খুলনা ব্লাড গ্রুপ, খুলনা ফুড গ্রুপ এবং ভালোবাসা খুলনার ভিন্ন প্রক্রিয়ায় ইফতার ও মাস্ক বিতরণ
খবর বিজ্ঞপ্তি:
খুলনা ব্লাড গ্রুপ ও খুলনা ফুড গ্রুপ এবং ভালোবাসা খুলনার যৌথ উদ্যোগে পথচারী ও হতদরিদ্রদের মাঝে ইফতার সামগ্রী দেওয়া হয়। সাথে রয়েছে একটি মাস্ক ও একটি পানির বোতল।
শুক্রবার বিকাল ৫টায় নগরীর শিববাড়ী মোড়ে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মোঃ আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সার্বিক দিক নির্দেশনায় এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় তিনি বলেন, আমরা লকডাউন চলাকালীন রমজানে রোজাদারদের জন্য ইফতার এবং করোনা প্রতিরোধের জন্য একটি করে মাস্ক বিতরণের ব্যবস্থা করেছি। টেবিলের উপর ইফতার সাজিয়ে রেখেছি, রোজাদার ব্যাক্তি তার পছন্দমত প্যাকেট নিয়ে যাচ্ছেন। করোনাকালীন সময়ে যখন মানুষ লকডাউনে তখন আমরা রয়েছি সমাজের অসহায় ও দুস্থ পরিবারের পাশে খাদ্যের সহযোগিতা নিয়ে। এটি একটি অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। আমরা আজ যতটুকু সম্ভব রোজাদারদের মাঝে ইফতার দেওয়ার চেষ্টা করেছি এবং আগামীতেও দেয়ার চেষ্টা করবো। করোনাকালীন শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমরা অসহায় ও দুস্থ পরিবারের জন্য প্রতিনিয়ত খাবার বিতরণ করে চলছি। আমরা পৌছে দিচ্ছি তার নিজ বাসায়। সহায়তার মধ্যে আছে চাল, ডাল, ছোলা মুড়ি, লবণ, চিড়া, আটা, খেজুর চিনি। এছাড়াও খুলনা ব্লাড গ্রুপ অসংখ্য রোগীদের জন্য আর্থিকভাবে চিকিৎসা সহযোগিতা ও সমাজের মানুষদের জন্য রক্ত সহযোগিতা করে আসছে। এছাড়াও ধর্মীয় উপাসনালয় গুলোতে রয়েছে আমাদের মানবিক সহযোগিতা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সহ সভাপতি আবদুল্লাহ হেল তকী, অর্থ সম্পাদক অন্নি রহমান, উপদেষ্টা আশরাফুল আলম, প্রচার সম্পাদক শাকিব মোল্লা, সিনিয়র সদস্য শরিফুর রহমান, মানবিক পুলিশ সদস্য আফজাল হোসেন, হোসাইন শেখ, কাজী খলিল, জহির রায়হান, মিসেস রুনা, শাহরিয়ার হোসেন নিলয়, মিরাজুল ইসলাম রনি, ফারিয়া ফেরদৌসী হ্যাপি। এসময় তিনি সমাজের বিত্তবানদের দরিদ্রদের পাশে এসে সাহায্য সহযোগিতার আহবান জানান।
স্বামীর বাইক থেকে পড়ে নববধূর মৃত্যু
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
মায়ের সাথে দেখা করার ইচ্ছে নিয়ে স্বামীর বাইকে চড়ে বাবার বাড়িতে ফিরছিলেন রহিমা খাতুন (১৫)। কিন্তু সেই ইচ্ছে পূরণ হলো না তার। পথিমধ্যে মোড় ঘুরতে গিয়ে মোটরসাইকেলের পিছন থেকে পড়ে প্রাণ গেলো রহিমার।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় রহিমার। এরআগে সকাল নয়টার দিকে দুর্ঘটনায় মাথায় গুরুত্বর আঘাত পান তিনি।
রহিমা খাতুন মণিরামপুরের বাহিরঘরিয়া গ্রামের রাশেদ আলীর স্ত্রী। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী হলেও অসুস্থ পিতার ইচ্ছে পূরণে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছিল তাকে। মেয়ের বিয়ের একমাস পরে মারা যান পিতা আব্দুল খালেক। তিনি একই উপজেলার ভরতপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। সকালে স্বামীর সঙ্গে পিতার বাড়িতে ভরতপুরে আসছিলেন রহিমা।
নিহতের জা ফাতেমা খাতুন জানান, সকালে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে মাথায় গুরুত্বর আঘাত পান রহিমা। দ্রুত তাকে মণিরামপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়। তখন চিকিৎসক তাকে যশোর সদর হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে চিকিৎসা চলছিল রহিমার। পরে দুপুর ১২ টার দিকে মৃত্যু হয় তার।
মণিরামপুর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই সোহেল রানা পারভেজ দুর্ঘনায় গৃহবধূর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খুলনা মহানগরীর পানির হাহাকার নিরসনের আহ্বান নাগরিক সমাজের
