বাংলাদেশ মেট্টোরেলের ৬টি রেলওয়ে কার (কোচ) নিয়ে থাইল্যান্ড পতাকাবাহী বিদেশী জাহাজ এম,ভি এসপিএম ব্যাংকক বুধবার বিকেল ৪টায় মোংলা বন্দরে ভিড়েছে। মেট্টোরেলের প্রথম চালান নিয়ে বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে ভিড়ার পর সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয় খালাস কাজ। সন্ধ্যায় জাহাজ থেকে দুইটি কার বার্জে নামানো হয়েছে। নদী পথে সেগুলো গিয়ে পৌঁছাবে ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ী। বাকী ৪টি কার বৃহস্পতিবার দিনে নামানোর কথা রয়েছে। আগামী মে মাসে ৬টি কার নিয়ে আরো একটি বিদেশী জাহাজ মোংলা বন্দরে আসার কথা রয়েছে। আগামী ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ২৪টি জাহাজে আনা হবে ১৪৪টি কার ও অন্যান্য মালামাল।
জাহাটির শিপিং এজেন্ট এনসিয়েন্ট ষ্টীমশিপ কোম্পানী লিঃ এর মহাব্যবস্থাপক মো: ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, বুধবার ৬টি কার নিয়ে জাপান থেকে মোংলা বন্দরে এসেছে মেট্রোরেলের প্রথম চালান। এগুলো বার্জে করে নেয়া হবে ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ীতে। আগামী মে মাসে আরো ৬টি কার নিয়ে একটি জাহাজ আসার কথা রয়েছে এ বন্দরে। পর্যায়ক্রমে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৪টি জাহাজে আনা হবে ১৪৪টি কারসহ অন্যান্য মালামাল। মুলত ঢাকার সাথে মোংলা বন্দরের দূরত্ব কম ও খরচও কম হওয়ায় এ বন্দর দিয়েই এ মূল্যবান মালামাল আনা হচ্ছে।
জাহাজটির শ্রমিক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স খুলনা ট্রেডাসের্র মালিক সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে মোংলা বন্দরে রিকন্ডিশন গাড়ী, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লিসহ যন্ত্রাংশ, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল, পদ্মা সেতুর বিভিন্ন যন্ত্রপাতির পর এবার মেট্রোরেলের প্রথম চালান এখানে খালাস হওয়ায় এটি মোংলা বন্দরের জন্য মাইলফলক।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম মুসা বলেন, মাত্র ১৬ ঘন্টায় মেট্রোরেলের এই মালামাল খালাস করা হবে। পরে তা নৌযানে করে ঢাকায় পাঠানো হবে। তিনি আরো বলেন, পদ্মা সেতু, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রুপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র ও মেট্টোরেলের আমদানী পণ্য ছাড়করণ ও পরিবহণে অগ্রাধিকার দিচ্ছে মোংলা বন্দর।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে ঢাকার উত্তরা থেকে আগারগাও পর্যন্ত প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে মেট্টোরেল চলাচল শুরু করবে। সেই লক্ষ্যে বুধবার বিদেশ থেকে মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে মেট্টোরেলের ৬টি রেলওয়ে কারের (কোচ) প্রথম চালান।
-মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি