বাগেরহাট শহরে বেকারির ফ্যাক্টরিতে আগুন লেগে আজিম শেখ (১৫) নামের এক কিশোর শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।শনিবার (১৭ এপ্রিল) রাত দশটার দিকে বাগেরহাট শহরের নাগের বাজারস্থ কচুয়াপট্টি এলাকায় রমেশ সাহার মালিকানাধীন সুমন বেকারির জ্বালানির ঘরে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।স্থানীয় এলাকাবাসী, রেড ক্রিসেন্টের সদস্য, পুলিশ সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় দুই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। ততক্ষণে কারখানার মধ্যে থাকা বেকারীর বিভিন্ন সামগ্রী পুড়ে যায়। পরে রবিবার (১৮ এপ্রিল) ভোরে ফ্যাক্টরীর দোতলায় কাঠের গুরির স্তুপ থেকে আজিমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আজিম শেখ বাগেরহাট সদর উপজেলার কোন্ডলা গ্রামের এমদাদ সরদারের ছেলে। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
বেকারির কারখানার শ্রমিক অন্য এক শ্রমিক মোঃ রুবেল বলেন, সন্ধ্যার সময় এফতারি করে এবং রাতের খাবার খেয়ে আজিম দোতলায় ঘুমাতে যায়। আমরা বাড়িতে চলে যাই। পরে শুনলাম আগুন লেগেছি। এখন শুনলাম মারা গেছে।
নিহত আজিমের মা মাফিয়া বেগম বলেন, অভাবের তারণায় তিন বছর আগে সন্তানকে কাজ করতে দিয়েছিলামেআজ আগুনে পুড়ে মারা গেল। আমি আমার সন্তানের মুখটা দেখতে পারলম না।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উপ-সহকারি পরিচালক গোলাম সরোয়ার বলেন, ফ্যাক্টরীর দোতলায় কাঠের গুড়ির রুমের পাশে একটি মটর রয়েছে। সেখানে শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি বেকারির মালিকের হয়ত তিন লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর শাফিন মাহমুদ বলেন, অগ্নিকান্ডের ঘটনা শুনে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। আগুন নেভানোর পরে ফ্যাক্টরি তল্যাসী করে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
– বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটে মামাতো বোনকে ধর্ষণ মামলায় যুবক গ্রেফতার
বাগেরহাটে ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মামাতো বোনকে ধর্ষন মামলায় উজ্জল খা (২৬) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।রবিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে উজ্জলকে আটক করে বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ। এর আগে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে উজ্জল খা ও তার মা ফরিদা বেগমকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতার উজ্জল খা বাগেরহাট সদর উপজেলার বেনগাতী গ্রামের সিদ্দিক খা‘র ছেলে।
মামালার বাদী জানান, মাঝে মাঝে আমার বোন ফরিদা বেগম আমার বাড়িতে এসে আমার মেয়েকে দেখে যেত, খোজ খবর নিতেন।১৫ ফেব্রুয়ারি ফরিদা বেগম আমাদের বাড়িতে আসেন। আমার কন্যাকে তার বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যায়।পরবর্তীতে কয়েকদিন হয়ে গেলে যখন আমার মেয়েকে বাড়িতে দিয়ে যায়না তখন আমি জানতে চাইলে বলে তোমার মেয়ে ভাল আছে কিছুদিন পরে যাবে।
পরবর্তীতে ১০ মার্চ আমি একজন প্রতিবেশী বোনের বাড়িতে মেয়েকে দেখতে যাই।আমাকে দেখে ফরিদা বেগম আমার মেয়েকে অন্য বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন।আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করলে আমি চলে আসি। ২৯ মার্চ শবেবরাতের দিন স্থানীয় লোকদের সহায়তায় মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসি। মেয়ের শারীরিক অসুস্থ্যতা ও অস্বাভাবিক চালচলনের কারণে তাকে জিজ্ঞাস করলে সে আমাকে জানায় ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় জোর উজ্জল খা তাকে ধর্ষণ করেছে।বিষয়টি আমি আমার বোনকে জানালে তিনি আমাকে কাউকে না বলার জন্য হুমকী প্রদান করেন।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, নির্যাতিত মেয়েটির বাবার করা মামলায় আমরা উজ্জলকে গ্রেফতার করেছি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামীকে আটকের জন্য পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।