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা মহানগরীর ওয়াসার পানি সরবরাহের উপর নির্ভরশীল বিভিন্ন এলাকায় পানির হাহাকার নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন খুলনা নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ। এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, রাষ্ট্র তথা জনগণের বিপুল অংকের অর্থ খরচ করে ওয়াসা একটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেও নগরবাসীর পানির চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। শুরুতেই বিভিন্ন মহল থেকে প্রকল্পটি ব্যর্থ হওয়ার আশংকার কথা বলার চেষ্টা করা হলেও ওয়াসা কর্তৃপক্ষ তাতে কর্ণপাত না করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় নগরীতে আজ পানির অভাবে হাহাকার চলছে। কর্তৃপক্ষ মিটার বসিয়ে পানির চার্জ কয়েক দফা বাড়িয়ে তা পরিশোধে গ্রাহকদের বাধ্য করছে। কিন্তু সেবা নিশ্চিত না করেই চড়া হারে সেবামূল্য গ্রহণ করছে। যা রীতিমত প্রহসন। অন্যদিকে ওয়াসা প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হওয়ায় মানুষ গভীর নলকূপ বসানোর দিকে ঝুঁকছে। ফলশ্রুতিতে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের উপর চাপ বাড়লে পরিবেশের বিপর্যয়, এমনকি ভূমিধসের মতো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটতে পারে। নেতৃবৃন্দ নগরবাসীর পানির সংকট সমাধানে পরিকল্পিতভাবে বাস্তবভিত্তিক স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের পদক্ষেপের আহ্বান জানান। বিবৃতিদাতারা হলেনÑসংগঠনের পক্ষে আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অ্যাডঃ আ ফ ম মহসীন, সদস্য সচিব অ্যাডঃ মোঃ বাবুল হাওলাদার।
নওয়াপাড়া প্রেস ক্লাবের উদ্যেগে শতাধিক রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণ
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগর নওয়াপাড়া প্রেস ক্লাবের উদ্যেগে শতাধিক রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) আছরবাদ নওয়াপাড়া বাজারের নূরবাগে ভ্যান চালক, ভিক্ষক, পথচারি সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের হাতে ইফতার তুলে দেওয়া হয়েছে। ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নওয়াপাড়া প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজরুল ইসলাম মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক মোজাফফর আহম্মেদ, উপদেষ্টা প্রভাষক আবিদ হাচান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ তাজ, ক্রীড়া সম্পাদক এফ এম আলাউদ্দীন, দপ্তর সম্পাদক শাহিন আহম্মেদ, আইসিটি সম্পাদক তারিম আহম্মেদ, সদস্য আবুল হোসেন, ডি আর আনিচ, আশরাফুল ইসলাম প্রিন্স, সৈয়দ রিপন, আর এস রুবেল, শেখ জাবেদ আলী, বাচ্চু, জাকির হোসেন হৃদয়, শফিকুল ইসলাম পিকুল, মিন্টু রায় সহ প্রমুখ।
বাগেরহাটে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ
স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাট
বাগেরহাটের কচুয়ার উপজেলা রাড়িপাড়া ইউনিয়ন যুব লীগের সভাপতি মেহেদী হাসান বাবুর বিরুদ্ধে গোয়াল মাঠ এলাকার জাহিদুল ইমলাম ডাকুয়ার বাড়িতে হামলা ,মারধর , ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় জাহিদুল ইমলাম ডাকুয়া (৩৮) ছাড়াও তার মাতা মোসাঃ রহিমা বেগম (৬০) ও শাশুড়ী নাহার বেগম (৫০) গুরুতর আহত হয়। জাহিদুল ইমলাম ডাকুয়া কচুয়া উপজেলার রাড়িপাড়া ইউনিয়নের মৃত ঃ মোঃ মুনসুর আলীর ছেলে।
এ বিষয়ে আহত জাহিদুল ইমলাম ডাকুয়ার স্ত্রী মোসাঃ মনিরা বেগম বলেন, বুধবার (২১ এপ্রিল) দিবাগত রাত পৌনে ৪ টার দিকে আমরা সেহেরী খাচ্ছিলাম এ সময় আমাদের বাড়ির সামনের গ্যারেজ পাহারাদার হাবিবুর রহমান আমার স্বামীকে ডেকে বলে মেহেদী হাসান বাবু আসছে দরজা খুলতে বলছে। এসময় আমার স্বামী বাইরে বেশি লোকজনের আনাগোনা দেখে স্বন্দেহ হয় এবং সে দরজা খোলে নাই। দরজা না খোলার এক পর্যায়ে মেহেদী হাসান বাবু, তার পিতার গাড়ির ড্রাইভার নজরুল ইসলামসহ ১০/১৫ সন্ত্রাসী মিলে পাহারাদার হাবিবুর রহমানকে মরাধর করে ও আমাদের উদ্দেশ্য করে গালাগাল দেয়। হামলা কারিরা চাইনিজ কুড়ার ,হকস্টিক,লোহার রড়সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় আমার স্বামীকে মারধরের এক পর্যায়ে উলঙ্গ হয়ে দৌড়ে পাশ^বর্তী পুকুরে পড়ে যায। হামলা কারিরা আমার মা নাহার বেগমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও হাতে আঘাত করে। হামলার সংবাদ শুনে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান আমার শাশুড়ি লোকজন নিয়ে পুরান বাড়ি থেকে আমাদের বাড়িতে আসলে পথে মেহেদী হাসান বাবু ও তার লোকজন আমার শ^াশুড়িকে হামলা করে। ঘরে টিভি, ফ্রিজ,আলমারিসহ ঘরের বিভিন্ন মামলার ভাংচুর করে ও আলমারির ড্রয়ারে থাকা নগদ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে যায় হামলা কারিরা। বর্তমানে আমার স্মামী,শ^াশুড়ি ও মা বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই মেহেদী হাসান বাবু কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম মাহফুজুর রহমানের ছেলে কি কারনে এই কর্মকান্ড ঘটিয়েছে তা এখনো বুঝতে পারছিনা।
এ বিষয়ে মেহেদী হাসান বাবু বলেন আমার পিতা আইসিইউ তে ভর্তি আমি তা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট।
এ বিষয়ে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ দিলে দ্রুত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বাগেরহাটে গাছের চাপায় শ্রমিকের মৃত্যু
স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাট
বাগেরহাটের শরণখোলায় গাছের গুড়ির চাপায় রাকিব তালুকদার (১৮) নামের শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গাছ চাপা পড়ে শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর গ্রাম থেকে কর্তন করা গাছের গুড়ি স‘মিলে (করাতকল) নিয়ে যাওয়ার পথে ওই গুড়ির চাপে সে মারা যায়।
নিহত রাকিব তালুকদার শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের মো. আশ্রাব আলী তালুকদারের ছেলে।
শরণখোলা থানার ওসি মো. সাইদুর রহমান জানান, প্রতিবেশী বাদশা হাওলাদার তার কর্তন করা একটি গাছ স্থানীয় রাকিবসহ অন্যান্যদের নিয়ে গাড়িতে তুলে রাস্তায় নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এসময় একজনের পা পিছলে গাছের গুড়িটি পরে যায়। রাকিব ওই গাছের গুড়ির নিচে চাপা পরে। এতে ঘটনাস্থলেই রাকিবের মৃত্যু হয়।
বাগেরহাটে শিশু ধর্ষণ, দুই তরুণ গ্রেফতার
স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাট
বাগেরহাটের চিতলমারীতে আখ খেতে নিয়ে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় দুই তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল)ভোরে চিতলমারী উপজেলার চরবানিয়ারি গ্রামে অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেফতার করে চিতলমারী থানা পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) রাতে নির্যাতিত শিশুটির বাবা বাদী হয়ে দুই জনের নাম উল্লেখ করে এই মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, চিতলমারী উপজেলার চর শৈলাদহ আদর্শ গ্রামের সুজন খানের ছেলে জাকির খান (১৬) এবং হায়দার শেখের ছেলে শামীম শেখ (১৭)।