হতদরিদ্র রিকসা চালকের ছেলে আব্দুর রহিমের মেডিকেলে ভর্তি নিয়ে উদ্বিগ্নতা দূর হলো। রোববার (১১ এপ্রিল) বিকেলে সরেজমিন উপজেলার গৌরিপুর গ্রামে রিকসা চালক আব্দুল হালিম গাজীর বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে হাজির হন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম। এরপর তিনি আব্দুর রহিমের বাবা-মা’র হাতে ভর্তি খরচ ১৫ হাজার টাকা তুলে দেন। এসময় চেয়ারম্যান পুত্র আসিফ খান অভি, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলীসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে রোববার (১১ এপ্রিল) ‘স্বপ্ন কী পূরণ হবে রিকসা চালক হালিমের’ শিরোনামে নিউজ প্রকাশিত হয় দৈনিক খুলনাঞ্চলে। নিউজটি নজরে আসলে নাজমা খানম আব্দুর রহিমের খবর নেন। এরপর তিনি তাকে ভর্তি খরচ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
আব্দুর রহিমের পিতা আব্দুল হালিম বিশ্বাস বলেন, মনে বড় ইচ্ছা ছিল ছেলেরে ডাক্তারি পড়াব। আল্লাহর ইচ্ছায় ছেলে ডাক্তারি পড়ার চান্স চাইছে। ওর ভর্তি খরচ, বই কেনা নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলাম। রিকসা চালায়ে কোন রকম পেট চলে। এত টাকা পাব কনে। নাজমা আপা আমার বাড়ি আইছে। ছেলের ভর্তির জন্য ১৫ হাজার টাকা দেছেন। আমার চিন্তা দূর হইছে। আমি খুব খুশি।
মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম বলেন, সাংবাদিকদের মাধ্যমে খবর পেয়ে আব্দুর রহিমের খোঁজ নিয়েছি। জানতে পারলাম ওই ছেলেটার পিতা রিকসা চালান। গরিব মানুষ। ছেলের মেডিকেলে ভর্তির খরচ নিয়ে চিন্তায় আছেন। আমি আব্দুর রহিমের ভর্তির জন্য ১৫ হাজার টাকা দিয়েছি। লেখাপড়া শেষ হওয়া পর্যন্ত যে কোন প্রয়োজনে আব্দুর রহিমের পাশে দাঁড়াবো।
অধম্য মেধাবী আব্দুর রহিম এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন। তিনি ২০১৮ সালে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে মণিরামপুরের নেংগুড়াহাট স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি এবং ২০২০ সালে ঢাকার পিলখানার বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহম্মদ কলেজ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি উপজেলার গৌরিপুর গ্রামের আব্দুল হালিম বিশ্বাস ও জেসমিন বেগমের বড় ছেলে।
– মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: