পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে কাঠ ব্যবসায়ী আল আমীন (৩২)কে মধ্যযুগীয় কায়দায় পিটিয়ে নির্যাতনের পর মামলা দিয়ে থানায় সোপর্দ ।স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে নির্যাতনের পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে আল আমিনের বিরুদ্ধে । পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উপজেলার পত্তাশী গ্রামে রোববার রাতে বর্বরোচিত এ হামলার হয়েছে বলে দাবি ভূক্তভোগীর। নির্যাতিত আল আমীন পত্তাশী গ্রামের মোঃ আলী আকবার এর ছেলে। পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় হ্যান্ডকাফ পরিহিত অবস্থায় আল আমীনের চিকিৎসা চলছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আল আমীন জানায়, রোববার রাতে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় মাহফিল শুনে স্থানীয় এক যুবকের সাথে বাড়ি ফিরছিলাম। এ সময় একটি বাড়ির উপর থেকে যাওয়ার সময় পত্তাশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন হাওলাদারের সমর্থিত ১০-১২ জন লোক আমার উপর অতর্কিত হামলা করে। এরপর মাটিতে ফেলে নির্মমভাবে আমাকে মারধর করে। আল আমীনের অভিযোগ সে পূর্বে ইউপি চেয়ারম্যান হাওলাদার মোয়াজ্জেম হোসেন এর সমর্থক থাকলেও, বর্তমানে আমার সাথে দূরত্ব রয়েছে। তাই আমার উপর ক্ষিপ্ত রয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান। এজন্যই চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমার উপর বর্বরোচিত এ নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি।
খবর পেয়ে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ আল আমীনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর তাকে পুলিশ প্রহরায় পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
আল আমিনের স্ত্রী পপি বেগম জানান,পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার স্বামী কে পরিকল্পিত ভাবে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হাত পা বেধে নির্যাতন করা হয়েছে । আমি এর সুষ্ট বিচার চাই ।
ইউপি চেয়ারম্যান হাওলাদার মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, আল আমীনকে মারধোরের খবর শুনে স্থানীয় চৌকিদার রিয়াজকে ঘটনাস্থলে পাঠাই। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ইন্দুরকানী থানায়ও জানাই। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়। এ ঘটনায় আমার কোন লোক জড়িত কিনা তা জানা নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, একটি মেয়েকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে স্থানীয়রা আল আমীনকে আটকের পর মারাত্মকভাবে মারধোর করেছে এবং এ ঘটনায় ইন্দুরকানী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে ।
– ইন্দুরকানী(পিরোজপুর) প্রতিনিধি