মহেশপুরে বোরো ধানের বাম্পার ফলন,ভালো ফলন ও দামে খুশি কৃষক

81
Spread the love

ঝিনাইদহের মহেশপুরে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছেড়ে গেছে। মাঠের পর মাঠ জুড়ে এখন বোরো ধানের হিল্লোল। আগাম জাতের ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অধিকাংশ জমির ধান কাটা হয়ে যাবে। এখন এক মাত্র ভয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এ থেকে রক্ষা পাওয়া গেলে তাদের কষ্টের ফসল তুলতে পারবে ঘরে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১৮ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ২ হাজার হেক্টর বেশি। গত মওসুমে বোরো ও আউস ধানের ফলন বিপর্যয়ে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবারে এলাকায় অনেক বেশি জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। আর ফলন দেখেও মনে হচ্ছে বাম্পার ফলন হবে।

তবে এখন কৃষকের একমাত্র আশঙ্কা প্রাকৃতিক বিপর্যয়। তা থেকে রক্ষা পেলে তারা সোনালী ধান ঘরে তুলতে পারবে। উপজেলার নেপা,ভৈরবা যাদবপুর,পাতিবিলা, জাগুসা, গারাবাড়িয়া,মান্দাতলাসহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর বীজ সংকট, ধানের মূল্য ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধানের চাষ এবারের চেয়ে প্রায় অর্ধেক উৎপাদন হয়েছিল। এবারে কৃষকরা পুষিয়ে নিতে গত বছরের থেকে প্রায় দ্বিগুণ ধান চাষ ও উৎপাদনে তারা ঝুঁকেছেন।

পাতিবিলা গ্রামের কৃষক হজোমোল্লা,জলিল,নুরুল বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর বোর ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। প্রতিবিঘা জমিতে ২৫ থেকে ২৭ মন হারে ধান হয়েছে। বাজারে ধানের দাম ভালো আছে বিক্রয় করে খরচের টাকা উঠে লাভবান হওয়া যাবে।

খোদাবস্ক বলেন, ইতিমধ্যে ১০ কাঠা জমির আগাম স্থানীয় বি-২৮ জাতের ধান কাটা হয়েছে। ধানের ফলন অত্যন্ত ভালো। গাড়াবাড়িয়ার মকবুল হোসেন জানান, জমির ধান বেশী ভাগ পেকে গেছে, ধানের ফলন গত কয়েক বছর থেকে ভালো। ইতিমধ্যে ধান কাটা ও মাড়াই পুরোদমে শুরু হয়েছে। এই ধান কেটে কিছু জমিতে আউস ধান লাগানোন জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।

বোরো ধানের বাম্পার ফলন প্রসঙ্গে মহেশপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাসান আলী বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী পরিমাণ জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। তা ছাড়া বোরো ধানের ফলন হয়েছে আশাতীত। আগাম জাতের ধান কাটা থেকে যে ফলন পাওয়া গেছে তা অতীতের চেয়ে অনেক বেশী।

অধিকাংশ জমির ধান কাটা পড়েছে। কিছু ধান কাঁচাসহ শ্রমিক সংকট রয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে চলতি বছর বোরোর রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন হবে। দুর্যোগ এড়াতে তিনি ধানের ৮০ ভাগ পেকে গেলেই অতিসত্বর কেটে নেয়ার পরার্মশ দিয়েছেন।

শামীম খান মহেশপুর(ঝিনাইদহ)