সাতক্ষীরা জেলার দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ
খবর বিজ্ঞপ্তি
সাতক্ষীরার কৃর্তি সন্তান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ এর প্রফেসর, নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ট্রাস্ট ও লাইফ এন্ড হোপ ফাউন্ডেশনের মাননীয় চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছেন। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও তিনি সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা, আশাশুনি ও কালিগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকায় দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে এই ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন। গত ১০ই এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল ২০২১ (০৩ দিন) পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলার ৩টি উপজেলার প্রায় ৪০০০ হাজার পরিবারের মাঝে সংস্থাটির কো-অডিনেটর মিজানুর রহমান এর সার্বিক তত্ত্ব¡াবধানে এ ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। লাইফ এন্ড হোপ ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সার্বিক সহযোগিতায় এই মানবিক কার্যক্রমটি সম্পন্ন হয়।
শিশুদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সরকার কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে: সিটি মেয়র
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা মহানগরীতে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সফল করার লক্ষ্যে আয়োজিত এ্যাডভোকেসি সভা সোমবার সকালে শেরে বাংলা রোডস্থ নগর স্বাস্থ্য ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল ও কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের আওতায় কেসিসি’র স্বাস্থ্য বিভাগ এ সভার আয়োজন করে।
সভায় ১ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত পক্ষকালব্যাপী কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের সময়সীমা নির্ধারিত থাকলেও কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এ কার্যক্রম স্থগিত রাখা এবং পরবর্তী নির্দেশনা পাওয়া গেলে কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে বলে সভায় উল্লেখ করা হয়। নগরীর ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী সকল শিশুকে এ কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে বলে সভায় জানানো হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, শিশুদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সরকার কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। কিন্তু বর্তমানে করোনা মহামারী এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামীতে কঠোর নির্দেশনা আসছে উল্লেখ করে তিনি স্বাস্থ্য বিধি সংক্রান্ত সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) পলাশ কান্তি বালা’র সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তৃতা করেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. একেএম আব্দুল্লাহ। অন্যান্যের মধ্যে কেসিসি’র স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার হালদার, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শরীফ শাম্মীউল ইসলাম, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. শেখ সাদিয়া মনোয়ারা উষা, সদর থানা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ নূরুল ইসলাম প্রমুখ সভায় বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন।
বিকেলে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক নগরীর খালিশপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দরিদ্র প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সোহেল-এর প্রয়াত মাতা শেখ রিজিয়া নাসের ও সদ্য প্রয়াত শ্বাশুড়ি আয়শা আলম-এর রূহের মাগফেরাত কামনায় খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী ফয়েজ মাহমুদ-এর উদ্যোগে এ হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র ৫০জন দরিদ্র প্রতিবন্ধীর মাঝে ৫০টি হুইল চেয়ার বিতরণ করেন।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: আশরাফুল ইসলাম, কেসিসি’র মেয়র প্যানেল সদস্য মো: আমিনুল ইসলাম মুন্না, কাউন্সিলর মো: মনিরুজ্জামান, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পারভীন আক্তার, ট্যাঙ্ক-লরি ওনার্স এ্যাসোসিয়েশেনর মহাসচিব শেখ ফরহাদ হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শেখ আমানত আলী, আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াহেদুজ্জামান ডারউইন, ক্রীড়া সংগঠক হাফিজুর রহমান মিলন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা চয়ন কান্তি বিশ্বাসসহ স্থানীয় গণ্যমান ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনার সরকার অসহায় দুঃখী মানুষের সরকার: এমপি বাবু
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে অর্থের অভাবে কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে না। চিকিৎসার অভাবেও কেউ মারা যাবে না।শেখ হাসিনা সরকার অসহায় গরীব দুঃখী ও মেহনতী মানুষের সরকার।
সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায় কয়রা উপজেলার পরিষদের সম্মেলন কক্ষে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের দুস্থ-অসহায় ও হতদরিদ্রদের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র ত্রাণ তহবিলের চেক বিতরন কালে তিনি এ কথা বলেন। এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অসহায় দুস্থ মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে অত্যন্ত সফলভাবে সরকার পরিচালনা করছেন। দেশের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিয়ে এসেছেন। ফলে, অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। অর্থনীতির এমন কোন দিক নাই যেখানে কোন ঊন্নয়ন হয় নাই। ভৌত অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম,অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কমলেশ কুমার সানা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছিমা আলম, কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল হোসেন, উপেজলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুদীপ বালা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাগর হোসেন সৈকত, ইউপি চেয়ারম্যান কবি শামছুর রহমান, এইচ এম হুমায়ুন কবির, সরদার নূরুল ইসলাম কোম্পানী, জেলা যুবলীগ নেতা শামীম সরকার, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোঃ আবু সাঈদ খান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাদল, সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম প্রমূখ। এর পর সাংসদ আক্তারুজ্জামান বাবু উপজেলা সম্মেলন কক্ষে উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ক্লাবের মধ্যে প্রধান অতিথি উপস্থিত থেকে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রীড়া সামগ্রী বিতরন করেন।
খুলনায় সড়ক দূর্ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা নিহত
রূপসা প্রতিনিধি
খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার আজগড়া ইউনিয়নে ট্রলি-ইজিবাইক সংঘর্ষে সালাম সরদার (৮০) নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়েছে। সে উপজেলা সদরের দক্ষিনপাড়া এলাকার মৃত জিতু সরদারের ছেলে। সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বিড়ি আজগড়া গাউস বাড়ীর মোড় এলাকায় তেরখাদা-খুলনা সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, খুলনা থেকে ইজিবাইকে করে বাড়ি ফিরছিল সালাম সরদার। এ সময় বিরি আজগড়া এলাকার গাউসবাড়ী মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রলির সঙ্গে ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই মারা যায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সালাম সরদার। তেরখাদা থানার এস আই মাজরিয়া এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।তেরখাদা উপজেলার আজগড়া ইউনিয়নে ট্রলি-ইজিবাইক সংঘর্ষে সালাম সরদার (৮০) নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়েছে।
রূপসায় আওয়ামীলীগ নেতা শেখ ওলিউর রহমানের মায়ের জানাযা অনুষ্ঠিত
রূপসা প্রতিনিধি
সাবেক জেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও আইচগাতীর বেলফুলিয়া ইসলামীয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (অবসরপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক শেখ ওলিউর রহমানের মাতা এবং আইচগাতী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও খুলনা জেলা যুবলীগের সিনিয়র-সহ-সভাপতি শেখ মনিরুজ্জামান মনির চাচি রিজিয়া বেগম (৮৫) গত রবিবার রাত আনুমানিক ১০ টার সময় বার্ধক্যজনিত কারনে নিজ বাস ভবনে ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্না–রাজিউন )সোমবার সকালে খানঁ মোহাম্মদপুর আল কুবা কওমী মহিলা মাদ্রাসার মাঠে তার জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।এদিকে মরহুমের মৃত্যু সংবাদ শোনার সাথে সাথে তার বাড়িতে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ছুটে যান। এসময় শোক ও সমবেদনা জানাতে ও জানাযায় উপস্থিত হয়েছিলেন –জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান জামাল,জেলা বিএনপির যুগ্ন –সম্পাদক শেখ আবু হোসেন বাবু,মহানগর যুবলীগের আহবায়ক মোঃ শফিকুর রহমান পলাশ,খুলনা জেলা পরিষধ সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতা শেখ আবু জাফর,জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য মোঃ জামিল খানঁ,জেলা শ্রমিকলীগের সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ মারুফ,মনিরুজ্জামান পিলু, বেলফুলিয়া ইসলামিয়ার উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামান মনির,জেলা শ্রমিকলীগ নেতা এইচ এম রোকন,মোঃ মিজানুর রহমান প্রিন্স,বিএনপি নেতা শেখ শফিকুল ইসলাম শফিক, আল মোমিন লিটন,আল ফারুক বাবু,মনিশংকার নাগ,লিটন বিশ্বাস খোকন, বেগ রেজাউল ইসলাম রেজা, মোঃ সিরাজুল ইসলাম,শেখ আজগর আলী,মোঃ আলমগীর হোসেন আলম,মোঃ জহির রায়হান, মোঃ জামাল ফকির, রমজান হোসেন রিকি সহ নেতৃবৃন্দ প্রমূখ।
বাগেরহাটে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি কামনায় দোয়া
বাগেরহাট প্রতিনিধি
করোনা আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বাগেরহাটে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে বাগেরহাট শহরের সম্মিলনি মোড়স্থ জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, সাবেক সহ-সভাপতি এ্যাড. আব্দুল হাই, বিএনপি নেতা এ্যাড. আছাদুজ্জামান, হাদিউজ্জামান হীরু, শেখ সাহেদ আলী রবি, মেহেবুবুল হক কিশোর, জেলা কৃষকদল নেতা আসাফুদ্দৌলা জুয়েল, তহিদুল ইসলাম, জেলা মৎস্যজীবি দলের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক তানু ভুইয়া, জেলা ছ্ত্রা দলের সাধারণ সম্পাদক আলী সাদ্দাম দীপসহ বিএনপি ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান।
ফকিরহাটের ইজিবাইক চালকের মৃতদেহ পিরোজপুর থেকে উদ্ধার
ফকিরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের খান আলমগীর হোসেন (২৯) নামের এক ইজিবাইক চালক নিখোজের এক সপ্তাহ পর তার মৃতদেহ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, রবিবার ঘটনা স্থলের আশপাশে অজ্ঞাত স্থান থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে বাসস্ট্যান্ডের আশে পাশে দুর্গন্ধের অনুসন্ধান চালায়। একপর্যায় সড়ক সংলগ্ন একটি পরিত্যাক্ত ভবনের মধ্যে বালুর স্তুপের মধ্যে তার লাশের সন্ধান পান। তখন অজ্ঞাত ব্যাক্তি হিসেবে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পরিবারের লোকজন শনাক্ত করেন মৃতদেহটি খান আলমগীর হোসেনের। পুলিশ ও স্থানীয়দের প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছেন তাকে হত্যার পর লাশ বালুর স্তুপের ভেতর লুকিয়ে রাখে দুর্বৃত্তরা। তবে তার ইজিবাইকটি উদ্ধার হয়নি। তাকে হত্যার পর ইজিবাইক নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা নাকি শত্রুতা মূলক ভাবে তাকে সুকৌশলে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছেন। ফকিরহাট মডেল থানা পুলিশ জানায়, গত ৪ঠা এপ্রিল সকালে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের খান হারুনার রশিদের ছেলে ইজিবাইক চালক খান আলমগীর হোসেন বাড়ী থেকে বের হয়। এদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোবাইল ফোনে তার সাথে পরিবারের কথা হয়। এরপর সে আর বাড়ী ফিরে আসেনি। এ ব্যাপারে নিহতের ভাই নিজ বাদী হয়ে ফকিরহাট মডেল থানায় একটি অপহরন মামলা করেন,যার নং-০৭, তারিখ ০৮/০৪/২০২১ইং। মামলার পরের দিন অর্থাৎ ৯ এপ্রিল শরনখোলার সোনাতলা এলাকার সিদ্দিক খানের পুত্র আব্দুল খান জুয়েলকে আটক করেছে। এছাড়াও এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে থানায় আনা হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরির্দশক (এসআই) এস এম রায়হান জানান।
বাগেরহাটে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজীর অভিযোগে গ্রেফতার দুই
বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজীর অভিযোগে মোঃ সোহরাব হোসেন (৪৮) ও মোঃ মাসুদ রানা (ভুট্টো)(৩৯) নামের দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পূর্বক সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।এর আগে রবিবার (১১ এপ্রিল) বাগেরহাট শহরের খারদ্বার মসজিদ এলাকা থেকে এদেরকে আটক করে বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা।তবে গতকাল রাত পর্যন্ত পুলিশ আটকের বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
গ্রেফতার মোঃ সোহরাব হোসেন বাগেরহাট শহরের খারদ্বার এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে এবং মোঃ মাসুদ রানা (ভুট্টো)একই এলাকার আনোয়ার হোসেন তালুকদারের ছেলে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানাযায়, ১০ এপ্রিল শরণখোলা থেকে দুঃসম্পর্কের ভাইজি সনিয়া খাতুনকে মোটরসাইকেলে নিয়ে বাগেরহাট শহরে আসেন শরণখোলার উপজেলার ছৈলাবুনিয়া এলাকার দর্জি দোকানদার মোঃ ইউসুফ আকন।মমতাজ হোটেলের সামনে দাড়ানো অবস্থায় মোঃ সোহরাব হোসেন, মোঃ মাসুদ রানা (ভুট্টো)ও মোঃ বাবুল খান নামের তিন ব্যক্তি ডিবি পরিচয়ে তাদেরকে ইজিবাইকে তুলে দশানী নিয়ে যায়। সেখানে তাদেরকে আটকে রেখে আসামীরা বিকাশের মাধ্যমে ২১ হাজার টাকা গ্রহন করেন।পরে আরও টাকা দাবি করে মোঃ ইউসুফ আকনের কাছে।ইউসুফ আকন তার ভাইয়ের কাছ থেকে নিজ বিকাশ এ্যাকাউন্টে আরও ১০ হাজার টাকা আনেন। কিন্তু ইউসুফ আকনের মুঠোফোন থেকে টাকা ক্যাশ করা সম্ভব নয় বলে জানান বিকাশ ব্যবসায়ীরা।এসময় আসামীরা ইউসুফ আকনকে চরথাপ্পর মারে। ইউসুফের সাথে থাকা মেয়েটিকে ছেড়ে দেয়।সিম ফেলে দিয়ে ইউসুফের মুঠোফোন নিয়ে যায় তারা।ইউসুফকে ছেড়ে দেয়।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর শাফিন মাহমুদ বলেন, ডিবি পরিচয়ে চাঁদাবাজীর অভিযোগ তিনজনের নাম উল্লেখ করে ইউসুফ আকন নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা দুই জনকে আটক করেছি। নিয়মিত মামলা হয়েছে।আটকদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এজাহার নামীয় ৩নং আসামী মোঃ বাবুল খানকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাগেরহাটে অবৈধ ডিস ব্যবসায়ীদের কার্যক্রমে ক্ষতিগ্রস্থ অনুমোদিত ক্যাবল অপারেটররা
বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের ফকিরহাটে অবৈধ ডিস ব্যবসায়ীদের কার্যক্রমে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন সরকার অনুমোদিত ক্যাবল অপারেটররা।এমনকি অবৈধ ডিস ব্যবসায়ীরা রাতের অন্ধকারে মূল ক্যাবল মালিকদের সংযোগের তার কেটে নিয়ে যাচ্ছেন।সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ফকিরহাট উপজেলা ক্যাবল অপারেটর নামে ক্যাবল অপারেটরদের একটি সংগঠন এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্যাবল ব্যবসায়ী অসীম মন্ডল। তিনি বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট ফি দিয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুমোদন নিয়ে আমরা ব্যবসা করছি। কিন্তু ফকিরহাট উপজেলার ডহর মৌভোগ গ্রামের নিরাপদ বৈরাগী, ফলতিতা এলাকার শুভংকর বিশ্বাস, গোয়ালবাড়ী এলাকার বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, ফকিরহাট সদরের রেজাউল ও জুয়েল কোন অনুমোদন ছাড়াই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ডিস ক্যাবল ব্যবসা করছেন। তারা কোন সরকারি অনুমোদন নেয়নি। তাদেরকে একাধিকবার নিষেধ করা হলেও তারা তাদের এই অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করেননি। বরং বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের সংযোগের তার কেটে ফেলছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ২০১৯ এবং ২০২০ সালে বিটিভি থেকে জেলা প্রশাসনকে দুইবার চিঠি দেওয়া হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি।এই অবস্থায় অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জনতার বাগেরহাট ভিশনের চেয়ারম্যান শেখ লেনিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়েকুজ্জামান বাপ্পি, অর্থ সম্পাদক শেখ মাসুম, টেকনিক্যাল পরিচালক দেবু সাহা, ফকিরহাট উপজেলার শানু ডিস ক্যাবল নেটওয়ার্কের স্বত্বাধীকারী সবুজ রায়, ডহোর মৌভাগ ডিস ক্যাবল নেটওয়ার্কের স্বত্বাধীকারী সোহাগ মন্ডল, ফকিরহাট ক্যাবল ভিশনের স্বত্বাধীকারী একলাসুর রহমান, শান্তিগঞ্জ ক্যাবল ভিশনের স্বত্বাধীকারী কাজী তৈয়বুর রহমান, ও মন্ডল ক্যাবল ভিশনের স্বত্বাধীকারী অসীম মন্ডল উপস্থিত ছিলেন।
খুলনায় করোনার ভ্যাকসিনের নিয়েছেন তিন হাজার নয়শত ৮৭ জন
তথ্য বিবরণী
খুলনায় সোমবার মোট তিন হাজার নয়শত ৮৭ জন করোনার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। এর মধ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় দুই হাজার একশত ৪৩ জন এবং নয়টি উপজেলায় মোট এক হাজার আটশত ৪৪ জন। উপজেলাগুলোর মধ্যে দাকোপ তিনশত ১০ জন, বটিয়াঘাটায় একশত ৪০জন, দিঘলিয়া একশত ৫৮ জন, ডুমুরিয়া দুইশত ৪৩ জন, ফুলতলা একশত ৩৭ জন, কয়রা একশত ৮১ জন, পাইকগাছা চারশত ১৯ জন, রূপসা একশত ৭৫ জন এবং তেরখাদায় ৮১ জন দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণ করেছেন। টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ দুই হাজার সাতশত ৪৫ এবং মহিলা এক হাজার দুইশত ৪২জন।
এ পর্যন্ত খুলনা জেলায় মোট ১৩ হাজার চারশত ৭৩ জন দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণ করেন। এর মধ্যে পুরুষ নয় হাজার ছয়শত ৩২ এবং মহিলা তিন হাজার আটশত ৪১ জন। প্রথম ডোজে মোট সাতশত ৩৭ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এর মধ্যে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় তিনশত সাত জন এবং আটটি উপজেলায় মোট চারশত ৩০ জন। টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ চারশত ৪৯ এবং মহিলা দুইশত ৮৮ জন। এপর্যন্ত মোট এক লাখ ৬৯ হাজার নয়শত ৯৪ জন করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ সাতশত ৯৪ এবং মহিলা ৬৯ হাজার দুইশত জন।
শরণখোলায় সৎ চাচার অত্যাচারে গৃহবধূ বাড়ি ছাড়া
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
শরণখোলায় সতালো চাচার অত্যাচারে সাদিয়া আক্তার মুন্নি (২৯) নামের এক গৃহবধূ বাড়ি ছাড়া হয়েছেন। একমাত্র শিশু সন্তানকে নিয়ে এখন ফুফুর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। স্বামী মনির হোসেন গাজী থাকেন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে । এদিকে বাড়ি না থাকার সুযোগে মুন্নির ঘর চুরি করে নিয়ে যায় সৎ চাচা ও তার লোকজন। এ ব্যপারে রবিবার ৭ জনকে আসামী করে শরণখোলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মুন্নি ।
ভুক্তভোগী সাদিয়া আক্তার মুন্নি জানান, উপজেলার মধ্য সোনাতলা গ্রামের মোঃ ফোরকান মল্লিকের মেয়ে ছাদিয়া আক্তার মুন্নি তার বাবার জমির পাশাপাশি জমি কিনে একটি ঘর তুলে দীর্ঘ দিন বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু প্রতিবেশী সতালো চাচা মোশারেফ মল্লিক (৪০) তাকে ওই জমি থেকে উৎখাত করতে বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্র করতে থাকে। চাচা ও তার লোকজন বেশ কয়েকবার মারধর এবং লাঞ্চিত করে তাকে। এক পর্যায়ে অতিষ্ট হয়ে মুন্নি পার্শ্ববর্তী ফুফুর বাড়ি অবস্থান করেন। এ সুযোগে গত (৯এপ্রিল) শুক্রবার রাতে তার ঘরের জানালা ভেঙ্গে সব মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এঘটনায় তিনি চাচা মোশারেফ মল্লিক (৪০), রফিকুল হাওলাদার (৪০), আসাদুল মল্লিক (৩৮), সালমা বেগম (৩৫), হেলাল হাওলাদার (২৩), শহিদুল ইসলাম সাচ্চু (৫৫) ও মঞ্জু বেগম (৪০) কে আসামী করে শরণখোলা থানায় এজাহার দায়ের করেন মুন্নি ।
রোববার দুপুরে এঘটনার সত্যতা জানতে ওই গ্রামে গেলে প্রতিবেশী মোঃ আবু কালাম আকনের স্ত্রী সুখী বেগম, কামরুল ইসলাম বলেন, মুন্নি আসলেই নির্যাতিত। স্বামী দেশে নাই তাই একা পেয়ে তার উপর অনেক হুমকি ও মারধর চালিয়েছে ওর চাচারা ।
চাচা আসাদুল মল্লিকের স্ত্রী রুনা বেগম মারামারির কথা স্বীকার করলেও ঘর চুরির ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবী করেন । এঘটনায় শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, সোনাতলা গ্রামের ঘর চুরির ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলছে ।
নৌকার প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় মোড়েলগঞ্জে বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ১৮ জনের নামে মামলা
এম.পলাশ শরীফ
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের জিউধরা ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী ও তার সমর্থকদের হামলায় আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ২০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
রবিবার দিবাগত রাত পৌনে ১০টায় আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদশা বাদি হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলা নং-২১, তারিখ-১১.৪.২০২১।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান হাওলাদারকে। এ ছাড়া আরও ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাত রয়েছেন ২৮-৩০জন।
মামলায় বলা হয়েছে, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চাল বিতরণের সময় বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান ও তার অনুসারীরা পরিকল্পিতভাবে বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্থগিত থাকা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বাদশার ওপর হামলা করে। হামলাকারিরা চেয়ারম্যান ও চালের ডিলারের নিকট থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার ৯০০ টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং চাল নিতে আসা অনেক নারীকেও মারপিট করে।
প্রসংগত, রবিবার বেলা ১২টার দিকে ১২নং জিউধরা ইউনিয়নের ডেউয়াতলা বাজারে ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিদ্রোহী প্রার্থী ও তার সমর্থকেরা নৌকার প্রার্থী ওপর হামলা চালায়। এতে নৌকার প্রার্থীসহ ২০ জন আহত হন।
খাদ্য ও নগদ অর্থ সহায়তার দাবীতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান
খবর বিজ্ঞপ্তি
লকডাউন চলাকালে শ্রমজীবী মানুষকে খাদ্য ও নগদ অর্থ সহায়তার দাবীতে সোমবার বেলা ১টায় বাম গণতান্ত্রিক জোট খুলনা জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ খুলনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন। স্মারকলিপি বলা হয়, সারা বিশে^র মত বাংলাদেশেও করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন এবং মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিন ৭০ জনের উপরে পৌঁছেছে। এমতাবস্থায় জীবন রক্ষার্থে জনগণকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। কিন্তু দেশের সিংহভাগ মানুষ শ্রমজীবি। প্রতিদিনের আয়ের উপর নির্ভর করে তাদের সংসার চলে। চলমান এই মহামারিতে শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। শ্রমিক ছাঁটাই, লে-অফ সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছে। গ্রামের কৃষকরাও ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। মহামারীকালে নতুন করে ২ কোটি ৫০ লক্ষের উপর মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে নেমে গেছে। অথচ এই সময়ে কোটিপতির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ হাজারেরও বেশি। এটাই বাংলাদেশে বৈষম্যপূর্ণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থার নগ্নচিত্র। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চিত্রও করুণ। পর্যাপ্ত আইসিইউ, কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ, হাইফ্লো নোজেল প্রভৃতি আয়োজন না থাকার কারনে বিনা চিকিৎসায় অনেক করোনা রুগী মারা যাচ্ছে। চিকিৎসা ব্যবস্থার দ্রুত কার্যকরি উন্নতি ছাড়া সমস্যা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। এমতাবস্থায় করোনা মহামারি মোকাবেলা করতে হলে, সকল দলকে যুক্ত করে সর্বদলীয় কমিটি গঠন করা এবং জনগণকে সম্পৃক্ত করে সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা। তাই নি¤েœাক্ত দাবীসমূহ বাস্তবায়নের প্রত্যাশা করা হয়। দাবীসমূহÑ(১) লকডাউন চলাকালে গ্রাম-শহরের শ্রমজীবি মানুষের জন্য কমপক্ষে ১ মাসের খাদ্য ও নগদ ৫০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা প্রদান করতে হবে । (২) সরকারি উদ্যোগে দৈনিক ১ লক্ষ করোনা টেস্ট করতে হবে। (৩) সকল নাগরিককে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও টিকা দিতে হবে। (৪) জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলায় সর্বদলীয় কমিটি গঠন করতে হবে। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেনÑবাম গণতান্ত্রিক জোট ও গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা সমন্বয়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) কেন্দ্রীয় সদস্য এস এ রশীদ, জেলা সাধারণ সম্পাদক এড. এম এম রুহুল আমীন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ খুলনা জেলা সমন্বয়ক জনার্দন দত্ত নান্টু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সদস্য ও খুলনা জেলা সভাপতি মোজাম্মেল হক খান, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ জেলা সম্পাদকম-লীর সদস্য কাজী দেলোয়ার হোসেন, সিপিবি নেতা এড. নিত্যানন্দ ঢালী, এড. প্রীতিষ ম-ল, বাসদ খুলনা জেলা সদস্য আব্দুল করিম, গণসংহতি আন্দোলন নেতা সেলিম বকুল প্রমুখ।
পাটকল চালু, শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং লকডাউনে খাদ্য সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে
খবর বিজ্ঞপ্তি
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল চালু, আধুনিকায়ন, বদলী-দৈনিকভিত্তিক শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ, রমজানে চাল-ডাল-তেল-গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে সোমবার বেলা ১১টায় অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের আহ্বায়ক এড. কুদরত-ই-খুদা। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ২০২০ সালের ২রা জুলাই সরকার ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করে দেয়। পাটকল বন্ধের এই নিষ্ঠুর অমানবিক সিদ্ধান্ত স্থায়ী, বদলী ও দৈনিকভিত্তিক প্রায় ৬০ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ওপর আঘাতে তারা চরম হতাশার শিকার হন। বকেয়া পাওনা প্রদানের ক্ষেত্রেও শ্রমিকেরা সরকারের প্রতারণামূলক ফাঁদে পড়ছেন। ১৮ হাজার ২ শত বদলী শ্রমিক ও ৭ হাজার দৈনিকভিত্তিক শ্রমিক এখনও পর্যন্ত অর্থ পাননি। বক্তব্যে বলা হয়, বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সরকার ঘোষিত দ্বিতীয় দফায় লকডাউন চলছে। চলমান এই লকডাউনের সময় সরকারের নিকট পাটকল শ্রমিকসহ শ্রমজীবী মানুষদের খাদ্যদ্রব্য ও আর্থিক সহায়তা প্রদান, রমজানে চাল-ডাল-তেল-গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর মূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের বদলী-দৈনিকভিত্তিক শ্রমিকদের বকেয়া সঠিক হিসাব অনুযায়ী এককালীন পরিশোধ এবং নামের ভুল দ্রুত সংশোধনপূর্বক কয়েক হাজার স্থায়ী পাটকল শ্রমিকের বকেয়া পরিশোধের দাবী করা হয়। পাটকলের সাথে একইভাবে চিনিকল বন্ধ করায় দেশে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা কল্পনাতীত বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৪ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ১০ মাস ব্যাপী ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে আসছে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ। ১০ মাসে পরিষদ মানবপ্রাচীর, নাগরিকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা, পদযাত্রা, অবস্থান, গণমিছিল, সেমিনার, সংহতি সমাবেশ, শ্রমিক জনসভা, ডিসি অফিস ঘেরাও, ভুখা মিছিল, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও, রাজপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। অবরোধ পালন করতে যেয়ে সরকারের রাজনৈতিক হাতিয়ার পুলিশ প্রশাসন কর্তৃক নাগরিক পরিষদের ১৪ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে। এই আটক, ষড়যন্ত্র ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করার মধ্য দিয়ে প্রমাণ করে ক্ষমতাসীন সরকার শ্রমিক স্বার্থবিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ। এই সরকার সারাদেশে ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরতান্ত্রিক শাসন কায়েম করেছে। বক্তব্যে আরো বলা হয়, সরকারের অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার কারণে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দেশের সাধারণ মানুষকে সচেতন করা এবং সতর্কতামূলক কোন ব্যবস্থা সরকার করেনি। গত বছরের করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে সরকার সামান্যতম শিক্ষা গ্রহণ করেনি। করোনা ভাইরাসের ভয়ঙ্কর থাবায় সাধারণ মানুষ চরমভাবে উৎকণ্ঠিত, একই সাথে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে নিরন্ন মানুষেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। প্রতি বছর রমজান এলে নিত্যপণ্যসামগ্রীর দাম বৃদ্ধি একটি প্রচলিত রীতিতে পরিণত হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধি করে ফায়দা লোটে আর পরিলক্ষিত হয় সরকারের হুঙ্কারের তামাশা। অপরদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান টিসিবি’র পণ্যসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি, পরিমাণ কমিয়ে দেয়া, বিক্রয় কেন্দ্রের স্থান অর্ধেক করা ও বিক্রয় সামগ্রীর পরিমাণ কম করে অসহায় শ্রমজীবী মানুষের জীবনে মরার ওপর খাড়ার ঘায়ের মত অবস্থা তৈরি করেছে। এটা চরম নিষ্ঠুরতা ও অমানবিকতার সামিল। পাটকল শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষসহ গ্রাম ও শহরের শ্রমজীবী মানুষের খাবারের ব্যবস্থা না করে লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর করা সম্ভব নয়, সঙ্গত ও যুক্তিযুক্ত নয়। দুই দিন পরই রমজান মাস তারপর ঈদ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিগত ১ বছর ধরে অবর্ণনীয় অর্থকষ্টে দিন কাটাচ্ছে। ঘরে খাবার নেই। সন্তানদের লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে। কর্মহীন শ্রমিক পরিবারের চিকিৎসা বা ওষুধ কেনার ন্যূনতম সামর্থ নেই। করোনার ভয়াবহতায় বিকল্প কর্মসংস্থান নেই। তাই পরিষদের পক্ষে সরকারের নিকট দাবী জানানো হয়Ñ(১) রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের বদলী দৈনিকভিত্তিক শ্রমিকদের বকেয়া প্রদান করতে হবে। (২) অবিলম্বে পাটকল চালু ও আধুনিকায়ন করতে হবে। (৩) চাল-ডাল-তেল-গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের দাম কমাতে হবে ও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ সময়ে অন্যানের মধ্যে উপস্থিতি ছিলেনÑসদস্য সচিব এস এ রশীদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. আ ফ ম মহসীন, বাম গণতান্ত্রিক জোট ও গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা সমন্বয়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) খুলনা জেলা সভাপতি মোজাম্মেল হক খান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলÑবাসদ খুলনা জেলা সমন্বয়ক জনার্দন দত্ত নাণ্টু, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ খুলনা জেলা সম্পাদকম-লীর সদস্য কাজী দেলোয়ার হোসেন, আনিসুর রহমান মিঠু, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট খুলনা জেলা সভাপতি আব্দুল করিম, টিইউসি জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম চন্দন, গণসংহতি আন্দোলন নেতা সেলিম বকুল, আল আমিন শেখ, শ্রমিক নেতা শামসেদ আলম শমশের, শামস শারফিন শ্যামন প্রমুখ।
করোনায় গৃহকর্মীর মৃত্যু, দাফনে তাকওয়া টিম
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
ঢাকায় অন্যের বাসায় কাজ করা অবস্থায় এক সপ্তাহ আগে করোনায় আক্রান্ত হন মণিরামপুরের আছিরন বেগম (৬৫)। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ভাল চিকিৎসা না হওয়ায় রোববার (১১ এপ্রিল) রাতে তাকে নিয়ে যশোরের উদ্দেশে রওয়ানা হন স্বজনরা। পথিমধ্যে সোমবার (১২ এপ্রিল) ভোর সাড়ে তিনটার দিকে মারা যান আছিরন বেগম।
আছিরন বেগমের বাড়ি মণিরামপুরের ঝাঁপা ইউপির মল্লিকপুর গ্রামে। তার স্বামী সন্তান কেউ নেই। বহুবছর ধরে তিনি গ্রামের এক প্রতিবেশীর মেয়ের ঢাকার বাসায় কাজ করতেন। আজ (সোমবার) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে পিতা মৃত মোবারক মোড়লের ভিটেয় দাফন হয়েছে আছিরনের।
বৃদ্ধার দাফন কাজে অংশ নেন স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন তাকওয়া ফাউন্ডেশন। সংগঠনটির যশোর টিমের সমন্বয়ক নাসিম খানসহ আট সদস্য কাজে অংশ নেন। তারা হলেন, সদস্য ইউসুফ আলী, তাহমিদ খান, বিএম আতাউল্লাহ, মুকিত খান, সাইফুল ইসলাম, নাজমা বেগম ও মুক্তা খাতুন।
স্থানীয় ঝাঁপা ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টু এসময় উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
আছিরন বেগমের বোনের ছেলে শাহিন হোসেন বলেন, খালা ঢাকায় একটি বাসায় কাজ করতেন। করোনা আক্রান্ত হলে এক সপ্তাহ আগে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দেখভালের সমস্যা হওয়ায় রোববার রাতে তাকে যশোরে আনছিলাম। পথিমধ্যে ভোর সাড়ে তিনটার দিকে মারা গেছেন খালা।
তাকওয়া ফাউন্ডেশনের যশোর টিমের সমন্বয়ক নাসিম খান বলেন, আছিরন বেগমের স্বজনরা আমাদের জানান মৃতের কাফন দাফনের জন্য কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। খবর পেয়ে আমরা টিমের আট সদস্য আছিরন বেগমের গোসল ও দাফন কাফনে অংশ নিই। গত বছর করোনায় মৃত্যু শুরু হওয়া থেকে আজ পর্যন্ত যশোর জেলায় আমরা ২৬ জনের দাফনকার্য সম্পন্ন করেছি।
ঝাঁপা ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টু বলেন, ঢাকায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আজ (সোমবার) ভোরে মারা গেছেন আছিরন বেগম। আমি উপস্থিত থেকে মল্লিকপুরে পিতার বাড়িতে তার দাফন কাফনের ব্যবস্থা করেছি।
শেখ সোহেল এর আম্মা ও শাশুড়ির রুহের মাগফেরাত কামনায় হুইল চেয়ার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
খবর বিজ্ঞপ্তি
ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সোহেল এর আম্মা ও শাশুড়ির এবং শ্যালকের রুহের মাগফিরাত কামনায় করে খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী মাহমুদ এর উদ্যোগে হুইল চেয়ার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। খুলনার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা অসহায় ও দরিদ্র ৫০ জন ব্যক্তির মাঝে হুইল চেয়ার , রমজানের ইফতারি ও খাদ্য বিতরণ করা হয় । হুইচ ও খাদ্য বিতরণ শেষে শেখ সোহেল আম্মা রিজিয়া নাসের ও শাশুড়ি আয়েশা আলম এর রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন খালিশপুর কদমতলা জামে মসজিদের পেশ ইমাম।
হুইল চেয়ার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র ১ আমিনুল ইসলাম মুন্না,১২ নং ওয়ার্ড ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর-৪ পারভীন আক্তার, খুলনার ট্যাংলরি ওয়ার্নার এসোসিয়েশনের মহাসচিব শেখ ফরহাদ হোসেন, অহিদুজ্জামান খান ডারউইন, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অজগর বিশ্বাস তারা,শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ এর খুলনা মহানগর সভাপতি আনিছুর রহমান কবির, ক্রীড়া সংগঠক হাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, দেবা মিস্ত্রি, চান কান্তি বিশ্বাস, পাপ্পু, বিধান সাহা,হ্যাপি শেখ।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ খালিশপুর থানা নেতৃবৃন্দের মাস্ক বিতরণ
খবর বিজ্ঞপ্তি
মহামারী করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষে সোমবার ১২ই এপ্রিল বিকাল ৫ টায় খালিশপুর লিবার্টি হল বাজার, চিত্রালী বাজার, নয়াবাটি মোড়, নতুন রাস্তা মোড়, পাবলাসহ খালিশপুর থানাস্থ বিভিন্ন এলাকায় বঙ্গবন্ধু পরিষদ খুলনা মহানগর নেতা আলহাজ্ব মোঃ শাহাদাৎ হোসেন মল্লিক এর সৌজন্যে ব্যবসায়ী, সাধারন মানুষ, অটো চালক, রিক্সা চালক, ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ী, পথচারী ও প্রান্তিক ছিন্নমূল মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরন করা হয়। মাস্ক বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের খুলনা মহানগর সাধারন সম্পাদক এম আসাদুজ্জামান মুন্না, সহ-সভাপতি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোঃ নূর হোসেন, খালিশপুর থানা আ’লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব এস এম জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ডা. হাফিজুর রহমান সোহেল, আলিনুর মাতুব্বর, দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম, আছাদুজ্জামান কচি, খালিশপুর থানার বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষে কাজী হাসনাত হোসেন কমিট, খন্দকার হুমায়ুন কবির, আওলাদুল আমিন, চৌধুরী হাবিবুর রহমান, মুন্সি মাহবুবুর রহমান, সুলতান আহম্মেদ, আকবর শেখ, আল আমিন, নজরুল ইসলাম খান, নাসিম হায়দার, কাজী ফয়সাল হক জনি, মোসাঃ সাবিহা, মোসাঃ নাজমা বেগম, কাজী রায়হান হোসেন রুপম, বাবর আলী, মোঃ মিজান, আঃ জলিল, ইঞ্জি. তানভীর আহম্মেদ নয়ন, ইঞ্জি. শান্তুনু বৈরাগী, রতন সাহা, বিশ্বজিত মন্ডল, আফজাল হোসেন আনজালা, আঃ জব্বার কমান্ডার, আঃ সালাম সরদার, মেহেদী হাসান প্রিন্স, নেতৃবৃন্দ মাস্ক বিতরণ কালে সকলকে মহামারী করোনা থেকে মুক্তি লাভের জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা, হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ সরকারের ঘোষিত কর্মসূচী পালন করার জন্য সর্বস্তরের জনগণকে আহবান জানান।
খুলনা মহানগর পূজা পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও ভক্তদের বাবার মাথায় জল প্রদান
খবর বিজ্ঞপ্তি
বাবা তারকেশ্বর দিবসে খুলনার ঐতিহাসিক জোড়া শিব মন্দিরে সোমবার সকাল ৭টা থেকে দিনব্যাপী শিব ঠাকুরের ভক্তগণ উপবাস থেকে বাবার মাথায় জল প্রদানসহ পুষ্প, বিল্লপত্র, ফলফলাদি, মিষ্টি ও বিভিন্ন উপকরণসহ পূজা-অর্চনা করেন। সকাল ১০টায় বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ খুলনা মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ, মহানগর আওতাধীন বিভিন্ন থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে বাবার মাথায় জল প্রদানসহ পূজা-অর্চনা করেন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে এবারের তারকেশ্বর দিবসে ঐতিহাসিক জোড়া শিব মন্দিরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে বাবার মাথায় জল প্রদানসহ পূজা-অর্চনা করা হয়। এ সময় সকল ভক্তগণ করোনা মহামারী থেকে দেশবাসী ও বিশ্ববাসীকে রক্ষার জন্য বাবার নিকট প্রার্থনা করা হয়। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেনÑবাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ খুলনা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কু-ু, কোষাধ্যক্ষ রতন কুমার নাথ, বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ খুলনা মহানগর সভাপতি বিশ্বজিৎ দে মিঠু, জোড়া শিব মন্দির কমিটির সভাপতি দেবীপ্রসাদ ঘোষ, সহ-সভাপতি গৌরাঙ্গ সাহা, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ধর্মানুরাগী বাবলু বিশ্বাস, শিবু ভক্ত, অলোক কু-ু, পিযূষ কান্তি ঘোষ। আরও উপস্থিত ছিলেনÑখুলনা সদর থানা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বিকাশ কুমার সাহা, দৌলতপুর থানা সভাপতি তিলক গোস্বামী, সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ অধিকারী, সোনাডাঙ্গা থানা সাধারণ সম্পাদক রামচন্দ্র পোদ্দার, উজ্জ্বল ব্যানার্জী, রাজদীপ ঘোষ, সুশান্ত ব্যানার্জী, মুকেশ রাম, প্রফুল্ল দেবনাথ, অশোক বাহাদুর, প্রদীপ পাল, তপন চৌধুরী, সাধনা চৌধুরী, রিতা দত্ত, রাধা বাহাদুর প্রমুখ। পূজায় পৌরহিত্য করেন জোড়া শিব মন্দিরের প্রধান পুরোহিত ভোলা কাঞ্জিলাল ও তাকে সহযোগিতা করেন পুরোহিত এলিন গাঙ্গুলী। পূজান্তে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
বিএনপি নেতা বাবুল কাজীর মৃত্যুতে মহাসচিবের শোক
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনায় পুলিশের হামলায় আহত বিএনপি নেতা মোহাম্মদ বাবুল কাজীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ এবং ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, নওগাঁ, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া ও পটিয়াসহ দেশব্যাপী পুলিশের গ্রেফতার অভিযান বন্ধ, গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ২৯ মার্চ দেশব্যাপী মহানগর ও ৩০ মার্চ জেলা সদরে প্রতিবাদ বিক্ষোভের ডাক দেয়। দলের এসব কর্মসূচিতে স্থানীয় পুলিশ ব্যাপক হামলা, গুলিবর্ষণ ও লাঠিচার্জ করে। খুলনা মহানগরীর উদ্যোগে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশের বেপরোয়া লাঠিচার্জ, হামলায় বিএনপি নেতা বাবুল কাজীসহ ৩০ জন আহত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোহাম্মদ বাবুল কাজী গতরাতে ইন্তেকাল করেন।’ তিনি বলেন, ‘পুলিশের হামলায় এই ঘটনায় নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নেই। গত ৩০ মার্চ নওগাঁর বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে ৩০ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে নওগাঁয় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় যুবদল নেতা কোহিনুর ইসলামসহ ১৭ জনকে ওইদিনই গ্রেফতার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোশারফ হোসেন, নওগাঁ পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম সাথী এবং বক্তারপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো. আফজাল হোসেন সরদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচির সাথে বিএনপির কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতা না থাকা সত্ত্বেও সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সরকার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের হেফাজতের মামলায় জড়িয়ে গ্রেফতার ও হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছেন। সোমবার দুপুরে বিএনপির দফতরের চলতি দায়িত্বে থাকা এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভয়াবহ করোনার মধ্যেও এখন পর্যন্ত পুলিশ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নিরীহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করতে তাদের বাড়ি বা পাড়া-মহল্লায় অভিযান চালিয়ে হয়রানি করছে। পুলিশের অপকীর্তি ও হামলায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে বিএনপিকে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে সরকার প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন করতে চাচ্ছে। এটা সরকারের ভ্রষ্টাচার নীতি ছাড়া আর কিছুই নয়।’
মহানগর কৃষক লীগের মাস্ক বিতরণ
খবর বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে অনেকে। করোনা প্রতিরোধ করতে সচেতনা ও স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মানুষের মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে মাস্ক বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে খুলনা মহানগর কৃষক লীগ।
গতকার সোমবার সকালে ‘মাস্ক পরার অভ্যেস করো, করোনামুক্ত বাংলাদেশ গড়ো’ এই প্রতিপাদ্যে খুলনা মহানগর কৃষক লীগের পক্ষ থেকে সাধারণ জনগণের মধ্যে নগরীর ডাকবাংলা মোড়, রব মার্কেট, নিক্সন মার্কেট, ক্লে-রোড, পিকচার প্যালেস মোড়, শপিং কমপ্লেক্স, জলিল টাওয়ার, আকতার চেম্বার, মালেক চেম্বার, আলো সুপার মার্কেট, স্পোর্টস মার্কেটসহ বিভিন্ন জায়গায় মাস্ক বিতরণ করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা। এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, হঠাৎ করে বিশ্বে আবার করোনা মহামারির প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে, করোনা রোগী বৃদ্ধি পেয়ে এখন দেশে হাসপাতালে শয্যার সংকট সৃষ্টি হচ্ছে আর তাই আমাদের সবাইকে আবারও জোরালোভাবে করোনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ধাপ মোকাবেলায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা এস এম আকিল উদ্দিন, শাকিল মালিক, খুলনা মহানগর কৃষক লীগের আহবায়ক এ্যাড. একেএম শাহজাহান কচি, সদস্য সচিব এবিএম আদেল মুকুল, মহানগর কৃষক লীগ নেতা মো. রাজু আহমেদ, মো. আইউব আলী খান, মো. শহীদুল হাসান, কানাই রায়, শেখ আবু বক্কর সিদ্দিকী বাবুল, অনিক রায়, মুরাদুল ইসলাম খলিফা, শেখ আকরাম হোসেন, মোল্লা মো. সেলিম, মো. লুৎফর রহমান, কাজী ফায়েক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মামুনুল হককে নিয়ে পোস্ট : আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২৫
কুষ্টিয়ায় ফেসবুকে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি।
সোমবার সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার জিয়ারখি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক ও সাবেক সভাপতি আহসান সরদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
এরই মাঝে আজিজুল হকের সমর্থক জিয়ারখি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম হেফাজত নেতা মামুনুল হককের বিরুদ্ধে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। প্রতিপক্ষ আহসান সরদারের কয়েকজন ওই পোস্টে মামুনুল হকের পক্ষ নিয়ে কমেন্ট করেন। তারা শরীফুল ইসলামকে ‘নরেন্দ্র মোদির সন্তান’ বলে কটূক্তি করেন।
এ ঘটনার জের ধরে সোমবার সকালে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। দুই পক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
এতে দু’পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন। এদের মধ্যে সাইদুল (৪০) নামে এক জনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহত আরও ৪ জনকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক জানান, আহসান সরদারের লোকজন হেফাজত নেতা মামুনুল হকের পক্ষ নিয়ে আমার লোকদের ওপর হামলা চালায়।
অপরদিকে আহসান সরদারের দাবি, তাদের লোকদের হেফাজত আখ্যা দিয়ে আজিজুল হকের লোকজন তার লোকদের বাড়িঘরে হামলা করে। এতে তার পক্ষের ১০-১২ জন আহত হয়েছেন।
দেবহাটায় ক্লান্তিহীন ছুটে চলা এক নারী দেবহাটার ইউএনও তাছলিমা আক্তার
কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা (সাতক্ষিরা):
ক্লান্তিহীন ছুটে চলা এক নারী দেবহাটার ইউএনও তাছলিমা আক্তার। করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ থেকে রক্ষাপেতে নানামুখী কর্মসুচি হাতে নেওয়া সহ তা বাস্তবায়ন করে চলেছেন ইউএনও তাছলিমা আক্তার। সাধারণ মানুষেকে সচেতন করা, বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা, বিভিন্ন হাটবাজার মনিটরিং করে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা জনসমাগম রোধে বিভিন্ন হাটবাজার এমনকি গ্রাম পর্যায়ে মানুষকে সচেতন করে চলেছেন তিনি।
দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পর থেকে। বিভিন্ন কর্মকান্ড ও আর্তমানবতার সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ইতিমধ্যে তিনি ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। সৎ-সাহস ও সদিচ্ছা থাকলে একদিন কঠিন কাজেও সফলতা অর্জন করা সম্ভব। সাম্প্রতিক সময়ে তার কর্মকান্ডে এমন প্রমাণ মিলেছে। যে কারণে জনগণ আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে খুঁজে নিয়েছেন মমতাময়ী ইউএনওকে। উপজেলা পরিষদের সকল দপ্তরে দুর্নীতি, অনিয়ম ও হয়রানি বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। দেবহাটাকে একটি আধুনিক জনপদ গড়ে তোলার লক্ষ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে ইউএনও তাছলিমা আক্তার। তার সততা ও কর্মদক্ষতায় ক্রমান্বয়ে বদলে যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকান্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান।
প্রভাবশালী মহলের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সরকারি সম্পত্তির অবৈধ দখল প্রতিরোধে দুঃসাহসিক ভূমিকা পালন করেছেন ইউএনও তাছলিমা আক্তার। ফলে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে মাঠে নেমেছেন তিনি। দাপ্তরিক কাজের বাইরে ইউএনও তাছলিমা আক্তার সকাল-বিকাল ছুটে বেড়ান দেবহাটার বিভিন্ন প্রান্তে। কথা বলেন সব শ্রেণির মানুষের সঙ্গে। শোনেন তাদের দুঃখ-কষ্টের কথা। নিয়মিত খোঁজখবর নেন সমাজের অবহেলিত গরিব-দুঃখী মানুষের। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার “ভূমিহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ” এর লক্ষ্যে খাস জমি উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। যার ফলে বিভিন্ন এলাকায় সরকারি জমি অবৈধ ভাবে দখল কারীদের কবল থেকে ঐ জমি উদ্ধার করে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রাপ্ত উপহার অসহায় সম্বলহীন পরিবারকে নিজ তত্ত্বাবধানে মানসম্মত ঘর নির্মাণ করে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার শফিউল বশার জানান, বর্তমান সরকারের দেওয়া উপহার ভূমিহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ করার লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশ মোতাবেক কুলিয়া, সখিপুর, নওয়াপাড়া, দেবহাটা সদরের বিভিন্ন এলাকার খাস জমি উদ্ধার কাজ চলছে। খুব দ্রুত প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন হবে।
দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার সাংবাদিক কে এম রেজাউল করিমের কাছে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, আমি দেবহাটায় প্রথম নির্বাহী অফিসার হিসাবে যোগদানের পর থেকে নিজেকে দুর্নীতি মুক্ত রেখে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নির্দেশ মোতাবেক সঠিক নিয়মে কাজ করে যাচ্ছি। আমার কোন অফিসে সেবা নিতে সরকারি ফি’র বাহিরে একটি টাকাও লাগে না। কেউ অবৈধ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করবেন না। যদি কোন অফিসের কেউ অবৈধ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে সেটি আমাকে সরাসরি জানাবেন। সরকার আমাকে পাঠিয়েছে জনগনের সেবা দিতে। তারই লক্ষে আমি কাজ করছি। সুতরাং আপনাদের এলাকার মানুষের কল্যাণে কাজ করতে আমাকে সহযোগীতা করুন।
তিনি আরো বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমি নেই, ঘর নেই এবং জমি আছে ঘর নেই এই ক ও খ শ্রেণির প্রকৃতদের জন্য সরকার গৃহ উপহার দিবেন। সেই লক্ষ্যে খাস জমি উদ্ধার কাজ চলছে। আমি আপনাদের সকলের সহযোগীতার মাধ্যমে প্রকৃত সুবিধাভোগী বাছায় করে তাদের মাঝে সরকারের উপহার পৌঁছে দিতে চাই। তাই আপনাদের জন্য নির্বাহী অফিসারের দপ্তর উন্মুক্ত। অফিস কক্ষে অনুমতি ছাড়াই প্রবেশ করে সমস্যার কথা জানাতে পারবেন।
অভয়নগরে স্বেচ্ছাসেবক দলের দোয়া মাহফিল অনষ্ঠিত
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে অভয়নগর উপজেলা ও নওয়াপাড়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্বোগে সোমবার বিকালে নওয়াপাড়া উপশহর বাইতুর নূর জামে মসজিদে এক বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি মোঃ মুজিবর রহমান, নওয়াপাড়া পৌর সভার ২নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ নাসির উদ্দিন, অভয়নগর উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক মোঃ মাসুদ রানা, যশোর জেলা যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ আঃ রশিদ বিশ্বাস, মোঃ কামাল হোসেন, অভয়নগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোল্যা হাবিবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ মাসুম হোসেন, যুগ্ন-আহবায়ক মোঃ মাহাবুব হোসেন, নওয়াপাড়া পৌর যুগ্ন-আহবায়ক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন মিঠু, তরফদার মঈন উদ্দিন, মোঃ সজল হোসেন, যশোর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম, অভয়নগর থানা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ মাসুদ রানা তুহিন, যুগ্ম-সম্পাদক তরফদার নাজির উদ্দিন, যুবদল নেতা শাহাজালাল হোসেন, ইলিয়াস হোসেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সদস্য মোঃ সাগর শেখ, একরামুল ইসলাম, মোঃ সোহাগ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোঃ সুজন ফারাজি, মোঃ শাহাবুদ্দিন, মোঃ জসিম উদ্দিন, মোঃ রাজু আহম্মেদ, ছাত্রদল নেতা মোঃ মামুন হেসেন, আল আমিন হোসেন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
ফুলতলায় ইউএনও’র ভ্রাম্যমান আদালত ও করোনা সচেতনামুলক পথ সভা
ফুলতলা প্রতিনিধি
সোমবার বিকালে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ইউএনও সাদিয়া আফরিনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত ফুলতলা বাজারে অভিযান চালিয়ে মাস্ক ব্যবহার না করায় ৪ ব্যক্তিকে ৬শ’ টাকা এবং বিধি না মানায় বাস (নং-যশোর-ব-১১-০০৬৩) এর চালক ও যাত্রীদেরকে ৪ হাজার ৬শ’ টাকা জরিমানা ধার্য ও আদায় করেন। এর পূর্বে ইউএনও সাদিয়া আফরিন ফুলতলা বাজারের রফিস সড়কসহ বিভিন্ন মোড়ে করোনা বিরোধী সচেতনামুলক প্রচারণা ও পথ সভা করেন। এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুলী বিশ্বাস, সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ শাহীন আলম, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আফরুজ্জামান, উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি শামসুল আলম খোকন, সাংবাদিক মোঃ নেছার উদ্দিন, বণিক কল্যাণ সোসাইটির দপ্তর সম্পাদক গাজী আবুল খায়ের, সদস্য জুলহাস আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ফুলতলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল
ফুলতলা প্রতিনিধি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোমবার বাদ জোহর ফুলতলার নতুনহাটস্থ জামে মসজিদে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মোঃ সেলিম সরদার, আনোয়ার হোসেন বাবু, বিএনপি নেতা শেখ মহিউদ্দিন, জিএম শফিকুল ইসলাম, মাজেদ শেখ, আবজাল শেখ, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, আকবার সরদার, মনিরুল শেখ, আনোয়ার হোসেন, ইমরান শেখ, স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা আনিছুর রহমান রনি, পিন্টু জমাদ্দার, যুবদল নেতা সৈয়দ আল শাকিল, ইউসুফ মোল্যা, ছাত্রদলনেতা আলামিন সানা, ফয়সাল হোসেন প্রমুখ। এদিকে ফুলতলার জামিরা ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে বাদ আছর পিপরাইল সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মসজিদে অনুরুপ এক দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গাজী ফজলুল হক, আঃ হালিম শেখ, হালিম সরদার, সবুর বিশ্বাস, হুমায়ুন কবির মোল্যা, খালেক সরদার, ডাঃ আবু জাফর বিশ্বাস, মাষ্টার নুরুল ইসলাম মোল্যা, আবুল কালাম, মোঃ কামরুল সরদার, গোলাম মোস্তফা ধলা, মাষ্টার ইলিয়াস মোল্যা, পলাশ বিশ্বাস, লুৎফর সরদার, সিরাজুল ইসলাম খান, ফজর আলী, শাহনেওয়াজ হোসেন স¤্রাট, মেহেদী মিঠুন দারা, হাফিজুর গাজী, মোঃ খোকা সরদার, ইনামুল গাজী, সোহরাব সরদার, নাজমুল গোলদার প্রমুখ।
ফুলতলয় ঘের ব্যবসায়ীর টাকা ও মোবাইল ছিনতাইঃ আটক ১
ফুলতলা প্রতিনিধি
বাদল শেখ (৩৭) নামে এক ঘের ব্যবসায়ীকে এলাকার চিহ্নিত ছিনতাইকারীরা অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে নগদ ১৩ হাজার টাকা ও ২১ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় মোঃ জামিনুর শেখ (১৯) নামে এক ছিনতাইকারী আটক হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাত ৯টায় ফুলতলার বরণপাড়া গ্রামের পানিঘাটা খাল পাড়ে। পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় বরণপাড়া গ্রামের গাউস শেখের পুত্র বাদল শেখ তার বিলডাকাতিয়াস্থ মৎস্য ঘেরে যাচ্ছিলেন। বরণপাড়া গ্রামের পানিঘাটা খাল পাড়ে পৌছালে চিহ্নিত ৪ ছিনতাইকারী তার গলায় রাম দা ও চাকু ধরে তাকে জিম্মী করে কাছে থাকা নগদ ১৩ হাজার টাকা ও ২১ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তার চিৎকারে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এসে পাড়িয়ারডাঙ্গা গ্রামের মনিরুল শেখের পুত্র মোঃ জামিনুল শেখকে আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে বাদল শেখ বাদি হয়ে পাড়িয়ারডাঙ্গা গ্রামের মনিরুল শেখের পুত্র মোঃ জামিনুল শেখ (১৯), কোলাম ফারাজির পুত্র ইয়ামিন ফারাজি (১৯), মোশারফ শেখের পুত্র সাকিল শেখ (২০) ও আনিস ফকিরের পুত্র সাগর ফকির (২৩) কে আসামী করে ফুলতলায় থানায় মামলা (নং-০৮) দায়ের করেন। তবে ছিনতাইকৃত টাকা ও মোবাইল এবং ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার হয়নি।
অভয়নগরে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের শপথ অনুষ্ঠিত
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি-
যশোর অভয়নগরে নওয়াপাড়া ইমারাত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচিত কর্মকর্তাদের শপথ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকালে নওয়াপাড়া রেলস্টেশনের পাশে ইমারাত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের নিজস্ব কার্যালয়ে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। মোঃ রফিকুল ইসলাম বাঘার সভাপতিত্বে নির্বাচিত সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন ও সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আলীসহ ১৫ জন নির্বাচিত প্রতিনিধি কে শপথ বাক্য পাঠ করান নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও অভয়নগর ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা নজরুল ইসলাম মল্লিক। এসময় উপস্থিত ছিলেন ,অভয়নগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান তারু,বিএনপি নেতা মশিউর রহমান মশি,জিএম বাচ্চু,ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এমএম আলাউদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গীর বিশ্বাস,সাবেক পৌর কাউন্সিলর এবং সাংবাদিক শেখ আসাদুল্লাহ আসাদ, নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের দপ্তর ও গণ সংযোগ সম্পাদক শাহিন আহমেদ,নির্বাহী সদস্য গাজী রেজাউল করিম, শেখ আকতারুজ্জামান,রবিউল ইসলাম বিশ্বাস,জাকির হোসেন হৃদয়, রিপানুল ইসলাম,রকিবুল ইসলাম,জসিম উদ্দিন বাচ্চু,হান্নান শেখ প্রমূখ। উল্লেখ্য অভয়নগর নওয়াপাড়া ইমারাত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে মোশারফ-সৈয়দ পরিষদের ১৫টি পদের সকলেই বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হন ।
নিসচা’র সাতক্ষীরা জেলা শাখার বিবৃতি
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
নিসচা’র সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মদ দিদারুল ইসলাম সড়ক দূর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়েছেন। গত ৪ এপ্রিল রবিবার বেলা ১২ টার সময় ফরিদপুর রাজবাড়ি মোড়ে মোটরসাইকেলে পানসা যাওয়ার প্রাক্কালে পথিমধ্যে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাক সজোরে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে মোটর সাইকেল চালক বাবুল ঘটনাস্থলে নিহত হন । এবং নিসচা সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মদ দিদারুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি হন। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় এবং তিনি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন। এমতাবস্থায় তার সুস্থতা কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন নিসচা সাতক্ষীরা জেলা শাখার সহ-সভাপতি মোঃ আবুল কালাম, এম ঈদুজ্জামান ইদ্রিস, আবিদুল হক মুন্না, সাধারণ সম্পাদক এস এম মহিদার রহমান, সহ- সাধারণ সম্পাদক শেখ আহসানুর রাজিব, মোঃ মনিরুজ্জামান তুহিন, মোঃ রাউফুজ্জামান, অর্থ সম্পাদক মোঃ বোরহান উদ্দীন বুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক এ এস এম শাহনেওয়াজ মাহমুদ রনি, প্রচার সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান মনি, দূর্ঘটনা অনুসন্ধান ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড মোস্তফা জামান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ আমিরুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ ও ক্রীড়া সম্পাদক নাজমুল হাসান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মাহফুজা সুলতানা রুবি, যুব বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুল আলিম, কার্যকরী সদস্য এ্যাড এ বি এম সেলিম, এম আর মধু, মোঃ মোশাররফ হোসেন, এস এম রজব আলী, খন্দকার আনিছুর রহমান, স ম তাজমিনুর রহমান টুটুল, মোঃ হাফিজুর রহমান, মোঃ আশরাফুজ্জামান মুকুল, মোঃ অহিদুজ্জামান, সৈয়দ রেজাউল করিম বাপ্পা, জিল্লুর রহমান, মোঃ কামাল উদ্দীন সরদার, মন্জুর কাদির, মোঃ সোহরাব হোসাইন, এম হাফিজুর রহমান শিমুল, প্রভাষক নাজমুল হক, প্রভাষক আমিনুর রহমান, মোঃ মারুফ হোসেন, মোঃ ইনতাজ আলী, মোঃ তারিকুল ইসলাম, সাইফুল আযম খান মামুন প্রমুখ।
বাগেরহাটে ক্যাবল অপারেটরদের ব্যাবসা জবর দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের ফকিরহাটে বৈধ ডিস ক্যাবল অপারেটরদের অবৈধ ব্যবসায়ীদের দ্বারা জোরপূর্বক জবর-দখলের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ফকিরহাট ক্যাবল অপারেটরবৃন্দ। সোমবার বেলা ১২টায় বাগেরহাট প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অসিম মন্ডল। লিখিত বক্তব্যে অসিম মন্ডল বলেন এলাকার চিহ্নিত অবৈধ ব্যবসায়ীদের একটি গ্রুপ রাতের আধারে গ্রাহকদের দেয়া লাইনের তার কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এসকল অবৈধ ব্যবসায়ীরা ফীড লাইসেন্স না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে। কন্ট্রোলার/লাইসেন্স ম্যানেজার মোঃ জুলফিকার রহমান কোরাইশী গত ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর বাগেরহাট জেলা প্রশাসক বরাবর এ সকল লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্বে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য পত্র প্রদান করেন। কিন্তু আজও পর্যন্ত বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক কোন ব্যবস্থা গ্রহন করে নাই । সংবাদ সম্মেলনে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে বাগেরহাট ক্যাবলঅপারেটর নেটওয়ার্ক এর এমডি ফারুকুজ্জামান বাপ্পী , চেয়ারম্যান শেখ লেলিন, কারিগরি পরিচালক দেবু সাহা উপস্থিত ছিলেন।
পাইকগাছায় কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে জনসাধারনের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন যুবলীগ নেতা রাবু
পাইকগাছা প্রতিনিধি
পাইকগাছায় করোনা ভাইরাস জনিত রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে জনসাধারনের মাঝে মাস্ক প্রদান কর্মসুচী পালন করা হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুসফিকুর রহমান সাগর এর নির্দেশনায় কর্মসূচির উদ্ভোদন করেন যুবলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম রাবু। মঙ্গলবার সকালে পৌর সদরের বিভিন্ন স্থানে মাস্ক বিতারনের সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুবলীগ নেতা এম,এম, নজরুল ইসলাম, কেষ্টপদ মন্ডল, মোঃ হায়দার আলী, আব্দুল্লাহ আল ফারুক সোহান, পৌরসভা কৃষক লীগের যুগ্ন আহবায়ক, সবুজ মীর, আব্দুল্লাহ আল মামুন, উজ্জ্বল রায়, নয়ন গাজী, মাসুদ পারভেজ, তন্ময় মন্ডল, ইউসুফ গাইন ছাত্রনেতা রাসেল সরদার, সৌরভ মন্ডল, ইমরান হোসেন, থমসন ঢালী প্রমুখ।
কুল্যায় ভিজিডি চুড়ান্ত তালিকা পরিবর্তনের অভিযোগ
আশাশুনি প্রতিনিধি
আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নে ভিজিডি কর্মসূচির উপকারভোগিদের মাঝে চাউল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় অভিযোগের বিষয় উত্থাপিত হওয়ায় উপকারভোগিদের মাঝে প্রতিকারের জোর দাবী ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
ভিজিডি চক্র ২০২১-২২ ভিজিডি কর্মসূচির জন্য উপকারভোগি মহিলা নির্বাচনের তালিকার চুড়ান্ত ছক (ছক-৩) উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা স্বাক্ষর করে চাউল বিতরণের জন্য সরবরাহ করেন। কিন্তু কুল্যা ইউনিয়নে চুড়ান্ত তালিকার অনেকের নাম বাদ রেখে নতুন মহিলাদের মাঝে চাউল বিতরণ, সকলকে চাউল না দেওয়া, কার্ড বাবদ টাকা নেওয়াসহ নানা অভিযোগ এলাকায় তোড়পাড় শুরু করেছে। চাঁদাবাজীর শিকার ভুক্তভোগি, ভুক্তভোগির পরিবার ও এলাকার প্রতিবাদী নারী পুরুষ কার্ড নিয়ে চাঁদাবাজী ও তালিকাভুক্তদের চাউল না দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে। কুল্যা গ্রামের সিরাজুলের স্ত্রী পারভিন, শহিদের স্ত্রী মাছুরা, ছবুরের মেয়ে মাহমুদা, ইউনুছের স্ত্রী আছিয়া, মোত্তাজুল মল্লিকের স্ত্রী রুমা ও সাদ্দামের স্ত্রী শাহিদার কাছ থেকে কার্ড করে দেওয়ার নাম করে চেয়ারম্যানের নিজস্ব ব্যক্তি ও গ্রাম পুলিশ রেফাজুল ৫/৬ হাজার করে টাকা নিয়েছে বলে মানববন্ধনের সময় ভুক্তভোগিরা জানান। এদিকে ৯নং ওয়ার্ডে রেবতী মন্ডল, দিপালী সরকার, নমিতা সরকার, অনিমা, লক্ষী, মাধবী, নমিতা মন্ডল, শেফালীর নাম চুড়ান্ত তালিকায় থাকলেও চাউল দেয়া হয়নি। ওয়ার্ড নং ৭ এ আমেনা, রাশিদা, ফিরোজা, নার্গিস, রিজিয়া, মনোয়ারার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। ৪ নং ওয়ার্ডে পূর্নিমা, রিজিয়া, রাজিয়া, মনোয়ারা, সেলিনা, নাজমা, রমেছা, স্বপ্নার নাম চুড়ান্ত তালিকায় থাকলেও চাউল দেওয়া হয়নি। ৩নং ওয়ার্ডে গীতা, সুপ্রিয়াসহ ৯ ওয়ার্ডে অনুমান আশিরধিক ব্যাক্তির নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
ইউপি সদস্য আলহাজ্ব আঃ মাজেদ বলেন, কেবল তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া, যোগ্যদের চাউল না দেওয়ার ঘটনাই ঘটেনি। চুড়ান্ত তালিকায় নাম উঠার পরে ছলেমান গাজীর স্ত্রীর নিকট থেকে ২০০০ টাকা, সন্যাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে ৪০০০, রাম প্রসাদ সরদারের স্ত্রীর কাছ থেকে ৪০০০ ও আলমের স্ত্রীর কাছ থেকে ২০০০ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়েছে। আবুল কাশেম সাহাজী জানান, তার স্ত্রী তৈয়েবার কার্ড করিয়ে দেওয়ার নাম করে গুনাকরকাটির আরিফুল ৪৫০০ টাকা আদায় করেছে। গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান, কুল্যা গ্রামে অনেকের নিকট থেকে গ্রাম পুলিশসহ বেশ কয়েকজন যেভাবে টাকা আদায় করেছে, একই ভাবে ইউনিয়নের অন্যান্য ওয়ার্ডেও কার্ড দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করা হয়েছে। তারা উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান ও মাননীয় সংসদ সদস্যর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, দ্রুত প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ইউনিয়নের অসহায় গরীব ভূমিহীন মানুষকে প্রতারনার মাধ্যমে চরম বিপাকে ফেলার পাশাপাশি সরকারি নির্দেশ অমান্য করে আওয়ামীলীগ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা বন্ধ হবে না।
এব্যাপারে ইউপি সদস্য আলহাজ্ব আঃ মাজেদ বলেন, চেয়ারম্যান আমাদের দেওয়া তালিকা বাদ দিয়ে তার নিজস্ব লোকজন দিয়ে কার্ডের তালিকা করিয়েছেন। গ্রাম পুলিশসহ ঐ চক্রটি নিঃস্ব ও গরীব মানুষদেরকে কার্ড দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে চাঁদাবাজী ও অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানান, চাউল বিতরণ কাজে অনিয়মের কথা অনেকে মোবাইলে জানাচ্ছে। লিখিত ভাবে অভিযোগ হলে ইউএনও মহোদয়ের পরামর্শে দেখা হবে। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছেত আল হারুন চৌধুরী তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবী করেন। উপজেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত ও তালিকা মোতাবেক যোগ্যদের মাঝে চাউল বিতরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
আশাশুনি সেবাশ্রমের স্বামীজীর মৃত্যু
আশাশুনি প্রতিনিধি
আশাশুনি সেবাশ্রম (প্রণব মঠ) এর স্বামীজী স্বামী সোমানন্দজী মহারাজ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। রবিবার রাতের কোন এক সময় তিনি সেবাশ্রমে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
অধ্যক্ষ সোমানন্দজী মহারাজ রবিবার রাতে যথারীতি আশ্রমে নির্দিষ্ট কক্ষে ঘুমোতে যান। রাতের কোন এক সময় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ভোর ৪ টার দিকে প্রার্থনার সময় না ওঠায় ডাকাডাকি করেও সাড়া না পাওয়ায় আশ্রমের লোকজন বিভিন্ন স্থানে মোবাইলে ঘটনা জানান। খবর পেয়ে তারা আশ্রমে পৌছে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তাকে মৃতাবস্থায় দেখতে পান। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, অধ্যক্ষ সোমানন্দজী ৭ বছর বয়সে আশ্রমে আসেন। ১৯৮৫ সালে তৎকালীন স্বামীজীর মৃত্যুর পর তিনি অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহন করেন। সেই থেকে নিরলস ভাবে, সাবলীল আচরণের মাধ্যমে মানুষের হৃদয় জয় করে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে এসেছেন।
অধ্যক্ষের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপি। মৃত্যু সংবাদ শুনে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নীলকন্ঠ সোম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শম্ভুজিত মন্ডল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রনজিত কুমার বৈদ্য, আশাশুনি উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেমা খাতুন মিলি, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুবোধ চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর কুমার মন্ডল প্রমুখ আশ্রমে গমন করেন।
আনুলিয়ায় মৎস্য আড়তে করোনা প্রতিরোধে মাস্ক বিতরণ
আশাশুনি প্রতিনিধি
দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসের ২য় ঢেউ থেকে আত্মরক্ষার জন্য সচেতন ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম করার তাগিদে আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের কাকবাসিয়া মৎস্য আড়তে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার (১২এপ্রিল) মাস্ক বিতরণ ও সচেতনা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
মৎস্য আড়ৎ কাটায় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ক্রয় বিক্রয় কাজ পরিচালনা করা হয়ে থাকলেও করোনার কারণে ও সরকারি বিধি নিষেধের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সমাগম কমিয়ে আনা হয়েছে। মৎস্য আড়ৎ পরিচালনা কমিটির সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, সহ-সভাপতি কবির হোসেন ও রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম সানা, ক্যাশিয়ার মিজান গাজীর নেতৃত্বে সন্তোষ মন্ডল, শফিকুল ইসলাম, জিয়া উর রহমানসহ আড়তের কাটা মালিক ও ব্যবসায়ী প্রমুখের উপস্থিতিতে সেট এলাকার করোনা বিস্তার রোধে কার্যকর করে তুলতে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন। এদিন সকাল থেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা, নিত্য প্রয়োজনীয় নয় এমন দোকান পাট বন্ধ রাখা, মাস্ক ব্যবহার করা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, পাশাপাশি ও কাছাকাছি অবস্থান গ্রহন না করার জন্য সনেচতন করা হয়। সাথে সাথে কেউ সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করছে কিনা সে ব্যাপারে নজরদারী করা হয়। সেটে আগতদের মধ্যে যাদের মুখে মাস্ক নেই তাদেরকে মাস্ক প্রদান ও মুখে মাস্ক পরিয়ে দেওয়া হয়। প্রত্যেক কাটায় সাবান পানি, হ্যান্ড স্যানিটাজার ও স্যাভলন রেখে সকলকে ব্যবহারে বাধ্য করা হচ্ছে।
বুধহাটায় ব্রিধান প্রদর্শনী পরিদর্শন
আশাশুনি প্রতিনিধি
আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নে রবি/২০২০-২১ অর্থ বছরে ব্রিধান ৮৬ প্রদর্শনী পরিদর্শন করা হয়েছে। সোমবার (১২ এপ্রিল) সকালে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের পক্ষ থেকে পরিদর্শন করা হয়।
বুধহাটা ইউনিয়নের ৫ নং বুধহাটা ব্লকের শ্বেতপুর গ্রামের কৃষক শওকত হোসেন গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রবি/২০২০-২১ অর্থ বছরে ব্রিধান ৮৬ প্রদর্শণী ক্ষেতে ধান চাষ করেছেন। প্রদর্শনী ক্ষেতের ফসলের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামশ্ব প্রদান করেন, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। পরে তিনি রাজস্ব অর্থায়নে নওয়াপাড়া গ্রামের শামিম আহম্মেদের ব্রিধান ৮৮ প্রদর্শণী পরিদর্শন এবং আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম, পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় ৫ একরের ১৫ জন চাষীর ব্রিধান ৮৮ প্রদর্শণী পরিদর্শণ করেন। এসময় তিনি রোগ ও ক্ষতিকর পোকামাকড় দমনের পরামর্শসহ ৮০% ধান পরিপক্ক হওয়ার সাথে সাথে কর্তনের পরামর্শ প্রদান করা হয়।
রূপসায় শোকাহত আওয়ামী লীগ পরিবারের পাশে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জামাল
খবর বিজ্ঞপ্তিঃ
রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা নিতাইপদ মজুমদার (৮৫) গতকাল বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। মরহুমের মৃত্যুর খবর শুনে তার নিজস্ব বাসভবনে ছুটে যান খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগ সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান জামাল। এসময় তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন। এসময় অন্যাণ্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ জামিল খান, রবিউল ইসলাম বিশ্বাস, মনিশংকর নাগ, জহির রায়হান, রতন বিশ্বাস, খান রমজান হোসেন রিকি, মিরাজুল ইসলাম, আরমান, মোল্যা মারুফ, মিনারুল ইসলাম, অনিক প্রমুখ।
সাবেক ছাত্রনেতা আবু হানিফ এর মাস্ক বিতরন
খবর বিজ্ঞপ্তি
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সাধারন মানুষের মধ্যে গন সচেতনতা বৃদ্ধি লক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সোমবার বিকাল ৫টায় বটিয়াঘাটা উপজেলার কৈয়া বাজার এলাকায় সর্বসাধারণের মধ্যে মাস্ক প্রদান ও সচেতনতা মুলক ক্যাম্পেইন করেন খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, যুবনেতা শেখ মোঃ আবু হানিফ। তিনি কৈয়া বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি ও যুবলীগ নেতৃবৃন্দের কাছে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য মাস্ক প্রদান করেন। এ সময় অন্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ও বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি সুজয় কান্তি মন্ডল, জলমা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম, বটিয়াঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক অরিন্দম গোলদার, মোঃ আজাহারুল ইসলাম, মান্নান শেখ, উদয় রায়, মোঃ নাঈম ফারহান, সঙ্কর সরকার, পলাশ বিশ^াস, মামুন গোলদার, শেখ শফিকুজ্জামান বুলু, আশিকুজ্জামান আশিক, সবুজ মন্ডল, মরিরুল ইসলাম রিঙ্কু, রথীন মন্ডল, সুমন শেখ, মোঃ রাসেল, ইমন শেখ, লিটু মন্ডল, অঙ্গত মন্ডল প্রমুখ।