তদন্তে প্রমাণ মিললে গ্রেফতার হবেন মামুনুল: ডিসি মতিঝিল

8
Spread the love

হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার তদন্ত চলছে জানিয়ে ডিএমপি’মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেছেন, তদন্তে যদি মামুনুল হকের জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে তবে তাকে গ্রেফতার করা হবে। এক্ষেত্রে আমরা কারো বিরুদ্ধে রাজনৈতিক নেতা বিবেচনায় নয়, অপরাধী বিবেচনায় ব্যবস্থা নেবো।

মঙ্গলবার (এপ্রিল) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলে তিনি। গত (এপ্রিল) রাতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন রাজধানীর ওয়ারীর এক ব্যবসায়ী।

মামুনুল হককে গ্রেফতার করা হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ডিএমপি’মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, মামলাটি আমরা তদন্ত করছি। তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, এজাহারে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের অনেকের রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে। তবে আমরা কোনো পদ বিবেচনায় নেব না। আমরা অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। মামলাটি গতকাল রাতে হয়েছে। এখনও প্রি-ম্যাচিউরড রয়েছে। আমরা আসামিদের প্রকৃত পরিচয়, তারা বর্তমানে কোথায় অবস্থান করছে, ২৬ তারিখ তারা কোথায় ছিল, বায়তুল মোকাররমে সরাসরি উপস্থিত ছিল কি না, তারা নাশকতার নির্দেশ-উসকানি দিয়েছে কি না, হামলার অর্থদাতা বা মাস্টারমাইন্ড কি না তা শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতারসহ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা ঘটনাস্থলে ছিলেন কি না জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘নামাজের পর মসজিদের বেদীর ওপরে অনেকে কথা বলছিল, সেখান থেকেই সংঘর্ষের শুরু। তবে সেখানে কোনো সিনিয়র নেতাকে দেখিনি। অনেকে ভেতরে ছিল, সিনিয়র নেতারা ভেতরে ছিল কি না তা তদন্তে উঠে আসবে।’

উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মামুনুল হকের নির্দেশে ১৭ হেফাজত নেতার নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রসহ দা, ছোরা, কুড়াল, কিরিচ, হাতুড়ি, তলোয়ার, লাঠিসোটাসহ অতর্কিত হামলা চালানো হয়, এমন অভিযোগ উল্লেখ করে মামলাটি করেন টাইলস ব্যবসায়ী আরিফ-উজ-জামান। হামলায় তিনিও গুরুতর আহত হন বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।

দায়েরকৃত মামলায় মামুনুল হক ছাড়াও আরও ১৬ আসামি হলেন- মাওলানা ফলায়েদ আল হাবিব (যুগ্ম-মহাসচিব), মাওলানা লোকমান হাকিম (যুগ্ম-মহাসচিব), নাসির উদ্দিন মনির (যুগ্ম-মহাসিচব), মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া (নায়েবে আমির), মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদী (মাথজান, ঢাকা),  মাজেদুর রহমান (নায়েবে আমির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া), মাওলানা হাবিবুর রহমান (লালবাগ, ঢাকা), মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা জসিম উদ্দিন (সহকারী মহাসচিব, লালবাগ), মাওলানা মাসুদুল করিম (টঙ্গী, সহ-সাংগঠনিক), মুফতি মনির হোসাইন কাশেমী (অর্থ সম্পাদক), মাওলানা যাকারিয়া নোমান ফয়েজী (প্রচার সম্পাদক) মাওলানা ফয়সাল আহমেদ (মোহাম্মদপুর, ঢাকা), মাওলানা মুশতাকুন্নবী (সহকারী দাওয়াহ সম্পাদক), মাওলানা হাফেজ মো. জোবারের (ছাত্র যুব সম্পাদক) এবং মাওলানা হাফেজ মো. তৈয়ব (দপ্তর সম্পাদক)

-ঢাকা অফিস