দেবহাটায় ধান কাটা শুরুতেই নারী শ্রমিকরা মুজুরি বৈষম্যের শিকার

11

দেবহাটায় ইরি-বোরো ধান কাটা শুরুতেই নারী শ্রমিকরা মুজুরি বৈষম্যের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কৃষকের ক্ষেতের পাকা ধান কাটতে পুরুষের পাশাপাশি নারী

শ্রমিকরাও কাজ করছেন। ইতিমধ্যেই উপজেলার দেবহাটা,  সখিপুর, কুলিয়া,  ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষকের ক্ষেতের পাকা ধান কাটা শুরু হয়েছে।

সরেজমিনে  দেবহাটা উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের পাতনার বিলে গিয়ে দেখা যায়, নারী শ্রমিকরা কৃষকের ক্ষেতের ধান কেটে বিচালীর আটি বাধছেন। বিচালীর আটি করার সময়

নারী শ্রমিক মরিয়ম বিবি, আমেনা খাতুন, জোসনা বেগম, সখিনা খাতুন, বলেন, ধান কাটা শুরুতেই তারা মুজুরির বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একজন পুরুষ শ্রমিক

কাজ করে মুজুরি পাচ্ছেন ৩০০ টাকা। একই পরিমাণ কাজ করে তারা পাচ্ছেন মাত্র ১৫০ টাকা। নারী শ্রমিক আমেনা খাতুন বলেন, তারা (নারী শ্রমিক) নিখুঁতভাবে ধান কাটা,

বিচালী বাধাসহ ঝাড়াইয়ের কাজ করলেও তাদের মুজুরি বৃদ্ধি হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসলেও ক্ষেত মালিকরা (কৃষক) তাদের ন্যায্য মুজুরি বৃদ্ধি করছেন না।

দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তিন নম্বর সখিপুর ইউনিয়ন এর সুযোগ্য চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন। সাংবাদিক কে এম রেজাউল করিম এর কাছে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন। পুরুষ শ্রমিকের সঙ্গে নারী শ্রমিকরা সমানতালে কাজ করে গেলেও তারা (নারী শ্রমিক) মুজুরি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। অথচ নারী শ্রমিকরা পরিচ্ছন্নভাবে কাজ করে থাকেন। কারণে তাদের মুজুরি বৃদ্ধি করা উচিত।

 উপজেলা কৃষি অফিসার শরীফ মোহাম্মদ  তিতুমীর, বলেন হাইব্রিগেড ২৮০০ হেক্টর উফশী ৩২০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান আবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যেই কৃষকের ক্ষেতের ভাগ ধান পেকে গেছে। কিছু এলাকায় কৃষকরা পাকা ধান কাটা শুরু করেছেন।

সহকারি কৃষি অফিসার ইব্রাহিম খলিল সবসময়  কৃষকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

– কে এম রেজাউল করিম /খুলনাঞ্চল