দেবহাটায় গাছে গাছে উঁকি দিচ্ছে আমারে গুটি

14
Spread the love

দেবহাটা উপজেলায় গাছে গাছে উঁকি দিচ্ছে আমারে গুটি। চলতি অনুকূল আবহাওয়ায় গুটি নষ্ট হবার সম্ভাবনা কম। তাই এবারও আমের বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন আম চাষিরা। উপজেলায় বিভিন্ন জাতের আম নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে এবার বিদেশে রপ্তানিও করা যাবে বলে তারা মনে করছেন।

 সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আম গাছ গুলোতে ছোট ছোট গুটির ধরন আসতে শুরু করেছে। এখন সময়ের ব্যবধানে ধীরে ধীরে আরো বাড়ছে। বছর গাছে গুটির পরিমাণ বেশি। আমচাষি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কর্মকর্তারা এবারও দেবহাটা উপজেলায় আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন।

তাদের বক্তব্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে সময়মতো পরিচর্যা হলে চলতি মৌসুমে আমের ফলন গত সকল মৌসুম থেকে ছাড়িয়ে যাবে ।তাই আশায় বুক বেধে আম চাষিরা আগাম শুরু করেছেন পরিচর্যা। তাদের আশা, চলতি মৌসুমে তারা আম থেকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন। দেবহাটা উপজেলায় বিভিন্ন জাতের আম চাষ হয়ে তাকে তার মধ্যে হিম সাগর,ন্যাংড়া, গেবিন্দভোগ, মল্লিকা, সিদুর রাঙ্গা, ফজলি, কাচা মিঠা, বোম্বায়, লতা আম বেশি চাষ করা হয়।

দেবহাটা উপজেলার  আমচাষি  ঝন্টু  দাদা জানান , বছরের আবহাওয়া আমের জন্য কিছুটা অনুকূলে রয়েছে। এরই মধ্যে অনেক গাছে গুটি আসতে শুরু করেছে। তবে প্রকৃতি যদি অনুকুলে থাকে তাহলে আমরা এবারও লক্ষমাত্রা অতিক্রম করবো

দেবহাটা উপজেলার বিভিন্ন আমচাষি  জানান, আমের জন্য এখন আর অফ ইয়ার বা অন ইয়ার নেই। বছর জুড়ে গাছের পরিচর্যা করার কারণে এখন প্রতি বছরই আমের ভালো ফলন পাওয়া যায়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরামর্শে গাছে মুকুল আসার ১৫ থেকে ২০ দিন আগেই তারা পুরো গাছ সাইপারম্যাক্সিন কার্বারিল গ্রুপের কীটনাশক দিয়ে ভালোভাবে স্প্রে করে গাছ ধুয়ে দিয়েছেন। এতে গাছে বাস করা হপার বা শোষক জাতীয় পোকাসহ অন্যান্য পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। যদি সঠিক সময়ে হপার বা শোষক পোকা দমন করা না যায় তাহলে আমের ফলন কমে যেত বলে জানান এই আমচাষি।

উপজেলার সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা শরিফা মোহাম্মদ  তিতুমীর  জানান, ধান-চাল বা অন্য ফসলের মতো আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও কৃষি অধিদফতরের কাছে থাকে কারণ দেবহাটা উপজেলার আম দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশের বাজারেও বেড়েছে চাহিদা।

তিনি বলেন দেবহাটা  উপজেলায় ২০২১ সালে আম চাষ হয়েছে ৩৭০ হেক্টর জমিতে। প্রতি হেক্টর জমিতে ২৯ থেকে ৩০ মণ আমের ফলন ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়াও সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল সমস্ত আম চাষীদের সঠিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

– কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা