বাগেরহাটে প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আফসানা আক্তার (৮) নামে এক শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলীর রেখা খাতুনের সরকারি বাসভবনে শিশুটিকে নির্যাতনের এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোছাব্বেরুল হক শিশু আফছানাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সরকারি শিশু পরিবারে হস্তান্তর করেন।
আফসানা বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকরন ইউনিয়নের মৃত আমজাদ হোসেনের মেয়ে। তার শরীর, ঘাড়ে, পায়ে আঘাতের চিহ্ন এবং ডান হাতে আগুনের ছ্যাঁকার চিহ্ন রয়েছে।
নির্যাতনের শিকার শিশুটি বলে, ‘আমার বাবা মারা যাওয়ার পর মা আমাকে ছেড়ে অন্যত্র বিয়ে করে। আমার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখে না। সৎ ভাইয়ের সংসারে অনেক কষ্ট করে থাকতে হতো। প্রায় দেড় বছর আগে আমি যখন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ি তখন আমার এক ভাবি এক হাজার টাকা বেতনে রেখা খাতুনের বাড়িতে ঝিয়ের কাজে দেয়। কাজে দেওয়ার পর থেকে আমি কখনও স্কুলে যেতে পারিনি। ভাবি আমাকে কোনও টাকা না দিয়ে প্রতিমাসের বেতনের এক হাজার টাকা নিয়ে যায়। কাজ দেওয়ার পর থেকেই বাসার মালিক রেখা আন্টি আমাকে দিয়ে বাসার সব ধরনের কাজ করাতো। আমি কোনও কাজে একটু ভুল করলেই মারধর করতো, ঠিকমতো খাবার দিতো না। বকাবকি করতো।’
এ বিষয়ে বাগেরহাট সদর উপজেলা কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী রেখা খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।
বাগেরহাট সদর উপজেলার প্রকৌশলী জ্যোতির্ময় মোহান্ত বলেন, ‘আমি ছুটিতে ছিলাম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে বিষয়টি শুনেছি।’
এ বিষয়ে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোসাব্বেরুল হক বলেন, ‘স্থানীয়দের কাছ থেকে শিশু আফসানার নির্যাতনের বিষয়টি শুনে তাকে দ্রুত এনে সরকারি শিশু পরিবারে ভর্তি করি। তার কোনও অভিভাবক পাওয়া যায়নি। শিশুটি ওখানে পড়াশুনার পাশাপাশি সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবে।