খুলনায় করোনায় আক্রান্ত ৩০ হাজার ছাড়াল, মৃত্যু ৫৪২

2
Spread the love

খুলনায় বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী মৃতের সংখ্যা। বিভাগে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। একইসঙ্গে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪২ জনে। অবস্থায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় শনাক্ত হয়েছে ৩০ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ১৫৬ জন।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪২ জনে। ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৬ হাজার ৮৪৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৬৩ জন।

এদিকে বিভাগে আক্রান্ত মৃতের সংখ্যার দিক থেকে খুলনা জেলা শীর্ষে রয়েছে। পর্যন্ত খুলনায় আক্রান্ত হয়েছেন হাজার ৭১৪ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩৯ জন। সুস্থ হয়েছেন হজার ৫৩৯ জন।

এছাড়া বাগেরহাটে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন হাজার ২৮৯ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩১ জন। সুস্থ হয়েছেন হজার ১৭১ জন। সাতক্ষীরায় আক্রান্ত হয়েছেন হাজার ২৪৫ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪০ জন। সুস্থ হয়েছেন হজার ১৬৪ জন।

যশোরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন হাজার ৬৯ জন। মারা গেছেন ৬৮ জন। সুস্থ হয়েছেন হজার ১৬৯ জন। নড়াইলে আক্রান্ত হয়েছেন হাজার ৭৫০ জন। মারা গেছেন ২২ জন। সুস্থ হয়েছেন হজার ৬৫৫ জন।

মাগুরায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন হাজার ১৯৪ জন। আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৩ জন। সুস্থ হয়েছেন হজার ৯৪ জন। ঝিনাইদহে আক্রান্ত হয়েছেন হাজার ৬৯৩ জন। মারা গেছেন ৫০ জন। সুস্থ হয়েছেন হজার ৪৪৯ জন। 

কুষ্টিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন হাজার ৫২১ জন। আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১০৩ জন। সুস্থ হয়েছেন হজার ১৮২ জন। চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত হয়েছেন হাজার ৮৩৬ জন। মারা গেছেন ৪৯ জন। সুস্থ হয়েছেন হজার ৬৬৬ জন।        

সর্বনিম্মে রয়েছে মেহেরপুর। এখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯১ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭৫৭ জন।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা বলেন, করোনায় সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে। মানুষকে সচেতন হতে হবে। সামাজিক দূরত্ব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন, জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে চললে সংক্রমণ মৃতের সংখ্যা কমবে বলে তিনি আশাবাদী।  

স্টাফ রিপোর্টার