প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা। সব রেকর্ড ছাপিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’র প্রথম দিন বুধবার (১৪ এপ্রিল) দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৯৮৭ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টার মৃত্যুর পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মৃত ৯৬ জনের মধ্যে ৫৯ জন ছিলেন পুরুষ। বাকী ৩৭ জন ছিলেন মহিলা।
বয়স বিবেচনায় দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি মারা যাচ্ছেন ষাটোর্ধ ব্যক্তিরা। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৯৬ জনের মধ্যে ৫৫ জনেরই বয়স ছিল ষাটোর্ধ। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী মারা গেছেন ২৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী মারা গেছেন ১২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে মারা গেছেন ২ জন ও ১১ থেকে ৩০ বছর বয়সী মারা গেছেন ৪ জন।
শতকরা হিসাবেও প্রবীণদের মারা যাওয়ার হার সবচেয়ে বেশী। দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হবার পর থেকে মারা যাওয়াদের মধ্যে শতকরা ৫৯ দশমিক ৩০ শতাংশ হলো ষাটোর্ধ। এছাড়া ৫০ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে মারা যাওয়ার হার ২৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ৪১ থেকে ৫০ বয়সীদের মধ্যে এই হার ১১ দশমিক ১২ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের মধ্য মারা যাওয়ার হার ৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ এর মধ্যে ১ দশমিক ৯২ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ এর মধ্যে শূন্য দশমিক ৭১ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম মারা যাচ্ছে শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুরা। এ ক্ষেত্রে মারা যাওয়ার হার শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ১৮৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৩ হাজার ১৭০ জনে।
করোনাভাইরাস নিয়ে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এদিন সুস্থ হয়েছেন আরও ৫ হাজার ৩৩৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৯১ হাজার ১৯৯ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।
-ঢাকা অফিস