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শরিফুল হক বলেণ, বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে খেলার কথা বাড়ির পাশের আখ খেতে নিয়ে ওই দুই তরণ শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এসময় শিশুটির ডাক চিৎকার শিশুটির বাবা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই তরুণদের হাতে নাতে ধরে ফেলে। পরবর্তীতে তরুণরা শিশুটির পিতার হাত-পা ধরে ক্ষমা চেয়ে চলে যায়। অসুস্থ্য অবস্থায় শিশুটিকে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তার বাবা।রাতে শিশুটির বাবা ওই দুই তরুনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেণ। আমরা শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালে আইসিইউ তিন শয্যা দিলেন শেখ তন্ময়
স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাট
বাগেরহাট ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) তিনটি বেড প্রদান করেছেন বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের ১৫০ শয্যা ভবনের তিনতলায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই আইসিউ শয্যার উদ্বোধন করা হয়েছে।
এসময়, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ.ন.ম ফয়জুল হক, পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক, সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির, বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. ভুইয়া হেমায়েত উদ্দিন, বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশন, বাগেরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মোঃ মোশাররফ হোসেন, সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের একান্ত সচিব এইচএম শাহিনসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।উদ্বোধন শেষে বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান করোনা হাসপাতালে আরও একটি আইসিউ শয্যা দেওয়ার ঘোষনা করেন।
সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের একান্ত সচিব এইচএম শাহিন বলেন, সংসদ সদস্য মহোদয় সব সময় বাগেরহাটের মানুষের সেবা করার বিষয়ে বদ্ধ পরিকর। এর অংশ হিসেবে করোনা সংক্রমনের শুরুতেই বাগেরহাটে ভ্রাম্যমান চিকিৎসা সেবা, ডক্টরস সেফটি কর্নার, ডাক্তারের কাছে রোগী নয়-রোগীর কাছে ডাক্তারসহ নানা নানা ধরণের উদ্যোগ গ্রহন করেছিলেন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ও সংসদ সদস্য মহোদয় অনেক উদ্যোগ নিয়েছেন। আজ তার নিজস্ব তহবিল থেকে আইসিইউ তিনটি শয্যা প্রদান করলেন। ভবিষ্যতে বাগেরহাটের মানুষের কল্যানে এ ধরণের আরও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির বলেন, করোনা হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেনসহ ৩০টি শয্যা রয়েছে।আমরা রোগীদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এখানে আইসিউ না থাকায় গুরুত্বর রোগীদের খুলনা স্থানান্তর করতে হত। যার ফলে অনেক রোগী-ই বিপদে পরে যেতেন। আজ এখানে আইসিউ শয্যা সংযোজিত হল। এর ফলে আমরা গুরুত্বর অসুস্থ্য রোগীদের এখানেই চিকিৎসা প্রদান করতে পারব।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ.ন.ম ফয়জুল হক বলেন, বাগেরহাট সদর হাসপাতালসহ জেলার কোথাও আইসিইউ শয্যা ছিল না। আজ বাগেরহাটের করোনা হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা সংযোযিত হওয়ায় করোনা রোগীদের চিকিৎসায় যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। আমরা সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সাধুবাদ জানাই।
বাগেরহাটে বোরো ধান কাটা শুরু, কামারের দোকানে কৃষকের ভিড়
স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাট
বাগেরহাটের চিতলমারীতে বোরা ধান কাটা শুরু হয়েছে। পাঁকা ধান কাটতে নতুন কাস্তে কিনতে কামারের দোকানে কৃষকদের ভিড় পড়েছে। ধান কাটতে এ উপজেলায় বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে মজুররা আসছেন। সব মিলিয়ে এ অঞ্চলের কৃষাণ-কৃষাণীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
চিতলমারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে মোট ২১টি ব¬ক রয়েছে। একুশটি ব¬কে এবছর বেরো মৌসুমে ২৮ হাজার ৫২৮ একর জমিতে হাইব্রিড ও ৩৮৩ একর জমিতে উফশী জাতের ধান চাষ হয়েছে। এখানের প্রায় ৩০ হাজার পরিবার এই ধান চাষের সাথে জড়িত। এই ধানের উপর তাদের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড অনেকটা নির্ভর করে। প্রথমদিকে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ বছরও ধানের বাম্পার ফলন আশা করা হয়েছিল। কিন্তু উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বোরো ধান পাকার আগ মুহূর্তে ক্ষেতে কারেন্ট পোকার (মৌয়া) আক্রমণ দেখা দেয়। স্থানীয় কৃষি বিভাগ কারেন্ট পোকার আক্রমণে ধান চাষিদের আতঙ্কিত না হয়ে পোকার হাত থেকে ধান ক্ষেত রক্ষার জন্য কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। এর কিছু দিন পরেই ঝড়ো বাতাস ও অতিরিক্ত তাপমাত্রায় বোরো ধানের অনেক ক্ষতি হয়। প্রায় ৫০০ একর ধানের জমিতে এ ক্ষতি হয়েছে। তারপরও সকল প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে জয় করে কৃষক ধুমধামের সাথে বোরো ধান কাটতে শুরু করেছেন। আগামী ১০-১৫ দিন ঝড়-বৃষ্টি না হলে কৃষকরা উৎপাদিত ধান শান্তিতে গোলায় তুলতে পারবেন।
উপজেলার পাটরপাড়া গ্রামের ইউনুস বিশ্বাস, সুরশাইলের শুভ্র শেখ, মুন্না শেখ, খড়মখালীর পরিতোষ মজুমদার, খলিশাখালির শিপলু বিশ্বাস, আদিখালির এনায়েত মিয়া ও কুরমনির বুদ্ধ বসু, বলরাম বিশ্বাস ও পরিমল বিশ্বাসসহ ধান চাষিরা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, অনেক খড়-কুটো জ্বালিয়ে আমরা এ বছর বোরো ধান উৎপাদন করেছি। অনেকের ধান কাটা শুরু হয়েছে। আগামী ১০-১৫ দিন ঝড় বৃষ্টি না হলে আমরা ধান শান্তিতে ঘরে তুলতে পারব। আর ন্যায্যমূল্য পেলে মিটবে ধারদেনা।
এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, আমরা সব সময়ই ধান চাষিদের খোঁজ-খবর রাখছি। এ উপজেলায় প্রায় ৩০ হাজার কৃষক পরিবার রয়েছে। কারেন্ট পোকা ও অতিরিক্ত তাপমাত্রায় বোরো ধানের কিছু ক্ষতি হলেও ধান কেটে ঘরে তোলার আগে পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে কৃষকরা ভাল ফলন পাবেন।
মোংলায় মসজিদের ৫ হাজার মুসল্লীদের মাঝে স্থানীয় প্রশাসনের মাস্ক বিতরণ
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
মোংলায় ৫ হাজার মুসল্লীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। শুক্রবার জুম্মার নামাজের আগ মুহূর্তে পৌরসভার কেন্দ্রীয় বাজার জামে মসজিদ, ট্রেডার্স মসজিদ, বিএলএল মসজিদ, হাসপাতাল মসজিদ, থানা মসজিদ, উপজেলা মসজিদসহ প্রায় ২৫টি মসজিদে গিয়ে গিয়ে মসজিদের ইমাম ও খতিব এবং কমিটির নেতৃবৃন্দদের হাতে এ মাস্ক তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমলেশ মজুমদার। এ সময় তার সাথে ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার রাজবংশী, মোংলা-রামপাল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আসিফ ইকবালসহ পুলিশ সদস্যরা। স্থানীয় প্রশাসনের এ কর্মকর্তারা মসজিদের মুসল্লিদের পাশাপাশি পথচারীদের মাঝেও মাস্ক বিতরণ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমলেশ মজুমদার বলেন, সংক্রমণ রোধে মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প নেই। তাই মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করণের জন্য এবং সকলকে মাস্ক ব্যবহারে উদ্ভুদ্ধ করতেই স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ প্রচারাভিযান চালানো হচ্ছে।
পাইকগাছার জেলে পল্লীতে যতায়াতের পথে অবরুদ্ধ করা কাঠ, বাঁশ, ড্রাম চাটাই আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ: পক্ষ বিপক্ষ উভয়কে দোষারোপ
বাবুল আক্তার, পাইকগাছা
পাইকগাছার জেলে পল্লিতে কাঠ, বাঁশ, ড্রাম চাটাই দিয়ে যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেয়ায় পক্ষ-বিপক্ষের চারটি পরিবার প্রায় ১ মাস ধরে অবরুদ্ধ। বৃহষ্পতিবার গভির রাতে বাঁশ, কাঁঠ ও ড্রাম কে বা করা আগুন ধরিয়ে দেয়। এলাকাবাসী তাৎক্ষণিক আগুন নিভিয়ে দেয়। এ নিয়ে পক্ষ প্রতিপক্ষ উভয়ের বিরুদ্ধে দোষারুপ করছে। দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে।
জানা যায়, উপজেলার হিতামপুর গ্রামের বিষ্ণুপদ বিশ্বাসদের সাথে যাতায়াতের পথ নিয়ে প্রতিবেশী মহিতোষ ও উজ্জ্বল বিশ্বাসদের ৭ মাস ধরে বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে দুটি পক্ষ মামলায় জড়িয়ে পড়ে। কৃষ্ণপদ বিশ্বাস পাইকগাছা সিনিয়র সহকরী জজ আদালতে মামলা করে। এ মামলায় বিজ্ঞ বিচারক প্রতিপক্ষ মহিতোষদের বিরুদ্ধে অন্তর্র্বতীকালীন নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। এছাড়া নির্বাহী আদালত থেকে ১৪৪ ধারার মামলায় বাদী বিষ্ণুপদ বিশ্বাস দখল ভিত্তিক স্থিতি অবস্থার আদেশ প্রাপ্ত হন। এর মধ্যে প্রায় ১ মাস আগে বিষ্ণুপদদের যাতায়াতের পথে মাথায় ও শীতলা মন্দিরের পাশে জঙ্গল থেকে ফিরে এসে কাঠ, বাঁশ লোহার গ্রাফি সহ জিনিসপত্র রেখে পথটি বন্ধ করে দেয়। এ কারণে বিষ্ণু, কৃষ্ণ ও জগদীশদের ৩টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। অপরদিকে, প্রতিপক্ষ মহিতোষ ও উজ্জ্বল বিশ্বাস জানান, উক্ত পথ দিয়ে তারা চলাচল করতো। সে
পথ বন্ধ করে দেয়ায় আমরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। তাদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়ায় মন্দিরের লোকজন তাদেরকে উক্ত পথের মাথায় ঐ সমস্ত জিনিসপত্র রাখতে বলেন। এ ব্যাপারে মন্দির কমিটির সুবল জানান আমরা দু’পরিবারকে সমঝোতা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা মনে করেছিলাম তাদের দু’পক্ষকে অবরুদ্ধ করে রাখলে দুটিপক্ষ সমঝোতায় আসবে। কিন্ত তার আগেই কে বা করা বৃহষ্পতিবার গভীর রাতে রাস্তার উপর রাখা মালামাল আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ মহিতোষ ও উজ্জল বিশ্বাস প্রতিপক্ষদের নামে মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
শরণখোলায় গাছ চাপা পড়ে জেলের মর্মান্তিক মৃত্যু
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
বাগেরহাটের শরণখোলায় গাছ চাপা পড়ে রাকিব তালুকদার (১৮) নামের এক জেলের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকাল ৮টায় উপজেলার পশ্চিম রাজাপুর গ্রামে। রাকিব ওই গ্রামের মোঃ আশ্রাব আলী তালুকদারের পুত্র।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য হুমায়ুন করিম সুমন জানান, প্রতিবেশী বাদশা হাওলাদার তার কর্তন করা একটি শিরিজ গাছ করাত কলে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাকিবের সহযোগীতা চায়। রাকিব তার সহযোগীদের নিয়ে গাছটি গাড়ে তুলে রাস্তায় নেয়ার সময় পিছলে পড়ে যায়। এসময় রাকিব ওই গাছের নীচে চাপা পড়ে মাথায় আঘাত পায় এবং ঘটনা স্থলেই তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। রাকিব সুন্দরবনের একজন পেশাদার জেলে।
শরণখোলা থানার ওসি মোঃ সাইদুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। যেহেতু অসাবধানতা বসত ঘটনাটি ঘটেছে এবং কোন অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ দাফন করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।