সুন্দরবনে নদী ও খালে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকারের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর ফলে মাছের সাথে সাথে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জলজ প্রানী মারা যেয়ে একদিকে যেমন পরিবেমের উপর বিরুপ প্রভাব অন্যদিকে বিষ প্রয়োগে শিকার করা মাছ খেয়ে মানুষসহ অন্রান্য প্রানী স্বাস্থ্যগতভাবে মারাত্মক ঝুকির মুখে পড়েছে। সুন্দরবনে জেলেরা ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘন ভেশালি জাল এবং বিষ দিয়ে মাছ ধরার কারনে মাছের পাশাপাশি এবার কমতে শুরু করেছে মায়াবী হরিণ। প্রায় এক যুগ আগে বন বিভাগ মাছ ধরার কাজে নিষিদ্ধ করেছেন ঘন ভিশালি জাল,অথচ জেলেরা বন কর্মচারিদের চোখ এড়িয়ে বনে ভেশালি জাল দিয়ে ছোট ছোট মাছ ধরছে। এদিকে ৫ বছর আগে সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরার খবর শোনা না গেলেও বর্তমানে সম্পূর্ণ ব্যবহার নিষিদ্ধ জাল ও বিষের প্রবণতা বেড়েছে।
উল্লেখ্য রবিবার ভোর আনুঃ ৬ টার সময় কয়রা সদর ইউনিয়নের সুন্দরবন সংলগ্ন ৬ নং কয়রা লঞ্চঘাটের পাশ থেকে পুলিশ ৩ জন জেলে ও নিষিদ্ধ ভিশালি জাল আটক করেছে। আটকের পর জেলেদের নৌকা থেকে বিষ দিয়ে ধরা আরও ১২০ কেজি ছোট চিংড়ী জব্দ করা হয়েছে।জানা গেছে কাশিয়াবাদ পুলিশ ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসব আটক করে। এছাড়া এর আগেও একাধিক এ ধরনের অসাধু জেলে এবং নিষিদ্ধ জাল ও বিষ আটক করা হয়েছে। এবিষয় পরিচয় গোপন করে একাধিক জেলে জানায়, সুন্দরবনের বৃহত্তর একটি অংশ মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকায় সামান্য এলাকায় বেশি জেলেরা মাছ ধরে থাকেন। তাার বলেন, বেশি লাভের আসায় এবং অতি গোপনে কতিপয় বনরক্ষির সাথে যোগাযোগ করে কিছু সংখ্যক জেলে নিষিদ্ধ জাল ও বিষ ব্যবহার করে আসছে এবং তার প্রভাব পড়ছে সকল জেলের উপর। এ বিষয় অপর একটি সুত্র জানায়, বিগত ২ বছর বনে বিষ দিয়ে মাছ ধরা বেড়ে গেলেও বন বিভাগ গুরুত্ব না দেওয়ায় সুন্দরবনে মাছের পরিমাণ প্রায় তলানিতে।
এছাড়া সুন্দরবন এলাকায় একাধিক অভিজ্ঞ জেলেদের কাছে কথা বলে জানা গেছে, কাশিয়াবাদ ফরেষ্ট স্টেশনের আওতায় যে সকল ফরেষ্ট ক্যাম্প রয়েছে তাদের অবহেলার কারনে এ ধরনের দুটি অপরাধ জেলেরা করতে সাহস পাচ্ছে। তারা বলেন, কিছু মাছ কোম্পানি এবং কিছু বন কর্মচারি উক্ত কাজের সাথে পরাক্ষভাবে জড়িত আছে বলে তাদের ধারনা। কেননা বনের মধ্যে খালে বিষ মারার কয়েক ঘন্টা ব্যাপক গন্ধ ছোটে এবং বন বিভাগ খাল সনাক্ত করে কোন জেলে একাখে মাছ ধরেছে খোজ নিলেই অপরাধ কমে যেত। এ সম্পর্কে কাশিয়াবাদ স্টেশন কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি ব্যস্ত থাকায় পরে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
– শাহজাহান সিরাজ, কয়রা