করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে বুধবার থেকে শুরু হওয়া ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ কার্যকরে কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাইরে কাজ ও চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। তবে ব্যাংক, শিল্পকারখানা ও হাসপাতালে কাজ চলছে। জরুরিসেবা খাতগুলোও খোলা রয়েছে। এ কঠোর বিধিনিষেধের আওতামুক্ত তারা।
কিন্তু সাধারণ মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে পুলিশের চালু করা ‘মুভমেন্ট পাস’ প্রক্রিয়া থেকে এরইমধ্যে জটিলতা দেখা দিয়েছে। কাদের মুভমেন্ট পাস লাগবে এবং কাদের লাগবে না, এ নিয়ে ভুল–বোঝাবুঝির ঘটনাও ঘটছে। পুলিশ অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, যাদের মুভমেন্ট পাস লাগার কথা না; যারা জরুরিসেবার আওতায়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সদরদপ্তর জানিয়েছে বিধিনিষেধের আওতামুক্ত ব্যক্তি কারা ও প্রতিষ্ঠান কোনগুলো। তাদের চলাচলে মুভমেন্ট পাস প্রয়োজন নেই। শুধু পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করতে পারবেন।
যাদের মুভমেন্ট পাস লাগবে না
১. ডাক্তার
২. নার্স
৩. মেডিকেল স্টাফ
৪. কোভিড টিকা/চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/স্টাফ
৫. ব্যাংকার
৬. ব্যাংকের অন্যান্য স্টাফ
৭. সাংবাদিক
৮. গণমাধ্যমের ক্যামেরাম্যান
৯. টেলিফোন/ইন্টারনেট সেবাকর্মী
১০. বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী
১১. জরুরি সেবার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা/কর্মচারী
১২. অফিসগামী সরকারি কর্মকর্তা
১৩. শিল্পকারখানা/গার্মেন্টস উৎপাদনে জড়িত কর্মী/কর্মকর্তা
১৪. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য
১৫. ফায়ার সার্ভিস
১৬. ডাকসেবা
১৭. বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও জ্বালানির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/কর্মকর্তা
১৮. বন্দর–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/কর্মকর্তা
চেকপোস্টে যেসব পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে ব্রিফিং করার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের অনুরোধ করা হয়েছে।
-ঢাকা অফিস