বাগেরহাটে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বসতঘর,রান্না ঘর ও মুদি দোকান ভাংচুর,নারীর শ্লীলতাহানী ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মোঃ মিরাজ হাওলাদার (৩৮) ৭ জনকে আসামী করে বাগেরহাট মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। মোঃ মিরাজ হাওলাদার বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের বড়-বাশঁবাড়িয়া গ্রামের মোঃ মান্নান হাওলাদারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়,বাংলাদেশ সরকারের নিকট থেকে বড়-বাশঁবাড়ীয়া সাকিনে ২০ শতক জায়গা ৯৯ বছরের বন্দোবস্ত সূত্রে পায় মোঃ মিরাজ শেখ। মিরাজ শেখের এ জায়গায় বসতবাড়ি ও একটি মুদি দোকান আছে। গত বুধবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধায় বাড়িতে আমি,আমার চাচাতো বোন মুক্তা বেগম (৪৫) ও স্ত্রী রিমা বেগম (২৫) বাড়িতে অবস্থান করি। এ সময় আমাদের পাশ^বর্তী রিয়াদ হাওলাদার,সাহিদুল হাওলাদার,রফিকুল হাওলাদার,ফারুক হাওলাদার, ফিরোজ হাওলাদার,সাইফুল হাওলাদার ও আবজাল হাওলাদার লোহার রড,রামদা,হাতুড়ি ও বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে বেআইনী ভাবে আমার বসত-বাড়িতে প্রবেশ করে ও আমাদের কাঠের তৈরী ঘরের দরজা,জানালা ,চালের টিন ,হাসঁ –মুরগীর ঘর ভাংচুর করে যাতে নূন্যতম ২৭ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। এ সময় আমার বসত ঘরের দক্ষিন পাশের্^র মুদি দোকানের সকল মালামাল ও নগদ টাকা লুট করে নেয় ও দোকান ভেঙ্গে ফেলে। এত নূন্যতম ৯৬ হাজার টাকার ক্ষতি করে। এ সময় প্রতিপক্ষরা ঘরবাড়ি ও দোকান ভাংচুরের সময় আমার চাচাতো বোন মুক্তা বেগম ও স্ত্রী রিমা বেগম বাধা দিলে হামলাকারিদের আঘাতে আমার বোন গুরুত্বর জখম হয় ও আমার স্ত্রীর শ্লীলতাহানী ঘটায় হামলা কারিরা। এ সময় আমাদের ডাক চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলা কারিরা আমাদের প্রান নাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এসময় আমার বোনকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি।
এ বিষয়ে বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
– বাগেরহাট প্রতিনিধি