ক্যান্ডিতে প্রথম টেস্ট মিশনে বাংলাদেশ

4
Spread the love

২০১৩, ক্যান্ডিতে শেষ ওয়ানডে টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ দল। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়া হলেও এই ভেন্যুতে খেলা হয়নি কোনো ম্যাচ। বছর পর লঙ্কার এই পাহাড়ি শহরে পৌঁছেছে টাইগাররা। আগামীকাল প্রথমবারের মতো পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে টেস্ট মিশনে নামবে মুমিনুল হক সৌরভের দল। এখানে হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। গত ১২ই এপ্রিল শ্রীলঙ্কায় পৌঁছায় টাইগাররা। রাজধানী কলোম্বোর পার্শ্ববর্তী শহর নিগোম্বোতে তিন দিন কঠোর রুম কোয়ারেন্টিনে কাটাতে হয় তাদের। এরপর দুই দিন অনুশীলন একটি দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে গতকাল টেস্ট ভেন্যুতে পৌঁছায় মুমিনুলরা।

প্রশ্ন হলো কতটা প্রস্তুত তারা! করোনা মহামারিতে গেল বছর প্রায় ১১ মাস কোনো টেস্ট খেলতে পারেনি টাইগাররা। যার ফল এই বছর জানুয়ারিতে দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামার আগেও দলের সবার সাদা পোশাকে প্রস্তুতি শতভাগ হয়নি। কারণ, বেশির ভাগ সদস্যই নিউজিল্যান্ডে সফরে ছিলেন ওয়ানডেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে। তাই স্বল্প প্রস্ততিতে এই টেস্ট সিরিজে মাঠে মানতে হচ্ছে!

জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন প্রস্তুতির ঘাটতি আছে  মেনে নিচ্ছেন। তবে ক্রিকেটাররা প্রস্তুত আছে বলেই মনে করেন তিনি। দৈনিক মানবজমিনকে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না প্রস্তুতির খুব বেশি ঘাটতি আছে। হ্যাঁ, হয়তো প্রস্তুতি নেয়ার সময়টা কম ছিল শ্রীলঙ্কা টেস্টের আগে। কিন্তু দেখেন এবার কিন্তু দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটার খেলার মধ্যে আছে। জানুয়ারি থেকে টেস্ট, ওয়ানডে, ঘরোয়া চারদিনের ম্যাচ খেলেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট খেলার আগে আমাদের প্রস্ততি নেয়ার সুযোগ ছিল না খুব একটা। আগে ওয়ানডে সিরিজ খেলা হয়েছে। প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার সুযোগ ছিল না। এমনকি কোনো প্রস্তুতি ম্যাচও না।’

২০১৯ এর নভেম্বর খেকে শেষ টেস্টে মাত্র একটিতে জয়। তাও ছিল দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গেল বছর মার্চে। এরপরই করোনাভাইরাসের হানা। মাস স্থগিত ছিল দেশের সব ধরনের ক্রিকেট। ২০২০ এর অক্টোবর নভেম্বরে বিসিবি একটি ওয়ানডে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করে মাঠে খেলা ফেরাতে। কিন্তু সে বছর মাস কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি টাইগাররা। এই বছর মাঠে ফিরলেও টিম বাংলাদেশকে মাঠে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দুই টেস্টে হারের পিছনেও দল হিসেবে খেলতে না পারার বড় ব্যর্থতা ছিল। সবশেষ নিউজিল্যান্ড সফরেও ওয়ানডে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলের  একই চিত্র। বিষয়ে বাশার বলেন, ‘আমরা যত ম্যাচ জিতেছি, সেটি যে ফরম্যাটেও হোক না কেন বেশির ভাগই দলগত পারফরম্যান্সে। খুব কম ম্যাচই আছে যেখানে দুই তিন জনের অসাধারণ পারফরম্যান্সে জয় পেয়েছি। তাই দল হিসেবে খেলার কোনো বিকল্প নেই। ক্রিকেটে একক দক্ষতায় দলকে জেতানো খুবই কঠিন। আমি বলবো সিনিয়র-জুনিয়র সবাইকেই ঘাম ঝরাতে হবে।’

দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কা ভয়ঙ্কর দল। লঙ্কার মাটিতে ১২ টেস্টে খেলে মাত্র জয় আর এক ড্র ছাড়া বাকি সবগুলোতে হেরেছে টাইগাররা। ক্যান্ডিতে প্রথম টেস্ট সেই হিসেবে কতটা চ্যালেঞ্জ! বিষয়ে বাশার বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমাদের টেস্ট রেকর্ড খুব একটা ভালো না। যদিও ওদের মাটিতে একটি জয় আছে আমাদের। এছাড়াও কন্ডিশনও কিছুটা কঠিন। তবে অন্য দেশের মতো কঠিন কন্ডিশন নয়। তাই আমি মনে করি আমাদের ভালো করার যথেষ্ট সুযোগ আছে। নিজেদের সেরাটা দিতে হবে।’

– স্পোর্টস রিপোর্টার