সারা খুলনা অঞ্চলের খবরা খবর

19
Spread the love

বটিয়াঘাটায় এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে ইফতার বিতরণ করেন-জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জামাল

খবর বিজ্ঞপ্তি

গতকাল বটিয়াঘাটা বাজারস্থ হাজী মনোয়ার জাহাঙ্গীর হাফেজিয়া মাদ্রাসা এতিমখানার শিক্ষার্থীদের মাঝে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে ইফতার বিতরণ করেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জেলা যুবলীগ সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান জামাল। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ জামিল খান, জেলা যুবলীগ নেতা বিধান চন্দ্র রায়, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরান হোসেন, যুবনেতা জহির রায়হান, শেখ আজিজুর রহমান, বিকাশ হালদার, জেলা ছাত্রলীগ নেতা আমির মোমেনিন রানা, তানভীর রহমান আকাশ, কাজী নাজিব, আব্দুর রহমান, রাকিব মাহমুদ, আবিদ হাসান ফাহিম, সজল, সৈকত মোড়ল, মিজানুর রহমান লিটু, মিরাজ তালুকদার, আল ইমরান টুটুল, আলভী খান প্রমুখ।

বটিয়াঘাটায় বিশেষ অভিযান

বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি

বটিয়াঘাটা  থানা পুলিশের উদ্যোগে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় চলমান লকডাউন বাস্তবায়নে গত রবিবার দিনব্যাপী দরোগারভিটা সহ বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিমান পরিচালনা করা হয়। খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মোঃ মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে উক্ত অভিযান পরিচালিত হয়। সময় উপস্থিত ছিলেন থানার ওসি মোঃ রবিউল কবীর সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যবৃন্দ। লকডাউন চলাকালে কারণ ছাড়া ঘোরাঘুরি না করে, কাগজপত্র ছাড়া মটর সাইকেল চালানো এবং মাক্স না পরায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয় এবং অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও জানান  দেওয়া হয়। মূলতঃ গণ সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পুলিশের উদ্যোগে মাইকিং। অপরদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে অসহায়দের মাঝে ফ্রি মাস্ক বিতরণ করা হয়

বটিয়াঘাটার সনাতনীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব শ্রী শ্রী বাসন্তী দূর্গা পুঁজা

বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি

করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় চলমান লকডাউনের ভিতরে পড়েছে সারা দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ন্যায় বটিয়াঘাটার সনাতনীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব শ্রী শ্রী বাসন্তী দূর্গা পুঁজা। তাই কোন ঘটা নয়, শুধু মাত্র সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনে মাস্ক পরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব বাসন্তি পূঁজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রবিবার মহাষষ্ঠীর মাধ্যমেই প্ুঁজা  শুরু হয়। আগামী বৃহস্পতিবার মহা বিজয়ার মধ্যে দিয়ে পূঁজার সমাপ্তি ঘটবে। বসন্ত কালে দেবির পূঁজা হয় বলে একে বাসন্তি পূঁজা বলা হয়। আবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পক্ষ থেকে দেবিকে কালের দেবিও বলা হয়ে থাকে। উপজেলায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে সার্বজনীন সব মিলিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক মন্দিরে বাসন্তি পূঁজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানা যায়। উপজেলার জলমা, চক্রাখালী, গঁজালমারী, ছঁয়ঘরিয়া,হেতালবুনিয়া, বয়ারভাঙ্গা, ঢেউয়াতলা গঙ্গারামপুর, গুপ্তমারী, ফুলতলা, বাদামতলা হাটবাটি সহ বিভিন্ন এলাকার পূঁজা মন্ডপে মন্ডপে বাসন্তি পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মহামারী করোনা ভাইরাস আনুষ্ঠানিক সকল আনন্দ শেষ করে দিলেও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূঁজায় মনের আনন্দের কোন কমতি নেই সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনে মাস্ক পরে দিনব্যাপী বাসন্তি পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে এব্যাপারে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা  কমিটির সভাপতি নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, করোনা ভাইরাস যেহেতু মহামারী আকার ধারন করেছে, সেহেতু কালচারাল সকল প্রোগ্রাম বাদ দিয়ে সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনে মাস্ক ব্যবহার করে সিমিত সংখ্যক মানুষ মন্ডপে প্রবেশ করে পূঁজা সম্পন্ন করতে হবে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে নিজেদের স্বেচ্ছাসেবক টিম দিয়ে মন্দিরের স্বাস্থ্য বিধি  সুরক্ষা করতে হবে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন

বিএনপি নেতা জাফরি নেওয়াজ চন্দনের শ্বাশুড়ীর ইন্তেকাল : নেতৃবৃন্দের শোক

খবর বিজ্ঞপ্তি

জেলা বিএনপি’শিল্প বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক জাফরি নেওয়াজ চন্দনের শ্বাশুড়ী শিরিন আক্তার (৫১) রবিবার দিবাগত রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল¬াহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)তিনি ফুসফুস লিভারজনিত সমস্যা নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে তিন কণ্যা সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। আজ সোমবার (১৯ এপ্রিল) কমার্স কলেজ জামে মসজিদে জোহরবাদ মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে টুটপাড়া কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

মরহুমের নামাজে জানাজায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. এসএম শফিকুল আলম মনা, কেএম আশরাফুল আলম নান্নু, ওয়াইজ উদ্দিন সান্টু, শামসুল বারিক পান্না, জসিম উদ্দিন লাবু তানভীরুল আজম রুম্মান প্রমুখ।

এদিকে, বিএনপি নেতা জাফরী নেওয়াজ চন্দনের শ্বাশুড়ীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ, শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিবৃতি দিয়েছে জেলা বিএনপি’নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতারা হলেন জেলা বিএনপি’সভাপতি এ্যাড. এসএম শফিকুল আলম মনা, সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি ডাঃ গাজী আব্দুল হক, গাজী তাফছির আহমেদ, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, মোল¬খায়রুল ইসলাম, এ্যাড. শরিফুল ইসলাম জোয়াদ্দার খোকন, এ্যাড. মোল্যা মাসুম আল রশিদ, শেখ আবু হোসেন বাবু, জিএম কামরুজ্জামান টুকু, কেএম আশরাফুল আলম নান্নু, এ্যাড. একেএম শহিদুল আলম, এ্যাড. তসলিমা খাতুন ছন্দা, শেখ শামছুল আলম পিন্টু, অহিদুজ্জামান রানা, মুর্শিদুর রহমান লিটন, মশিউর রহমান যাদু, শামছুল বারিক পান্না, তানভিরুল আজম রুম্মান প্রমুখ। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।

কয়রায় প্রখর রৌদ্রে পায়ে হেঁটে বিধ্বস্ত গ্রামীণ জনপদ সড়ক পরিদর্শনে এমপি বাবু

খবর বিজ্ঞপ্তি

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের বিধ্বস্ত হয়ে পড়া গ্রামের রাস্তা পরিদর্শন করেছেন খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু। সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে পবিত্র রমজানের মধ্যে গ্রীষ্মের প্রখর রৌদ্রে রাস্তা পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করে আগামী সপ্তাহে কাজ শুরু করার আশ্বাস দেন তিনি। উত্তর বেদকাশীর কাছারীবাড়ি, কাটমারচর এলাকার ১০ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা করুণ, এসব রাস্তা পরিদর্শন করেন এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু। পরিদর্শনকালে সাংসদ আক্তারুজ্জামান বাবু আগামী সপ্তাহে জনগণের ভোগান্তি লাঘবে রাস্তার কাজ শুরুর আশ্বাস দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা শহরের সুবিধা নিশ্চিত করা হবে গ্রামে। পরিকল্পিত টেকসই উন্নয়নে গ্রামের প্রতিটি সড়ক হবে পাকা। আগে যেসব সড়ক দিয়ে মানুষ হেঁটে যাতায়াত করতে দুর্ভোগ পোহাতো, আগামীতে সেইসব সড়কে চলাচল করবে সব ধরনের গাড়ি। সরকারের প্রতিটি সেক্টর এখন গ্রামীণ জনপদের সড়ক উন্নয়নে টেকসই পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন। তিনি আরও বলেন, চলমান গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজসমূহ সমাপ্ত হলেই জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা মোতাবেক আগামীতে কয়রা-পাইকগাছার প্রতিটি জনপদ দৃশ্যমান পরিবর্তন হবে। যোগাযোগ খাতের অভাবনীয় পরিবর্তনে গ্রামের মানুষ পাবে শহরের সুবিধা। পরিদর্শনকালে কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাড. কমলেশ কুমার সানা,স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সরদার নূরুল ইসলাম কোম্পানী,জেলা যুবলীগ নেতা শামীম সরকার,উত্তর বেদকাশী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গনেশ চন্দ্র মন্ডল,যুবলীগ নেতা এ্যাডঃ আরাফাত হোসেন, জেলা ছাত্রলীগ নেতা মাসুদুর রহমান মানিক, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকু,সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাদল, ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল করিম সজীব, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাকারিয়া হোসেন, আছাফুর রহমান, মীর সদরুল আমিন সহ দলীয় নেতাকর্মী স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

করোনা সংক্রমণরোধে খুলনায় মোবাইল কোর্টের ৪০টি মামলায় ২২ হাজার সাতশত টাকা জরিমানা

তথ্য বিবরণী

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন মাস্ক পরিধান নিশ্চিতে খুলনা মহানগর উপজেলাসমূহে সোমবার মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৪০টি মামলায় ২২ হাজার সাতশত টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের আহবান জানানো হয় এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে প্রচারণা চালানো হয়। খুলনা জেলা প্রশাসক জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সংশ্লিষ্ট  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি)গণ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জেলা প্রশাসনের অনুরূপ অভিযান অব্যাহত থাকবে। খুলনা জেলা প্রশাসনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসকল তথ্য জানানো হয়েছে।

ঝাউডাঙ্গায় সরকারি জায়গায় বহুতল ভবন নির্মানের পায়তারা চলছে

খান নাজমুল হুসাইন, সাতক্ষীরা 

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা বাজারের উপর দিয়ে বেতনা নদীর পাড়ে সরকারি জায়গা জবর দখলের মহা উৎসব চলছে। এতে রক্ষক হয়ে ভক্ষণ করছে ওয়ারিয়া গ্রামের মনোরঞ্জন  ঘোষ এর পুত্র ঝাউডাঙ্গা জগন্নাথদেব মন্দিরের সাধারন সম্পাদক বিষু ঘোষ,বহুতল ভবনের নির্মানের পাইতারা চালাচ্ছে।তথ্য সূরে জানাযায়,বেতনানদী সংস্কারনের জন্য ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি সরকার নদীর প্রয়োয়জনে খাস খতিয়ান করে নেই, পরবর্তীতে ওয়ারিয়া গ্রামের মনোরঞ্জন  ঘোষের পুত্র বিষু ঘোষ মন্দিরকে পুজি করে  জগন্নাথদেব মন্দিরের জায়গা দাবি করে নিজে খাস জমি জবর দখল পূর্বক বহুতল বিশিষ্ট ঘর নির্মানের পাইতারা চালিয়ে চাচ্ছে।কোন রাঘব বয়োল এর ছত্র ছায়ায়,সরকারি জমি জবর দখল পূর্বক বহুতল ভবনের নির্মান কাজ চালিয়ে চাচ্ছে জানতে বড় ইচ্ছা করছে সচেতন মহলের?ওয়ারিয়া মৌজার ১০০৯খতিয়ানের ৪৪/৪৫ দাগের প্রায় শতক জমিতে পূর্বপরিকল্পিত পন্থায় ঘর নির্মান করছে বিষু ঘোষ। শনিবার(১০ এপ্রিল) সকালে  স্থানীয় বাজার এর সচেতন মহল বাধা দিলে কাজ বন্ধ করে দেয় এবং ঝাউডাঙ্গা তহসিল অফিসকে মৌখিক ভাবে জানালে তৌহসিলদার বিষু ঘোষকে নোটিশ করে৷ কিন্তু(১৮ এপ্রিল) ঘটনা স্থানে যেয়ে দেখাযায়,আবারও ক্ষমতার দাপটে ঘর নির্মান কাজ চালিয়ে চাচ্ছে। বিষয়ে ওয়ারিয়া গ্রামের নিরঞ্জন ঘোষের পুত্র বিষুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমরা ১৯২৭ সাল থেকে এই জমি ভোগ দখল করে আসছি,আমাদের দলিল আছে,তিনি আরো বলেন বর্তমান রেকার্ডে আমাদের নাম নেই। ঝাউডাঙ্গা বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক জাহিদ হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,জমিটা তাদেন পৃর্ব পরুষের সম্পত্তি  কিন্তু ১৯৯০ সালে খাস খতিয়ানে চলে যায়,জমি নিয়ে মন্দিরের জায়গা দাবী করে সাতক্ষীরা আদালতে মামলা চলছে। বিষয়ে ঝাউডাঙ্গা তৌহসিলদার এই প্রতিবেদককে জানান,সরকারি জমিতে ঘর নির্মান করছে আমরা তাকে নোটিশ দিয়েছি বন্ধ করার জন্য,পরবর্তীতে সে যদি ঘর নির্মান করে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মোস্তফা ছিলেন হরিঢালী আ’লীগের দুঃসময়ের ত্যাগী নেতা হরিঢালীতে বাবু এমপি

এইচ এম হাশেম, কপিলমুনি

গোলাম মোস্তফা ছিলেন আ’লীগের দুঃসময়ের ত্যাগী নেতা। দলের ক্রান্তিকালে  দলকে সু-সংগঠিত করতে তার ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। হরিঢালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরদার গোলাম মোস্তফা’কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে যানাযায় অংশগ্রহণ করে খুলনা ৬-আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। মরহুমের গ্রাম পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালীর ফুটবল মাঠে সোমবার সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত উক্ত যানাযায় আরো উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান জামাল, পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার ইকবাল মন্টু, জেলা আ’লীগের সদস্য মোঃ জামিল খান, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কাওছার আলী জোয়াদ্দার, হরিঢালী ইউনিয়ন আ’লীগের আহবায়ক শেখ বেনজীর আহম্মেদ বাচ্চু, উপজেলা আ’লীগের নেতা প্রভাষক ময়নুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরান হোসেন ইমু, শেখ ইকবাল হোসেন খোকন, গাজী মিজানুর রহমান, গাজী আব্দুর রাজ্জাক রাজু, এম এম আজিজুল হাকিম, আজমল হোসেন বাবু, মাসুদুর রহমান মানিক, মোঃ ইমরান হোসেন মোল্লা, মুজিবুর রহমান ফকির, রাজিব গোলদার, আল আমিন মোড়ল, মীর ছদরুল আমিন, রায়হান পারভেজ রনি, নয়ন, খন্দকার মিজানুর রহমান, সরদার জাহাঙ্গীর, সরদার জালাল, পাপ্পু রহমান, রিমেল, মেহেদী, আকাশ, খায়রুল, রিয়াদ, কাদের, প্রিতিশ, সিরাজুল, সিকো প্রমুখ। প্রসংগত, সরদার গোলাম মোস্তফা শ্বাসকষ্ট, ডেংগুসহ নানা জটিলরোগে আক্রান্ত হয়ে রবিবার সকালে মৃত্যুবরণ করেন। গত ২৫ মার্চ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। সেমাবার বেলা ১১ টায় হরিঢালীতে তার পারিবারিক কবরস্থনে দাফন করা হয়।

তালায় অগ্নিকান্ডে দুটি দোকান পুড়ে ছাই

ইলিয়াস হোসেন, তালা

সাতক্ষীরার তালায় আগুনে পুড়ে দুটি দোকান ছাই হয়েছে। সোমবার বিকালে উপজেলার মেলাবাজার লিচু তলার মোড় সংলগ্ন দুটি দোকানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থালে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সাগর স্টোর সিয়াম স্টোর এর যাবতীয় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার মালামালের ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে তিনটার দিকে হঠাৎকারে দোকানের ভিতর আগুন জ্বলতে দেখে লোকজন চিৎকার শুরুকরে এসময় পার্শ্ববর্তী রাইচ মিলে থাকা শ্রমিকরা ছুটে এসে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।

এঘটনায়  সাগর স্টোর এর মালিক গিয়াস উদ্দিন জানান, আজ দুপুর ২টার দিকে দোকান বন্ধ করে আমি বাড়ী যায়। সাড়ে টার দিকে জানতে পারি আমার দোকনে আগুন লেগেছে। পরে আমি ঘটনা স্থলে এসে দেখি আমার দোকন পুড়ে ছায় হয়ে গেছে। আমি প্রায় লক্ষ টাকা ঋণ করে দোকান শুরু করেছিলাম। দোকানের বয়স মাস পার না হতেই আমার সব শেষ।

সিয়ারম স্টোর এর মালিক মারুফ হোসেন জানান, আমি আকশ্মিক আগুন লাগার খবর জানতে পেরে দোকানে এসে তড়ীঘড়ি করে কিছু মালামাল বের করে নিয়েছি। তার পরও আমার টিভি, ফ্রিজসহ বহু টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

এঘটনায় সাতক্ষীরা ফায়ার সর্ভিসের স্টেশন অফিসার মিজানুর রহমান জানান, আজ দুপুরে মুঠোফনে জানতে পারি তালা উপজেলার মেলাবাজার লিচু তলার মোড় সংলগ্ন দুটি দোকানে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনি। তবে কি কারণে অগ্নিকা-ের উৎপত্তি হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যতিক সর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। বর্তমান পরিস্থিত স্বাভাবিক রয়েছে।

রূপসায় বনদস্যু রাজু বাহিনীর প্রধান বন্দুকের বাটসহ গ্রেফতার

রূপসা প্রতিনিধি

সুন্দরবনের বনদস্যু রাজু বাহিনীর প্রধান রাজু মোল্লা (৪৯) কে রূপসা থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তার নামে হত্যা, চাঁদাবাজি, অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গত ১৮ এপ্রিল বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রূপসা থানা অফিসার ইনচার্জ সরদার মোশাররফ হোসেন, ওসি তদন্ত সিরাজুল ইসলাম এস আই বাবলা দাস সহ সঙ্গীয় ফোর্স এক অভিযান শুরু করে রাজুর বাড়ির এলাকায় এবং বাড়ীর আশ-পাশে পুলিশের উপস্থিত টেরপেয়ে রাজু দৌড়িয়ে পালানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে পুলিশের কাছে ধরাপড়ে যায়। আটককৃত রাজুর বসত ঘরে তল্লাশী করে একটি দেশী তৈরী বন্দুকের বাট একটি অস্ত্রের বোল্ট পাওয়া যায়। পুলিশ সূত্রে জানাযায় ২০১৭ সালে খুলনায় র‌্যাবের হাতে অস্ত্র জমা দিয়ে রাজু তার বাহিনীর সদস্যরা আতœসমর্পন করেছিল। তারপর কিছুদিন আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে না এসে বরং পূর্বের জীবনে ফিরে যাবার জন্য দল সংগঠিত করার চেষ্টা করছে বলে পুলিশ জানায়। রাজু উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের আলাইপুর গ্রামের শাহাদাত মোল্লার ছেলে। এব্যাপারে রূপসা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। যার নং-১৩, তাং-১৮/৪/২১ইং।

খুলনায় করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন পাঁচ হাজার চারশত ৯৬ জন

তথ্য বিবরণী

খুলনায় সোমবার মোট পাঁচ হাজার চারশত ৯৬ জন করোনার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। এর মধ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় দুই হাজার সাতশত ৮৮ জন এবং নয়টি উপজেলায় মোট দুই হাজার সাতশত আট জন। উপজেলাগুলোর মধ্যে দাকোপ দুইশত ৭৭ জন, বটিয়াঘাটায় তিনশত ১২ জন, দিঘলিয়া একশত দুই জন, ডুমুরিয়া পাঁচশত তিন জন, ফুলতলা তিনশত ৫২ জন, কয়রা দুইশত ৮৩ জন, পাইকগাছা চারশত ৩৫ জন, রূপসা তিনশত ২১ জন এবং তেরখাদায় একশত ২৩ জন দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণ করেছেন। টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ তিন হাজার চারশত ৫০ এবং মহিলা দুই হাজার ৪৬জন।

পর্যন্ত খুলনা জেলায় মোট ৪৩ হাজার ৩৪ জন দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণ করেন। এর মধ্যে পুরুষ ২৮ হাজার সাতশত ৩৯ এবং মহিলা ১৪ হাজার দুইশত ৯৫ জন।

সোমবার প্রথম ডোজে মোট ছয়শত চার জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এর মধ্যে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় দুইশত ১২ জন এবং নয়টি উপজেলায় মোট তিনশত ৯২ জন। টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ তিনশত ২০ এবং মহিলা দুইশত ৮৬ জন। এপর্যন্ত মোট এক লাখ ৭২ হাজার আটশত ৬৬ জন করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ দুই হাজার চারশত ১৬ এবং মহিলা ৭০ হাজার চারশত ৫০ জন। খুলনা সিভিল সার্জন দপ্তর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসকল তথ্য জানানো হয়েছে।

সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে নির্যাতনের পর গালে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ইন্দিরা গ্রামে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে নির্যাতনের পর গালে বিষ ঢেলে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার রাতে সদর উপজেলার আবাদেরহাট ইন্দিরা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর স্বামী পলাতক রয়েছে।

নিহত গৃহবধূর নাম শম্পা বেগম (২২)তিনি সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের বাবলু সরদারের মেয়ে ইন্দ্রিরা গ্রামের হবি সরদারের স্ত্রী।

নিহত শম্পার চাচতো ভাই আবুল কাশেম জানান, শম্পার স্বামী হবি সরদার একজন চিহ্নিত মাদক চোরাকারবারি। দীর্ঘদিন ধরে হবির সাথে পারিবারিক কলহের কারণে তার চাচাতো বোন শম্পা তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। রবিবার সকালে সে তার স্বামীর বাড়িতে যায়। সেখানে গেলে তার স্বামী তাকে নির্যাতনের পর জোর করে গালে বিষ ঢেলে হত্যা করে। পরে তার স্বামী হবি নিজে শম্পাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এদিকে, ঘটনার পর থেকে তার স্বামী হবি পলাতক রয়েছে।

তিনি আরো জানান, শম্পা হবির সংসারে রিয়াদ নামের পাঁচ বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্তাপ্ত কর্মকর্তা বুরহান উদ্দিন জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর তার মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে।

সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে ভারতে পাচারের সময় পিস স্বর্ণের বারসহ এক চোরাকারবারী আটক

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

ভারতে পাচারের সময় সাতক্ষীরার শিকড়ী সীমান্ত থেকে ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের পিস স্বর্ণের বারসহ এক চোরাকারবারী আটক করেছে বিজিবি। রবিবার রাতে সদর উপজেলার শিকড়ী সীমান্ত থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক চোরাকারবারীর নাম নুরুল ইসলাম (৫৫)তিনি সদর উপজেলার বৈকারী ছয়ঘরিয়া গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে।

বিজিবি জানায়, স্বর্ণের একটি বড় চালান বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি কালিয়ানী বিওপি’টহল কমান্ডার নায়েক শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহলদল রাতে শিকড়ী সরদারবাড়ী পাকা রাস্তার মোড় নামক স্থান থেকে সাড়ে ৩’গ্রাম ওজনের দুই পিস স্বর্ণের বার একটি হিরো হোন্ডা মোটরসাইকেলসহ চোরকারবারী নুরুল ইসলামকে আটক করে। জব্দকৃত স্বর্ণের বারের মূল্য আনুমানিক ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

বিজিবি সাতক্ষীরাস্থ ৩৩ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল কর্নেল মোহাম্মদ আল-মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃত আসামীকে সাতক্ষীরা সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

বাগেরহাটে হাত-পা বাধা অবস্থায় পুকুর থেকে একজনকে জীবিত উদ্ধার

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাট গম্বুজ ইউনিয়নের খান জাহানিয়া বসত ভিটা সরকারী বিষ পুকুর থেকে মোঃ হারুন হাওলাদার নামে এক দিন মজুরকে হাত- পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করেছে স্থানীয় জনগন। রবিবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে ঘটনা ঘটে। মোঃ হারুন হাওলাদার বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউানয়নের মগরাহাট গ্রামের ইশারত হাওলাদারের ছেলে।

খোজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় মোঃ হারুন হাওলাদার বাড়িতে ঘুমিয়েছিলেন। রাত্র পৌন তিনটার দিকে হারুনকে কাকা বলে ডাকলে সে ঘর থেকে বের হলে ৫/জন সন্ত্রাসী তার মুখ কাপড় দিয়ে চেপে ধরে খান-জাহানিয়া বসত ভিটা সরকারী বিষ পুকুরের পাশের্^ নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। সময় একটি সাদা কাগজে জোর করে সই নেয়  হারুনের। পরে সন্ত্রাসীরা মোঃ হারুন হাওলাদারের হাত-পা বেধে বস্তার ভিতর ভরতে গেলে সন্ত্রাসীদের সাথে ধস্তা-ধস্তি হয় হারুন হাওলাদার বাচাও বলে চিৎকার দেয়। এসময় পাশর্^বতি আব্দুল আজিজ ,ওমর ফারুক, মোসলেম হাওলাদার লাইট নিয়ে বের হলে সন্ত্রাসীরা হারুন হাওলাদারকে খান জাহানিয়া বসত ভিটা সরকারী বিষ পুকুরে ফেলে দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। সময় স্থানীয়রা উদ্ধার করে দ্রুত বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। আসন্ন ইউপি নির্বাচনের জের ধরে ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছে। ইতি পূর্বেও তাকে একাধিক বার জীবন নাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

বিষয়ে বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ আহত মোঃ হারুন হাওলাদারকে দেখতে সদর হাসপাতালে গিয়েছে। বিষয়টি সঠিক তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

করোন ভাইরাসঃ কঠোর লকডাউন’ এর ৬ষ্ঠ দিনে কয়রায় রাস্তায় বেরিকেড

কয়রা প্রতিনিধি

করোনা ভাইরাস সংক্রমনের উর্ধ্বগতি করোনার ২য় ঢেউ মোকাবেলা  সংক্রমণ ঠেকাতে কয়রায় ৬ষ্ঠ দিনে সকাল থেকে সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকর হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাসের নেতৃত্বে কঠোর লকডাউন কার্যকর করার জন্য বহু রাস্তায় বেরিকেড বসিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কয়রা সদরের বিভিন্ন  গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় পুলিশ চেকপোষ্ট বসিয়েছে। এসব চেক পোষ্টে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তায় বের হবার কারণ জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। যে সব পেশার মানুষ জরুরি সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের চেকপোষ্ট অতিক্রম করার অনুমতি দিয়ে অন্যদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।  বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেল কঠোর লকডাউন কার্যকর করার জন্য পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তৎপর রয়েছে। রাস্তায় চেকপোষ্ট স্থাপনের মাধ্যমে অধিকাংশ মানুষকে বিনা কারণ ছাড়া বাড়ী থেকে বের হলে তাদেরকে ফিরতি পথে ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব হলেও অনেক বাজারে আসা মানুষ কারণ ছাড়াও মিথ্যা অকারনে মিথ্যা কথা বলে বাজারে প্রবেশ করছে। এছাড়াও অনেকে প্রশাসনের অগোচরে দোকানপাট খুলে বাইরে বসছে। বিষয়গুলোকে আরো বেশি কঠোর নজরদারিতে আনার জন্য কটোর অবস্থান নিয়েছে সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিনেও কয়রা উপজেলা প্রশাসন কয়রা থানা পুলিশ। লক্ষ্য করা গেছে কয়রা সদর কয়রা প্রেসক্লাব মোড় জালালের মোড় সহ মূল সড়কগুলোর মোড়গুলোতে বাঁশ দিয়ে এই সাময়িক ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস জানান, সরকারিভাবে ঘোষিত কঠোর লকডাউন কে মানাতে উপজেলা প্রশাসন কয়রা থানা পুলিশ সর্বদাই মাঠে কঠোরভাবে অবস্থান নিবে এবং সাধারণ এলাকাবাসীকে সুরক্ষিত রাখার জন্য অবশ্যই কঠোর লকডাউন মানতে বাধ্য করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যহত থাকবে।

লক ডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে খুলনা মেট্টোপলিটন পুলিশ

খবর বিজ্ঞপ্তি

মহামারী করোনা ভাইরাস এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় খুলনাসহ সারাদেশে চলছে কঠোর লকডাউন। খুলনা মেট্টোপলিটন পুলিশ সরকার নির্দেশিত এই কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করার জন্য মাঠ পর্যায়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। খুলনা মহানগরীর প্রবেশদ্বারসহ বিভিন্ন স্থানে সর্বমোট ২৬ টি চেকপোস্ট বসিয়ে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য চেকপোস্ট কার্যক্রম  জোরদার করা হয়েছে এবং এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চলমান লকডাউন কার্যক্রমে কেএমপির আট (০৮) টি থানা এলাকায় গত ১৪ এপ্রিল ২০২১ খ্রি: থেকে ১৮ এপ্রিল ২০২১ খ্রি: পর্যন্ত আটককৃত মোটরসাইকেল ৩৫ টি, সিএনজি ০৩ টি, অন্যান্য-২২ টি, মোট জব্দকৃত গাড়ী ৫১৪ টি  এবং সংক্রান্তে মামলা ৯৭ টি।

