কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভেড়ামারা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক সানোয়ার হোসেন প্রাইভেট ছাত্রের মা ও বোনকে (২২) হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে গুরুত্বর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভেড়ামারা থানা পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক সানোয়ার হোসেন কে আটক করেছে। এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেলে পৌরসভার নওদাপাড়ায়।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভেড়ামারা সরকারি মহিলা কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক সানোয়ার হোসেন(৩৫) প্রতিদিনের ন্যায়, ভেড়ামারা শহরের নওদাপাড়ায় দশম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত ছাত্রকে(১৪) প্রাইভেট পড়াতে বাসায় যায়।
সোমবার পড়ানোর এক পর্যায়ে তিনি ছাত্রের মাকে অনৈতিক কাজের জন্য কু–প্রস্তাব দেয়। কু–প্রস্তাবে রাজি নাহলে এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
এক পর্যায়ে কলেজ শিক্ষক সানোয়ার রান্নাঘর থেকে হাঁসুয়া নিয়ে ছাত্রের মায়ের মাথায় ও পেটে আঘাত করে। আহত মায়ের আত্মচিৎকার শুনে অনার্স পড়ুয়া মেয়ে মাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে
তাঁকেও মাথায় আঘাত করে রক্তান্ত জখম করে। তাঁদের আত্মচিৎকারে সানোয়ার দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে প্রতিবেশিরা এসে তাকে ধরে ফেলে এবং গাছের সাথে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেয়।
দুই সন্তানের জনক কলেজ শিক্ষক সানোয়ার হোসেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নওদা বহলবাড়িয়া গ্রামের মোঃ ইদবার আলীর ছেলে।
তিনি কর্মসূত্রে ভেড়ামারার নওদাপাড়ায় সস্ত্রীক ভাড়া থাকেন। এদিকে মুমূর্ষু অবস্থায় গৃহবধুকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। অবস্থা খারাপ হলে পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর মেয়েকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে আহত গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে সানোয়ার হোসেনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ০১। তারিখ ০৬/০৪/২০২১।
ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহ্জালাল বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে দ্রুত পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষক সানোয়ারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
–মোঃ রেজাউর রহমান তনু, কুষ্টিয়া