দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি দেশে একদিনে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ১৮২ জনে।
এছাড়া, একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪১৭ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭ লাখ ১১ হাজার ৭৭৯ জন।
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১০১ জনের।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে চার হাজার ৪১৭ জনের দেহে। এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে সাত লাখ ১১ হাজার ৭৭৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ১০ হাজার ১৮২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫৭টি ল্যাবে ১৮ হাজার ৯০৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৩.১৬ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩.৮৬ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ হাজার ৬৯৪ জন সুস্থ হয়েছে। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৬ লাখ ২ হাজার ৯০৮ জন। সুস্থতার হার ৮৪.৭০ শতাংশ।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১০১ জনের মধ্যে ৬৭ পুরুষ ও ৩৪ নারী রয়েছে। তাদের মধ্যে ৭ জন বাদে সবাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
বয়স বিবেচনায় মৃত ১০১ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব সাত, চল্লিশোর্ধ্ব আট, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২৩ ও ষাটোর্ধ্ব ৬৩ জন।
বিভাগ অনুযায়ী ঢাকায় ৫৯, চট্টগ্রামে ২০, রাজশাহীতে ৩, খুলনায় ৫, বরিশালে চার, সিলেটে ১, রংপুরে ৬ ও ময়মনসিংহে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কথা ঘোষণা করে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত বছরের ৪ জানুয়ারি থেকেই দেশের বিমানবন্দরসহ সব স্থল ও নৌবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করে। ওই বছরের ৪ মার্চ সমন্বিত করোনা কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়।