দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ৪১২তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৮৮ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৮৬৯ জনে।
এই নিয়ে টানা চারদিন মৃত্যু ১০০’র নীচে নামলো। গতকাল ৯৮ জনের মৃত্যু হয়। বুধবার ৯৫ ও মঙ্গলবার ৯১ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে শুক্র ও শনিবার ১০১ জন, রোববার ১০২ জন ও সোমবার সর্বোচ্চ ১১২ জনের মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ২৫ হাজার ৮৯৬টি নমুনা পরীক্ষায় তিন হাজার ৬২৯ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ লাখ ৩২ হাজার ৮০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৩ লাখ ৭০ হাজার ৯২৮টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৩ লাখ তিন হাজার আটটি নমুনা।
এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন সাত লাখ ৩৯ হাজার ৭০৩ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ হাজার ২২৫ জনসহ মোট ছয় লাখ ৪৭ হাজার ৬৭৪ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৮৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ৬২ জন পুরুষ ও ২৬ জন নারী। তাদের মধ্যে ৮৭ জনের হাসপাতালে (সরকারীতে ৫৩ জন, বেসরকারীতে ৩৪ জন) ও এক জন মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ১০ হাজার ৮৬৯। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৪৭ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত আট হাজার ১০ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭৩ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং দুই হাজার ৮৫৯ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৬ দশমিক ৩০ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৮৮ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব ছয় জন, চল্লিশোর্ধ্ব ছয় জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৫ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৬০ জন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৫৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮ জন, রাজশাহী বিভাগে তিন জন, খুলনা বিভাগে তিন জন, সিলেট বিভাগে তিন জন, রংপুর বিভাগে তিন জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে পাঁচ জন।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১৪ কোটি ৫৪ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৩০ লাখ ৮৭ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১২ কোটি ৩৪ লাখের বেশি।
-ঢাকা অফিস