বিএনপি নেতা বাবুল কাজি হত্যার বিচার খুলনার মাটিতেই হবে: মঞ্জু

2
Spread the love

খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, বিএনপি নেতা বাবুল কাজি হত্যার বিচার খুলনার মাটিতেই হবে। পুলিশ প্রশাসনের যারাই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তাদের আইনের মুখোমুখি হতে হবে। খুলনার পুলিশ প্রশাসন নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ভুলে আওয়ামী ক্যাডারে পরিনত হয়েছে। তারা বিএনপি নেতা বাবুল কাজিকে হত্যা করেছেন। ২৯ মার্চ পুলিশের পিটুনিতে মারাত্মক আহত বিএনপি নেতা বাবুল কাজি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাতে মৃত্যুবরন করেন। সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে দলীয় নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতা বাবুল কাজির মরদেহ সামনে রেখে হত্যার বিচার দাবি করলে মঞ্জু নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, অস্ত্রের মুখে কেউ চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, শেখ হাসিনাও পারবেন না। ভিডিও ফুটেজ দেখলেই খুনিদের খুজে বের করা সম্ভব। কারা নির্দেশ দিয়েছেন; কারা তাকে রক্তাক্ত করেছেন, কারা তাকে হত্যা করেছেন। মঞ্জু বলেন, আদালতে মামলা করবো বিচারের দাবিতে। জানিনা সরকারের আমলে বিচার পাবো কিনা? তবে বাবুল কাজি হত্যার বিচার হবেই খুলনার মাটিতে। সভা সমাবেশ করা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার কিন্তু খুলনার পুলিশ প্রশাসন গত ২৯ মার্চের কর্মসুচিতে বাধা দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। অতি উৎসাহি কিছু সংখ্যাক পুলিশ সদস্য বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ২০জন নেতাকর্মীকে রক্তাক্ত করেছেন। বাবুলের মৃত্যুর শোককে শক্তিতে পরিনত করে হাসিনা হটাও আন্দোলন জোরদার করার আহবান জানান মঞ্জু। সোমবার দুপুর ১২ টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে বাবুল কাজির মরদেহ আসলে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। নেতাকর্মীদের অশ্রুসজল চোখে বাবুল কাজির মরদেহে দলীয় পতাকা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এসময় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি। পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় নেতাকর্মীদের অংশগ্রহনে জানাজা শেষে মরহুমের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার বাসভবনে। বাদ জোহর দক্ষিন মোল্লাপাড়া জামে মসজিদে মরহুমের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে হাজী মালেক কতবরস্থানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন করা হয়। সময় উপস্থিত ছিলেন শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউল¬াহ খান সাচ্চু, এড. ফজলে হালিম লিটন, এড. বজলুর রহমান, আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শাহজালাল বাবলু, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মহিবুজ্জামান কচি, মেহেদী হাসান দিপু, সাদিকুর রহমান সবুজ, শেখ সাদী, এড. গোলাম মওলা, জালু মিয়া, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ,  সাজ্জাদ হোসেন তোতন, শাহিনুল ইসলাম পাখি, হাসানুর রশিদ মিরাজ, শের আলম সান্টু, নাজমুল হুদা সাগর,  ইকবাল হোসেন খোকন, নাজির উদ্দিন নান্নু, এড. মশিউর রহমান নান্নু, এস এম শাহজাহান,  হাফিজুর রহমান মনি, শরিফুল ইসলাম বাবু, আবু সাইদ শেখ, আব্দুর রহমান, বদরুল আনাম খান, ইশহাক তালুকদার, শাহাবুদ্দিন মন্টু, জামাল মোড়ল, তরিকুল্লাহ খান, জামিরুল ইসলাম জামিল, লতিফ কাজী, আবুল কালাম, আলম, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, এইচ এম আসলাম, তৌহিদুল রহমান খোকন, মেজবাহ উদ্দিন মিজু, ওহেদুর রহমান দীপু, আব্দুল জব্বার, বাচ্চু মীর, আনিছুর রহমান আরজু, নাসির খান, জাহিদ কামাল টিটু, মোল্যা ফরিদ আহমেদ, মহিউদ্দিন টারজান, সরদার রবিউল ইসলাম, মেহেদী হাসান সোহাগ, মোস্তফা কামাল, ইমতিয়াজ আলম বাবু, মনিরুজ্জামান মনি, কাজী শাহনেওয়াজ নীরু, শেখ জাকির হোসেন, আকরাম হোসেন, মনিরুল ইসলাম, কাজী ফজলুল কবির টিটো, লিটু পাটোয়ারী, সেলিম বড় মিয়া, হুমায়ুন কবির, জাকারিয়া লিটন, সাইফুল ইসলাম সান্টু, মঞ্জুরুল ইসলাম সৌরভ, রফিকুল ইসলাম টিটু, নাজমুল হাচান নাসিম, গাজী সালাউদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, আল আমিন তালুকদার প্রিন্স, সাজ্জাদ হোসেন জিতু, আশিকুল রহমান আশিক, রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি, শামীম রেজা, আব্দুল আহাদ শাহীন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. ইকবাল হোসেন, শাকিল আহমেদ, এম হাসান, ডা. ফারুক, শাহাবুদ্দিন, তরিকুল ইসলাম, রিয়াজুর রহমান, সৈয়দ গাজী  প্রমুখ।

জেলা: শেখ আব্দুর রশিদ, মোল্যা খায়রুল ইসলাম, আবু হোসেন বাবু, আশরাফুল আলম নান্নু, শেখ আনিছুর রহমান, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, ওয়াইজ উদ্দিন সান্টু, মোল্যা কবির হোসেন, হেমায়েত হোসেন, শামসুল বারী পান্না, তানভীরুল আজম রুম্মান, জাবির আলী, সাগর শিকদার, ফারুক খন্দকার,  মোক্তার হোসেন, মোল্যা আলী আহমেদ, ডা. হালিম, শফিকুল ইসলাম শাহীন, শফিকুল ইসলাম বাদল প্রমুখ। জানাযায় ইমামতি করেন ওলামা দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা আব্দুল গফ্ফার। এছাড়াও জানাযায় উপস্থিত ছিলেন বাবুল কাজীর ছেলে মো. হাচান কাজী। 

উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন স্থানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ১৭ জন মানুষ নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি গত ২৯ মার্চ দেশব্যাপী প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসূচী খুলনায় পালনকালে বেলা সাড়ে ১১টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের অতর্কিত হামলায় ২০ জন আহত হয়। মারাত্মক আহত হন ৩১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোহাম্মাদ বাবুল কাজি। রোববার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

খবর বিজ্ঞপ্তি