খুলনায় দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সমাপনী

5
Spread the love


খুলনায় ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ’ উদযাপনের দুই দিনব্যাপী কর্মসূচির সমাপনী আজ (রবিবার) রাতে সার্কিট হাউজ মাঠে মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ফিরে দেশ গঠনে হাত দেন। তিনি দেশে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে প্রেক্ষাপট ভিন্ন হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের মুল্যায়ন হয়েছে। সকল স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জাতির ইতিহাসে মুক্তিযোদ্ধা একবারই হওয়া যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান জাতি সর্বদা স্মরণ করবে। আমরা আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি। ২০৪১ সালে আমরা উন্নত দেশে পরিণত হবো।

খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান টুকু, সরকারি বিএল কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ শরীফ আতিকুজ্জামান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবীর ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু। স্বাগত জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সাদিকুর রহমান খান। এসময় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, অ্যাডভোকেট এনায়েত আলী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার মাহবুবার রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সমাপনী অনুষ্ঠানে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধকালীন বীর মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডারসহ মোট ৭০ জনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এর আগে সকালে ‘রূপকল্প ২০৪১: উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শাহনেওয়াজ হোসেন।

‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ’ উদযাপন উপলক্ষ্যে খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে একশত ২৭ টি স্টলে সরকারি-বেসরকারি দপ্তর তাদের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও  অগ্রগতি প্রদর্শন করে। দুই দিনব্যাপী কর্মসূচির উল্লেখযোগ্য অংশ ছিলো শোভাযাত্রা, উন্নয়ন বিষয়ক ভিডিও প্রদর্শন, তরুণদের জন্য জাতির পিতার জীবনীর ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র, ‘রূপকল্প ২০৪১: উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ বিষয়ক সেমিনার, শিক্ষার্থী ও তরুণদের জন্য উন্নয়ন বিষয়ক কুইজ ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা, স্থানীয় বিভিন্ন উন্নয়নচিত্র প্রদর্শনী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

-তথ্য বিবরণী