সরকারের দেওয়া সাত দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। সকাল থেকেই প্রায় জনশূণ্য পুরো উপজেলা। চলছে না কোনো সাধারণ পরিবহন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধে মেনে চলছে সকল শেণী পেশার মানুষ। কিছু ওষুধ ও মুদি দোকান ছাড়া বন্ধ সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
সরেজমিনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দেখা যায়, রূপসার অন্যতম ব্যস্ত এলাকা রূপসা ঘাটের দু’পাশই প্রায় ফাঁকা। চলাচল করছে দু’একটি রিকশা ও ভ্যান। যাত্রীরা জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয়েছেন।
মৎস্য ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হাওলাদার
বলেন, সরকারের বিধিনিষেধ মেনে আমরা চলাচল করছি। চিংড়ি মাছের ব্যবসার কারনে বাগেরহাট থেকে রূপসায় আসছি।
চায়ের দোকেনদার মনিরূল বলেন,রোজা আর লকডাউন দু’টো মিলিয়েই মানুষ নেই রাস্তায়। আমি বের হইছি পেটের দায়ে।
উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ সদস্যরা। টহল দিচ্ছেন পুলিশের ভ্রাম্যমাণ দল। বিধি ভেঙে রাস্তায় বেরোলেই জবাবদিহি করতে হচ্ছে পুলিশের কাছে। বন্ধ রয়েছে অফিস।
তবে চালু রয়েছে জরুরি সেবা কার্যক্রম। পায়ে হেটে অথবা নিজস্ব পরিবহনে চলাচল করছেন জরুরি সেবার কর্মীরা।
বিকাল হতেই দেখা যায় অন্যরকম। রাস্তায় মানুষের সমাগম।
অনেকেই ঘরে থাকতেই হাপিয়ে উঠছে। এইভাবে রাস্তায় চলাচল করলে সরকার যে কারণে কঠোর লকডাউন দিয়েছে তা কত টুকু সফল হবে। অনেকের জানা নেই—-
বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে শুরু হয়েছে এ বিধিনিষেধ, চলবে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত।
– রূপসা প্রতিনিধি