মাঠের পথে বের হলে প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে খুণীরা মারার টার্গেট নিত না। তবে কি বৃদ্ধা গ্রাম থেকে শেষ বিকাল বা সন্ধার আগে ফিরছিল যার কারণে সন্ধারাতের অন্ধকারে নির্জনে খুণীরা নিরাপদে হত্যা করে। আর খুণীরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী বৃদ্ধা রেখা রাণী কে দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত সোর্সদের মাধ্যমে গ্রামেই রেখে নানা গল্প, লিচু পেড়ে ব্যাগ ভর্তি করে হাতে দিয়ে, বিশ্রামে করিয়ে অপেক্ষায় ছিল মাহেন্দ্রক্ষনের?

নাকি গ্রামে রেখেই হত্যা করে সন্ধায় এনে ফেলে মাঠের নির্জন খালে, অনেকের ভাবনায় এসবও ঘুরে ফিরছে।

বৃদ্ধা কি ধর্ষিত হয়েছিল? বৃদ্ধা কি ধর্ষিত হয়েছিল, সে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে কারো কারো মুখে। ধর্ষণের সময় চিনে ফেলায় তাকে হত্যা করা হতে পারে। কি আছে সুরতহাল রিপোর্টে, তার গলা,পায়ে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত-আঘাতের চিহ্ন রয়েছে!

সম্রাট হোসেন, শৈলকুপা