বটিয়াঘাটা সদর ইউনিয়নের গল্লামারী বটিয়াঘাটা দাকোপ নলিয়ান ফরেস্ট রোডে বটিয়াঘাটা ইসলামিক ফাউন্ডেশন মসজিদের সামনে ১টি কালভার্ট নির্মান শুরু করেছে এবং অপরটির কাজ এখনো শুরু করা হয়নি। এগুলোর মোট নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২ কোটি ১৫ লাখ ৮১ হাজার ৫৫৯টাকা। সিডিউল অনুযায়ী পূর্বের কালভার্ট সম্পূর্ণ অপসারন করে কাজ করার কথা থাকলেও সেটি না করেই নিচের বেজ ঢালাই রেখেই বালি ফিলিং ইটের সোলিং না করে সিসি ঢালাই সম্পন্ন করেছে যা দেখার কেউ নেই। এতে করে কালভার্টের গভীরতাও কমবে এবং পুরাতন বেজের উপর নতুন কালভার্ট নির্মান করায় এর স্থায়ীত্ব কমবে বলে মনে করে সচেতন নাগরিক। সিডিউলানুযায়ী ৬ মিটার উচ্চতার এই কালভার্ট নির্মানে পূর্বের সবকিছু অপসারন করে সেন্ড ফিলিং সিসি ঢালাই এবং পরে আর সিসি ঢালাই দিয়ে মুল কালভার্টের গ্যাপ হবে ৫ মিটার। এগুলোর কোন কিছুই মানছে না ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কালভার্ট নির্মাণ এলাকার স্থানীয় কয়েকজন বলেন, পুরাতন কালভার্ট এর তলা না ভেঙ্গেই কাজ করছে ঠিকাদার। এমনভাবে কাজ করলে আমাদের ফসলি জমিতে পানি প্রবাহ ঠিকমত হবে না।
এবং পানি অপসারনে বাধাগ্রস্থ হবে। অপর এক স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী বলেন, দেখলাম পুরানো কালভার্টের টপটা শুধু ভাঙ্গছে আর বটম রেখেই নতুন কালভার্ট নির্মাণ করছে। এতে কালভার্টের স্থায়ীত্ব ঠিক থাকবে বলে আমার মনে হয় না। আর ঠিকাদার শুভংকরের ফাকি দিচ্ছে এই পুরাতন কালভার্ট পরিপূর্ণ অপসারন না করে। এই অনিয়ম ও দূর্নীতি তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী বিষয়গুলো সঠিক তদারকি না করায় ঠিকাদার তথা মিস্ত্রিরা কোন রকমে কালভার্ট দাড় করিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এতে সিডিউল নির্ধারিত উপকরণের নিয়ম মানা হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মোহাম্মাদ আমিনুল হক প্রাইভেট লিমিটেড এর মোহাম্মাদ আমিনুল হকের মুঠোফোনে পরপর দুদিন একাধিক বার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে কাজ কিনে নিয়েছে এমন পরিচয়ে শহিদুল হাসান বাবু প্রতিবেদকের সাথে যোগাযোগ করে জানান, নি¤œ কাজটি সঠিকভাবেই করছে। তাদের কাজে কোন ত্রুটি নেই। পুরানো বেজের কথা বলা হলে তিনি বলেন কাজটি আরো ভাল মজবুত হবে সে কারনে ওটা ভাঙ্গা হয়নি বলে বিষয়টি এড়িয়ে যায়। এছাড়া অন্যান্য তথ্য জানতে চাইলে পরে দিবে বলে জানান। তথ্যবোর্ড না লাগানোর বিষয়ে তারা বলেন, অফিস থেকে সরবরাহ এবং কোন বাজেট না করায় তা লাগানো হয়নি।
/ইন্দ্রজিৎ টিকাদার বটিয়াঘাটা/খুলনাঞ্চল/