গত ০৫ (পাঁচ) দিনে মাস্ক পরিধান না করা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা এবং অপ্রয়োজনে বাহিরে বের হয়ে ঘোরাঘুরি করার অপরাধে কেএমপি’বিভিন্ন থানার সহোযোগিতায় ভ্রাম্যমান আদালত ট্রাফিক পুলিশের মাধ্যমে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ১১৩ টি এবং ১৪৪ জন ব্যক্তিকে ১,১৩,১৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও, লকডাউন কার্যকর করতে কেএমপি’১০ টি মোবাইল টিম, গোয়েন্দা পুলিশের ০২ টি টিম, থানা, ফাঁড়ি এবং ট্রাফিক পুলিশের সদস্যগণ ২৪ ঘন্টা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

পাইকগাছা পিতাকে পরিকল্পিত হত্যার সৎমা কর্তৃক জমি আত্মসাতের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

পাইকগাছা প্রতিনিধি

পাইকগাছা পিতাকে পরিকল্পিত হত্যা সৎমা কর্তৃক জমি আত্মসাতের প্রতিবাদে পাইকগাছা প্রেসক্লবে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। সোমবার সকালে পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের হরিখালী গ্রামের পঞ্চানন সানা সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার মা মারা যাওয়ার পর পিতা শিবপদ জবা রানী নামে এক মহিলাকে বিবাহ করেন। আমার পিতার ৫০/৬০ বিঘা জমি ছিল এবং তিনি কৃষি কাজ করতেন। আমার দ্বিতীয় মায়ের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। আমার সৎমা আমার পিতাকে ভুল বুঝিয়ে কিছু জমি লিখে নেয়। জমি লিখে নেয়ার পর আমার পিতার নামে আরো ২০ বিঘা জমি থাকে। কিছু দিন পর পিতা প্যারালাইসড রোগে আক্রান্ত হয়। আমার সৎমা জবা রানী তার ভাই অখিল মন্ডল, বিপ্লব মন্ডল, বোন চিরতা পিতার নামে থাকা বাকী জমি লিখে নেয়ার কৌশল করে পরস্পর যোগাযোগে ইং- ২৭/০৮/২০১০ তারিখ রাতে জোর করে ষ্ট্যাম্পে বিভিন্ন কাগজে স্বাক্ষর করে নেয়। জানাজানির ভয়ে লীজ ঘেরের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে। তারপর তারা প্রচার করে পানিতে ডুবে মারা গেছে। আমি তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করি, হাঁটা চলা ফেরা করতে পারে না পানিতে ডুবে মারা গেল কিভাবে। আমি সময় আবেগে থাকায় তারা তড়িঘড়ি করে মৃত দেহ পুড়িয়ে দেয়। আমি ভারসাম্য হয়ে পড়ি। আমার পরিবারের সুচিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠি। তারপর তাদের জাল-জালিয়াতি কাগজপত্র সংগ্রহ করে খুলনা যুগ্ম জেলা জজ ৪র্থ আদালতে মামলা করি। যার নং- দেওয়ানী ৯৪/১৬। মামলাটি চলমান। তাদের চরিত্র জানতে পেরে পিতার হত্যার বিচার চেয়ে পাইকগাছা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জনকে আসামী করে মামলা করি। মামলাটি বিজ্ঞ আদালত পিবিআইতে তদন্ত দেন। যার নং- সিআর ২৬৩/২১। উক্ত মামলা দায়ের হওয়ার পর তারা আমাকে খুন, জখম, জানমালের ক্ষতি করার হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমি প্রতি মুহূর্তে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার লিখিত বক্তব্য আপনাদের পত্রিকায় তুলে ধরে প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।

ঝিনাইদহে করোনা আক্রান্ত চা দোকানির মৃত্যু, দাফন সম্পন্ন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহে করোনা আক্রান্ত হয়ে ইসরাইল জোয়ার্দ্দার (৬৫) নামের এক চা দোকানির মৃত্যু হয়েছে। সে জেলার শৈলকুপা উপজেলার পুরাতন মালিথিয়া গ্রামের মৃত ইয়ানত জোয়ার্দ্দারের ছেলে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল হামিদ খান জানান, ইসরাইল জোয়ার্দ্দার বাড়িতে অসুস্থ হওয়ার পর প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে করোনা রিপোর্ট টেষ্ট করা হলে পজেটিভ আসে। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরে ইসলামিক ফাউন্ডেশন গঠিত (ইফা) কমিটি তার জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। নিয়ে মোট ৭৫ জন করোনা আক্রান্ত উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তির লাশ দাফন করলো ইফা গঠিত কমিটি।

কৃষক লীগের ৪৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা মহানগর শাখার বিভিন্ন কর্মসূচী পালন

খবর বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ কৃষক লীগের গৌরবময় ৪৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা মহানগর কৃষক লীগের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।

কর্মসূচির মধ্যে গতকাল সোমবার সকাল টায় মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় দলীয় পতাকা উত্তোলন বঙ্গবন্ধু’প্রতিকৃতিকে মাল্যদান আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানগুলোতে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা মহানগর কৃষক লীগের আহবায়ক এ্যাড. একেএম শাহজাহান কচি, সদস্য সচিব অধ্যাপক এবিএম আদেল মুকুল, মহানগর কৃষক লীগের সদস্য মো. মোস্তাকিম লালু, মো. শহীদুল হাসান, কানাই রায়, অনিক রায়, শেখ আবু বক্কর সিদ্দিকী বাবুল প্রমূখ।

ভৈরব নদে ডুবে গেছে কয়লাবোঝাই জাহাজ

যশোর প্রতিনিধি

যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ভৈরব নদে কয়লাবোঝাই একটি জাহাজ ডুবে গেছে। সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলায় বিভাগ্দী এলাকায় কার্পেটিং জুট মিলসের খেয়াঘাটের পাশের নদে এমভি মুসা ইব্রাহিম নামে কয়লাবোঝাই জাহাজটি ডুবে যায়। জাহাজে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আমদানি করা ৩৫০ মেট্রিক টন কয়লা ছিল। ওই কয়লার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার বসুন্ধরা গ্রুপ।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আমদানি করা ৩৫০ মেট্রিক টন কয়লা বড় জাহাজে করে মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়ায় আনা হয়। সেখানে বড় জাহাজ থেকে কয়লা ছোট জাহাজ এমভি মুসা ইব্রাহিমে ভর্তি করা হয়। গত বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকালে জাহাজটি অভয়নগর উপজেলার বিভাগ্দী এলাকায় ভৈরব নদের ঘাটে নোঙর করে। সোমবার দুপুর একটার দিকে নদে ভাটা ছিল। সময় জাহাজটির তলা ফেটে যায়। এরপর আস্তে আস্তে জাহাজটি নদের পানিতে ডুবে যেতে থাকে। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পানিতে সম্পূর্ণ ডুবে যায়। এমভি মুসা ইব্রাহিমের মাস্টার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ভৈরব নদের ঘাটে বাঁধা জাহাজে ৩৫০ মেট্রিক টন কয়লা ছিল। ওই কয়লা নামানোর অপেক্ষায় ছিল। আজ দুপুরে জাহাজের তলা ফেটে পানি উঠতে শুরু করে। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে জোয়ারে জাহাজটি সম্পূর্ণ ডুবে যায়। সময় জাহাজে থাকা আট জন স্টাফ নিরাপদে তীরে নেমে যান।’ তিনি সামান্য আহত হয়েছেন বলে জানান।

বসুন্ধরা গ্রুপের বিক্রয় প্রতিনিধি খাজা আব্দুস সাত্তার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এতে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হবে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হবে তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব না।’

চায়ের দোকানি লিটন হত্যায় জনের স্বীকারোক্তি

স্টাফ রিপোর্টার

খুলনা মহানগরীর খালিশপুরের চায়ের দোকানি লিটন হত্যা মামলার দুই আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ১৯ এপ্রিল খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ড. আতিকুস সামাদের আদালতে আসামিরা জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে দু’জনকে করাগারে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে আদালত মামলার অপর পাঁচ আসামির দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদানকারীরা হলেন, নগরীর বাস্তুহারা ১২ নম্বর রোডের বাবুল শেখের ভাড়াটিয়া বাবু শেখের ছেলে রাজু এবং উত্তর কাশিপুর বাইতিপাড়া রেল লাইন এলাকার লোকমান শেখের ছেলে আসলাম।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) নিমাই চন্দ্র কুন্ডু জানান, গ্রেফতারকৃত রাজু আসলাম স্বেচ্ছায় আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে চাইলে সোমবার তাদের আদালতে উপস্থিত করা হয়। হত্যাকা-নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা তারা আদালতে স্বীকার করেছে। পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। সুরতহাল করার সময় লিটনের শরীরে দুইশ’ আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

তিনি জানান, হত্যা মামলায় অপর পাঁচ আসামির দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের প্রত্যেকের দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তারা হলেন আলামিন, আব্দুল্লাহ, হেলাল, মাহির আশিকুর রহমান। উল্লেখ, গত ১৮ এপ্রিল সন্ত্রাসীরা লিওনকে বাসা থেকে ফোন করে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

করোনাকালে ঋণ আদায়ের দায়ে জাগরণী চক্রকে জরিমানা

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটে করোনাকালে চাপ দিয়ে ঋণ আদায়ের অপরাধে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের কচুয়া শাখাকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে করোনাকালে ঋণ আদায় কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজিৎ দেবনাথ।

ইউএনও বলেন, ‘করোনাকালে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন গ্রাহকদের চাপ দিয়ে ঋণ আদায় করছিল। এই অপরাধে দ-বিধির ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এর আগেও জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে ধরনের অভিযোগ এসেছিল। আমরা জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের বাধাল শাখাসহ কয়েকটি এনজিওর বিভিন্ন শাখাকে সতর্ক করেছিলাম। কোনো এনজিও যদি কিস্তির জন্য ঋণ গ্রহীতাদের চাপ প্রদান করে তাহলে আমাদেরকে জানাতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরও বলা হয়েছে। কোনো এনজিওর বিরুদ্ধে ধরনের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শাক বীজ উৎপাদনে ভাগ্য বদলেছে হাজার কৃষকের

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় শাক বীজ উৎপাদনে পাল্টে দিয়েছে অনেক কৃষকের ভাগ্য। বদলে দিয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতির চিত্র। একসময় শুধু ইরি-বোরো আমন চাষের পাশাপাশি প্রচলিত কিছু শাক-সবজি চাষের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল তাদের কৃষিকাজ। কিন্তু এখন আধুনিক পদ্ধতিতে নানা জাতের লাল শাক আবাদ করে তা থেকে বীজ উৎপাদন করে কৃষকরা লাখ লাখ টাকা আয় করছেন।

ধানের জমিতে আধুনিক পদ্ধতিতে লাল শাক বীজ উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য এখানকার কৃষকদের মুখে হাসি এনে দিয়েছে। কৃষকদের কাছে এখন শাক বীজ উৎপাদন ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অল্প সময়ে স্বল্প পুঁজিতে অধিক লাভ করা যায় বলে প্রতিবছরই শাক বীজ উৎপাদনে মেতে উঠছেন এখানকার কৃষকরা।

কারণে উপজেলায় শাক বীজ উৎপাদনে নিরব বিল্পব ঘটেছে। ফলে বছরও উপজেলার আব্দুলবাড়িয়া, দেহাটি, কাশিপুর, অনন্তপুর, নিশ্চিন্তপুর, পুরন্দপুর, বাঁকা মুক্তারপুর গ্রামে ১২০ হেক্টর জতিতে উচ্চ ফলনশীল নানা জাতের লাল শাকের আবাদ করা হয়েছে এবং এর থেকে বীজ উৎপাদন করা হবে।

উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের জমিতে লাল শাকের এক নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায় এবং মনে হয় এলাকার মাঠগুলো যেন সবুজের বুকে লাল আবরণে ঢাকা পড়েছে।

ব্যাপারে আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের সফল শাক বীজ উৎপাদনকারী চাষি শুকুর আলী জানান, আজ থেকে ১৫ বছর আগে এলাকায় প্রথম তিনি শাক বীজ উৎপাদন শুরু করেন। ওই বছর তিনি এক বিঘা জমিতে হাজার টাকা খরচ করে উৎপাদিত বীজ প্রায় ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। ফলে অধিক পরিমাণ লাভ হওয়ায় পরের বছর তিনি জমির পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেন। বছর তিনি বিঘা জমিতে শাকের আবাদ করেছেন এবং তা থেকে তিনি বীজ উৎপাদন করবেন। বিঘা জমিতে উৎপাদিত বীজ তিনি দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

তিনি জানান, অগ্রহায়ণ মাসে ভালোভাবে জমি কর্তন সার প্রয়োগের মাধ্যমে জমিকে শাক চাষের উপযোগী করে তোলা হয়। জমিতে বীজ বপনের ১০ থেকে ১৫ দিনের মাথায় চারা গজায়। মাসের মাথায় জমি থেকে গাছ কেটে বীজ সংগ্রহ করা হয় এবং প্রতিবিঘা জমিতে থেকে মণ বীজ উৎপাদিত হয়।

জমি তৈরি থেকে বীজ সংগ্রহ পর্যন্ত প্রতিবিঘা জমিতে খরচ হয় থেকে ১০ হাজার টাকা। আর উৎপাদিত বীজ বিক্রি হয়ে থাকে ৩০ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। যা সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে প্রতি বিঘা জমিতে লাভ হয় ২০ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা।

শুকুর আলী একা নন। তার দেখাদেখি অনেক কৃষক সবজি চাষ করে তা থেকে বীজ উৎপাদন শুরু করেছেন। এভাবে ধীরে ধীরে তারা শাকের বীজ উৎপাদনে বেছে নিয়েছেন জীবন-জীবিকার অবলম্বন হিসেবে। ইতোমধ্যেই উপজেলার আব্দুলবাড়িয়া, দেহাটি, কাশিপুর, অনন্তপুর, নিশ্চিন্তপুর, পুরন্দপুর, বাঁকা মুক্তারপুর গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক কৃষক সবজি বীজ উৎপাদন করে বদলে নিয়েছেন নিজেদের ভাগ্য।

কৃষকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে সবজি খেতের উপযোগী জমির খাজনা বেড়ে গেছে। ছাড়াও চাষের নানা উপকরণের দাম বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন ব্যয় কিছুটা বেশি হচ্ছে।

জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া এলাকার জমিগুলো সবজি চাষের জন্য বেশি উপযোগী। এখানকার চাষিরা সবজি চাষের ব্যাপারে বেশ অভিজ্ঞও। কারণে এলাকার চাষিরা উন্নত কৃষি প্রযুক্তির আওতায় সবজি চাষে গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন স্পন্দন এনেছেন।

মোংলায় বিএনপি নেতা পেয়ার কালামের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালন  

মোংলা প্রতিনিধি

মোংলায় বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার সিগনাল টাওয়ার এতিমখানায় মিলাদ, দোয়া কুরআন খতম দেয়া হয়েছে। এতিমদের ইফতার করানোর পাশাপাশি মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে সিগনাল টাওয়ার এলাকার তার নিজ বাড়ীতে এতিম দুস্থদের মাঝে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। আবুল কালাম আজাদ ওরফে পেয়ার কালাম মোংলা পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। প্রয়াত বিএনপি নেতার দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দলের নেতা কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিপুল সংখ্যক লোকজন উপস্থিত ছিলেন। সময় সকলে বিএনপি নেতার রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন।

ফলোআপঃ আশাশুনি দয়ারঘাট বেড়ী বাঁধের কাজ পুরনো বাঁধের চেয়ে ফুটের স্থলে ফুট উঁচু করে হচ্ছে

আশাশুনি প্রতিনিধি

আশাশুনি সদরের দয়ারঘাট বেড়ী বাঁধের নির্মান কাজে অনেক অনিয়মের মধ্যে পুরনো বাঁধের থেকে ফুটের স্থলে ফুট উঁচু করে বাঁধ নির্মানের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদর ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের পর এতথ্য চাউর হতে শুরু করেছে।

সদর ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা মিলনসহ একাধিক সংশ্লিষ্ট প্রত্যক্ষ দর্শী সূত্রে জানাগেছে, পাউবো কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে বাঁধের কাজ শুরুর পূর্বে প্রোফাইল স্থাপন করে বলা হয়েছিল, এই স্থান হবে বাঁধের মাঝখান। এখান থেকে ১৪ ফিট টপ হবে এবং রিভার সাইডে ৩৩ ফুট কান্ট্রি সাইটে ২২ ফুট স্লোব করা হবে। পুরনো বেড়ী বাঁধের উচ্চতার চেয়ে ফুট-সাড়ে ফুট উচু করে বাঁধের কাজ করা হবে। কিন্তু পুর্বের নকশা পরিবর্তন না করা হলেও কাজের বেলায় নকশা মানা হচ্ছেনা। ভাঙ্গন কবলিত মূল বাঁধের স্থান যেটি খুবই ভয়াবহ ভুঁকিপূর্ণ স্থান। এখান দিয়ে পাউবে’বাঁধ ওভার ফ্লো হয়ে পানি ভিতরে ঢোকার এক পর্যায়ে বাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। সেখানেই পুরাতন বাঁধের তুলনায় মাত্র ফুট উচু করে নির্মান কাজ করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও সর্বোচ্চ দেড় ফুট থেকে আড়াই ফুট পর্যন্ত উচু করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করেছেন।

ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা মিলন সাংবাদিকদের জানান, পাউবো’নির্বাহী প্রকৌশলী, এনডিই এসও তার সাথে কথা বলেছেন, এসময় তারা প্রথম প্রোফাইল দেওয়ার সময় সামান্য ভুল ছিল। থেকে সাড়ে ফুট উচ্চু করার কথা বলাও ভুল ছিল। এখন নতুন করে প্রোফাইল দেওয়া হয়েছে, ঠিক ভাবে কাজ করা হবে বলে তারা জানান। চেয়ারম্যান বলেন, আমি তাদেরকে জানিয়েছি, বাঁধটিকে টিকিয়ে রাখতে হলে পুরনো বাঁধের লেবেল এর চেয়ে ২/ফুট উচু করে বাঁধ নির্মান করতে হবে। অন্যান্য সকল কাজ নকশা অনুযায়ী সঠিক ভাবে করাতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন খাঁন জানান, চেয়ারম্যান সাহেবের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত পূর্বন রিপোর্ট দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

শোভনালীতে তালিকায় নাম থাকলেও ঘর পায়নি দু’ ভূমিহীন

আশাশুনি প্রতিনিধি

আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের বসুখালী গ্রামের দু’ ভূমিহীন পরিবার ঘুষের টাকা দিতে না পারায় সরকারি গৃহ পেতে বঞ্চিত হয়েছেন। এব্যাপারে প্রতিকার প্রার্থনা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

বসুখালী গ্রামের ইমান আলী গাজীর পুত্র ইয়াছিন গাজী নরীম মোল্যার পুত্র মনিরুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগে জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জমি নেই ঘর নেই এমন ভূমিহীন পরিবারকে জমি প্রদান ঘর নির্মান করে দেওয়ার মহান প্রকল্পের আওতায় উপজেলার সকল ইউনিয়নের ন্যায় শোভনালী ইউনিয়নে ভূমিহীন গৃহহীনদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ইউপি চেয়ারম্যান যৌথ স্বাক্ষরে চুড়ান্ত তালিকা অনুমোদন প্রদান করেন গত বছর ১২ নভেম্বর। তালিকায় ৪৩ নং ¯্রয়িালে ইয়াছিন গাজী ৪৪ নং ¯্রয়িালে মনিরুল ইসলামের নাম রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় মৃত আঃ হাকিম গাজীর পুত্র মুনছুর আহম্মদ তাদের সাথে যোগাযোগ করে ঘন্টার মধ্যে ১০ হাজার করে টাকা দাবী করেন। না দিলে ঘর হবে না। এমন তাগিদ দিয়ে টাকা দাবী করলে ভূমিহীনরা টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তালিকাভুক্ত হওয়ার পরও তাদের ভাগ্যে ঘর জুটেনি। অসহায় ভূমিহীন গৃহহীন পরিবার দু’টি যাতে তাদের নামে বরাদ্দকৃত ঘর দু’টি পেতে পারে তার বিহিত ব্যবস্থা করতে জোর দাবি জানিয়েছেন।

খাজরায় মাছ চোর লাঠিপেটা খেয়ে ভোঁ-দৌড়

আশাশুনি প্রতিনিধি

আশাশুনি উপজেলার খাজরায় মাছের ঘেরে মাছ চুরির সময় ঘের মালিকের লাঠিপেটা খেয়ে ভোঁদৌড় দিয়ে চোর পালিয়ে নিস্তার পেয়েছে। ঘটনা ঘটেছে রবিবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে।

খাজরা ইউনিয়নের তুয়ারডাঙ্গা গ্রামের মালেক মোল্যার পুত্র আনারুল ইসলাম মোল্যা, কুদ্দুছ মোল্যার পুত্র শাহিন ফারুক ওহাব মোল্যার পুত্র মনিরুল মোল্যা চক তুয়ারডাঙ্গা মৌজায় ৮বিঘা জমিতে মৎস্য ঘেরে মাছ চাষ করে আসছেন। ৩০/৩৫ বছরের মাছের ঘেরে এবছরও ভাল মাছের গ্রোথ হয়েছে। গণমুখে মাঝে মধ্যে মাছ চুরির ঘটনা ঘটে আসছিল। রবিবার রাত্র ১১ টার দিকে ঘের মালিক আনারুল শাহীন র্প্বূবত লাইট না জালিয়ে নিঃশব্দে মাছের ঘেরে যাচ্ছিলেন। ঘেরের কাছাকাছি গিয়ে দেখেন ঘেরের মধ্যে দু’চোর ঘুণি থেকে মাছ ঝেড়ে নিচ্ছে। আস্তে আস্তে কাছাকাছি গিয়ে লাঠি দিয়ে চোরদেরকে আঘাত করেন তারা। এতে চোরেরা আঘাত প্রাপ্ত হলেও তাদেরকে ধরে রাখতে পারেননি। টর্চ জালিয়ে চোরের পিছে পিছে দৌড়ানোর সময় তারা চোরকে চিনতে পারেন। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।

সাতক্ষীরায় করোনা আক্রান্ত হয়ে জনের মৃত্যু

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে আজ পর্যন্ত জেলায় মারা গেছেন মোট ৩৯ জন। আর ভারাসটির উপসর্গ নিয়ে আজ পর্যন্ত মারা গেছেন আরো অন্ততঃ ১৬৩ জন। সোমবার ভোর রাত দেড় টা থেকে সকাল সাড়ে টার মধ্যে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়

মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোশারফ হোসেন (৮৬) যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার খোরশা গ্রামের কামাল হোসেনের স্ত্রী লিপি খাতুন (৩৫)

মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, করোনা আক্রান্ত হয়ে গত এপ্রিল মোশারাফ নামের ওই বৃদ্ধ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা পজিটিভ ইউনিটে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ভোর রাত দেড়টার দিকে মারা যান।

এদিকে, করোনা আক্রান্ত হয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনটে সকাল সাড়ে টার দিকে মারা যান লিপি নামের ওই নারী। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ১২ এপ্রিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।

সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন শাফায়েত বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে মৃত ওই দুই ব্যক্তির লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

দেবহাটায়  ইরি বোরো ধানের বাম্পারর ফলনের সম্ভবনায়!

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা (সাতক্ষীরা)

দেবহাটায় ইরি বোরো ধানের বাম্পারর ফলনের সম্ভবনায় দেবহাটায় সখিপুর  ইউনিয়নের মাঠে মাঠে বসন্তের বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন।বাম্পার ফলনের সম্ভবনায় কৃষকের মুখে হাসি। সবুজের সমাহারে মাঠ গুলো যেন হেসে উঠেছে। আর সেই সাথে হাসি ফুটছে কৃষকের মুখেও।আবহওয়া অনুকুলে থাকলে এবার ইরি বোরো ধানের বাম্পার ফলন পাবেন এলাকার কৃষকরা এমনটাই স্বপ্ন তাদের চোখে।কয়েক জন কৃষক জানিয়েছেন- প্রতিকূল আবহাওয়া প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না ঘটলে এবং বাজারে ধানের ন্যয্য মূল্য পেলে, অধিক মুনাফা লাভের আশা তাদের।

 এরই মধ্যে প্রতি বিঘা ধান চাষ থেকে শুরু করে, জমিতে চারা রোপন, সার, কীটনাশক শ্রমিক দিয়ে মোট খরচ হয়ে গেছে প্রায় ১০/১৫হাজার টাকা। এখনো খরচ হবে।ধান কাটা, বাঁধা,বাড়িতে নিয়ে যাওয়া,ধান ঝাড়া, এতো খরচের পর ফলন ভালো হওয়াসহ দাম ভালো পাওয়া গেলে এই খরচ আর পরিশ্রম দুটোই সার্থক হবে। কাজী মোল্লা  গ্রামের কৃষক আবু সাঈদ ৫০) জানিয়েছেন এবার জমিতে বিঘা ইরি ধান চাষ করেছি, বৈরি আবহাওয়া, পোকামাকড় ইঁদুরের আক্রমন না হলে ধানের অধিক ফলনের আশাবাদী তিনি। কোড়া গ্রামের  কৃষক আজগার আলী  (৪৫) জানিয়েছেন তিনি ৮বিঘা জমিতে ইরি ধানের আবাদ করেছেন। আবহওয়া যদি অনুকুলে থাকে এবং পোকামাকড়ের আক্রমন থেকে ধানকে রক্ষা করা যায় তবে বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। দেবহাটার উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর জানান, দেবহাটা উপজেলায় ইরি বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে যদি, আবহওয়া অনুকুলে থাকে পোঁকার আক্রমন থেকে ফসল রক্ষা করা যায়।তিনি আরও জানিয়েছেন মৌসুমে দেবহাটা উপজেলায় ইরি বোরো ধানের আবাদ হয়েছে হাইব্রিগেড ২৮০০হেক্টর উফশী ৩২০০  হেক্টর জমিতে। দেবহাটার সহকারী  কৃষি  কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল    সব সময় কৃষকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

ফকিরহাটে উদ্ধার হওয়া তক্ষকটি অবমুক্ত

ফকিরহাট প্রতিনিধি :

বাগেরহাটের ফকিরহাটে উদ্ধার হওয়া তক্ষকটি একটি জঙ্গলে অবমুক্ত করা হয়েছে। ১৯ এপ্রিল  (সোমবার) সকাল ১০টায় উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা নির্মল কুমার দাশের উপস্থিতিতে ১০ ইঞ্চি তক্ষকটি অবমুক্ত করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন মডেল থানার এসআই রফিকুল ইসলাম এসআই রবিউল ইসলাম। ব্যাপারে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সাঈদ খায়রুল আনাম জানান, শনিবার বিকেলে ফকিরহাটের বেতাগার ধনপোতার একটি জামে মসজিদ থেকে কৌতুহল বসত: স্থানীয় দুই যুবক আটকে রাখে। পরে স্থানীয়রা শুভদিয়া ক্যাম্প পুলিশের আইসি এসআই সঞ্জিত কুমার পালের নিকট হস্তান্তর করেন। তবে এই ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।

ফকিরহাটে চার কিশোরকে পরিবারের নিকট হস্তান্তর

ফকিরহাট প্রতিনিধি :

বাগেরহাটের ফকিরহাটের কাটাখালী বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে ১৮ই এপ্রিল (রবিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উদ্ধার হওয়া চার শিশুকে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। ১৯ এপ্রিল  (সোমবার) শিশুদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে মডেল থানা পুলিশ জানিয়েছে। উদ্ধার হওয়া শিশুরা হলো যশোর জেলার অভয়নগর থানার বিভাগদি গ্রামের আব্বাস দেওয়ান এর ছেলে সোহান দেওয়ান (১৫), যশোর জেলার অভয়নগর থানার পোড়াখালী গ্রামের ছোট্র মিস্ত্রীর ছেলে রিফাত শেখ (১৭), খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার মান্ডারপাড়া গ্রামের মৃতঃ শের আলী শেখ এর ছেলে ইলজামুল শেখ (১৪), চট্রগ্রাম জেলার অলংকার থানার খালপাড় এলাকার  মৃতঃ রফিকুল ইসলামের ছেলে শাখাওয়াত হোসেন সাগর (১৪)

পুলিশ জানায়, উদ্ধার হওয়া শিশু-কিশোররা বাড়ী থেকে রাগারাগি করে আসছে। এরই সুবাদে খুলনা জেলার সদর থানার রেললাইন নিউ কলোনী এলাকার আলী আহম্মেদ এর ছেলে আজমল শেখ নামে এক ব্যক্তি তাদেরকে কাজের সন্ধানের কথা বলে নিয়ে আসে। এরমধ্যে উদ্ধারের মধ্যে একজন শিশু জানিয়েছে, এরপূর্বে উক্ত আজমল শেখের সাথে ডিপ টিউবওয়েলের কাজ করেছে। এইসব শিুদের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদেরকে দিয়ে কম মুজুরীতে বিভিন্ন স্থানে কাজ করার জন্য এদেরকে নিয়ে আসে। তবে উক্ত আজমল শেখ পাচারকারীর সদস্য কিনা তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।

ব্যাপারে মডেল থানার এস আই অনুপ রায় জানান, এদিন ঘটনার দিন কাটাখালী এলাকায় এদেরকে সন্দেহজনকভাবে ঘুরতে দেখে পুলিশকে অবহিত করলে ঘটনাস্থল থেকে চার শিশু উদ্ধার একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। ব্যাপারে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সাঈদ মো: খায়রুল আনাম জানান, কাটাখালী এলাকা থেকে চার শিশু-কিশোর সহ ৫জনকে থানায় আনা হয়েছে। এদের মধ্যে উদ্ধার হওয়া চার শিশু-কিশোরকে তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হচ্ছে। তাদের সাথে যে আজমল শেখকে আনা হয়েছে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। যদি পাচারকারীর সদস্য হয়ে থাকেন তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।