মহেশপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই ১৫ ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ

8
Spread the love

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ২৬টি ইট ভাটা। এর মধ্যে ১৫টি ইট ভাটায় দেদাচ্ছে পড়ানো হচ্ছে কাঠ। এর মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে ৫টি ইটের ভাটা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিলেও ১০টি ভাটা রয়ে গেল সুরক্ষিতভাবে। কিন্তু কি কারণে ১০টি ইটের ভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান ব্যর্থ হল তা নিয়েই চলছে জল্পনা-কল্পনা।

বিভিন্ন ভাটা মালিকরা জানান, প্রতি বছরই ইটের ভাটার লাইন্সেস নবায়ন করা লাগে। সেই সাথে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড় পত্রও লাগে আমাদের। কিন্তু চলতি বছর আমাদের কোন ইটের ভাটার লাইন্সেস নবায়ন দেয়নি সরকার। সে কারনেই পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও আমাদের ছাড় পত্র দেয়নি। ভাটা মালিকরা আরো বলেন ইটের ভাটা চালাতে গেলেই সর্ব প্রথম প্রয়োজন লাইন্সেস, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড় পত্র। যা বর্তমানে মহেশপুরের কোন ভাটা মালিকের নেই। তার পরও গত ১৮ মার্চ খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে মহেশপুরের রিপন ব্রিক্স,র‌্যাডো ব্রিক্স,মামুন ব্রিক্স,মশিয়ার ব্রিক্স সুলতান ব্রিক্স নামের ৫টি ইট ভাটা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভাঙ্গা হলে ১৫টিই হবে। ৫টি কেন ভাঙ্গা হলো ?

যেখানে ১৯৮৯ সালে ১২ ফ্রেরুয়ারী ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রন আইনে সু-স্পস্ট ভাবে ইল্লেখ করা হয়েছে কোন ইটের ভাটায় জ¦ালানি হিসেবে কাঠ পোড়ানো যাবেনা। সেখানে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে সামনেই চলছে দেদাচ্ছে কাঠ পোড়ানোর মহাউৎসব।

এদিকে ১৯৮৯ সালে ১২ ফ্রেরুয়ারী ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রন আইনের ১১(২) উপ-ধারায় কোন ইটের ভাটায় কাঠ পোড়ালে ইট/কাঠ জব্দ করাসহ ভাটা মালিকের জেল-জরিমানার কথা উল্লেখ থাকলেও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তার কোনটাই মানচ্ছেনা। কিন্তু কি কারনে মহেশপুরের দেদাচ্ছে কাঠ পোড়ানোর ১০টি ভাটা সুরক্ষিত ভাবে থেকে গেলো।

ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান জানান, যে কটি ভাটা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে তারা সবাই ভাটার দিক থেকে মরা গরীব। আর গরীব ভাটা বলেই আমাদের ভাটা গুলো ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন,ভাংলে সব গুলো ভাটাই ভাঙ্গার দরকার ছিলো। কিন্তু তা না করে আমাদের ৫টি ভাটাই ভাঙ্গা হয়েছে।

ইট ভাটা মলিক সমিতির সভাপতি তসলিম মিয়া জানান, চলতি বছর সরকার কোন ইট ভাটারই লাইন্সেস নবায়ন করেননি। এমনকি পরিবেশ অধিদপ্তরও কোন ভাটাই ছাড় পত্র দেননি। তাহলে আমরা সবাই অপরাধি। তাহলে কেন ৫াট ভাটা ভাঙ্গা হলো। ভাংলে সব গুলোই ভাঙ্গার দরকার ছিলো। নাকি আমরা গরীব বলে আমাদের গুলো ভাঙ্গা হলো।

মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাশ^তী শীল জানান, শুনেছি পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে কয়েকটি ভাটা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। আর অভিযানের বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তরের। আমাদের কোন বিষয় নেই।

 শামীম খান জনী মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি