৮ মাসে শনাক্ত ও তিন মাসে মৃত্যু সর্বোচ্চ

2
Spread the love

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৫৮৭ জন। গত ১৫ জুলাই শনাক্ত হন তিন হাজার ৫৩৩ জন। এরপর থেকে এর বেশি রোগী একদিনে শনাক্ত হননি। অর্থাৎ ৮ মাস পর সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হলেন আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ)। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৩৪ জন। এর আগে ১৭ ডিসেম্বর মারা গিয়েছিলেন ৩৬ জন। অর্থাৎ তিন মাসেরও বেশি সময় পর এটিই সর্বোচ্চ মৃতের সংখ্যা। গত তিন দিন ধরে দেশে দৈনিক সাড়ে তিন হাজারের বেশি রোগী করোনা শনাক্ত হচ্ছেন। গতকাল বুধবার শনাক্ত হন তিন হাজার ৫৬৭ জন এবং এর আগের দিন মঙ্গলবার শনাক্ত হন তিন হাজার ৫৫৪ জন। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ৮৪ হাজার ৩৯৫ জন। মোট মারা গেছেন আট হাজার ৭৯৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯৮৫ জন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ২৯ হাজার ৮৯৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫১ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ২৭ হাজার ৩২৪টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ হাজার ৪৫টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৫ লাখ ১৪ হাজার ৭৩১টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ লাখ ৩৩ হাজার ১০৪টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ লাখ ৮১ হাজার ৬২৭টি।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে বর্তমানে ২২২টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তার মধ্যে আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে ১১৯টি পরীক্ষাগারে, জিন-এক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে ৩০টি পরীক্ষাগারে এবং র‌্যাপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে ৭৩টি পরীক্ষাগারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৪ জনের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন, আর নারী ৯ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেছেন ছয় হাজার ৬৫০ জন এবং নারী দুই হাজার ১৪৭ জন। শতকরা হিসাবে যা পুরুষ ৭৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং নারী ২৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।

বয়স বিবেচনায় তাদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১৮ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুই জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আছেন একজন। বিভাগ বিশ্লেষণে তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ২৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের তিন জন; খুলনা, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের রয়েছেন একজন করে। তাদের মধ্যে ৩৩ জন মারা গেছেন হাসপাতালে আর বাড়িতে মারা গেছেন একজন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া এক হাজার ৯৮৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন এক হাজার ৪২৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের আছেন ৩৮৪ জন, রংপুর বিভাগের ২৬ জন এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ১০ জন করে, রাজশাহী বিভাগের ৮০ জন, সিলেট বিভাগের ৪৫ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের আছেন ছয় জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন এক হাজার ৩৮৬ জন, ছাড়া পেয়েছেন ৮৩৫ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ছয় লাখ ৪২ হাজার ৭০২ জন, ছাড়া পেয়েছেন ছয় লাখ আট হাজার ২০১ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৪ হাজার ৫০১ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ২২০ জন, ছাড়া পেয়েছেন ৯৭ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন এক লাখ তিন হাজার পাঁচ জন, ছাড়া পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৪৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ৪৬২ জন।

 – ঢাকা অফিস